বাংলাদেশের পর্বতের তালিকা
এই নিবন্ধ বা অনুচ্ছেদটি পরিবর্ধন বা বড় কোনো পুনর্গঠনের মধ্যে রয়েছে। এটির উন্নয়নের জন্য আপনার যে কোনো প্রকার সহায়তাকে স্বাগত জানানো হচ্ছে। যদি এই নিবন্ধ বা অনুচ্ছেদটি কয়েকদিনের জন্য সম্পাদনা করা না হয়, তাহলে অনুগ্রহপূর্বক এই টেমপ্লেটটি সরিয়ে ফেলুন। ৩৩ দিন আগে Meghmollar2017 (আলাপ | অবদান) এই নিবন্ধটি সর্বশেষ সম্পাদনা করেছেন। (হালনাগাদ) |
বাংলাদেশ সামগ্রিকভাবে নিম্নভূমির দেশ। বাংলাদেশের ৮৭% ভূমি সমতল। বাংলাদেশে কেবল দক্ষিণ-পূর্বে চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামের সুউচ্চ পর্বত, উত্তর-পূর্বে সিলেটের নিচু টিলা এবং উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমে গারো পাহাড়সহ কিছু উচ্চভূমি রয়েছে। বাংলাদেশের পর্বতারোহীদের সংগঠন বাংলাট্রেকের হিসাব অনুযায়ী, বাংলাদেশের ২,০০০ ফুট (৬১০ মিটার)-এর অধিক উচ্চতার চূড়া রয়েছে প্রায় ছয় শতাধিক। তবে এর মধ্যে স্বতন্ত্র পর্বত প্রায় এক শতাধিক এবং ৩,০০০ ফুট (৯১০ মিটার) উচ্চতার পর্বত রয়েছে মাত্র আঠারোটি।[১] এখানে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পর্বতসমূহের একটি তালিকা দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যে বিভিন্ন পর্বতের উচ্চতায় সামান্য হেরফের ঘটে। অধিকাংশ মাধ্যমে সাকা হাফংকে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পর্বত হিসেবে উল্লেখ করা হয়। তবে সরকারিভাবে তাজিংডং বা বিজয় বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পর্বত হিসেবে স্বীকৃত। সিলেটে অবস্থিত কালা পাহাড় (উচ্চতা ১,০৯৮ ফুট (৩৩৫ মিটার)) বাংলাদেশের উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সর্বোচ্চ চূড়া হলেও, এটি কোনো পর্বত নয়। বাংলাদেশের সর্ব-উত্তরের পর্বতশৃঙ্গ হলো রাঙ্গামাটি জেলার খান ত্লাং। বাংলাদেশের ভৌগোলিকভাবে সর্বপূর্ব এবং সর্বদক্ষিণ-পূর্বের স্থানে ঙাসাই হুং পর্বতের অবস্থান।
তালিকা
[সম্পাদনা]| ক্রম | পর্বত | উচ্চতা | পর্বতসারি | স্থানাঙ্ক | অবস্থান | টীকা |
|---|---|---|---|---|---|---|
| ১ | সাকা হাফং | ৩,৪৬৫ ফুট (১,০৫৬ মিটার) | মোদক | থানচি, বান্দরবান | ২০০৬ সালে ইংরেজ পর্বতারোহী এইমন জিঞ্জ ফুলেন এই চূড়ায় সর্বপ্রথম আরোহণ করেন। | |
| ২ | জো ত্লাং/মোদক মুয়াল | ৩,৩৩৫ ফুট (১,০১৭ মিটার) | মোদক | থানচি, বান্দরবান | ২০০৫ সালে বাংলাদেশি পর্যটক সুব্রত দাস নীতিশ এবং বিজয় শঙ্কর কর এই চূড়ায় সর্বপ্রথম আরোহণ করেন। | |
| ৩ | দুমলং | ৩,৩১৪ ফুট (১,০১০ মিটার) | রেংত্লাং | বিলাইছড়ি, রাঙ্গামাটি | এটি রাঙ্গামাটি জেলার সর্বোচ্চ চূড়া। ২০১১ সালে নেচার অ্যাডভেঞ্চার ক্লাব এই চূড়ায় অভিযানের সময় উচ্চতা পরিমাপ করে। | |
| ৪ | যোগী হাফং | ৩,২৫১ ফুট (৯৯১ মিটার) | মোদক | থানচি, বান্দরবান | ২০১২ সালে সর্বপ্রথম এর চূড়ায় আরোহণ করা হয়। | |
| ৫ | কেওক্রাডং | ৩,২৩৫ ফুট (৯৮৬ মিটার) | পলিতাই[২]/কেওক্রাডং[৩] | রুমা, বান্দরবান | বাংলাদেশের সব থেকে জনপ্রিয় ট্রেকিং রুট। সরকারিভাবে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পর্বত। বাংলাদেশ পর্যটন বোর্ড একে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পর্বত হিসেবে তালিকাভুক্ত করে।[৪] তবে ১৯৯৮ সালের পূর্ব পর্যন্ত কেওক্রাডং বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পর্বত হিসেবে স্বীকৃত ছিল।[১] | |
| ৬ | মাইথাই জামা হাফং | ৩,১৭৪ ফুট (৯৬৭ মিটার) | রেংত্লাং | বিলাইছড়ি, রাঙ্গামাটি | ২০১৪ সালে বিডি এক্সপ্লোরার এই চূড়ায় অভিযানের সময় উচ্চতা পরিমাপ করে। | |
| ৭ | থিংদৌলতে ত্লাং | ৩,১৪৯ ফুট (৯৬০ মিটার) | লম্বক্রো | রুমা, বান্দরবান | এটি লম্বক্রো রেঞ্জের সর্বোচ্চ চূড়া। ২০১২ সালে বিডি এক্সপ্লোরার এই চূড়ায় অভিযানের সময় উচ্চতা পরিমাপ করা হয়।[৫] | |
| ৮ | মুখরা থুতাই হাফং | ৩,১২৯ ফুট (৯৫৪ মিটার) | রেংত্লাং | বিলাইছড়ি, রাঙ্গামাটি | ২০১৩ সালে এই চূড়ার উচ্চতা পরিমাপ করা হয়। | |
| ৯ | রেংত্লাং/বড়থলি পাহাড়/খুম হাফং | ৩,১২৩ ফুট (৯৫২ মিটার) | রেংত্লাং | বিলাইছড়ি, রাঙ্গামাটি | ||
| ১০ | হাজাছড়া হাফং/হাজরা হাফং | ৩,১০৫ ফুট (৯৪৬ মিটার) | মোদক | থানচি, বান্দরবান | ||
| ১১ | কাপিটল চূড়া | ৩,০৯৪ ফুট (৯৪৩ মিটার) | পলিতাই | রুমা, বান্দরবান | এই পর্বতের চূড়া সমতল। মিজোরামের বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী একসময় এই পাহাড়কে নিজেদের অস্থায়ী রাজধানী হিসেবে ঘোষণা করে এবং এটিকে তারা তাদের গুপ্ত আস্তানা হিসেবে ব্যবহার করত। সেখান থেকে এই পাহাড়ের নাম "কাপিতাল পাহাড়" বা "কাপিটল পাহাড়" রাখা হয়েছে। | |
| ১২ | ক্রেইকুং তং/ঙারাম ত্লাং | ৩,০৮৩ ফুট (৯৪০ মিটার) | লম্বক্রো | রুমা, বান্দরবান | লম্বক্রো রেঞ্জের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ চূড়া। ২০১২ সালে বিডি এক্সপ্লোরার এই চূড়ায় অভিযানের সময় উচ্চতা পরিমাপ করে। | |
| ১৩ | সিপ্পি আরসুয়াং | ৩,০৩০ ফুট (৯২০ মিটার) | লম্বক্রো | রোয়াংছড়ি, বান্দরবান | ২০০৮ সালে নেচার অ্যাডভেঞ্চার ক্লাব এই চূড়ায় অভিযানের সময় উচ্চতা পরিমাপ করে। | |
| ১৪ | নাসাই হুং/হাতি পাহাড়/মোদক তং | ৩,০০৫ ফুট (৯১৬ মিটার) | মোদক | থানচি, বান্দরবান | এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে দক্ষিণ-পূর্ব কোণের চূড়া। ২০১১ সালে ডি-ওয়ে এক্সপেডিটরস অ্যান্ড নেচার অ্যাডভেঞ্চার ক্লাব কর্তৃক সাঙ্গু উৎসের যৌথ অভিযানের সময় উচ্চতা পরিমাপ করা হয়।[৬] | |
| ১৫ | কির্সতং | ২,৯০০ ফুট (৮৮০ মিটার) | চিম্বুক | আলীকদম, বান্দরবান | ||
| ১৬ | তাজিংডং, বিজয়, লুংফে তং | ২,৮৭১ ফুট (৮৭৫ মিটার)[৭][টীকা ১] | সাইচল | ২১°৪৯′১৬″ উত্তর ৯২°৩২′১১″ পূর্ব / ২১.৮২১২১৯° উত্তর ৯২.৫৩৬৫২২° পূর্ব[৭] | থানচি, বান্দরবান[৮] | ১৯৯৮ সাল থেকে সরকারিভাবে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ চূড়া হিসেবে স্বীকৃত।[১] |
| ১৭ | ডিম পাহাড় | ২,৮৭১ ফুট (৮৭৫ মিটার) | চিম্বুক | আলীকদম, বান্দরবান | এই পাহাড়ের উপর দিয়ে বাংলাদেশের অন্যতম উচ্চ সড়ক অবস্থিত। | |
| ১৮ | তান্দুই তং | ২,৮৬৭ ফুট (৮৭৪ মিটার) | চিম্বুক | আলীকদম, বান্দরবান | ||
টীকা
[সম্পাদনা]- ↑ গুগল আর্থ থেকে প্রাপ্ত উপাত্ত। সরকারিভাবে স্বীকৃত উচ্চতা ৪,২০০ ফুট (১,৩০০ মিটার)। বিস্তারিত: তাজিংডং#উচ্চতা পরিমাপ ও ইতিহাস।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- 1 2 3 আরশাদী, সালেহীন (৩ মে ২০২২)। "দেশের সর্বোচ্চ শিখরের খোঁজে"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ১২ জুন ২০২৫।
- ↑ ইসলাম, সিরাজুল; মিয়া, সাজাহান; খানম, মাহফুজা; আহমেদ, সাব্বীর, সম্পাদকগণ (২০১২)। "পার্বত্য চট্টগ্রাম"। বাংলাপিডিয়া: বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্বকোষ (২য় সংস্করণ)। ঢাকা, বাংলাদেশ: বাংলাপিডিয়া ট্রাস্ট, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। আইএসবিএন ৯৮৪৩২০৫৯০১। ওসিএলসি 883871743। ওএল 30677644M। সংগ্রহের তারিখ ১১ জুন ২০২৫।
- ↑ মিয়া, সজীব; আরশাদী, সালেহীন (১ জানুয়ারি ২০২২)। "দেশের সর্বোচ্চ বিন্দু খুঁজেছেন এক দশক ধরে, হারিয়েছেন তিন সহযাত্রীকে"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ৪ আগস্ট ২০২৫।
- ↑ "Keokradong"। বাংলাদেশ পর্যটন বোর্ড (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১১ জুন ২০২৫।
- ↑ "Wikiloc - Expedition:Scaling unknown Heights By-BD Explorer trail - Ruma Bāzār (Bangladesh)- GPS track"। Wikiloc - GPS trails and waypoints of the World।
- ↑ "Panoramio - Photo of "NASAI- HUM" / most S.E corner Peak (3005+ ft)"। ৩ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২৪ এপ্রিল ২০১৬।
- 1 2 "Tazing Dong, Bangladesh" (ইংরেজি ভাষায়)। পিকব্যাগার। সংগ্রহের তারিখ ৪ আগস্ট ২০২৫।
- ↑ "তাজিংডং পাহাড়"। বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন। থানচি ইউনিয়ন। সংগ্রহের তারিখ ১৪ জুন ২০২৫।