বাংলাদেশের জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২
বাংলাদেশের আদমশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ | ||
---|---|---|
| ||
সাধারণ তথ্য | ||
দেশ | বাংলাদেশ | |
বিষয় | আদমশুমারির বিষয়
| |
কর্তৃপক্ষ | বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো | |
ওয়েবসাইট | bbs | |
ফলাফল | ||
মোট জনসংখ্যা | ১৬,৯৮,২৮,৯১১ জন | |
পুরুষের সংখ্যা | ৮,১৭,১২,৮২৪ জন | |
নারীর সংখ্যা | ৮,৩৩,৪৭,২০৬ জন | |
তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠী | ১২,৬২৯ জন |
বাংলাদেশের আদমশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ হচ্ছে বাংলাদেশের জনসংখ্যার বিস্তারিত গণনার লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত দেশের ষষ্ঠ জাতীয় আদমশুমারি।[ক][১] এটি বাংলাদেশের প্রথম ডিজিটাল আদমশুমারি।[১] বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তত্ত্বাবধানে ২০২২ সালের ১৫ জুন থেকে ২১ জুন পর্যন্ত এক সপ্তাহব্যাপী অনুষ্ঠিত হয়। সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও নেত্রকোণা জেলায় বন্যা থাকায় ২৮ জুন ২০২২ পর্যন্ত তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রম চলমান ছিল। তবে উক্ত আদমশুমারিতে সংগৃহীত তথ্যের মানদণ্ড হিসেবে ১৫ জুন ২০২২ তারিখটি ব্যবহৃত হয়। দশ বছর পর পর আদমশুমারি হওয়ার ধারাবাহিকতায় ২০১১ সালের পর ২০২১ সালে এই অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও কোভিড-১৯ এর বৈশ্বিক মহামারী, সিলেটে বন্যা এবং সরঞ্জামের অভাবের কারণে সৃষ্ট জটিলতার ফলে এই আদমশুমারি বিলম্বিত হয়।
ষষ্ঠ জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২-এর প্রাথমিক ফলাফল ২৭ জুলাই ২০২২ তারিখে ঘোষণা করা হয়। ফলাফল অনুসারে বাংলাদেশের জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬ জন। এর মধ্যে পুরুষের সংখ্যা ৮ কোটি ১৭ লাখ ১২ হাজার ৮২৪ জন, নারীর সংখ্যা ৮ কোটি ৩৩ লাখ ৪৭ হাজার ২০৬ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠী ১২ হাজার ৬২৯ জন এবং জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১.২২%। [২]
পটভূমি
[সম্পাদনা]১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর ১৯৭৪, ১৯৮১, ১৯৯১, ২০০১ ও ২০১১ সালে আদমশুমারি অনুষ্ঠিত হয়। দেশের সর্বশেষ আদমশুমারি ছিল ২০১১ সালের আদমশুমারি। তখন দেশের মোট জনসংখ্যা প্রায় ১৪ কোটি ৪০ লাখ নথিবদ্ধ করা হয়। তবে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর অগণনা করার বিষয় হিসেবে নিয়ে সেই সময় প্রকৃত জনসংখ্যা ১৪ কোটি ৯৮ লক্ষ ছিল বলে অনুমান করে।[৩]
পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০২১ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশের পরবর্তী আদমশুমারি পরিচালনার কথা ছিল। সেই লক্ষ্যে ২০১৮ সালে মাস্টার প্ল্যান তৈরি করা হয়।[৪] পরের বছর অক্টোবরে, জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি প্রকল্পটির জন্য ১,৭৬১ কোটি টাকা বরাদ্দ করে।[৫] কিন্তু কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) আদমশুমারি পরিচালনা করতে না পারায় প্রাথমিকভাবে ২০২১ সালের অক্টোবর পর্যন্ত এ কার্যক্রম স্থগিত করে।[৬]
২০২১ সালের জুন মাসে পরিসংখ্যান ব্যুরো ২০১৮ সালের মাস্টার প্ল্যানে পরিবর্তন করে ও প্রচলিত পদ্ধতির বদলে ডিজিটাল পদ্ধতিতে আদমশুমারি করার সিদ্ধান্ত নেয়। এর ফলে কার্যক্রমের ব্যয় ১১% কমিয়ে ১,৫৭৫ কোটিতে নামিয়ে আনা সম্ভব হবে বলে আশা করা হয়েছিল। অক্টোবর আসলেও ট্যাব কেনাকাটার জটিলতার কারণে তৃতীয় দফার সময় পিছানো হয়।[৭]
২০২২ সালের মার্চের আগ পর্যন্ত সরঞ্জাম সম্পর্কিত জটিলতা অব্যাহত ছিল এবং মার্চে সরকার প্রয়োজনীয় ট্যাবলেট কেনার অনুমোদন দেয়। পরের মাসে পরিসংখ্যান ব্যুরো আদমশুমারির জন্য নতুন সময়সূচি ঘোষণা করে।[৮]
পদ্ধতি
[সম্পাদনা]বাংলাদেশের ২০২২ সালের আদমশুমারির জন্য ৩,৭০,০০০ গণনাকারী নিয়োগ করা হয়। প্রথমবারের মতো ভৌগোলিক তথ্য ব্যবস্থা (জিআইএস ম্যাপিং), ট্যাবলেট কম্পিউটার এবং তথ্য-উপাত্ত নথিবদ্ধ করার জন্য একটি কম্পিউটার-সহায়ক ব্যক্তিগত সাক্ষাৎকার ব্যবস্থা ব্যবহারের কারণে এটিই দেশের প্রথম ডিজিটাল আদমশুমারি।[১] এই কার্যক্রমের নির্ভুলতা নিশ্চিত করার জন্য ৩৫০ টি নির্বাচিত নমুনা এলাকায় আদমশুমারি-পরবর্তী একটি জরিপ পরিচালনা করা হবে।[১] পুরো আদমশুমারি প্রক্রিয়াটি ২০২২ সালের ১৫ জুন থেকে ২১ জুনের মধ্যে সম্পন্ন হয়। তবে ১৫ জুন ২০২২ মধ্যরাতের ভিত্তিতে তথ্য সংগ্রহ করা হয়।[৮] এই শুমারিতে ৩ লাখ ৬৫ হাজার গণনাকারী ও ৬৩ হাজার সুপারভাইজার ছিল।[৭]
ফলাফল
[সম্পাদনা]আদমশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ এর প্রাথমিক ফলাফল ২৭ জুলাই ২০২২ তারিখে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্রে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, পরিকল্পনামন্ত্রী জনাব এম. এ. মান্নান, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী মো. ফরহাদ হোসেন, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, পরিসংখ্যন ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব শাহনাজ আরেফিনের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়।
আদমশুমারির প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২২ সালে শুমারি মুহূর্তে (১৪ জুন ২০২২ দিবাগত রাত ১২.০০ টায়) দেশের মোট জনসংখ্যা ১৬,৫১,৫৮,৬১৬ জন যার মধ্যে মোট পুরুষের সংখ্যা ৮১,৭১২,৮২৪ জন মহিলার সংখ্যা ৮৩,৩৪৭,২০৬ জন এবং হিজড়ার সংখ্যা ১২,৬২৯ জন। ২০২২ সালের শুমারিতে ১৭,৫০৭টি খানার ৮৫,৯৫৭ জনের আংশিক তথ্য পাওয়া গেছে। তাই মোট জনসংখ্যা ও লিঙ্গভিত্তিক জনসংখ্যার মধ্যে কিছুটা পার্থক্য রয়েছে। এছাড়া, প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী দেশে সর্বমোট বাসগৃহের সংখ্যা ৩৫,৯৯০,৯৫১ টি যার মধ্যে পল্লী এলাকায় ২৭,৮১১,৬৬৭টি এবং শহর এলাকায় ৮,১৭৯,২৮৪টি। সর্বাধিক বাসগৃহের সংখ্যা ঢাকা বিভাগে (৮,১১৯,২০৫ টি) এবং সর্বনিম্ন সিলেট বিভাগে (১,৮৮৫,০১৭ টি)।[৯]
শুমারি অনুযায়ী সর্বাধিক জনসংখ্যা ঢাকা বিভাগে ৪৪,২১৫,১০৭ জন যার মধ্যে পুরুষ, মহিলা ও হিজড়ার সংখ্যা যথাক্রমে ২,২৪,৫৯,৮২২ জন, ২,১৭,২১,৫৫৬ জন ও ৪,৫৭৭ জন এবং সর্বনিম্ন জনসংখ্যা বরিশাল বিভাগে ৯১,০০,১০২ জন যার মধ্যে পুরুষ, মহিলা ও হিজড়ার সংখ্যা যথাক্রমে ৪,৪৩৬,৭৫০ জন, ৪,৬৫৮,৪২১ জন ও ৫৬৩ জন। জনশুমারির প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুয়ায়ী সর্বোচ্চ জনসংখ্যা ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে ৫৯,৭৯,৫৩৭ জন এবং সর্বনিম্ন বরিশাল সিটি কর্পোরেশনে ৪,১৯,৩৫১ জন। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন সর্বাধিক ঘনবসতিপূর্ণ (প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ৩৯,৩৫৩ জন) এবং রংপুর সিটি কর্পোরেশন সর্বনিম্ন ঘনবসতিপূর্ণ (প্রতি বর্গকিলোমিটারে ৩,৪৪৪ জন)।
২০২২ সালে লিঙ্গানুপাত পাওয়া যায় ৯৮.০৪, বর্তমানে প্রতি ১০০ জন মহিলার বিপরীতে পুরুষের সংখ্যা ৯৮ জন। বিভাগভিত্তিক লিঙ্গানুপাতে, ঢাকা বিভাগে লিঙ্গানুপাত সর্বোচ্চ (১০৩.৪০) এবং চট্টগ্রাম বিভাগে সর্বনিম্ন (৯৩.৩৮)। ২০২২ সালে সারাদেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১.২২%, যা গত দশকের তুলনায় কিছুটা হ্রাস পেয়েছে। ২০২২ সালে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ঢাকা বিভাগে সর্বোচ্চ (১.৭৪%) এবং বরিশাল বিভাগে সর্বনিম্ন (০.৭৯%)। প্রতি বর্গ কিলোমিটারে জনসংখ্যার ঘনত্ব ২০২২ সালে ১,১১৯ জনে উপনীত হয়েছে। জনসংখ্যার ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি ঢাকা বিভাগে প্রতি বর্গ কিলোমিটারে (২,১৫৬ জন) এবং সবচেয়ে কম বরিশাল বিভাগে প্রতি বর্গ কিলোমিটারে (৬৮৮ জন)। ১০ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সী জনসংখ্যার ২৮.৬৫% অবিবাহিত এবং ৬৫.২৬% বর্তমানে বিবাহিত। বর্তমানে বিবাহিত সংখ্যার হার রাজশাহী বিভাগে সর্বোচ্চ (৬৮.৯৭%) এবং সিলেট বিভাগে সর্বনিম্ন (৫৫.৫৯%)।
আদমশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ অনুযায়ী দেশের মোট জনসংখ্যার ৯১.০৪% মুসলমান, ৭.৯৫% হিন্দু, ০.৬১% বৌদ্ধ, ০.৩০% খ্রিষ্টান এবং ০.১২% অন্যান্য ধর্মাবলম্বী। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী জনসংখ্যা মোট জনসংখ্যার সর্বোচ্চ ১.০০%। পুরুষের ক্ষেত্রে এ হার ১.০১% এবং মহিলার ক্ষেত্রে ০.৯৯%। চট্টগ্রাম বিভাগের মোট জনসংখ্যার ২.৯৯% ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী যা সকল বিভাগের মধ্যে সর্বোচ্চ এবং এ হার বরিশাল বিভাগে ০.০৫% যা সর্বনিম্ন।
আদমশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ এর প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুযায়ী দেশের মোট জনসংখ্যার ২৩,৬১,৬০৪ জন (১.৪৩%) এর কমপক্ষে এক ধরনের প্রতিবন্ধিতা রয়েছে। মোট পুরুষের ১.৬৩% এবং মোট মহিলার ১.২৩% এর কমপক্ষে এক ধরনের প্রতিবন্ধিতা রয়েছে। সর্বাধিক প্রতিবন্ধিতা রয়েছে খুলনা বিভাগে (১.৭৭%) এবং সর্বনিম্ন প্রতিবন্ধিতা রয়েছে ঢাকা বিভাগে (১.০৮%)। পুরুষ ও মহিলা উভয় ক্ষেত্রেই সর্বাধিক প্রতিবন্ধিতা রয়েছে খুলনা বিভাগে (পুরুষ ২.০৩% ও মহিলা ১.৫২%) এবং উভয় ক্ষেত্রেই সর্বনিম্ন প্রতিবন্ধিতা রয়েছে ঢাকা বিভাগে (পুরুষ ১.১৯% ও মহিলা ০.৯৫%)।
২০২২ সালে বাংলাদেশে মোট (পুরুষ ও মহিলা) সাক্ষরতার হার (৭ বছর ও তদূর্ধ্ব) ৭৪.৬৬%, যা পল্লী এলাকায় ৭১.৫৬% এবং শহর এলাকায় ৮১.২৮%। লিঙ্গভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায় পুরুষের সাক্ষরতার হার ৭৬.৫৬%, মহিলাদের সাক্ষরতার হার ৭২.৮২% এবং হিজড়াদের সাক্ষরতার হার ৫৩.৬৫%। মোট সাক্ষরতার সর্বোচ্চ হার ঢাকা বিভাগে ৭৮.০৯% এবং সর্বনিম্ন হার ময়মনসিংহ বিভাগে ৬৭.০৯%।
আদমশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ প্রতিবেদন অনুযায়ী মোবাইল ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৫ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সীদের মধ্যে মোট ৫৫.৮৯% এবং ১৮ (আঠারো) বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সীদের মধ্যে ৭২.৩১% জনসংখ্যার নিজ ব্যবহারের মোবাইল ফোন রয়েছে। ৫ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সীদের মধ্যে ৬৬.৫৩% পুরুষের ও ৪৫.৫৩% মহিলার এবং ১৮ (আঠারো) বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সীদের মধ্যে ৮৬.৭২% পুরুষের ও ৫৮.৮৩% মহিলার নিজ ব্যবহারের মোবাইল ফোন রয়েছে। উভয় শ্রেণির বয়সীদের মধ্যে নিজ ব্যবহারের মোবাইল ফোন রয়েছে এমন জনসংখ্যা সর্বাধিক ঢাকা বিভাগে এবং সর্বনিম্ন সিলেট বিভাগে।
২০২২ সালে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৫ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সীদের মধ্যে মোট ৩০.৬৮% এবং ১৮ (আঠারো) বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সীদের মধ্যে ৩৭.০১% জনসংখ্যা গত তিন মাসে ইন্টারনেট ব্যবহার করেছে। ৫ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সীদের মধ্যে ৩৮.০২% পুরুষের ও ২৩.৫২% মহিলার এবং ১৮ (আঠারো) বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সীদের মধ্যে ৪৬.৫৩% পুরুষের ও ২৮.০৯% মহিলা গত তিন মাসে ইন্টারনেট ব্যবহার করেছে। উভয় শ্রেণির বয়সীদের মধ্যে গত তিন মাসে ইন্টারনেট ব্যবহার করেছে এমন জনসংখ্যা সর্বাধিক ঢাকা বিভাগে এবং সর্বনিম্ন রংপুর বিভাগে।
প্রকাশিত প্রাথমিক প্রতিবেদন মোতাবেক দেশে বস্তি খানা ও ভাসমান খানায় বসবাসরত জনসংখ্যা যথাক্রমে ১৮,০০,৪৮৬ জন ও ২২,১৮৫ জন এবং বস্তি খানা ও ভাসমান খানা ব্যতীত অন্যান্য খানায় বসবাসরত জনসংখ্যা ১৬,৩৩,৩৫,৯৪৫ জন। বস্তিতে বসবাসরত জনসংখ্যা এবং ভাসমান লোকের সংখ্যা ঢাকা বিভাগে সর্বোচ্চ (যথাক্রমে ৮,৮৪,৪৯৬ জন ও ৯,৪৭০ জন)। পক্ষান্তরে ময়মনসিংহ বিভাগে বস্তিতে বসবাসরত জনসংখ্যা এবং ভাসমান লোকের সংখ্যা সর্বনিম্ন (যথাক্রমে ৩৬,৪৯১ জন ও ৬৯৬ জন)। মডিফাইড ডি-ফ্যাক্টো পদ্ধতিতে ১৪ জুন ২০২২ দিবাগত রাত ১২.০০টাকে শুমারি মুহূর্ত নির্ধারণ করে সে সময় থেকে ১৫ জুন ভোর ৬.০০টা পর্যন্ত ভাসমান/ছিন্নমূল জনগণকে গণনা করা হয়। দেশে মোট ভাসমান জনসংখ্যা ২২,১১৯ জন যার মধ্যে পুরুষের সংখ্যা ১৬,৭৮৪ জন ও মহিলার সংখ্যা ৫,৩৩৫ জন। বিভাগভিত্তিক পর্যালোচনায় দেখা যায়, ভাসমান জনসংখ্যা ঢাকা বিভাগে সর্বোচ্চ (৯,৪৩৯ জন) এবং ময়মনসিংহ বিভাগে সর্বনিম্ন (৬৯২ জন)।
আদমশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ অনুযায়ী- দেশে বর্তমানে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী রয়েছে ৫০টি। এদের মধ্যে -
*দেশের বৃহত্তম ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী = চাকমা
*দ্বিতীয় বৃহত্তম ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী = মারমা
*তৃতীয় বৃহত্তম ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী = ত্রিপুরা
*চতুর্থ বৃহত্তম ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী = সাঁওতাল
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]- বাংলাদেশের আদমশুমারি ও গৃহগণনা-১৯৯১
- বাংলাদেশের আদমশুমারি ও গৃহগণনা-২০০১
- বাংলাদেশের আদমশুমারি ও গৃহগণনা-২০১১
- বাংলাদেশের জনমিতি
টীকা
[সম্পাদনা]- ↑ পূর্বে বাংলাদেশের "আদমশুমারি" শব্দটি ব্যবহৃত হলেও বর্তমানে সরকারিভাবে "জনশুমারি" ব্যবহৃত হচ্ছে।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ গ ঘ "১১ বছর পর জনশুমারি, গণনায় ডিজিটাল পদ্ধতি"। jagonews24.com। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুলাই ২০২২।
- ↑ "দেশে জনসংখ্যা এখন ১৬ কোটি ৫১ লাখ"। দৈনিক ইত্তেফাক। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৭-২৭।
- ↑ "POPULATION & HOUSING CENSUS 2011 NATIONAL REPORT, VOLUME – 1 ANALYTICAL REPORT" (পিডিএফ)। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো। ৭ নভেম্বর ২০১৫। ৪ এপ্রিল ২০২২ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "আসন্ন শুমারি স্যাটেলাইটে, বাদ যাবে না প্রবাসীরা"। banglanews24.com। ৬ ডিসেম্বর ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুলাই ২০২২।
- ↑ "শুমারির নামে বেশুমার খরচ"। আজকের পত্রিকা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুলাই ২০২২।
- ↑ "জনশুমারি ৯ মাস পেছালো"। বাংলা ট্রিবিউন। ২৭ জুলাই ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুলাই ২০২২।
- ↑ ক খ রহমান, আরিফুর। "বর্ষায় জনশুমারি, বাড়তি ব্যয় ৩২ কোটি"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুলাই ২০২২।
- ↑ ক খ "১৫-২১ জুন দেশব্যাপী ষষ্ঠ জনশুমারি ও গৃহগণনা"। banglanews24.com। ২৯ মে ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুলাই ২০২২।
- ↑ "জনসংখ্যা সাড়ে ১৬ কোটি, নারীর সংখ্যা বেশি, কমেছে হিন্দু জনগোষ্ঠী"। বিবিসি বাংলা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৭-২৭।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ প্রাথমিক প্রতিবেদন, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো