বসুন্ধরা কোমকালি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বসুন্ধরা কোমকালি
বসুন্ধরা পদ্মশ্রী গ্রহণ করছেন
জন্ম(১৯৩১-০৫-২৩)২৩ মে ১৯৩১
মৃত্যু২৯ জুলাই ২০১৫(2015-07-29) (বয়স ৮৪)
সমাধিদেওয়াস
২২°৫৭′৪৮.৬″ উত্তর ৭৬°০২′৪৪.৮″ পূর্ব / ২২.৯৬৩৫০০° উত্তর ৭৬.০৪৫৭৭৮° পূর্ব / 22.963500; 76.045778
অন্যান্য নামবসুন্ধরা শ্রীখণ্ডে
পেশাধ্রুপদী সংগীতশিল্পী
কর্মজীবন১৯৪৩–২০১৫
পরিচিতির কারণহিন্দুস্তানী সংগীতে কণ্ঠ দেওয়া
দাম্পত্য সঙ্গীকুমার গন্ধর্ব
সন্তানকলাপিনী কোমকালি
পুরস্কারপদ্মশ্রী
সংগীত নাটক অকাদেমি পুরস্কার

বসুন্ধরা কোমকালি (জন্ম: ১৯৩১ - মৃত্যু: ২০১৫), বসুন্ধরা তাই নামে পরিচিত, একজন ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীতজ্ঞ। তিনি গোয়ালিয়র ঘরানার, হিন্দুস্তানি সঙ্গীতের এক পুরানো ঐতিহ্যবাহী খেয়ালের অন্যতম শীর্ষ গায়ক। তিনি প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী কুমার গন্ধর্বের স্ত্রী ছিলেন [১] এবং ২০০৯ সালের সংগীত নাটক অকাদেমি পুরস্কার পেয়েছিলেন। [২] ভারত সরকার শাস্ত্রীয় সংগীতে তাঁর অবদানের জন্য ২০০৬ সালে তাঁকে চতুর্থ সর্বোচ্চ ভারতীয় বেসামরিক সম্মাননা পদ্মশ্রী প্রদান করেছিল। [৩]

জীবনী[সম্পাদনা]

বসুন্ধরা শ্রীখণ্ডে ওরফে বসুন্ধরা কোমকালি, ভারতের ঝাড়খণ্ড রাজ্যের বৃহত্তম শহর জামশেদপুরের একটি সংগীতপ্রেমী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। [৪] তাঁর প্রথম বছরগুলি কলকাতায় কেটেছে। মাত্র ১২ বছর বয়সে অল ইন্ডিয়া মিউজিক কনফারেন্সে তিনি কুমার গন্ধর্বের সাথে সাক্ষাত করেছিলেন। তিনি কোন খ্যাতিমান সংগীতশিল্পীর অধীনে শাস্ত্রীয় সংগীত শেখার ইচ্ছা সম্পর্কে তাঁকে অবহিত করেছিলেন। [৫] গন্ধর্ব তাঁকে মুম্বাইতে আসতে বলেছিলেন কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ এর মধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছিল, তাই তিনি সেই সময় মুম্বাইতে যেতে পারেন নি। [৬] কলকাতায় অবস্থান করে তিনি সংগীত শেখেন এবং আকাশবাণী কলকাতা কেন্দ্রের হয়ে সংগীত পরিবেশন শুরু করেন। যুদ্ধের পরে, ১৯৪৬ সালে তিনি মুম্বাইয়ে চলে আসেন এবং বিশিষ্ট কণ্ঠশিল্পী ও সংগীতজ্ঞ বি. আর. দেওধরের অধীনে প্রশিক্ষণ নেওয়া শুরু করেন, কারণ গন্ধর্ব ঐ সময়ে তাঁকে শেখানোর মতো সময় পাননি। পরে, তিনি প্রশিক্ষণের জন্য গন্ধর্বের কাছে ফিরে আসেন এবং ১৯৬২ সালে এই সংগীতশিল্পীকে বিয়ে করেন।

পরের ত্রিশ বছর কুমার গন্ধর্বের সাথে সংগীতে কন্ঠদান করেছিলেন [৭] এবং ১৯৯৯ সালে স্বামীর মৃত্যুর পরে কেবল একক সংগীত করেছেন। [৪] জানা গেছে যে, তিনি গন্ধর্বের সাথে থাকার জন্য তাঁর কর্মজীবন উৎসর্গ করেছিলেন। [৮] তিনি গোয়ালিয়র ঘরানার খেয়াল ঐতিহ্যের প্রতি দৃঢ় থেকেছেন। তাঁর গুরু বি. আর. দেওধর সেই ঐতিহ্যের জন্য বিখ্যাত ছিলেন। বসুন্ধরা ভারতের বিভিন্ন মঞ্চে খেয়াল ঐতিহ্যে সংগীত পরিবেশন করেছিলেন। তিনি ১৯৯৯ সালে হিন্দুস্তানি সংগীতে কণ্ঠ দেওয়ার জন্য সংগীত নাটক অকাদেমি পুরস্কার পেয়েছিলেন। [২] ছয় বছর পরে, ২০০৬ সালে, ভারত সরকার তাঁকে চতুর্থ সর্ব্বোচ্চ ভারতীয় বেসামরিক পুরস্কার পদ্মশ্রী দিয়ে সম্মানিত করেছিল। [৩]

মধ্যপ্রদেশের দেওয়াসে তাঁর নিজ বাসভবনে কার্ডিয়াক এরেস্টের কারণে হৃৎপিণ্ডের গতি থেমে যাওয়ায়, ৮৪ বছর বয়সে বসুন্ধরা কোমকালি মারা যান। [৯] তাঁর শেষকৃত্য দেওয়াসেই করা হয়েছিল। [১০][১১] তাঁর কন্যা, কলাপিনী কোমকালি, বর্তমানে হিন্দুস্তানী সংগীতের বিশিষ্ট কণ্ঠশিল্পী। [১২]

আরো দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Business Standard report"Business Standard। ৩০ জুলাই ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ১৯ ডিসেম্বর ২০১৫ 
  2. "Sangeet Natak Akademi Award"। Sangeet Natak Akademi। ২০১৫। ৩০ মে ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ ডিসেম্বর ২০১৫ 
  3. "Padma Awards" (পিডিএফ)। Ministry of Home Affairs, Government of India। ২০১৫। ১৫ নভেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ জুলাই ২০১৫ 
  4. "Vasundhara Komakali"। ITC Sangeet Research Academy। ২০১৫। ১৭ অক্টোবর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ ডিসেম্বর ২০১৫ 
  5. "Padma Shri Vasundhara Komkali, Kumar Gandharva's wife, dies"Times of India। ৩১ জুলাই ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ১৯ ডিসেম্বর ২০১৫ 
  6. "In a musical space called faith"The Hindu। ২৯ জুলাই ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ১৯ ডিসেম্বর ২০১৫ 
  7. "Vasundhara Komkali, the Torch-Bearer of 'Kumar-Gayaki'"। The Wire। ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫। ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ ডিসেম্বর ২০১৫ 
  8. "Vasundhara Komkali and Kumar Gandharva: a tribute to sangeet's golden couple"। Catch News। ৪ আগস্ট ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ১৯ ডিসেম্বর ২০১৫ 
  9. "Vocalist Vasundhara Komkali passes away"। Gulf News। ৩১ জুলাই ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ১৯ ডিসেম্বর ২০১৫ 
  10. "News 18 report"। News 18। ৩০ জুলাই ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ১৯ ডিসেম্বর ২০১৫ 
  11. "Indian Express report"। Indian Express। ৩০ জুলাই ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ১৯ ডিসেম্বর ২০১৫ 
  12. "Jagaran Josh report"। Jagaran Josh। ৩০ জুলাই ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ১৯ ডিসেম্বর ২০১৫ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]