বরবটি
ধরন | তরকারি |
---|---|
অঞ্চল বা রাজ্য | দক্ষিণ এশিয়ার দেশসমূহ |
পরিবেশন | প্রধানত ভাত এবং রুটির সংগে |
প্রধান উপকরণ | সবজি |
বরবটি (ইংরেজি: Yardlong bean) এটি এক প্রকার সবজি। বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় সবজি। সারা বছরই এই সবজি চাষ করা যায়। রান্না করে খাওয়ার পাশাপাশি এটি কাঁচাও খাওয়া যায়। [১][২][৩][৪]
পরিচিতি
[সম্পাদনা]এই সবজি প্রোটিনসমৃদ্ধ। বরবটি বসতবাড়িতেও চাষ করা যায়। ভাজা-সেদ্ধ-তরকারি সবকিছুতেই সমান উপযোগী। পুষ্টিগুণেও সমৃদ্ধ। সাধারণত সেদ্ধ, ভাজা বা ঝোল রান্না করে খাওয়া হয়।[৫][৬]
জাত
[সম্পাদনা]বিভিন্ন ধরনের বরবটির জাত রয়েছে। যেমন- বিএইউ বরবটি-১, কেগর নাইটি, চীনা বরবটি, ফেলন, লালবেনী, ঘৃত কুমারী, গ্রীন লং, তকি, বনলতা ইত্যাদি। তবে কেগরনাটকী নামে একটি উন্নত প্রজাতির বরবটি অনেক দিন পর্যন্ত চাষ হয়ে আসছে। কেগরনাটকী প্রজাতিটি পৌষ এবং মাঘ মাস ছাড়া সারা বছরই চাষ করা যায়। বরবটির উল্লেখযোগ্য প্রজাতির মধ্যে কেগরনাটকী ও লাল বেণী প্রজাতির ফলন সবচেয়ে বেশি।[৭][৮]
সময়
[সম্পাদনা]ফেব্রুয়ারি থেকে জুলাই মাস হলো বরবটির বীজ বপনের উপযুক্ত সময়। শীতকালে বরবটির বীজ বোনা উচিত নয়।[৫]
পুষ্টিগুণ
[সম্পাদনা]১০০ গ্রাম বরবটিতে রয়েছে জলীয় অংশ ৮৭.৫ গ্রাম, প্রোটিন ৩.০ গ্রাম, শর্করা ৯.০ গ্রাম, মোট খনিজ পদার্থ ০.৮ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ৩৩ মিলিগ্রাম, আয়রন ৫.৯, ভিটামিন বি-১ ০.১৪, ভিটামিন বি- ২ ০.৩০ মিলিগ্রাম, ভিটামিন সি খুব অল্প, খাদ্যশক্তি ১৮ ক্যালরি। আছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টিভাইরাল , অ্যান্টিব্যাকটিরিয়াল, অ্যান্টিক্যান্সার ধর্ম। এতে আরও রয়েছে ভিটামিন বি১ , বি ২, ক্লোরোফিল , রিবোফ্লাভিন , ফসফরাস, থায়ামিন , তন্তু ও বিভিন্ন খনিজ পদার্থ।[৯]
অপকারিতা
[সম্পাদনা]বরবটির অপকারিতা খুবই কম। যাদের রক্তে চিনির পরমাণ অনেক বেশি তাদের বারবটি না খাওয়াই ভালো। কিডনিতে ক্রিয়েটিনিনের সমস্যা এবং যাদের গেঁটে বাত আছে তাদের বরবটি পরিহার করাই উচিত।[৯]
চিত্রশালা
[সম্পাদনা]-
সবুজ বরবটি
-
লাল রঙের বরবটি
-
বরবটি বীজ
-
বরবটি তরকারি
-
বরবটি গাছ
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "বরবটি- কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস)"। বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন। ১৪ জুলাই ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ জুলাই ২০১৯।
- ↑ "যে কারণে বরবটি খাবেন"। দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন। ১৭ জুলাই ২০১৭। ১৪ জুলাই ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ জুলাই ২০১৯।
- ↑ সুলতানা, সামিমা। "এই সময়ে বরবটি চাষ করা যায় - Anandabazar"। anandabazar.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৭-১৪।
- ↑ মৃত্যুঞ্জয় রায় (২০১৪)। শাক সবজি চাষ। ঢাকা, বাংলাদেশ: অনিন্দ্য প্রকাশ। পৃষ্ঠা ১–৪০৮। আইএসবিএন 9789849066255।
- ↑ ক খ কৃষি প্রযুক্তি হাতবই। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট। ১ সেপ্টেম্বর ২০১৭।
- ↑ "সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনা ও বিভিন্ন ফসলের ক্ষতিকারক পোকামাকড় দমন"। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট।
- ↑ Shariar, A2I, tanvirquader, ratonshahadat, Tanvir Quader, Md Shahadat Hossain, Sohan Chowdhury, Siam Rafsunjani, Nahid Hasan, Ibnul Kaish, Alimul AL Razy, Abrar। "বরবটি"। krishi.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৭-১৪।
- ↑ "বরবটি কেন খাবেন"। jagonews24.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৭-১৪।
- ↑ ক খ "বারবার খান বরবটি"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৭-১৪।