বরফ-শলাকা


বরফ-শলাকা বা তুষার-শলাকা বলতে কোনও বস্তু থেকে চুঁইয়ে পড়া পানি হিমায়িত হয়ে জমে যে সূচ্যগ্র বরফখণ্ডে পরিণত হয়, তাকে বোঝায়।
গঠন ও পরিবর্তনশীলতা
[সম্পাদনা]

রৌদ্রোজ্জ্বল কিন্তু হিমাংকের নিচের তাপমাত্রায় বরফ-শলাকা গঠিত হতে পারে। এসময় সূর্যের আলোয় বা অন্য কোনও তাপীয় উৎসের কারণে (যেমন কোনও কু-অন্তরিত ভবন) বরফ বা তুষার গলে গিয়ে পানি ফোঁটায় ফোঁটায় চুঁইয়ে পড়তে শুরু করলে সেটি আবহাওয়ার সংস্পর্শে এসে আবার জমে যায়। এভাবে সময়ের সাথে সাথে ধারাবাহিক পানির বহির্প্রবাহের কারণে বরফ-শলাকাটি বৃদ্ধি পেতে শুরু করে।
আবার বরফঝড় চলাকালীন সময় হিমাংকের খানিকটা নিচে অবস্থিত তাপমাত্রার বাতাসে বৃষ্টির ফোঁটা গাছের পাতা, ডালপালা, তার, ইত্যাদি থেকে চুঁইয়ে পড়তে পড়তে জমে গিয়ে বরফ-শলাকা সৃষ্টি হয়।
তৃতীয়ত যখন কোনও উল্লম্ব পৃষ্ঠ যেমন রাস্তার কাটা বা পাহাড়ের খাড়া ঢাল বেয়ে চোঁয়া পানি গড়িয়ে নামতে থাকে, তখনও বরফ শলাকা সৃষ্টি হতে পারে। কিছু কিছু পরিস্থিতিতে এগুলি ধীরে ধীরে "হিমায়িত জলপ্রপাত" গঠন করতে পারে, যেগুলি বরফারোহীদের কাছে পছন্দনীয়।
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]