ফিল ও'কিফ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

ফিল ও'কিফ (১৯৪৮-বর্তমান) নর্থআমব্রিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক। তিনি একজন ভূগোলবিদ ও উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ। তার পূর্ব ও দক্ষিণ আফ্রিকায় কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে।

পটভূমি[সম্পাদনা]

ফিল ও'কিফ ১৯৪৮ সালের ডিসেম্বরে উত্তর-পূ্র্ব ইংল্যান্ডের নর্থ শিল্ডস শহরে জন্মগ্রহণ করেন।তিনি টাইন অ্যান্ড ওয়্যার শহরে বড় হন। তিনি উসাউ কলেজ নামক একটি ক্যাথলিক সেমিনারি কলেজে আট বছর পড়াশোনা করেন। তিনি ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয়ে দর্শনশাস্ত্র অধ্যয়ন করেন। হঠাৎ-ই বিষয় পরিবর্তন করে নিউক্যাসল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভূগোল বিভাগে ভর্তি হন ও স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। লন্ডনের স্কুল অব ওরিয়েন্টাল ও আফ্রিকান স্টাডিজ হতে ১৯৭৮ ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন। তাঁর গবেষণা অভিসন্দর্ভের বিষয় ছিল- গাকারাকা: অনুন্নয়নের প্রগতির গল্প। মূলত কেনিয়ার মুরাঙ্গা অঞ্চলের একটি গ্রামের উন্নয়নের বেহাল দশাই তাঁর অভিসন্দর্ভে পরিস্ফুটিত হয়েছে। ভূগোলবিদ রিচার্ড হোডারের তত্ত্বাবধানে তিনি পিএইচডি সম্পন্ন করেন।

১৯৭০ সালে তিনি তাঞ্জানিয়ায় মাঠ পর্যায়ে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। অতঃপর তিনি কেনিয়ার গ্রামাঞ্চলে ভূমিক্ষয়, অভিবাসন ও নগরায়ণের প্রকৃতির মধ্যে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করেন। তারপর তিনি সুদানে শিক্ষকতা করেন। ১৯৭৩ সালে তিনি সুদানে একজন কমনওয়েলথ প্রভাষক হিসেবে তাঁর অভিজ্ঞতার কথা এরূপে লিপিবদ্ধ করেছেন- "আমি সে বছর খুব সামান্যই পড়ানোর সুযোগ পেয়েছিলাম। সে বছর ছাত্ররা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দেয়। তারপর ছাত্ররা যাতে পুনরায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে প্রবেশ না করতে পারে, তাই সেনাবাহিনী বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দেয়। " [১]

তারপর তিনি ব্র্যাডফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্যোগ অধ্যয়ন বিভাগে গবেষণা করেন। তিনি ১৯৭৬ থেকে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের উস্টার শহরের ক্লার্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাজুয়েট অব স্কুল জিওগ্রাফিতে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কাজ করেন। তিনি দুই বছর কট্টরপন্থী "অ্যান্টিপোড" জার্নাল সম্পাদনা করেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের কট্টরপন্থী গবেষকদের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলেন। [২]

১৯৮০ সালে তিনি জ্যেষ্ঠ গবেষণা ফেলো হিসেবে তিনি রয়েল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সে যোগদান করেন। স্টকহোমের বেইজের ইনস্টিটিউটে (বর্তমান স্টকহোম এনভায়রনমেন্ট ইনস্টিটিউট) তিনি শক্তি, উন্নয়ন ও পরিবেশ নিয়ে অনেক কর্মকাণ্ডের নেতৃত্ব প্রদান করেন। তখন তিনি পূর্ব ও দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রচুর কাজ করেন। শক্তিসাম্য নিশ্চিতকরণে কয়লা ও কাঠের ব্যবহার নিয়ে তিনি কেনিয়ায় "কাঠ-জ্বালানি চক্র" প্রকল্প গ্রহণ করেন। এছাড়াও শক্তির ব্যবহার বিশ্লেষণে তিনি লিপ মডেল প্রকল্পের উদ্ভাবন করেন। [৩] জিম্বাবুয়ে ও সাউদার্ন আফ্রিকান ডেভেলপমেন্ট কমিউনিটি-তে কৃষি বনায়ন ও উন্নততর কাঠের চুলার ব্যবহারের উপর প্রকল্পগুলো বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করে।

১৯৮৪ সালে তিনি নিউকাসল প্রত্যাবর্তন করেন। ফিল ও তার সঙ্গী চার সন্তানের জন্ম দেন। তিনি নিউকাসল পলিটেকনিকে যোগ দেন- যেটি আজকের নর্থআমব্রিয়া বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে তিনি অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও পরিবেশ ব্যবস্থাপনা বিভাগে শিক্ষকতা করেন। ১৯৯০ সালের মাঝামাঝি সময়ে প্রদত্ত এক ভাষণে তিনি অধ্যাপকপদ প্রত্যাখ্যান করেন। তিনি সেদিন বলেন- "যাদের গবেষণার কোন পূর্ব-অভিজ্ঞতা নেই, তারাই এখন অধ্যাপক পদে সমাসীন হচ্ছে। তাই এ ধরনের পদ-পদবির কোন মূল্য নেই।"[৪] তিনি ১৯৮৮ সালে ডাচ উন্নয়ন পরামর্শক ফার্ম ইটিসি ইন্টারন্যাশনালের একটি শাখা খুলেন। টাইনমাউথে একটি পানশালার উপরে এর অবস্থান ছিল। এটি ২০০টি উন্নয়ন প্রকল্পে কাজ করে, যাদের মধ্যে দুইটির অর্থমূল্য এক কোটি ইউরোর বেশি ছিল।[৫] আফ্রিকা ও নর্থআমব্রিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন ও গবেষণা প্রকল্পে ইটিসি প্রকল্পের অর্থ ব্যয়িত হত।

ফিল ১২ বছর ধরে লেবার পার্টির কাউন্সিলর হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেসের একজন একনিষ্ঠ সমর্থক।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Bradford Disaster Research Unit"www.ilankelman.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৯-১৭ 
  2. "Antipode"Wiley Online Library (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৯-১৭ 
  3. https://leap.sei.org/default.asp?action=introduction
  4. "What's in a title? It's all academic"The Independent (ইংরেজি ভাষায়)। ১৯৯৫-০১-১৯। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৯-১৭ 
  5. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ১৭ জুন ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২০