ফিফটি শেডস (উপন্যাস ধারাবাহিক)
লেখক | ই. এল. জেমস |
---|---|
দেশ | যুক্তরাজ্য |
ভাষা | ইংরেজি |
বর্গ | কামোদ্দীপক রোম্যান্স |
প্রকাশক | ভিন্টেজ বুকস |
প্রকাশকাল | ২০১১-২০১৭ |
মিডিয়া ধরন | মুদ্রণ (পেপারব্যাক) |
ফিফটি শেডস হল ই. এল. জেমস রচিত কামোদ্দীপক উপন্যাসের একটি ধারাবাহিক।[১] প্রাথমিকভাবে এটি ফিফটি শেডস অফ গ্রে (২০১১), ফিফটি শেডস ডার্কার ও ফিফটি শেডস ফ্রিড উপন্যাস-ত্রয়ীর একটি ধারাবাহিক।[২][৩] এই উপন্যাসগুলিতে কলেজ স্নাতক অ্যানাস্টেসিয়া স্টিল ও তরুণ ব্যবসায়ী ক্রিস্টিয়ান গ্রে-র মধ্যে গভীরতর হয়ে আসা সম্পর্কটি বর্ণিত হয়েছে। গ্রে অ্যানাকে বিডিএসএম-এর জগতের সঙ্গে পরিচিত করে তোলেন।[৪]
বইটির সাফল্য সম্পর্কে লেখিকা বলেছিলেন: "আগ্রহের আতিসায্য আমাকে অত্যন্ত বিস্মিত করেছে।"[৫] জেমস ফিফটি শেডস উপন্যাস-ত্রয়ীকে বর্ণনা করতে গিয়ে বলেছে, এটি "স্পষ্টতই আমার প্রৌঢ়ত্বের সংকট। আমার সব ফ্যান্টাসি এর মধ্যে রয়েছে, এটাই মূল কথা।"[৬] ফ্যানফিকশন.নেট ওয়েবসাইটে সক্রিয় থাকাকালীন তিনি জানিয়েছিলেন: "টুইলাইট সাগা শেষ করার পর ২০০৯ সালের জানুয়ারি মাসে লেখা শুরু করি। তারপর আর থামিনি। ২০০৯ সালের অগস্টে ফ্যান ফিকশন [সাইটটি] আবিষ্কার করি। সেই থেকে দু’টি উপন্যাস লিখছি এবং আরও অন্তত একটি লেখার পরিকল্পনা রয়েছে। তারপর... কে জানে?"[৭] ২০১৩ সালের অগস্ট মাসে এই উপন্যাস-ত্রয়ীর বিক্রি জেমসকে ফোর্বস পত্রিকার সর্বাধিক-উপার্জনকারী লেখক তালিকার শীর্ষ স্থানে স্থাপন করে।[৮] সেই সময় উপন্যাস তিনটি থেকে তার মোট আয় ছিল ৯৫ মিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে ৫ মিলিয়ন ডলার ছিল ফিফটি শেডস অফ গ্রে উপন্যাসের চলচ্চিত্র স্বত্বের মূল্য।[৯] বাণিজ্যিক সাফল্য সত্ত্বেও সমালোচকেরা বইটির অত্যন্ত রূঢ় সমালোচনা করেন।[১০] প্রথম প্রকাশের পর থেকে বইটি "বস্তুতপক্ষে যে সকল সমালোচকেরা বইটি পড়েছিলেন, তাঁদের সকলের বিদ্রুপের বিষয় হয় দাঁড়ায়।" [১১]
২০১৫ সালের পর এই ধারাবাহিকটি সম্প্রসাদিত হয়েছে অ্যাজ টোল্ড বাই ক্রিস্টিয়ান নামে সমান্তরাল উপন্যাসের একটি ধারাবাহিকে: গ্রে: ফিফটি শেডস অফ গ্রে অ্যাজ টোল্ড বাই ক্রিস্টিয়ান উপন্যাসে ক্রিস্টিয়ান গ্রে-র দৃষ্টিকোণ থেকে ফিফটি শেডস অফ গ্রে উপন্যাসটির ঘটনাগুলি বর্ণিত হয় এবং এরপর একইভাবে ফিফটি শেডস ডার্কার উপন্যাসটির কাহিনি অবলম্বনে রচিত হয় ডার্কার: ফিফটি শেডস ডার্কার অ্যাজ টোল্ড বাই ক্রিস্টিয়ান (২০১৭) উপন্যাসটি।
কাহিনি রূপরেখা
[সম্পাদনা]- মূল উপন্যাস-ত্রয়ী
- ফিফটি শেডস অফ গ্রে (২০১১)
- ফিফটি শেডস ডার্কার (২০১২)
- ফিফটি শেডস ফ্রিড (২০১২)
- রিটোল্ড বাই ক্রিস্টিয়ান ধারাবাহিক
- গ্রে: ফিফটি শেডস অফ গ্রে অ্যাজ টোল্ড বাই ক্রিস্টিয়ান (২০১৫)
- ডার্কার: ফিফটি শেডস ডার্কার অ্যাজ টোল্ড বাই ক্রিস্টিয়ান (২০১৭)
প্রধান চরিত্র
[সম্পাদনা]- ক্রিস্টিয়ান গ্রে: সাতাশ বছর বসয়ী এক ধনী শিল্পপতি এবং গ্রে এন্টারপ্রাইজ হোল্ডংস, ইনকর্পোরেটেডের মালিক। কর্মজীবনে অবিশ্বাস্য রকমের সফল। তিনি ক্যারিক গ্রে ও ড. গ্রেস ট্রেভেলিয়ান গ্রে-র দত্তক পুত্র এবং অ্যানাস্টেসিয়া স্টিলের প্রেমিক ও পরে স্বামী।
- অ্যানাস্টেসিয়া "অ্যানা" স্টিল: কলেজ স্নাতক। জ্যাক হাইডের প্রাক্তন আপ্ত সহায়ক। বর্তমানে সিয়াটল ইন্ডিপেন্ডেন্ট পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদ। তিনি গ্রে-র প্রেমিকা ও পরে স্ত্রী।
- ইলিনা লিংকন: ক্রিস্টিয়ানের বহু পুরনো পারিবারিক বন্ধু ও ব্যবসায়িক অংশীদার। বয়স ৪৫-৫০ বছর। ১৫ বছর বয়স থেকে ২১ বছর বয়স পর্যন্ত ছয় বছর তিনি ক্রিস্টিয়ানের উপর যৌন অত্যাচার করে কষ্ট দিয়েছিলেন। উপন্যাসের বর্ণনা অনুযায়ী তিনি দীর্ঘকায়া, মার্জিতরুচি, লাস্যময়ী এবং রাজোচিত প্ল্যাটিনাম রঙের চুলের অধিকারিণী।
- এলিয়ট গ্রে: ক্যারিক গ্রে ও ড. গ্রেস ট্রেভেলিয়ান গ্রে-র দত্তক পুত্র এবং ক্রিস্টিয়ান গ্রে ও মিয়া গ্রে-র দাদা।
- মিয়া গ্রে: ক্যারিক গ্রে ও ড. গ্রেস ট্রেভেলিয়ান গ্রে-র দত্তক কন্যা এবং ক্রিস্টিয়ান গ্রে ও এলিয়ট গ্রে-র বোন।
- ক্যাথরিন "কেট" ক্যাভানাগ: অ্যানার প্রিয় বান্ধবী ও কক্ষসঙ্গিনী।
- জ্যাক হাইড: সিয়াটল ইন্ডিপেন্ডেন্ট পত্রিকার প্রাক্তন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক। এঁর হাতে অ্যানা যৌন হয়রানির শিকার হন।
- লেইসা উইলিয়ামস: আগে ক্রিস্টিয়ানের যৌন অত্যাচারের শিকার। ইনি অ্যানাকে গুলি করার চেষ্টা করেছিলেন।
- জেসন টেলর: ক্রিস্টিয়ানের সবচেয়ে বিশ্বস্ত দেহরক্ষী/ড্রাইভার এবং ক্রিস্টিয়ানের নিরাপত্তা দলের প্রধান।
- ড. গ্রেস ট্রেভেলিয়ান-গ্রে: ক্রিস্টিয়ানকে দত্তক হিসেবে গ্রহণকারী মা।
- ক্যারিক গ্রে: ক্রিস্টিয়ানকে দত্তক হিসেবে গ্রহণকারী বাবা।
- কারলা মে উইকস: অ্যানার মা।
- জোস রোডরিগেজ: অ্যানা স্টিল ও কেট ক্যাভানাগের এক ঘনিষ্ঠ কলেজ সহপাঠী। পেশায় ফোটোগ্রাফার। অ্যানার প্রেমে পড়েছেন।
সমালোচকদের প্রতিক্রিয়া
[সম্পাদনা]আরও দেখুন
[সম্পাদনা]আরও পড়ুন
[সম্পাদনা]- Upstone, Sara (২০১৬)। "Beyond the bedroom: motherhood in E. L. James's Fifty Shades of Grey Trilogy"। Frontiers: A Journal of Women Studies। 37 (2): 138–164। জেস্টোর 10.5250/fronjwomestud.37.2.0138। ডিওআই:10.5250/fronjwomestud.37.2.0138।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Bentley, Paul (১৭ জুন ২০১২)। "'Mummy porn' Fifty Shades Of Grey outstrips Harry Potter to become fastest selling paperback of all time"। Daily Mail। London।
- ↑ Julie Bosman (২১ মে ২০১২)। "Libraries Debate Stocking 'Fifty Shades of Grey' Trilogy"। The New York Times।
- ↑ "The Shy British Mum Behind 50 Shades of Grey"। Time Magazine। ২৯ মার্চ ২০১২। ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯।
- ↑ Ryan James Girdusky (ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৫)। "'Fifty Shades' is not going to ruin your daughters"। Fox News। ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৫।
- ↑ "Fifty Shades of Grey author E L James – Exclusive interview" (16 July 2012) Shropshire Star. Retrieved 16 July 2012. Quote, "The explosion of interest has taken me completely by surprise."
- ↑ 'Fifty Shades' author 'stunned' at success of erotic trilogy ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০ এপ্রিল ২০১২ তারিখে TODAY MSNBC
- ↑ The Lost History of Fifty Shades of Grey আর্কাইভইজে আর্কাইভকৃত ২৭ জুলাই ২০১৪ তারিখে Quote: "I started writing in January 2009 after I finished the Twilight saga, and I haven't stopped since. I discovered Fan Fiction in August 2009. Since then I have written my two fics and plan on doing at least one more. After that... who knows?"
- ↑ "E.L. James Seals A Spot On List of Britain's Richest Authors"। Lia। ১৪ জুলাই ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জুন ২০১৪।
- ↑ "Fifty Shades makes EL James top-earning author"। BBC News। ১৩ আগস্ট ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ১৫ আগস্ট ২০১৩।
- ↑ Hill, Libby (সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৬)। "First 'Fifty Shades Darker' trailer filled with lots of plot, little kissing"। Los Angeles Times। সংগ্রহের তারিখ ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৭। "The books were critically savaged hot messes that sold over 100 million copies for the sex."
- ↑ Lyall, Sarah (ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৫)। "'Fifty Shades of Grey,' the Movie, as a Fairy Tale"। The New York Times। সংগ্রহের তারিখ ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৭।
being ridiculed by virtually every critic who has read it.