বিষয়বস্তুতে চলুন

ফকির গরীবুল্লাহ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

ফকির গরীবুল্লাহ (আনু. ১৬৮০-১৭৭০) এদেশের অষ্টাদশ শতাব্দীর একজন সাহিত্যিক। [১] ফকির গরীবুল্লাহ হুগলি জেলার (তখনকার বর্ধমান এর অংশ) বালিয়া পরগনার হাফিজপুর গ্রামের অধিবাসী। গরীবুল্লাহ সম্পর্কে তেমন তথ্য পাওয়া যায় না। তাঁর পিতার নাম শাহ্ দুন্দীর (সাহা দুন্দি)। তথ্যের অভাবে গরীবুল্লাহ-এর সময় নির্ধারন করা দুরূহ।

সাহিত্যকর্ম[সম্পাদনা]

তাঁর রচনা বিস্তর। বাংলা পুথি আমির হামজা প্রথম পর্ব তাঁর রচনা। ফকির গরীবুল্লাহ-এর ইউসুফ-জোলেখা নামে একটি কাব্যগ্রন্থ আছে। মুহম্মদ শহীদুল্লাহ মনে করেন, কাব্যটি ১৭৬৫ সালের পর রচিত। ঐতিহাসিকরা বলেন,আঠারো শতকের মধ্যভাগে ফকির গরীবুল্লাহ কয়েকটি পুঁথি রচনা করেন। সেগুলো হচ্ছে: ইউসুফ জোলেখা, আমির হামজা, সোনাভানসতয়পীরের পুঁথি। উল্লেখ্য যে, শাহ্ গরীবুল্লাহর প্রথম কাব্যখানি শুদ্ধ বাংলা ভাষায় রচিত। তিনি একাধারে সাধক ও কবি ছিলেন। তাঁর রচনায়  ইসলাম ধর্মের শ্রেষ্ঠত্বের কথা উচ্চারিত হলেও পরধর্মের প্রতিও শ্রদ্ধার মনোভাব ব্যক্ত হয়েছে।[২]

মৃত্যু[সম্পাদনা]

তাঁর মৃত্যুর কোনো সঠিক সাল, বা তারিখ পাওয়া যায় না।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]