প্রীতি শ্রীনিবাসন
প্রীতি শ্রীনিবাসন (জন্ম ১৯৭৯)[১] ছিলেন অনূর্ধ্ব- ১৯ তামিলনাড়ু মহিলা ক্রিকেট দলের অধিনায়ক।[২] তিনি ১৯৯৭ সালে, ১৭ বছর বয়সে রাজ্য দলকে জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে নেতৃত্ব দেন। একটি দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে যাওয়ার পর তিনি কোয়াড্রিপ্লেজিক (চারটি অঙ্গের পক্ষাঘাতে আক্রান্ত) রোগে আক্রান্ত হন।[৩] সেই অবস্থায় তিনি সোলফ্রি সংস্থার সহ-প্রতিষ্ঠা করেন। এটি এমন একটি সংস্থা যারা মেরুদন্ডের আঘাতে আক্রান্তদের পুনরুদ্ধার, পুনর্বাসন এবং পুনরায় সংহত করে। এরা ভারতীয় যুবকদের মধ্যে এর প্রতিরোধ সম্বন্ধে সচেতনতা ছড়িয়ে দেয়।[৪]
তিনি একজন শিরোপাধারী সাঁতারুও ছিলেন, ৫০ মিটার ব্রেস্টস্ট্রোকে রাজ্য স্তরে একটি স্বর্ণপদক জিতেছিলেন এবং অন্যান্য ইভেন্টে রৌপ্য পদক জিতেছিলেন।[৫] তিনি প্রতিবন্ধীদের সমস্যা নিয়ে আলোচনাও করেন।[৬]
শিক্ষা এবং প্রাথমিক বছর
[সম্পাদনা]প্রীতি ১৯৯৭ সালে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়ার আপার মেরিয়ন এরিয়া হাই স্কুল থেকে স্নাতক হন এবং ১৯৯৬ / ৯৭ শিক্ষাবর্ষের জন্য অন্যান্য স্বীকৃতির সাথে অসামান্য কৃতিত্ব এবং শিক্ষায় শ্রেষ্ঠত্বের জন্য শিক্ষা সম্মানে ভূষিত হন। ১২ শ্রেণীতে, তিনি ইউনাইটেড স্টেটস অফ আমেরিকার শীর্ষ ২ শতাংশ মেধাবী ছাত্রদের মধ্যে ছিলেন এবং আমেরিকান উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রদের মধ্যে হু'স হু-এর (সংক্ষিপ্ত পরিচয়বাহী সংকলন) প্রতিনিধিত্ব লাভ করেন।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] বাবার কর্মস্থলের পরিবর্তনের কারণে, প্রীতি ব্যাপকভাবে ভ্রমণ করার এবং বিভিন্ন সংস্কৃতি/ঐতিহ্য সম্পর্কে জানার সুযোগ পেয়েছিলেন।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
তাঁর দুর্ঘটনার পর, তিনি মাদ্রাজ ইউনিভার্সিটি থেকে মেডিকেল সোসিওলজিতে ব্যাচেলর দূর শিক্ষার পাঠ্যক্রম গ্রহণ করেন। তিনি সঙ্গীত, শিল্প, চলচ্চিত্র এবং সাহিত্যের প্রতিও আগ্রহী। তিনি নিজের মা বিজয়লক্ষ্মী শ্রীনিবাসনকে উৎসাহ ও সমর্থনের নিরন্তর উৎস বলে মনে করেন।[৭]
স্বীকৃতি
[সম্পাদনা]- বিজয় টিভির "সিগারাম ঠোট্টা পেঙ্গাল – রে অফ হোপ" পুরস্কার[৮]
- রেইনড্রপসের "ওম্যান অ্যাচিভার অফ দ্য ইয়ার ২০১৪" পুরস্কার
- ফেমিনা ২০১৪ সালের "পেন শক্তি" পুরস্কার তামিলনাড়ুর শীর্ষ ১০ সবচেয়ে প্রভাবশালী মহিলাকে দেওয়া হয়েছে
- ২০১৪ সালের এনভিসেজ এবিলিটি পুরস্কার। . .
- সমাজকর্মে শ্রেষ্ঠত্বের জন্য সুদেশী ম্যাগাজিনের ‘ধ্রুব পুরস্কার’
- রোটারির সর্বোচ্চ পুরস্কার "ফর দ্য সেক অফ অনার"
- ২০১৪-১৫সালের জন্য জেলা রোটারাক্ট কাউন্সিল (রোটারি ইন্টারন্যাশনাল ডিস্ট্রিক্ট ৩২৩০) থেকে "এজেন্ট অফ চেঞ্জ" পুরস্কার
- তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে কল্পনা চাওলা পুরস্কার[৯]
কর্মজীবন
[সম্পাদনা]প্রীতির সংস্থা সোলফ্রি একটি দাতব্য সংস্থা যেটি "প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জীবন পরিবর্তন করার" লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।[১০]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Soulfree of Preethi Srinivasan -"। ২০১৬-১০-২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-১২-০৮।
- ↑ "She captained an under-19 women's cricket team and after her disability is inspiring thousands! - The Better India"। thebetterindia.com। ৯ জানুয়ারি ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-১২-০৮।
- ↑ Kumar, Saradha Mohan (৭ সেপ্টেম্বর ২০১৩)। "Former cricket star is voice of disabled"। The Times of India। সংগ্রহের তারিখ ১ জুলাই ২০২০।
- ↑ "Soulfree | Positively abled - About"। soulfree.org। ২০১৬-১২-২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-১২-০৮।
- ↑ "Quadriplegic can't climb stairs, so university denies her a seat | The Indian Express"। The Indian Express। ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-১২-০৮।
- ↑ "Preethi Srinivasan: How she defeated her disability? – MotivateMe.in"। motivateme.in। ২০১৬-১২-২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-১২-০৮।
- ↑ "Together, We are Able to Overcome Rejections and Obstacles | PatientsEngage"। PatientsEngage (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৮-২৬।
- ↑ "Gitamritam - Profile | Preethi Srinivasan"। gitamritam.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-১২-০৮।
- ↑ "Preethi Srinivasan gets Kalpana Chawla award from Tamil Nadu CM"। Deccan Chronicle (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৭-০৮-১৬। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৮-২৬।
- ↑ Vijay, Hema (৩১ অক্টোবর ২০১৪)। "Playing through pain"। The Hindu।