প্যাট্রিসিয়া ই রায়ান

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
প্যাট্রিসিয়া ই রায়ান
জাতীয়তামার্কিন
প্রতিষ্ঠানমেইন মানবাধিকার কমিশন
উপাধিনির্বাহী পরিচালক
মেয়াদ১৯৭৯ – ২০১১
দাম্পত্য সঙ্গীচার্লস আর প্রিস্ট
সন্তান
পুরস্কারমেইন উইমেন'স হল অফ ফেম, ২০১৪

প্যাট্রিসিয়া ই "প্যাট" রায়ান একজন মানবাধিকার এবং নারী অধিকারের প্রবক্তা। তিনি তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে মেইন মানবাধিকার কমিশনের নির্বাহী পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এটি একটি রাষ্ট্রীয় সংস্থা যারা মেইনের বৈষম্য বিরোধী আইন প্রয়োগের দায়িত্বপ্রাপ্ত। এর আগে, তিনি মেইন কমিশন ফর উইমেন এবং মেইন স্টেট পার্সোনেল বোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি মেইন মহিলা লবির একজন সহ-প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। তিনি ২০১৪ সালে মেইন উইমেন'স হল অফ ফেমে অন্তর্ভুক্ত হন।

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

প্যাট্রিসিয়া রায়ান ম্যাসাচুসেটসের কেমব্রিজে পোলারয়েড কর্পোরেশনে একজন কর্মী প্রশাসক হিসেবে নিজের কর্মজীবন শুরু করেন।[১] পরবর্তীতে তিনি একটি অলাভজনক পরিবেশগত সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানি, সেন্টার ফর ন্যাচারাল এরিয়াস-এ প্রকল্প সমন্বয়কারী হিসেবে কাজ করেন।[১]

প্যাট্রিসিয়া রায়ান ১৯৭৩ সালে মেইনে চলে আসেন।[২] সেই বছর, তিনি সমান অধিকার সংশোধনের উদ্দেশ্যে মেইন কোয়ালিশনের জন্য রাজ্যব্যাপী সমন্বয়কের ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন।[২] ১৯৭৪ সালে, সংশোধনী অনুমোদনকারী হিসেবে মেইন সপ্তম রাজ্য হয়ে ওঠে।[২] ১৯৭৫ সালে প্যাট্রিসিয়া রায়ানকে স্ট্যাটাস অফ উইমেনের গভর্নরের উপদেষ্টা পরিষদের চেয়ারম্যান নিযুক্ত করা হয়েছিল। এই পদে তিনি ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত অধিষ্ঠিত ছিলেন। সেই সময়ে, তিনি মেইন কমিশন ফর উইমেনের[৩] সভানেত্রী এবং মেইন স্টেট পার্সোনেল বোর্ডের সভানেত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।[১][৪] ১৯৭৭ সালে তিনি মেইন স্টেট মিটিং-এর সভানেত্রী নিযুক্ত হন। এই সংস্থা ১৯৭৭ সালের জাতীয় মহিলা সম্মেলনের আগে মহিলাদের অধিকারের উন্নতির জন্য প্রস্তাব তৈরি করেছিল।[৫]

১৯৭৮ সালে প্যাট্রিসিয়া রায়ান এবং অন্য আটজন মহিলা মেইন মহিলা লবি প্রতিষ্ঠা করেন। এই গোষ্ঠীটি নারী ও মেয়েদের সমান সুযোগের জন্য প্রচার করে।[২]

১৯৭৯ সালের জুন মাসে, তিনি মেইন হিউম্যান রাইটস কমিশনের নির্বাহী পরিচালক হন। এই রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি ১৯৭১ সালে বৈষম্যের অভিযোগ তদন্ত করার জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।[৬] কমিশন দাবিদারদের সাথে কাজ ক'রে এই অভিযোগগুলি সমাধান করার চেষ্টা করে, কিন্তু যদি একটি সমাধানে পৌঁছানো না যায় তবে মামলাটি আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়।[৭] প্যাট্রিসিয়া রায়ান অনুমান করেছিলেন যে তিনি পাঁচ বছরের জন্য এই পদে থাকবেন,[৬] কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তিনি ৩২ বছর ধরে এই দায়িত্ব পালন করেছেন।[২][১] তাঁর কার্যকালে, কমিশন দেখেছে অভিযোগের সংখ্যা এবং প্রকারে বৃদ্ধি, যার মধ্যে অক্ষমতা, যৌন হয়রানি, বয়স, জাতি এবং প্রতিশোধের অভিযোগের সংখ্যা কমিশনের মামলার ৯৫ শতাংশ।[৬]

২০১১ সালে কমিশন থেকে তাঁর অবসর গ্রহণের পর, প্যাট্রিসিয়া রায়ান স্বেচ্ছাসেবক হয়ে সেই সংস্থার মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ চালিয়ে যান।[২][১] তিনি কোষাধ্যক্ষ হিসাবে মেইন মহিলা লবিতেও ফিরে আসেন।

অন্যান্য কাজকর্ম[সম্পাদনা]

প্যাট্রিসিয়া রায়ান ইইওসি / ন্যায্য কর্মসংস্থান অনুশীলন সংস্থা রাজ্য ও স্থানীয় প্রোগ্রাম রি-ইঞ্জিনিয়ারিং কমিটির সহ-সভাপতি এবং রাজ্য অভিবাসী ও উদ্বাস্তু পুনর্বাসন টাস্ক ফোর্সের সহ-সভাপতি হিসাবে কাজ করেছেন।[৮] তিনি মেইন মহিলা লবি, মেইন মহিলা পলিটিক্যাল ককাস,[৮][৫] এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাউজিং অ্যাণ্ড আরবান ডেভেলপমেন্ট ডিপার্টমেন্টের স্টেট এজেন্সি উপদেষ্টা বোর্ডের বোর্ড সদস্য ছিলেন।[৮]

পুরস্কার ও সম্মাননা[সম্পাদনা]

২০১৫ সালে প্যাট্রিসিয়া রায়ান নিউ ইংল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডেবোরা মর্টন পুরস্কার পান।[৮] ২০১৪ সালে তিনি আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়ন অফ মেইন থেকে রজার বল্ডউইন পুরস্কারের প্রাপক ছিলেন। এছাড়াও ২০১৪ সালে, তিনি মেইন উইমেন'স হল অফ ফেমে অন্তর্ভুক্ত হন।[৮]

ব্যক্তিগত জীবন[সম্পাদনা]

প্যাট্রিসিয়া রায়ান বিয়ে করেছেন চার্লস আর প্রিস্টকে, যিনি একজন আইনজীবী। প্রিস্ট ৬৩ তম জেলার প্রতিনিধিত্বকারী ডেমোক্র্যাট হিসাবে মেইন হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভের প্রতিনিধি হিসাবে মোট সাতটি মেয়াদে দায়িত্ব পালন করেছেন।[৯] তাঁদের দুটি কন্যা রয়েছে[২] এবং তাঁরা ব্রান্সউইকে থাকেন।[১]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Swinconeck, John (৩ মার্চ ২০১৪)। "Patricia Ryan being inducted into Women's Hall of Fame"The Times Record। ২৯ মার্চ ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ মার্চ ২০১৬ 
  2. "Maine Women's Hall of Fame Honorees – Patricia E. Ryan"University of Maine at Augusta। ২০১৬। ৬ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ মার্চ ২০১৬ 
  3. "Maine Commission for Women Annual Report, 1976-1977"। Maine Commission for Women। ১৯৭৮। সংগ্রহের তারিখ ১ মার্চ ২০১৬  (Attachment A)
  4. State O' Maine Facts। Courier-Gazette, Incorporated। ১৯৭৮। পৃষ্ঠা 133। আইএসবিএন 9780913954317 
  5. "Maine women named to historic group"Bangor Daily News। ৩ মে ১৯৭৭। পৃষ্ঠা 6। 
  6. Quinn, Francis X. (২১ সেপ্টেম্বর ২০০৪)। "Human Rights Agency Chief Looks Back"Bangor Daily News। পৃষ্ঠা B5। 
  7. Bayly, Julia (১৮ জানুয়ারি ১৯৯৬)। "Fort Kent man files discrimination claim"Bangor Daily News। পৃষ্ঠা B3। 
  8. "UNE announces prestigious 2015 Deborah Morton Award recipients (press release)"University of New England। ২৪ জুন ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ১ মার্চ ২০১৬ 
  9. "Charles R. Priest (D-Brunswick)"Maine Legislature। ৩ ডিসেম্বর ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ১ মার্চ ২০১৬ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]

টেমপ্লেট:Maine Women's Hall of Fame