পোয়া মাছ
পোয়া মাছ বাংলাদেশের একটি স্বাদু পানির মাছ যার বৈজ্ঞানিক নাম Pama pama। মাছটি সাধারণ বাংলাদেশের মোহনা এবং বঙ্গোপসাগরে পাওয়া যায়। অনেকে এটিকে পামা,কই ভোলা বা পোয়া বলে ডাকে।
অর্থনৈতিক গুরুত্ব[সম্পাদনা]
খাদ্য হিসেবে এই মাছ খুবই সুস্বাদু। এর দেহে প্রায় ১৮ শতাংশ প্রোটিন বিদ্যামান।[১] বাংলাদেশে এক কৃষকের জালে ১২৫ কেজি ওজনের পোয়া ধরা পড়ে যা ১ লাখ ২০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়।[২]
পোয়া মাছের পুষ্টিগুণ[সম্পাদনা]
এ মাছ উচ্চ-প্রোটিন সমৃদ্ধ। পোয়া মাছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড, ভিটামিন এ এবং ভিটামিন ডি থাকে। যা একাধিক জটিল রোগ থেকে মানব শরীরকে রক্ষা করে।শিশু-কিশোরদের মানসিক ও শারীরিক গঠনে এ মাছ দারুণ কাজ করে। পোয়া মাছের ওমেগা-৩ নামক ফ্যাটি এসিড হৃদযন্ত্রের জন্য উপকারী। কোলেস্টরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এ মাছ। তাই হৃদরোগে আক্রান্ত ও ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এ মাছ খুবই উপকারী। নিউরোলজিস্টদের মতে শরীরে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিডের মাত্রা বাড়তে থাকলে ব্রেনের বিশেষ কিছু অংশের ক্ষমতা এতটাই বৃদ্ধি পায় যে ডিমেনশিয়া বা এলঝাইমারের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়।
পোয়া মাছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড থাকায় রেটিনার কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে। আর্থাইটিসে আমাদের অস্থিসন্ধিগুলো ব্যথাসহ ফুলে যায়। নিয়মিত এ মাছ খেলে আর্থাইটিসের উপসর্গ কমে আসে। পোয়া বা সামুদ্রিক মাছের আমিষ সহজে পরিপাকযোগ্য। এছাড়া দেহের বৃদ্ধি ও ক্ষয়রোধে সাহায্য করে। এটি ভিটামিন বি-এর উৎকৃষ্ট উৎস। তাছাড়া সামুদ্রিক মাছের আমিষ ও তেল দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
শ্রেণীতাত্ত্বিক অবস্থান[সম্পাদনা]
Phylum: Chordata
Class: Osteichthyes
Order: Perciformes
Family: Sciaenidae
Genus: Pama
Species : P. pama