পারশে মাছ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

পারশে মাছ
Chelon subviridis
পারশে মাছ
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ: অ্যানিম্যালিয়া
পর্ব: কর্ডাটা
শ্রেণী: অ্যাক্টিনোপ্টেরিজি
(Actinopterygii)
বর্গ: মুজিলিফরমস
(Mugiliformes)
পরিবার: মুজিলিডি (Mugilidae)
গণ: চেলন (Chelon)
প্রজাতি: সি. পারসিয়া (C. parsia)
দ্বিপদী নাম
চেলন সাবভিরিডিস
Chelon subviridis

(হ্যামিল্টন, ১৮২২)
প্রতিশব্দ
  • Liza subviridis (হ্যামিল্টন, ১৮২২)

পারশে মাছ (বৈজ্ঞানিক নাম: Chelon subviridis) মুজিলিডি (Mugilidae) পরিবারের অন্তর্ভুক্ত একটি মাছের প্রজাতি। এটি চেলন গণের সাতটি মাছের প্রজাতির মধ্যে একটি। অগভীর উপকূলীয় জলাশয়, খাড়ি অঞ্চলে এবং প্যারাবনের জলাশয়ে এ মাছ পাওয়া যায়। এটি বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গে পাওয়া যায় এরকমের স্বাদু পানির মাছ।

বিবরণ[সম্পাদনা]

পারশে বা পার্শে মাছ, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত

দেহ সরু ও লম্বা।দেহের উপরিভাগ কালো এবং নিচের অংশ রুপালি।সম্পূর্ণদেহ আঁশযুক্ত।লেজ,উপর দুইটি, পাশে দুইটি এবং নিচে দুইটি মিলে মোট সাতটি পাখনা থাকে। লেজের রঙ কালচে ।চোখ জোড়া দেহের তুলনায় বড়।সাধারণত ওজন ১৫০-২০০ গ্রাম হয়।

খাদ্য[সম্পাদনা]

পূর্ণ বয়স্ক পারশে মাছ অপ্রাণীভোজী হলেও অপ্রাপ্ত বয়স্ক মাছের প্রধান খাদ্য ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রাণী কণা।প্রাপ্তবয়স্ক হলে এরা শেওলা, ডায়াটম সহ নানা জৈব পদার্থ খেয়ে থাকে।

রন্ধনপ্রণালী[সম্পাদনা]

দক্ষিণের মানুষের কাছে পারশে যেন এক সুখানুভূতির নাম।কমফোর্ট ফুড যাকে বলে।ভুনা, ভাঁপা,বেগুন দিয়ে মাখা ঝোল-পারশের মিঠে স্বাদ মন ভরিয়ে দেয়।

পুষ্টিগুণাগুণ[সম্পাদনা]

স্বাদু পানির মাছের তুলনায় লোনা পানির মাছ বেশি পুষ্টিকর। এ মাছ উচ্চ প্রোটিনসমৃদ্ধ, ক্ষতিকারক চর্বি নেই।

চাষ[সম্পাদনা]

বাংলাদেশে বর্তমানে অনেক মৎস্য চাষী বাগদা চিংড়ির পরিবর্তে পারশে মাছ চাষ করছেন। কারণ এ মাছ চাষে ঝুঁকি কম। ঘেরে পোনা মজুদ করার ৪-৫ মাস পর এক একেকটা মাছের ওজন হয় ১৫০-২০০ গ্রাম। এ মাছ বাজারে বিক্রি হয় বেশ চড়া দামে এবং বাজারে বেশ চাহিদা আছে।মাছের ওজন ৪০-৮০ গ্রাম হলেই বাজারজাত করা যায়।

প্রজনন[সম্পাদনা]

এরা উচ্চ প্রজননকারী। ১৫ মাসের মধ্যে এদের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে যায়। পারশে মাছ প্রাকৃতিক পরিবেশে ডিসেম্বর-ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ শীতকালে প্রজনন করে। পারশে মাছ সাধারণত অধিক লোনাপানিতে ডিম দেয়। ডিসেম্বরের শেষ দুই সপ্তাহ ও ফেব্রুয়ারির শেষ দুই সপ্তাহে এ মাছ সবচেয়ে বেশি ডিম দেয়।এ মাছের প্রজনন স্বভাব অন্য মাছ হতে কিছুটা ব্যতিক্রমধর্মী।

আরো পড়ুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. আইইউসিএন বাংলাদেশ, ভলিউম ৫, মিঠা পানির মাছ