পামবন দ্বীপ

স্থানাঙ্ক: ৯°১৫′ উত্তর ৭৯°১৮′ পূর্ব / ৯.২৫° উত্তর ৭৯.৩° পূর্ব / 9.25; 79.3
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
পমবন দ্বীপ
ভূগোল
স্থানাঙ্ক৯°১৫′ উত্তর ৭৯°১৮′ পূর্ব / ৯.২৫° উত্তর ৭৯.৩° পূর্ব / 9.25; 79.3
আয়তন৯৬ বর্গকিলোমিটার (৩৭ বর্গমাইল)
দৈর্ঘ্য১৭.৭০ কিমি (১০.৯৯৮ মাইল)
প্রস্থ৯.৬৫ কিমি (৫.৯৯৬ মাইল)
তটরেখা৩৭ কিমি (২৩ মাইল)
সর্বোচ্চ উচ্চতা১০ মিটার (৩০ ফুট)
প্রশাসন
India
রাজ্যতামিলনাড়ু
জেলারামনাথপুরম
তালুকরামেশ্বরম
জনপরিসংখ্যান
জনসংখ্যা৮২,৬৮২ (২০১১)
১৯৫৫ সালের পমবন দ্বীপের মানচিত্র

পমবন দ্বীপ (তামিল: பாம்பன் தீவு pāmpaṉ tīvu), রামেশ্বরম দ্বীপ নামেও পরিচিত, ভারতশ্রীলঙ্কার মাঝে অবস্থিত রাম সেতু দ্বীপপুঞ্জের একটি দ্বীপ। দ্বীপটি ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের রামনাথপুরম জেলার রামেশ্বরমে অবস্থিত। দ্বীপটির প্রধান শহরের নাম রামেশ্বরম যা অন্যতম একটি তীর্থস্থান।

অবস্থান ও আকার[সম্পাদনা]

পমবন দ্বীপ, ৯°১১' উত্তর থেকে ৯°১৯' উত্তর অক্ষাংশ এবং ৭৯°১২' পূর্ব থেকে ৭৯°২৩' পূর্ব দ্রাঘিমাংশে অবস্থিত। পমবন দ্বীপ, রাম সেতুশ্রীলঙ্কার মান্নার দ্বীপ দিয়ে তৈরি শৃঙ্খলা দক্ষিণপূর্বে পক উপসাগরপক প্রণালীকে দক্ষিণপশ্চিমে মান্নার উপসাগর থেকে পৃথক করেছে। পমবন দ্বীপ পশ্চিমে পমবন শহর থেকে দক্ষিণপূর্বে ধনুষ্কোড়ির ধ্বংসাবশেষ পর্যন্ত ৩০ কিমি বিস্তৃত। দ্বীপটির দৈর্ঘ্য ধনুষ্কোড়ি শৈলান্তরীপে ২ কিমি থেকে রামেশ্বরমে ৭ কিমি পর্যন্ত ছড়িয়ে রয়েছে। দ্বীপটির ক্ষেত্রফল প্রায় ৬৭ কিমি²।

জনমিতি[সম্পাদনা]

পমবন দ্বীপ রামনাথপুরম জেলার চারটি পৃথক তালুক নিয়ে গঠিত, ওকারিসালকুলাম, মাহিন্দি, পমবন, রামেশ্বরম[১] দুটি প্রশাসনিক গ্রাম রয়েছে, পমবন ও রামেশ্বরম। প্রধান দুটি শহর হল পমবন ও রামেশ্বরম। তুলনামূলক ছোট বসতির মধ্যে রয়েছে থাঙ্গাচিমড়ম। তালুকের প্রশাসনিক কেন্দ্র রামেশ্বরমে অবস্থিত। পমবন ও রামেশ্বরমে রেলওয়ে স্টেশন রয়েছে।

রামেশ্বরমের জনসংখ্যা ৪৪,৮৫৬ (২০১১ জনগণনা অনুযায়ী) এবং দ্বীপটির সবচেয়ে জনবহুল শহর। এটি হিন্দুদের সবচেয়ে পবিত্র তীর্থক্ষেত্রের মধ্যে একটি এবং প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ মানুষের তীর্থ গন্তব্য। রামনাথস্বামী মন্দিরে এশিয়ার সবচেয়ে দীর্ঘতম বারান্দা রয়েছে। রামেশ্বরম দ্বীপটির একদম মধ্যিখানে অবস্থিত, পমবন শহর থেকে ১১ কিমি ও ধনুষ্কোড়ি থেকে ১৮ কিমি।

পমবন দ্বীপের পশ্চিমে অবস্থিত পমবন শহরে প্রচুর মাছ ধরা হয় এবং এখানে একটি পোতাশ্রয়ও আছে যেটি হল রামেশ্বরমে যাওয়ার প্রবেশপথ। এখানে ৯,০০০ মানুষের বসবাস। এটি পমবন ব্রিজের পূর্ব সীমান্তে অবস্থিত। পমবন, রামেশ্বরম থেকে ১১ কিমি, ধনুষ্কোড়ি থেকে ০ কিমি এবং ভারতের মূল ভূখণ্ড থেকে ৭ কিমি দূরে অবস্থিত। ভারতের মূল ভূখণ্ড থেকে এটি সাগরের সংকীর্ণ অংশ দ্বারা পৃথক হয়েছে।

থাঙ্গাচিমড়ম, পমবন ও রামেশ্বরমের মাঝে অবস্থিত। এখানে কিছু মন্দির ও গির্জা রয়েছে।এখানের মূল আকর্ষণ হল একনথারামার মন্দির।

দ্বীপের পূর্বদিকে ধনুষ্কোড়িতে ১৯৬৪ সালে প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঘটে এবং একসময়ের সমৃদ্ধিশালী শহর, পোতাশ্রয়তীর্থস্থান, ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। তার সমসময়ে স্থানটিতে রামেশ্বরমের সমান জনসংখ্যা ছিল। ওই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে স্থানটি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যায়, ২০০০ মানুষের মৃত্যু ঘটে এবং সমস্ত রকম শক্তি সরবরাহ ও যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যায়। ঘরবাড়ি, মন্দির, গির্জা ও ধর্মশালা সবকিছু ধূলিস্যাৎ হয়ে যায় ও একটি ভূতের শহরে পরিণত হয়। কিছু ধর্মশালা রামেশ্বরমে স্থানান্তরিত করা হয়। কিন্তু ধনুষ্কোড়িকে পুননির্মাণ করা যায়নি। সাইক্লোনের পূর্বে ধনুষ্কোড়ি রেলের মাধ্যমে মূল ভূখণ্ড ও পমবনের সাথে সুসংযোজিত ছিল। ধনুষ্কোড়ি রেলওয়ে স্টেশনটি এখনও বর্তমান এবং এটিই স্থানটিকে ভূতুড়ে শহরে পরিণত করেছে।

পমবন দ্বীপে কিছু পাহাড় ও টিলা রয়েছে তার মধ্যে গন্ধমাদন উল্লেখযোগ্য। বিশ্বাস করা হয়, এটিই সেই টিলা যেখান থেকে ভগবান রাম শ্রীলঙ্কাকে দেখেছিলেন এবং একটি সেতু বানানোর‌ পরিকল্পনা করেছিলেন। নিকটবর্তী একটি মন্দির তার স্মারক।

পমবন দ্বীপের বেশিরভাগ সাদা বালিতে ঢাকা এবং চাষোপযোগী নয়। দ্বীপজুড়ে নারকেল, তাল এবং ইউক্যালিপটাস গাছের দেখা মেলে। সমুদ্রসৈকতে ঝোপঝাড় রয়েছে।

বঙ্গোপসাগরর জাহাজ ও পমবন দ্বীপের পূর্ণদৃশ্য

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Detailed map of Rameswaram taluka ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২ এপ্রিল ২০১৫ তারিখে (dead link 8/23/2020)

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]