পান্নালাল বসু

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
পান্নালাল বসু
জন্ম(১৮৮১-১০-০৭)৭ অক্টোবর ১৮৮১
মৃত্যু২৯ ডিসেম্বর ১৯৫৬(1956-12-29) (বয়স ৭৫)
পরিচিতির কারণভাওয়াল সন্ন্যাসী মামলা

পান্নালাল বসু (১৮৮১–১৯৫৬) ছিলেন একজন বিশিষ্ট আইনজ্ঞ এবং বিচারক।[১]

১৮৮১ সালের ৭ অক্টোবর পান্নালাল বসু জন্মগ্রহণ করেন। তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা লাভ করেন। এমএ ও বিএল পাশ করে তিনি বঙ্গবাসী কলেজে অধ্যাপনা শুরু করেন। অধ্যাপনার সময় তিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ক্ষুধিত পাষাণ গল্পটি ইংরেজিতে অনুবাদ করেন, যা মর্ডান রিভিউ-র ফেব্রুয়ারি ১৯১০ সংখ্যায় ও ১৯১৯ সালের “দ্য হাংরি স্টোন অ্যান্ড আদার স্টোরিজ” গ্রন্থে প্রকাশিত হয়।

অধ্যাপনার পর ১৯১০ থেকে ১৯৩৬ সাল পর্যন্ত তিনি বিচার বিভাগে কাজ করেন। ভাওয়াল সন্ন্যাসী মামলার বিচার করে তিনি খ্যাতি পান। এ মামলাটি ভারতবর্ষ পেরিয়ে যুক্তরাজ্যেও আড়োলন সৃষ্টি করেছিল। বিচার বিভাগে প্রথমে তিনি মুন্সেফ হিসেবে যোগ দেন, ভাওয়াল রায়ের সময় তিনি ঢাকার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক ছিলেন।[২] চাকরি থেকে অবসর নিয়ে তিনি আবার বঙ্গবাসী কলেজে ইংরেজি ও দর্শনের শিক্ষক হিসেবে কাজ করেন।

তিনি ১৯৩৯ সাল থেকে পাঁচ বছর পঞ্চকোট-রাজের ব্যবস্থাপক ছিলেন। ১৯৫২ সালে তিনি বিধানসভার বিধায়ক নির্বাচিত হন ও বিমলচন্দ্র রায়ের মন্ত্রিসভায় ১৯৫২ থেকে ১৯৫৬ সাল পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা ও ভূমি রাজস্ব মন্ত্রী ছিলেন।[৩] ১৯৫৬ সালের ২৯ ডিসেম্বর পান্নালাল বসু মৃত্যুবরণ করেন।[২]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. ভাওয়ার মামলার রায় (পিডিএফ)। সদাগর মিঞা ও সতীশচন্দ্র রায়। ১৯৩৬। 
  2. ঈদসংখ্যা ২০১৫দৈনিক ইত্তেফাক। পৃষ্ঠা ৪২০। 
  3. বারিদবরণ ঘোষ-এর ‘রবীন্দ্রনাথ ও ক্ষুধিত পাষাণ’-এর অনুবাদক পান্নালাল বসু, দেশ, শারদীয় ১৪১৫।
  • চ্যাটার্জি, পার্থ। ২০০২। "এ প্রিন্সলি ইম্পোস্টর? : দ্য স্ট্রেঞ্জ অ্যান্ড ইউনিভার্সাল হিস্টোরি অফ দ্য কুমার অফ ভাওয়াল" [একজন দেশীয় প্রতারক? : ভাওয়ালের কুমারের অদ্ভুত ও সর্বজনীন ইতিহাস]। প্রিন্সটন, এনজে: প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটি প্রেস