পানেম্ব্রমা
পানেম্ব্রমা হল একটি ধর্মনিরপেক্ষ বালিনিজ নৃত্যের ধরন। আই ওয়েয়ান বেরাতা এই নৃত্যের স্রষ্টা। ১৯৭১ সালে প্রথম এই নৃত্য জনসমক্ষে পরিবেশিত হয়েছিল। এটিতে বেশ কয়েকটি পবিত্র বালিনী নৃত্যের বৈশিষ্ট্য অন্তর্ভুক্ত আছে।
ইতিহাস[সম্পাদনা]
আই ওয়েয়ান বেরাতা ছিলেন ইন্দোনেশিয়ার একজন নৃত্যশিল্পী যিনি ঐতিহ্যবাহী বালিনিজ নৃত্যে পারদর্শী ছিলেন, তাকে একটি নতুন, ধর্মনিরপেক্ষ নৃত্য তৈরি করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল[১] যা পরে পানেম্ব্রমা নৃত্য হিসাবে পরিচিত হয়। লেগং, কনডং এবং পেন্ডেটের মতো ঐতিহ্যবাহী নৃত্যের সবচেয়ে সুন্দর চালগুলিকে একত্রিত করে তিনি এই নৃত্যের প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।[২]{sfn|Tanjung|2012}}[৩]
নৃত্য পরিবেশন[সম্পাদনা]

বালিনিজ শব্দ সম্ব্রমা থেকে পানেমব্রমা শব্দটির উৎপত্তি যার অর্থ স্বাগত। স্বাগত জানানোর উদ্দেশ্যে এই নৃত্য পরিবেশিত হয়। [৪] দীর্ঘ অনুষ্ঠানের সূচনাতে এই নৃত্য সাধারণত প্রথমে পরিবেশিত হয়। বিশেষ করে ধর্মনিরপেক্ষ লেগং নৃত্যের আগে এই নৃত্যের পরিবেশন হয়। [৫]
এই নৃত্যে প্রধানত যুবতী নারীরা অংশগ্রহণ করে। ধূপ এবং ফুল সহ একটি ধাতব (সাধারণত রূপা বা অ্যালুমিনিয়াম) থালা নিয়ে তারা মঞ্চে প্রবেশ করে।[৫] এই নৃত্যশিল্পীরা, দুই বা তার বেশি স্তরযুক্ত পোশাক পরিধান করে। এই বিশেষ পোশাক প্রদা নামে পরিচিত যা সোনালী কারুকার্য দিয়ে সজ্জিত থাকে। তাদের শরীরের চারপাশে তারা একটি কামবেন ( সারং ) পরিধান করে। পাশাপাশি একটি শক্তভাবে মোড়ানো কাপড় থাকে যা তাদের বুক থেকে তাদের কোমর পর্যন্ত ঢেকে রাখে। তাদের মাথায় সোনালি মস্তক পরিধেয় এবং কাঠগোলাপ থাকে।[৬]
প্যানেম্ব্রমা নাচের শুরুতে অভিনয়শিল্পীরা হাঁটু গেড়ে প্রার্থনা করার ভংগীতে মাটিতে বসে থাকেন।[৬] এভাবে তারা অতিথিদের স্বাগত জানান এবং গেমলান বাজনা বাজতে থাকে।[৪] নর্তকীদের অংগ সঞ্চালনা হয় ধীর ও বক্রগতির হয়।[৬] পরিবেশনার শেষে নৃত্যশিল্পীরা বৃত্তাকার সমূহে একে অপরের নিকটে আসে এবং শ্রোতাদের দিকে সুগন্ধী ফুল নিক্ষেপ করে।[৪][৬] অন্যান্য কিছু বালিনী নৃত্যের মত, প্যানেম্ব্রমার মাধ্যমে কোন গল্প বা কথানক উপস্থাপনা করা হয়না।[৬]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ Picard 2006, পৃ. 230।
- ↑ Laskewicz 2003b, পৃ. 31।
- ↑ Heimarck 2003, পৃ. 179।
- ↑ ক খ গ Laskewicz 2003a।
- ↑ ক খ Kusmayati 1992।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ Suardana 2012।