লেগং

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
লেগং
লেগং নৃত্য পরিবেশনা
উদ্ভাবকবালিনিজ
উৎসইন্দোনেশিয়া

লেগং হল বালিনিজ নৃত্যের একটি রূপ। এটি একটি পরিমার্জিত নৃত্য শৈলী যা আঙুলের জটিল নড়াচড়া, জটিল পদচালনা, অভিব্যক্তিপূর্ণ অঙ্গভঙ্গি এবং মুখের অভিব্যক্তির সমন্বয়ে গড়ে উঠেছে।

উৎপত্তি[সম্পাদনা]

সম্ভবত উনিশ শতকে রাজকীয় বিনোদনের জন্য লেগং নৃতের উদ্ভব হয়েছিল। কিংবদন্তি আছে যে সুকাওয়াতির এক রাজপুত্র অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন এবং একটি প্রাণবন্ত স্বপ্ন দেখেছিলেন যেখানে দুটি মেয়ে গেমলান সঙ্গীতে নৃত্য পরিবেশন করছিল। সুস্থ হয়ে উঠলে তিনি এ ধরনের নাচ বাস্তবে পরিবেশনের ব্যবস্থা করেন। অন্যরা বিশ্বাস করেন যে লেগং এর উদ্ভব হয়েছে সাংঘ্যং দেদারি থেকে। দেদারি অনুষ্ঠানে দুজন বালিকা থাকে যারা স্বেচ্ছাকৃতভাবে আত্মাকে ধারণ করে। [১] পাবলিক উৎসবেও লেগং নাচ করা হয়। লেগং নৃত্যনাট্য থেকে উদ্ধৃতাংশ পর্যটকদের জন্য পরিবেশন করা হয়।

নৃত্যশিল্পী[সম্পাদনা]

দুই প্রাক-কিশোর মেয়ে লেগং নাচ করছে।

ঐতিহ্যগতভাবে, লেগং নৃত্যে সেই বালিকারা ভাগ নিতে পারে, যারা বয়ঃসন্ধিতে পৌঁছায়নি। তারা প্রায় পাঁচ বছর বয়স থেকে কঠোর নৃত্য প্রশিক্ষণ শুরু করে। এই নর্তকীদের সমাজে উচ্চ মর্যাদা দেওয়া হয় এবং তারা সাধারণত রাজকীয় ব্যক্তি বা ধনী বণিকদের স্ত্রী হয়ে ওঠেন। বিয়ের পর তারা রীতি অনুসারে তাদের নৃত্যচর্চা বন্ধ করে দেয়। যাইহোক, বর্তমান ইন্দোনেশিয়ায় সমস্ত বয়সের নর্তকীরা লেগং নৃত্যে অংশগ্রহন করতে পারে। [২] নারীদের পোশাকে পুরুষদেরও লেগং নৃত্যে অংশ নিতে দেখা গেছে [৩]

প্রকারভেদ[সম্পাদনা]

ঐতিহ্যগতভাবে, পনেরো ধরনের লেগং নৃত্যের কথা জানা যায়। প্রতিটি নৃত্যের প্রদর্শনের অবধি, দেহ আন্দোলন এবং উপস্থাপনার শৈলী ভিন্ন। উল্লেখযোগ্য লেগং নৃত্যের প্রকারগুলি হলঃ [৪]

  • লেগং বাপাং সবাব
  • লেগং জেবোগ
  • লেগং ক্র্যাটন
  • লেগং কুন্তির
  • লেগং লাসেম
  • লেগং রাজা সিনা
  • লেগং সেমারন্দনা
  • লেগং সুদাসর্না

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Miguel Covarrubias, Island of Bali. Knopf, 1946.
  2. "Tari Legong Tak Mengenal Usia"Okezone.com (Indonesian ভাষায়)। ২৯ নভেম্বর ২০১৪। ৩০ জানুয়ারি ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জানুয়ারি ২০১৬ 
  3. "Jakun Tak Bisa 'Menipu', Tari Legong Ini Ternyata Ditarikan 6 Orang Pria"Tribun। ২০ জুন ২০১৫। ৫ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জানুয়ারি ২০১৬ 
  4. Davies, Stephen (২০০৬)। "Balinese Legong: Revival or Decline?": 314–341। ডিওআই:10.1353/atj.2006.0018