পাদশাহ বেগম

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

মুঘল সাম্রাজ্যের পাদশাহ বেগম
বাদশাহ বেগম, সম্রাট মুহাম্মদ শাহের প্রধান সহধর্মিণী, যিনি পাদশাহ বেগম উপাধি ধারণ করেছিলেন
সম্বোধনরীতিতার রাজকীয় মহিমা
বাসভবনআগ্রা দুর্গ
নিয়োগকর্তামুঘল সম্রাট
গঠন২০ এপ্রিল ১৫২৬
প্রথমমাহম বেগম
সর্বশেষজিনাত মহল
বিলুপ্ত১৪ সেপ্টেম্বর ১৮৫৭

পাদশাহ বেগম ছিল মুঘল সাম্রাজ্যের সম্রাজ্ঞী সহধর্মিণী বা 'প্রথম মহিলা'-কে প্রদত্ত একটি শ্রেষ্ঠ সাম্রাজ্যিক উপাধি এবং মুঘল হারেম বা জেনানার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাধি হিসাবে বিবেচিত হতো।[১] এই উপাধিটি ইংরেজিতে "empress" বা "সম্রাজ্ঞী" এর সমতুল্য হতে পারে, তবে শুধুমাত্র মুঘল প্রসঙ্গে আনুমানিক পরিভাষায় ব্যবহৃত হতো।

ব্যুৎপত্তি[সম্পাদনা]

পাদেশাহ, পাদশাহ, পাদিশাহ, বা বাদিশাহ একটি শ্রেষ্ঠ রাজকীয় উপাধি এবং ফার্সি পাদ (কর্তা) ও শাহ (রাজা) দ্বারা গঠিত, যা বেশ কয়েকজন রাজা "মহান" বা "মহান রাজা" এর প্রাচীন ফার্সি ধারণার সমতুল্য সর্বোচ্চ পদ দাবি করে গ্রহণ করেছিলেন এবং পরে আখেমেনিড ও খ্রিস্টান সম্রাটদের দ্বারা গৃহীত হয়েছিল। বাদশা হিসাবে এর আরবীয় উচ্চারণটি মুঘল সম্রাটরা ব্যবহার করতেন ও বাশা বা পাশা উসমানীয় সুলতানরা ব্যবহার করতেন।

বেগম, বেগাম, বাইগুম বা বেইগাম মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়ার একটি মহিলা রাজকীয় ও অভিজাত উপাধি। এটি বেগ বা বে উপাধির মেয়েলি সমতুল্য, তুর্কি ভাষায় যার অর্থ প্রধান বা সেনাপতি। এটি সাধারণত বেগ এর স্ত্রী বা কন্যাকে বোঝায়।

ঐতিহাসিক ব্যবহার[সম্পাদনা]

'পাদশাহ বেগম' উপাধিটি শুধুমাত্র প্রধান বা মুখ্য স্ত্রী, বোন, মা বা মুঘল সম্রাটের পছন্দের কন্যাকে প্রদান করা হয়েছিল[২] এবং একই সাথে একাধিক মহিলা এই পদে অধিষ্ঠিত হতে পারেনা।[৩] এটি প্রমাণ করে যে, ১৬২০ সালে সম্রাট জাহাঙ্গীরের প্রধান স্ত্রী সালিহা বানু বেগম (তার রাজত্বের বেশিরভাগ সময় পাদশাহ বেগম) মারা যাওয়ার পরেই নুরজাহান এই উপাধি দেওয়া হয়েছিল[১]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Findly, Ellison Banks (১৯৯৩)। Nur Jahan, empress of Mughal India। Oxford University Press। পৃষ্ঠা 95, 125। আইএসবিএন 9780195360608 
  2. Aftab, Tahera (২০০৮)। Inscribing South Asian Muslim Women: an Annotated Bibliography & Research Guide ([Online-Ausg.] সংস্করণ)। Brill। পৃষ্ঠা 66। আইএসবিএন 9789004158498 
  3. The Journal of the Numismatic Society of India, Volumes 20-21। Numismatic Society of India। ১৯৫৮। পৃষ্ঠা 223।