পাদশাহ বেগম
মুঘল সাম্রাজ্যের পাদশাহ বেগম | |
---|---|
সম্বোধনরীতি | তার রাজকীয় মহিমা |
বাসভবন | আগ্রা দুর্গ |
নিয়োগকর্তা | মুঘল সম্রাট |
গঠন | ২০ এপ্রিল ১৫২৬ |
প্রথম | মাহম বেগম |
সর্বশেষ | জিনাত মহল |
বিলুপ্ত | ১৪ সেপ্টেম্বর ১৮৫৭ |
পাদশাহ বেগম ছিল মুঘল সাম্রাজ্যের সম্রাজ্ঞী সহধর্মিণী বা 'প্রথম মহিলা'-কে প্রদত্ত একটি শ্রেষ্ঠ সাম্রাজ্যিক উপাধি এবং মুঘল হারেম বা জেনানার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাধি হিসাবে বিবেচিত হতো।[১] এই উপাধিটি ইংরেজিতে "empress" বা "সম্রাজ্ঞী" এর সমতুল্য হতে পারে, তবে শুধুমাত্র মুঘল প্রসঙ্গে আনুমানিক পরিভাষায় ব্যবহৃত হতো।
ব্যুৎপত্তি[সম্পাদনা]
পাদেশাহ, পাদশাহ, পাদিশাহ, বা বাদিশাহ একটি শ্রেষ্ঠ রাজকীয় উপাধি এবং ফার্সি পাদ (কর্তা) ও শাহ (রাজা) দ্বারা গঠিত, যা বেশ কয়েকজন রাজা "মহান" বা "মহান রাজা" এর প্রাচীন ফার্সি ধারণার সমতুল্য সর্বোচ্চ পদ দাবি করে গ্রহণ করেছিলেন এবং পরে আখেমেনিড ও খ্রিস্টান সম্রাটদের দ্বারা গৃহীত হয়েছিল। বাদশা হিসাবে এর আরবীয় উচ্চারণটি মুঘল সম্রাটরা ব্যবহার করতেন ও বাশা বা পাশা উসমানীয় সুলতানরা ব্যবহার করতেন।
বেগম, বেগাম, বাইগুম বা বেইগাম মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়ার একটি মহিলা রাজকীয় ও অভিজাত উপাধি। এটি বেগ বা বে উপাধির মেয়েলি সমতুল্য, তুর্কি ভাষায় যার অর্থ প্রধান বা সেনাপতি। এটি সাধারণত বেগ এর স্ত্রী বা কন্যাকে বোঝায়।
ঐতিহাসিক ব্যবহার[সম্পাদনা]
'পাদশাহ বেগম' উপাধিটি শুধুমাত্র প্রধান বা মুখ্য স্ত্রী, বোন, মা বা মুঘল সম্রাটের পছন্দের কন্যাকে প্রদান করা হয়েছিল[২] এবং একই সাথে একাধিক মহিলা এই পদে অধিষ্ঠিত হতে পারেনা।[৩] এটি প্রমাণ করে যে, ১৬২০ সালে সম্রাট জাহাঙ্গীরের প্রধান স্ত্রী সালিহা বানু বেগম (তার রাজত্বের বেশিরভাগ সময় পাদশাহ বেগম) মারা যাওয়ার পরেই নুরজাহান এই উপাধি দেওয়া হয়েছিল[১]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ ক খ Findly, Ellison Banks (১৯৯৩)। Nur Jahan, empress of Mughal India। Oxford University Press। পৃষ্ঠা 95, 125। আইএসবিএন 9780195360608।
- ↑ Aftab, Tahera (২০০৮)। Inscribing South Asian Muslim Women: an Annotated Bibliography & Research Guide ([Online-Ausg.] সংস্করণ)। Brill। পৃষ্ঠা 66। আইএসবিএন 9789004158498।
- ↑ The Journal of the Numismatic Society of India, Volumes 20-21। Numismatic Society of India। ১৯৫৮। পৃষ্ঠা 223।