বিষয়বস্তুতে চলুন

পাণ্ডু সংস্কৃতি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
পাণ্ডু সংস্কৃতি
ভৌগলিক সীমাঅজয় উপত্যকা: আধুনিককালের পশ্চিমবঙ্গ, ভারত।
সময়তাম্র-প্রস্তর যুগ
তারিখ১৬০০–৭৫০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ
টাইপ সাইটপাণ্ডু রাজার ঢিবি
প্রধান স্থানমহিষাদল ও তমলুক
পূর্বসূরীবাংলার প্রারম্ভিক কৃষি সম্প্রদায়
উত্তরসূরীউত্তর-ভারতীয় কৃষ্ণ চিক্কণ মৃৎপাত্র সংস্কৃতি

পাণ্ডু সংস্কৃতি হল পূর্ব ভারতের একটি তাম্র-প্রস্তর যুগ বা চ্যালকোলিথিক প্রত্নতাত্ত্বিক সংস্কৃতি (খ্রিস্টপূর্ব ১৬০০ অব্দ থেকে ৭৫০ অব্দ)। এটি ছোটনাগপুর মালভূমির পাদদেশ থেকে ভাগীরথী-হুগলী নদী অববাহিকা পর্যন্ত বিস্তৃত, যা আধুনিককালের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের দক্ষিণ-পশ্চিম অংশ বা রাঢ় এবং উপকূলীয় অঞ্চলের উল্লেখযোগ্য অংশ জুড়ে রয়েছে; উত্তরে বীরভূম থেকে দক্ষিণে পূর্ব মেদিনিপুর পর্যন্ত।

পাণ্ডুর বসতিগুলির বেশিরভাগই ছিল ছোট আকারের, প্রধানত অজয়, দামদর ও রূপনারায়ণ হুগলী নদী উপত্যকায় কেন্দ্রীভূত। তাম্র-প্রস্তর সংস্কৃতির সমৃদ্ধ পর্বে পর্যায়ে (১০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ) প্রধান বসতিগুলির মধ্যে পাণ্ডু রাজার ঢিবি, মহিষাদল ও তমলুক উল্লেখযোগ্য। এগুলি ছিল পরবর্তী হড়প্পা ও বৈদিক যুগের সমসাময়িক।

পাণ্ডু সংস্কৃতি বিস্তৃতভাবে কৃষিকাজের উপর নির্ভরশীল ছিল। ধানের উপস্থিতি পূর্ব ভারত ও বাংলায় ধান চাষ ও কৃষিকাজের সূচনার প্রমাণ প্রদান করে। তাম্র-প্রস্তর যুগের শেষ পর্যায় থেকে, লোহার ব্যবহার শুরু হয়েছিল। বিভিন্ন বসতি থেকে কাদামাটির মেঝে, নলখাগড়া ও কাদামাটির কাঠামোগত অবশেষ, এবং গর্ত-মজুদ ভাণ্ডার নথিভুক্ত করা হয়েছে।

এই সংস্কৃতির বসতিগুলি দ্বিতীয় নগরায়ন সূচনাকালে দুর্বল ও ধ্বংস হয়, পরিবর্তে বদ্বীপ অঞ্চলে নতুন নতুন বসতি ও বাণিজ্যকেন্দ্রের উদ্ভব ঘটেছিল। পণ্ডিতগণের মতে এই বসতিগুলি ধ্বংসের প্রধান কারণগুলি হল জনবসতিগুলিতে জলের পাপ্রতার অভাব ও নদীর নাব্যতা হ্রাস।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]