বিষয়বস্তুতে চলুন

পল্লী দারিদ্র্য বিমোচন ফাউন্ডেশন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
পল্লী দারিদ্র্য বিমোচন ফাউন্ডেশন
গঠিত১৯৯৯
ধরনসরকারি
সদরদপ্তরঢাকা, বাংলাদেশ
যে অঞ্চলে
বাংলাদেশ
দাপ্তরিক ভাষা
বাংলা
ওয়েবসাইটপল্লী দারিদ্র্য বিমোচন ফাউন্ডেশন

পল্লী দারিদ্র্য বিমোচন ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ সরকারের একটি সংস্থা যা বাংলাদেশের গ্রামীণ অঞ্চলের দরিদ্র্যতা হ্রাস ও সঞ্চয় বৃদ্ধি দ্বারা পল্লী এলাকার জীবনমান উন্নয়নের জন্য দায়বদ্ধ।[] মোঃ রেজাউল আহসান এই ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান।[]

লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য

[সম্পাদনা]

রূপকল্প (Vision):

দরিদ্র ও সুবিধা বঞ্চিত মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নকল্পে মানবসংগঠন ‍সৃষ্টি, অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থায়ন, বহুমাত্রিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সক্ষমতা বৃদ্ধি, পুঁজিগঠন ও নবসম্পদ সৃজন, সামাজিক বৈষম্যের অবসান ও নারীর ক্ষমতায়নের মাধ্যমে নারী-পুরুষের সমঅধিকার নিশ্চিতকরণ।

অভিলক্ষ্য (Mission):

  • দরিদ্র ও অসুবিধাগ্রস্থ জনগোষ্ঠী কে নিয়ে নতুন মানব সংগঠন সৃজন এবং সামাজিক বিনির্মাণ (Social Reconstruction);
  • নেতৃত্ব বিকাশ ও সামাজিক উন্নয়ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সংগঠনের সদস্যদের মানস-কাঠামোর পরিবর্তন;
  • বিভিন্ন আয়-উৎসারী, বৃত্তিমূলক ও প্রায়োগিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সদস্যদের সক্ষমতার উন্নয়ন;
  • প্রতিষ্ঠানের সকল কার্যক্রমেনারীর প্রতি অনুকূল দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ ও নারীর ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে ইতিবাচক কার্যক্রম (Affirmative Action) গ্রহণ;
  • সংগঠিত দরিদ্র ও অসুবিধাগ্রস্থ জনগোষ্ঠী কেউ জীবিকা আহরণে ঋণ সহায়তা প্রদান;
  • উদ্যোক্তা উদ্দীপনের লক্ষ্যে ‘ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা’ ও ‘নারী উদ্যোক্তা’ ঋণ কার্যক্রম পরিচালনা;
  • ক্ষুদ্র, কুটির ও মাঝারি শিল্প প্রসারণে ‘কোভিড প্রণোদনা ঋণ’ কর্মসূচি পরিচালনা;
  • পল্লী বিপণী সৃজনের মাধ্যমে গ্রামীণ পণ্যের বিপণন কেন্দ্র স্থাপন ও বিপণন সংযোগ বিস্তৃতকরণ;
  • কৃষিতে নতুন পদ্ধতি ও প্রযুক্তি প্রবর্তন, নতুন কৃষি পণ্যের প্রসার,  উৎপাদন বৃদ্ধি ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষয়ক্ষতি হ্রাসের লক্ষ্যে অভিঘাত-সহনশীল প্রয়াস গ্রহণের জন্য ‘কৃষিজীবিকায়ন ঋণ’ কর্মসূচি পরিচালনা;
  • অভিঘাত-সহনশীল নিরাপদ আবাসনের জন্য সহজ শর্তে আবাসন ঋণ পরিকল্প প্রবর্তন;
  • বিভিন্ন সঞ্চয় পরিকল্পের মাধ্যমে সুফলভোগীদের সাপ্তাহিক ও মাস ভিত্তিক সঞ্চয়ের অভ্যাস গড়ে তোলা (Thrift Development), পুঁজিগঠন, বিনিয়োগ, সঞ্চয়ের পরিবৃদ্ধি এবং নিজস্ব সম্পদ সৃজন;
  • বিভিন্ন সরকারি/বেসরকারি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের সাথে পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে বহুমাত্রিক পল্লী উন্নয়ন প্রয়াস গ্রহণ ও বাস্তবায়ন;
  • পল্লীর বিপন্ন মানুষের জীবন মান উন্নয়ন ও দারিদ্র্য বিমোচন বিষয়ক উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ এবং সুস্থায়ী উন্নয়নের ধারাবাহিকতা নিশ্চিতকরণ; এবং
  • নতুন প্রজন্মের ক্ষুদ্রঋণ ও সঞ্চয় প্রয়াসের অনুষঙ্গ হিসেবে গ্রামীণ দরিদ্রের জন্য কর্মসৃজন, শিক্ষার সুযোগ প্রসারণ, স্বাস্থ্য সুবিধা ব্যাপকতর করা, নবায়ন যোগ্য জ্বালানীর মাধ্যমে পল্লীজনপদ আলোকিতকরণ এবং আনুষঙ্গিক অন্যান্য ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের কর্মপরিসর বিস্তৃতকরণ।

ইতিহাস

[সম্পাদনা]

পটভূমি

[সম্পাদনা]
পটভূমিঃ

পিডিবিএফ  সৃষ্টির গোড়ায় ছিল আরডি-২ আরপিপি, আরডি-১২ প্রকল্প এবং পল্লী বিত্তহীন কর্মসূচী। ১৯৮৪ সাল থেকে বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড (বিআরডিবি) কানাডিয়ান সিডার আর্থিক ও কারিগরী সহায়তায় এ প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করে আসছিল। সরকারী সেক্টরে এগুলিই সর্বপ্রথম বিত্তহীন কল্যাণ প্রোগ্রাম যা পরবর্তীতে পল্লী দারিদ্র্য বিমোচন ফাউন্ডেশন (পিডিবিএফ) নামে একটি স্বশাসিত স্থায়ী প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত হয়েছে।

পল্লী দারিদ্র্য বিমোচন ফাউন্ডেশন ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশের সংসদ কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি একটি বিধিবদ্ধ, অলাভজনক, সরকারি সংস্থা এবং স্বাধীন ব্যবস্থাপনার সাথে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এটি কানাডিয়ান ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি র কাছ থেকে আর্থিক সহায়তা পেয়েছে। এটি বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ঋণ ও প্রশিক্ষণ প্রদান করে।[] ২০১৪ সালে ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহবুবুর রহমানকে বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন কমিশন ফাউন্ডেশনের সৌর প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলো।[] ফাউন্ডেশনটির ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণের ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে॥[]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "12 YEARS OF PDBF PM to open programme"বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। সংগ্রহের তারিখ ৭ এপ্রিল ২০২০
  2. "চেয়ারপারসন"pdbf.portal.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ৭ এপ্রিল ২০২০
  3. "পল্লী দারিদ্র্য বিমোচন ফাউন্ডেশন (পিডিবিএফ)"pdbf.gov.bd (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৭ এপ্রিল ২০২০
  4. "ACC grills PDBF MD"banglanews24.com (ইংরেজি ভাষায়)। ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ৭ এপ্রিল ২০২০
  5. "Plundering in the name of poverty alleviation"দৈনিক প্রথম আলো (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৭ এপ্রিল ২০২০