নীলাচল স্থাপত্যশৈলী

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
নীলাচল স্থাপত্যশৈলী
শীর্ষ: কামাখ্যা মন্দির
নিম্ন: ভুবনেশ্বরী মন্দির

নীলাচল স্থাপত্যশৈলী ভারতের আসামে উদ্ভূত হওয়া এক হিন্দু মন্দির স্থাপত্যশৈলী। আসামের হিন্দু ধর্মের ঐতিহাসিক মঠ-মন্দিরসমূহ সবই নীলাচল স্থাপত্যশৈলীর। রথের আদলে নিৰ্মাণ করা বহুভূজাকৃতির ভূমির ওপর কয়েকটি সুউচ্চ শিখরে গঠিত মন্দির এই শৈলীর বিশেষত্ব।[১] এই সংমিশ্রিত স্থাপত্যশৈলী প্রথম নীলাচল পাহাড়ে অবস্থিত কামাখ্যা মন্দিরে ব্যবহার করা হয়েছিল। কোচ রাজাদের আরম্ভ করা এই শৈলী পরে আহোম রাজাদের সময় জনপ্রিয়তা লাভ করে।[২]

উৎপত্তি[সম্পাদনা]

কোচ রাজা বিশ্বসিংহ পুরানো কামাখ্যা মন্দিরের ধ্বংসাবশেষে পুনরায় উপাসনা প্ৰচলন করেছিলেন। তাঁর পুত্ৰ নরনারায়ণ ধ্বংসাবশেষে পরিণত হওয়া কামাখ্যা মন্দিরের আশে-পাশে ছড়িয়ে থাকা সামগ্রীতে পুনরায় নির্মাণ আরম্ভ করেন। তিনি শিল্পী ও কলা-কুশলীদের আনতে মেঘমুকুন্দ সেনাপতিকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। মেঘমুকুন্দ দুবার পাথরের শিখর নির্মাণ করতে অসমর্থ হওয়ার পর ইট দিয়ে বর্তমান শিখর নির্মাণ করান।[৩] এই নির্মাণে ব্যবহৃত শিল্পী ও স্থাপত্যবিদ সকলেই বঙ্গের ইসলামীয় স্থাপত্যশৈলীর সাথে পরিচিত ছিলেন। সেজন্য মন্দিরের শিখরসমূহ বেশি উঁচু নয় এবং গম্বুজের প্ৰভাব পরিলক্ষিত হয়। এর সাথে মিনারশৈলীর ছায়ায় অংগশিখর এই স্থাপত্যশৈলীর অন্যতম বৈশিষ্ট্য।[৪]

কামাখ্যা মন্দিরের নক্সা—শীর্ষ থেকে চারটি কোঠা হল: গর্ভগৃহ, চলন্ত, পঞ্চরত্ননৃত্য-মণ্ডপ

উদাহরণ[সম্পাদনা]

টীকা[সম্পাদনা]

  1. (Sarma 1988:140ff)
  2. (Sarma 1988:108)
  3. (Sarma 1988:123)
  4. (Sarma 1988:124)

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  • শর্মা, পি. সি. (১৯৮৮)। Architecture of Assam। দিল্লি: আগম কালা প্রকাশন। 

টেমপ্লেট:ভারতের স্থাপত্য