নীলম দেও

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
২০১২ সালে হ্যালিফাক্স ইন্টারন্যাশনাল সিকিউরিটি ফোরামে শ্রীমতি দেও

নীলম দেও ১৯৭৫ ব্যাচের ভারতীয় পররাষ্ট্র পরিষেবার (আইএফএস) পদাধিকারী। তিনি ডেনমার্ক এবং কোত দিভোয়ার (আইভরি কোস্ট) তে ভারতের রাষ্ট্রদূত হিসাবে কাজ করেছেন। এর সঙ্গে সিয়েরা লিওন, নাইজার এবং গিনিতেও তার সেই স্বীকৃতি ছিল।

তার কর্মজীবনে, তিনি দুবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কর্মরত ছিলেন, প্রথমবার ১৯৯২ সাল থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত ওয়াশিংটন, ডিসি তে এবং দ্বিতীয়বার ২০০৫ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত নিউ ইয়র্ক শহরে। নিউ ইয়র্ক শহরের কনসাল জেনারেল হিসাবে, তিনি বিনিয়োগ প্রচার কর্মসূচির সঙ্গে জড়িত ছিলেন।

আইএফএস এ ৩৩ বছর কাজ করার পর, ২০০৯ সালে তিনি একত্রে গেটওয়ে হাউস: ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অন গ্লোবাল রিলেশনস এর প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি একাধারে সেন্টার ফর এয়ার পাওয়ার স্টাডিজের এক বিশিষ্ট সদস্য ছিলেন, উন্নয়নমূলক পরামর্শ দেওয়ার একটি সংগঠন - দ্য ক্লাইমেট গ্রুপ এর একজন উপদেষ্টা ছিলেন, এবং ব্রেকথ্রু নামক একটি মানবাধিকার সংস্থার বোর্ড সদস্য ছিলেন।

শিক্ষা[সম্পাদনা]

নীলম দেও দিল্লি স্কুল অফ ইকোনমিক্স থেকে অর্থনীতিতে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। আইএফএস এ যোগদান করার আগে, তিনি ১৯৭১ সাল থেকে ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের কমলা নেহরু কলেজে অর্থনীতি পড়িয়েছিলেন।[১] তার, বিশেষ করে, আফ্রিকা, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া, ভারত-মার্কিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, বাংলাদেশ ও অন্যান্য সার্ক প্রতিবেশী দেশগুলির বিষয়ে তথ্য সমন্বিত ব্যাপক জ্ঞান আছে। [২]

কূটনৈতিক কর্মজীবন[সম্পাদনা]

আইএফএস হিসাবে তিনি তার কর্মজীবন শুরু করেন ইতালি থেকে, ১৯৭৭ সাল থেকে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত। তার পরের কর্মক্ষেত্র ছিল থাইল্যান্ড। সেখানে তিনি ১৯৮৪ সাল থেকে ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত রাজনৈতিক এবং সংবাদ পদাধিকারী হিসাবে কাজ করেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালনকালে, তিনি বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, মায়ানমার ও মালদ্বীপের জন্য যুগ্ম সচিব হয়ে কাজ করেছেন। এর আগে তিনি ১৯৯৬ সাল থেকে ১৯৯৯ পর্যন্ত ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করেন এবং এর পর রাষ্ট্রদূত নিযুক্ত হন কোট ডি'ভা (আইভরি কোস্ট)তে (১৯৯৯-২০০২)। এর সঙ্গে সিয়েরা লিওন, নাইজার এবং গিনিতেও তার সেই স্বীকৃতি ছিল। তার সর্বশেষ নিয়োগে তিনি, ২০০৫ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত, নিউ ইয়র্কের কনসাল জেনারেল ছিলেন। তার বিশেষ দায়িত্বগুলির মধ্যে ছিল মার্কিন কংগ্রেসের সঙ্গে, নীতি নির্ধারকদের সঙ্গে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির সঙ্গে কৌশলগত বিষয় নিয়ে যোগাযোগ রাখা। [৩]

প্রকাশনা এবং উপস্থিতি[সম্পাদনা]

তিনি ভারতের অর্থনৈতিক উত্থানের[৪] সঙ্গে জড়িত বিষয়, স্বদেশ থেকে নির্বাসন[৫] এবং বিশ্বব্যাপী রাজনীতি নিয়ে প্রায়শই মন্তব্য করেন।[৪] তার নিবন্ধগুলি বিভিন্ন প্রকাশনা সংস্থা থেকে প্রকাশিত হয়েছে। এগুলির মধ্যে আছে - গেটওয়ে হাউস, নিউজউইক,[৬] রিডিফ.কম,[৭] এবং প্রগতি।[৮] বিবিসি, সিএনএন-আইবিএন এর মত সম্প্রচার মাধ্যমে উপস্থিত হওয়ার পাশাপাশি, শ্রীমতি দেওকে অনেক জনসভাতেও কথা বলতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

ব্যক্তিগত জীবন[সম্পাদনা]

নীলম দেও বিবাহ করেন প্রমোদ দেও কে। তিনি ভারতীয় প্রশাসনিক সেবা দপ্তরের একজন পদাধিকারী। এর আগে তিনি সেন্ট্রাল ইলেকট্রিসিটি রেগুলেটরী কমিশনের চেয়ারম্যান ছিলেন। [৯] তাদের একটি কন্যা আছেন, যিনি এখন পেনসিলভানিয়ার লেহাই বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনৈতিক বিজ্ঞানের সহযোগী অধ্যাপক।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Board of Directors, Breakthrough.tv"। www.breakthrough.tv। ১৩ আগস্ট ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ 
  2. "Gateway House Biodata"। ২৯ জানুয়ারি ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ 
  3. "Career"। Gateway House: Indian Council on Global Relations। ২৯ জানুয়ারি ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ 
  4. "Public Appearances"। Youtube.com। 
  5. "Diaspora" 
  6. "Newsweek" [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  7. "Rediff" 
  8. "Pragati" (পিডিএফ)। ১৭ মে ২০১২ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ 
  9. "Pramod Deo"। ১৪ ডিসেম্বর ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯