নিতাশা কাউল

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
নিতাশা কাউল
জন্ম১৯৭৬
পেশালেখক, কবি, মানবাধিকার কর্মী, শিক্ষাবিদ
পরিচিতির কারণResidue

নিতাশা কাউল[১] একজন কাশ্মীরি বংশোদ্ভূত কবি, লেখক এবং লন্ডন ভিত্তিক শিক্ষাবিদ। ২০০৯ সালে তিনি রেসিডিউ নামক একটি উপন্যাস লিখেছিলেন, যা ছিল কোনো কাশ্মীরি মহিলার ইংরেজি ভাষায় লেখা প্রথম উপন্যাস।[২] ২০০৯ সালের ম্যান এশিয়ান লিটারারি পুরস্কারের সংক্ষিপ্ত তালিকায় তিনি স্থান পেয়েছিলেন।[৩]

প্রারম্ভিক জীবন ও শিক্ষা[সম্পাদনা]

কাউল দিল্লিতে বেড়ে ওঠেন।[৩] তিনি তার স্কুল জীবন কাটিয়েছেন সেন্ট থমাস স্কুলে। এরপর তিনি শ্রী রাম কলেজ অফ কমার্স থেকে অর্থনীতিতে স্নাতকডিগ্রি অর্জন করেন। তারপর ইউনিভার্সিটি অব হাল থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন এবং সেখান থেকেই ২০০৩ সালে অর্থনীতি ও দর্শনশাস্ত্রে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন।[৪] তার ডক্টরাল থিসিস বিষয় ছিল ওয়ার্ল্ড অফ ইকোনমিক এপিস্টেমোলজির: রি-ইমাজিনিং থিওরি অ্যান্ড ডিফারেন্স।[৫]

ক্যারিয়ার[সম্পাদনা]

২০০২ সাল থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত কাউল ইউনিভার্সিটি অব বাথের অর্থনীতি বিভাগের একজন প্রভাষক হিসাবে[৫] এবং ব্রিস্টল বিজনেস স্কুলের অর্থনীতি বিভাগের একজন সহকারী অধ্যাপক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এরপর ২০১০ সালে তিনি ভূটানের রয়্যাল থিম্পু কলেজে ক্রিয়েটিভ রাইটিংয়ের সহযোগী অধ্যাপক হিসাবে যোগদান করেন।[৪] বর্তমানে তিনি ওয়েস্টমিনস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের একজন সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।[৪][৬] তিনি বর্তমানে যেসব বিষয় নিয়ে উৎসাহী এবং গবেষণা করছেন সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল: নারীবাদী বিভিন্ন বিষয় বিশেষত কাশ্মীরি নারী সম্পর্কিত বিষয়াদি, ভারতে মাসকুলার নিও-লিবারেল জাতীয়তাবাদের উত্থান এবং ভারতের ডানপন্থী রাজনীতি সম্পর্কে বিশ্লেষণ।[৭]

২০১৯ সালে ভারত কর্তৃক জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করার পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহে অঞ্চলটির মানবাধিকার পরিস্থিতি সম্পর্কে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র বিষয়ক একটি কমিটির শুনানির আয়োজন করে। ২২ অক্টোবর অনুষ্ঠিত সেই শুনানিতে ড. নিতাশা কাউল একজন অন্যতম প্রধান সাক্ষী হিসাবে উপস্থিত ছিলেন।[৮] সেখানে কাউল ভারতীয় ও পাকিস্তান শাসিত কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং গণতান্ত্রিক নীতি সম্পর্কে ইউএনএইচসিআর প্রণীত রিপোর্ট উপস্থাপনের পাশাপাশি ভারতের ভূখণ্ডে যোগাযোগের সুযোগ সুবিধা, সাম্প্রতিক আন্দোলন কঠোরভাবে দমন করা এবং গণ-গ্রেফতার সম্পর্কেও বক্তব্য রাখেন।[৯]

বই[সম্পাদনা]

নিতাশার লেখা প্রথম বইয়ের নাম ইমাজিনিং ইকোনমিক্স আদারওয়াইস: এনকাউন্টারস উইথ আইডেন্টিটি / ডিফারেন্স। ২০০৭ সালে লেখা এ বইটি ছিল অর্থনীতি এবং দর্শনের উপর একটি প্রকরণগ্রন্থ যা বিভিন্ন বিষয়ের সমন্বয়ে রচিত হয়েছিল।[১০][১১][১২]

তিনি রেসিডিউ নামক একটি ইংরেজি উপন্যাস লিখেছিলেন। এটি আসলে কোনো কাশ্মীরি নারীর লেখা প্রথম ইংরেজি উপন্যাস।[২] এজন্য ২০০৯ সালের ম্যান এশিয়ান লিটারারি পুরস্কারের সংক্ষিপ্ত তালিকায় তাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল।[৩][১৩]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. https://www.westminster.ac.uk/about-us/our-people/directory/kaul-nitasha
  2. Bazliel, Sharla (২৮ মার্চ ২০১৪)। "The urge for closure"। IndiaToday। সংগ্রহের তারিখ ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ 
  3. Flood, Alison (২০০৯-১০-২১)। "Indian subcontinent dominates Man Asian literary prize shortlist"The Guardian (ইংরেজি ভাষায়)। আইএসএসএন 0261-3077। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১২-২৮ 
  4. "Home Page"nitashakaul (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১২-২৮ 
  5. "CURRICULUM VITAE"nitashakaul (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১২-২৮ 
  6. "Dr Nitasha Kaul"। University of Westminster। সংগ্রহের তারিখ ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ 
  7. "Dr. Nitasha Kaul Research Outputs"। University of Westminster। সংগ্রহের তারিখ ২৯ ডিসেম্বর ২০১৯ 
  8. "Human Rights in South Asia: Views from the State Department and the Region, Panel II 116th Congress (2019-2020)"। US Congress। সংগ্রহের তারিখ ২৯ ডিসেম্বর ২০১৯ 
  9. "Written Testimony of Dr Nitasha Kaula: Hearing on "Human Rights in South Asia: Views from the State Department and the Region, Panel II" U.S. House of Representatives Subcommittee on Asia, the Pacific and Nonproliferation (Committee on Foreign Affairs)" (পিডিএফ)। US Congress। সংগ্রহের তারিখ ২৯ ডিসেম্বর ২০১৯ 
  10. Charusheela, S. (এপ্রিল ২০১০)। "Imagining Economics Otherwise: Encounters with Identity/Difference"Feminist Economics (ইংরেজি ভাষায়)। 16 (2): 141–146। আইএসএসএন 1354-5701ডিওআই:10.1080/13545701003731864 
  11. Richardson, Colin (২০০৮)। "Review of IMAGINING ECONOMICS OTHERWISE: ENCOUNTERS WITH IDENTITY/DIFFERENCE" (পিডিএফ)Heterodox Economics Newsletter (62)। 
  12. "A Postmodernist Critique"The Book Review (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১২-২৮ 
  13. Handoo, Bilal (৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬)। "Kashmir's Nitasha"Kashmir Life। সংগ্রহের তারিখ ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]