বিষয়বস্তুতে চলুন

নালাইয়া থেরপু

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
নালাইয়া থেরপু
চিত্র:Naalaiya Theerpu.jpg
প্রেক্ষাগৃহের পোস্টার
পরিচালকএস. এ. চন্দ্রশেখর
প্রযোজকশোভা চন্দ্রশেখর
চিত্রনাট্যকারএস. এ. চন্দ্রশেখর
কাহিনিকারশোভা চন্দ্রশেখর
শ্রেষ্ঠাংশে
সুরকারমনিমেকালাই
চিত্রগ্রাহকআর. পি. ইমাইয়াবরম্বন
সম্পাদকগৌতম রাজু
প্রযোজনা
কোম্পানি
মুক্তি
  • ৪ ডিসেম্বর ১৯৯২ (1992-12-04)
স্থিতিকাল১৪০ মিনিট
দেশভারত
ভাষাতামিল
নির্মাণব্যয়২০ লাখ
আয়১০ লাখ

নালাইয়া থেরপু (অনু. আগামীর রায়) হল একটি ১৯৯২ সালের ভারতীয় তামিল ভাষার সেচ্ছায় প্রতিশোধমূলক মারপিট চলচ্চিত্র, যা পরিচালনা করেছেন এস. এ. চন্দ্রশেখর এবং প্রযোজনা করেছেন তার স্ত্রী শোভা চন্দ্রশেখর। চলচ্চিত্রটি তাদের ছেলে বিজয়ের অভিনেতা হিসাবে অভিষেকের জন্য উল্লেখযোগ্য। চলচ্চিত্রে শ্রীবিদ্যা, রাধা রবি এবং শরৎ বাবুসহ, এতে আরও অভিনয় করেছেন কীর্থনা ও ঈশ্বরী রাও। এটির সুর ও সঙ্গীতায়োজন করেছেন নবাগত মণিমেকলাই, সঙ্গে চিত্রগ্রহণ করেছেন আর. পি. ইমায়াভারম্বন ও সম্পাদনা করেছেন গৌতম রাজু। চলচ্চিত্রের গল্পটি আবর্তিত হয়েছে একজন বড় ব্যবসায়ীকে কেন্দ্র করে, যার বহু-বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে, তার স্ত্রীকে শ্লীলতাহানি করে। যাইহোক, ব্যাপারগুলো একটু অপ্রত্যাশিতভাবে অন্যদিকে মোড় নেয়, যখন সে গর্ভবতী হলে, তার একটি ছেলে সন্তান জন্মগ্রহণ করে, যে পরবর্তীকালে তার পিতার কাজের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেয়।

চলচ্চিত্রটি ১৯৯২ সালের ৪ঠা ডিসেম্বর মুক্তি পায়, যা বেশিরভাগ সমালোচকের নেতিবাচক পর্যালোচনা পায় এবং বক্স অফিসে অপ্রত্যাশিতভাবে ব্যর্থ হয়, যদিও বিজয় সেরা নবীন অভিনয়শিল্পী বিভাগে সিনেমা এক্সপ্রেস পুরস্কার জিতেছিলেন।

কাহিনিসংক্ষেপ[সম্পাদনা]

মহালক্ষ্মী তার স্বামী অরুণ মেহতার নির্যাতন সহ্য করেও তার সংসার করেন। অরুণ মেহতা একাধিক নারীর সঙ্গে তার অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তুলেছে। তবুও মহালক্ষ্মী তার পুত্র বিজয়কে মানুষের মানুষ হিসেবে বড় করেন। বিজয় পরবর্তীতে তার বাবার অন্যায়ের প্রতিশোধ নেন।

অভিনয়শিল্পী[সম্পাদনা]

নির্মাণ[সম্পাদনা]

বিজয় আঠারো বছর বয়সে প্রধান অভিনেতা হিসেবে তার প্রথম চলচ্চিত্রে আত্মপ্রকাশ করেন।[১] তিনি রজনীকান্তের একজন ভক্ত ছিলেন এবং তার বাবা চন্দ্রশেখরকে বলেছিলেন যে তিনি একটি চলচ্চিত্রের প্রধান চরিত্রে অভিনয় করতে চান। বিজয় অন্নামালাই (১৯৯২) ছবির একটি দৃশ্যে নিজে নিজে অভিনয় করেছিলেন, যে দৃশ্যে প্রধান চরিত্র (রজনীকান্ত) অশোককে (শরৎ বাবু) চ্যালেঞ্জ করেন। চন্দ্রশেখর সেসময়ের স্মৃতিচারণ করে বলেন, "সে এটি ঠিক যেমন ছবিতে ছিল তেমনই করে দেখিয়েছিল [...] তখনই আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে তার মধ্যে প্রতিভা আছে, যা তার প্রচণ্ড রকমের আবেগ।"[২]

সঙ্গীত[সম্পাদনা]

চলচ্চিত্র সুর ও সঙ্গীতায়োজন করেছেন এম. এম. শ্রীলেখা, যিনি ১২ বছর বয়সে মণিমেকালাই নামে এই চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তার কর্মজীবন শুরু করেছিলেন।[৩] এটি সবগুলো গানের গীত রচনা করেছেন যথাক্রমে পুলমাইপিথান, পি. আর. সি. বালু এবং ভরানি। পরবর্তীকালে ভরানি একজন জনপ্রিয় সঙ্গীত পরিচালক হিসাবে নিজেকে গড়ে তুলেন।[৪][৫]

গানের তালিকায়ন
নং.শিরোনামশিল্পী(রা)দৈর্ঘ্য
১."আয়িরাম এরিমালাই"এস. পি. বালসুব্রহ্মণ্যম৪:৪৯
২."অম্মাদি রানি"এস. এন. সুরেন্দর, মিনমিনি৪:৫১
৩."মাপিল্লাই নান"এস. এন. সুরেন্দর, মিনমিনি, মনিমেকালাই৭:৪১
৪."বাড়াই কুলিরকাত্রু"কে. এস. চিত্র৪:৫৮
৫."এমটিভি পার্থুপুত্ত"সঙ্গীতা৫:০৬
৬."উদালুম ইনতা উয়িরুম"এস. পি. বালসুব্রাহ্মণ্যম, কে. এস. চিত্র৪:৩৫
৭."উদালুম ইনতা উয়িরুম" (ব্যাদনায়ক সংস্করণ)এস. পি. বালসুব্রাহ্মণ্যম, কে. এস. চিত্র৪:৩০
মোট দৈর্ঘ্য:৩৬:৩০

মুক্তি ও পর্যালোচনা[সম্পাদনা]

নালাইয়া থীরপু ১৯৯২ সালের ৪ ডিসেম্বর মুক্তি পায়।[৬] দি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের আয়াপ্পা প্রসাদ লিখেছিলেন, "বর্তমান রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে অনেক তীক্ষ্ণ মন্তব্য এই চলচ্চিত্রটিকে দেখার মতো করে তুলেছে"।[৭] যদিও, অন্যান্য পর্যালোচনার বেশিরভাগই নেতিবাচক ছিল,[৮] যার মধ্যে কুমুদাম ম্যাগাজিন লিখেছিল, "আমাদের কি এই মুখটি থিয়েটারে দেখতে টিকেট কিনতে হবে?"[৯] চন্দ্রশেখরের আত্মবিশ্বাস সত্ত্বেও, নালাইয়া থীরপু বক্স অফিসে দারুণভাবে ব্যর্থ হয়। ২০১৮ সালে চন্দ্রশেখর সেসময়কার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেন, "সত্যি বলতে, আমার এই চলচ্চিত্রটি তার জন্য নির্মাণ করা উচিত ছিল না, বিশেষ করে যখন সে মাত্র ১৮ বছর বয়সে ছিল [...] আমি ভেবেছিলাম যেহেতু আমার ছেলে এখন অভিনেতা হয়ে উঠছে, আমি আমার চলচ্চিত্র নির্মাণের ধারা চালিয়ে যেতে পারব এবং তার মাধ্যমে সমাজ সচেতন বার্তা দর্শকদের কাছে পৌঁছে দিতে পারব। হয়তো সময়টা সঠিক ছিল না"।[২] চলচ্চিত্রটির ব্যর্থতা সত্ত্বেও, বিজয় সেরা নবাগত অভিনেতা বিভাগে সিনেমা এক্সপ্রেস পুরস্কার জিতেছিলেন।[১০]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Manmadhan, Prema (২৩ নভেম্বর ২০০৭)। "Style of his own"The Hindu। ১ ডিসেম্বর ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ আগস্ট ২০১৩ 
  2. Nathan, Archana (৫ নভেম্বর ২০১৮)। "Tamil movie star Vijay's career has always been about punches and punch dialogue"Scroll.in। ৮ নভেম্বর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২১ 
  3. Ashok Kumar, S. R. (২৮ নভেম্বর ২০১৩)। "Audio Beat: Kadhal Solla Aasai — Love is in the air"The Hindu। ৫ নভেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ জুলাই ২০২১ 
  4. "Interviews – Music Director Bharani"Behindwoods। ২২ আগস্ট ২০০৫। ৬ ডিসেম্বর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ আগস্ট ২০১৩ 
  5. "Naalaya Theerpu"Gaana। ৭ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ ডিসেম্বর ২০২১ 
  6. "Vijay completes 21 years in Kollywood"Sify। ৪ ডিসেম্বর ২০১৩। ৩ জুলাই ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ জুলাই ২০২১ 
  7. Prasad, Ayyappa (১১ ডিসেম্বর ১৯৯২)। "Nailing the nexus"The Indian Express। পৃষ্ঠা 7। ১৪ নভেম্বর ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ এপ্রিল ২০২২Google News Archive-এর মাধ্যমে। 
  8. "'Ilayathalapathy' Vijay and his 22 years of stardom!"Sify। slide 3। ৭ জুন ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ ডিসেম্বর ২০২১ 
  9. George 🍿🎥 [@georgeviews] (২৭ মে ২০১৯)। "#Kumudam was the magazine that wrote "Should we pay to see this face in theaters?" Kumudam had conducted a survey in 1994 for NO.1 actor in Tamil Nadu and survey declared #Vijay as the NO.1 actor in Tamil Nadu. Since 1994-Present, Vijay has been dominating the surveys and polls." (টুইট)। ৪ মার্চ ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ মার্চ ২০২৪টুইটার-এর মাধ্যমে। 
  10. "Kamal, Revathi on top | Cinema Express Awards"The Indian Express। Express News Service। ১৭ মার্চ ১৯৯৩। পৃষ্ঠা 4 – Google News Archive-এর মাধ্যমে। 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]