নারীবাদী প্রতিরোধ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

নারীবাদী প্রতিরোধ বা ফেমিনিস্ট ফাইটব্যাক হল যুক্তরাজ্যে অবস্থিত একটি নারীবাদী পুঁজিবাদ বিরোধী কর্মী সমষ্টি।

ইতিহাস এবং দৃষ্টিভঙ্গি[সম্পাদনা]

নারীবাদী প্রতিরোধ কর্মীদের সমষ্টি গঠন শুরু হয়েছিল ২০০৬ এবং ২০০৭ সালে সম্মেলনের কর্মসূচীর পর। [১] [২]

রবিনসন যুক্তরাজ্যে যাকে "নারীবাদী সক্রিয়তার পুনরুত্থান" বলে অভিহিত করেছিলেন, নারীবাদী প্রতিরোধকে তার একটা অংশ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। [৩] ডিন একে সমাজতান্ত্রিক দল হিসেবে বর্ণনা করেছেন। [৪]

সক্রিয়তা[সম্পাদনা]

২০০৮ সালে, লন্ডনের আন্ডারগ্রাউন্ড সাফাই কর্মীরা জীবনধারণের পক্ষে ন্যূনতম মজুরি, অসুস্থতার বেতন, ২৮ দিনের ছুটি, পেনশন হিসেবে চূড়ান্ত বেতন, বিনামূল্যে ভ্রমণের সুবিধা এবং তৃতীয় পক্ষের চাকরিচ্যুতির অবসানের দাবীতে ধর্মঘট শুরু করেছিল। এই ধর্মঘটকে নারীবাদী প্রতিরোধ সমর্থন করেছিল। [৫] [৬]

২০১৫ সালের ৩১শে জানুয়ারী, নারীবাদী প্রতিরোধীরা আবাস কর্মী, ইউনিয়ন এবং প্রচারকদের সাথে যোগ দিয়ে সিটি হলে লন্ডনের তৎকালীন মেয়র বরিস জনসনের কাছে মিছিল করে যায় এবং লন্ডনের জন্য আরও ভাল আবাসনের দাবি করে। [৭]

২০১৭ সালে, নারীবাদী প্রতিরোধীরা লন্ডন স্কুল অফ ইকোনমিক্স সাফাই কর্মীদের ধর্মঘটকে সমর্থন করেছিল। [৮]

নারীবাদী প্রতিরোধীরা যুক্তি দেয় যে সরকারি খাতে ছাঁটাইয়ের ঘটনা মহিলাদের উপর একটি অসামঞ্জস্যপূর্ণ প্রভাব ফেলেছে। [৯] [১০] [১১] তারা মহিলাদের উপর কঠোরতা দেখানোর ব্যবস্থার অসামঞ্জস্যপূর্ণ প্রভাব হিসাবে যা মনে করে তার বিরুদ্ধে প্রচারণা চালিয়েছিল। [১২]

নারীবাদী প্রতিরোধীরা তথাকথিত ফোকাস ই১৫ ক্যাম্পেইনকে সমর্থন করেছিল। এটি ছিল আবাসন সংকট [১৩] এবং যুক্তরাজ্যে উপলব্ধ সাশ্রয়ী আবাসনের অভাবের বিরুদ্ধে প্রচারাভিযান।

নারীবাদী প্রতিরোধ যুক্তরাজ্যের বেশ কয়েকটি গোষ্ঠী, সংগঠন এবং কর্মীদের মধ্যে রয়েছে, তাদের মধ্যে আছে ক্যালাইস মাইগ্রেন্ট সলিডারিটি, নো ওয়ান ইজ ইজলিগাল, লন্ডন নো বর্ডারস ইত্যাদি। এরা অভিবাসীদের অধিকার এবং তাদের চলাফেরার স্বাধীনতা এবং অভিবাসন নিয়ন্ত্রণের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালাচ্ছে।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Campaigns - The F-Word"www.thefword.org.uk (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১২-০৫-১১। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৩-১৭ 
  2. "Feminist Fightback"Feminist Fightback (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৩-১৭ 
  3. Robinson, Victoria (২০০৮)। Introducing Gender and Women's StudiesPalgrave Macmillan। পৃষ্ঠা 46। আইএসবিএন 9781137310699 [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  4. Dean, Jonathan (২০১০)। Rethinking Contemporary Feminist PoliticsPalgrave Macmillan। পৃষ্ঠা 4, 162। আইএসবিএন 9780230283213 
  5. Lossifidis, Alex (২০০৮-০৭-০৪)। "Feminism and the Tube"New Statesman। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৪-১৭ 
  6. "Tube cleaners in 'fair wage' call"BBC News (ইংরেজি ভাষায়)। ২০০৮-০৭-১৬। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৩-২৩ 
  7. Townsend, Mark; Kelly, Liam (২০১৫-০১-৩১)। "Thousands gather in London to protest against lack of affordable housing"The Guardian (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৩-১৫ 
  8. "Supporting the LSE cleaner's strike from the picket lines - The F-Word"www.thefword.org.uk (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৭-০৬-২৪। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৩-২৩ 
  9. Endnotes। "The Logic of gender: On the separation of spheres and the process of abjection"Endnotes। ১৬ মার্চ ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ মার্চ ২০১৮ 
  10. Davies, Helen (২০১৬)। Gender and Austerity in Popular Culture: Femininity, Masculinity and Recession in Film and Television 
  11. "After Beyond the Fragments"www.redpepper.org.uk (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৩-২৩ 
  12. Pearson, Anya (১৫ অক্টোবর ২০১৪)। "What mainstream politics can learn from the new wave of feminist activism"New Statesman (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১৬ আগস্ট ২০২০ 
  13. Pettifor, Ann (২০১৮-০১-২৭)। "Why building more homes will not solve Britain's housing crisis"The Guardian (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৩-১৫