বিষয়বস্তুতে চলুন

নবীনচন্দ্র দাস

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
নবীনচন্দ্র দাস
জন্ম১৮৪৫
মৃত্যু১৯২৫ (৮০ বছর)
বাগবাজার, কলকাতা, বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারত
অন্যান্য নামবাগবাজারের নবীন ময়রা, রসগোল্লার কলম্বাস
পেশাব্যবসায়ী, পরিপূরক, উদ্যোক্তা
কর্মজীবন১৮৬৪-১৯২৫
পরিচিতির কারণরসগোল্লা, দেদো সন্দেশ, আতা সন্দেশ, কাঠাল সন্দেশ, আবার খাবো, সন্দেশ, কাস্তুরা পাক, বৈকুণ্ঠ ভোগ
উত্তরসূরীকৃষ্ণচন্দ্র দাস (কে.সি. দাস)
আন্দোলনবাংলা নবজাগরণ
দাম্পত্য সঙ্গীক্ষীরদমণি দেবী
সন্তান
আত্মীয়ভোলানাথ মোদক বা ভোলা ময়রা(শ্বশুর)[]
ওয়েবসাইটwww.kcdas.co.in

নবীনচন্দ্র দাস (১৮৪৫-১৯২৫) ছিলেন একজন প্রসিদ্ধ বাঙালি মিষ্টান্ন প্রস্তুতকারক, উদ্যোক্তা এবং ব্যবসায়ী। ঊনিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে ও বিশ শতকের শুরুতে বাংলার সংস্কৃতিতে তথা বাঙালির জীবনে তার তৈরি মিষ্টান্ন জনপ্রিয়তার কারণে বিশেষ স্থান অধিকার করে। তিনি বাংলার অতি জনপ্রিয় মিষ্টান্ন রসগোল্লার উদ্ভাবক হিসাবে পরিচিতি লাভ করেন। [][] নবীনচন্দ্র দাসের জন্ম ও বেড়ে ওঠা ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির আমলের ভারতের রাজধানী কলকাতা শহরে। বাংলা সংস্কৃতি ও সমাজে নবীন চন্দ্র দাসের প্রধান অবদান ছিল তার উদ্ভাবনী মিষ্টান্ন। বাঙালির জন্য তার উদ্ভাবিত অভিনব মিষ্টান্ন বিশেষ খ্যাতি অর্জন করে। তার তৈরি মিষ্টান্ন আজকের বাঙালি রসনায় এক গুরুত্বপূর্ণ ও শেষপাতের আবশ্যিক সংযোজন ও পরিবেশন - ব্যাপকভাবে পরিচিত "রসগোল্লা"। ঊনিশ শতকের বাংলায় এই জনপ্রিয় মিষ্টান্ন, সৃষ্টিকর্তা হিসেবে তাঁকে রসগোল্লার কলম্বাস বা রসগোল্লার জনক হিসাবে চিহ্নিত করেছে। [][] তার অন্যান্য সৃষ্টির মধ্যে রয়েছে "আবার খাবো", "দেদো সন্দেশ" এবং "বৈকুন্ঠ ভোগ" (উভয়ই "কাঁচা পাক" বেস উপাদান হিসাবে ব্যবহার করে), সুপরিচিত "কস্তুরি পাক" "আতা (কাস্টার্ড আপেল) সন্দেশ" এবং "কাঠাল (কাঁঠাল) সন্দেশ"।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. সুবোধ সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান, প্রথম খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, নভেম্বর ২০১৩, পৃষ্ঠা ৫৩০, আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭৯৫৫-১৩৫-৬
  2. "The Telegraph - Calcutta : Metro"। Telegraphindia.com। সংগ্রহের তারিখ ৫ অক্টোবর ২০১৪ 
  3. "Nobin Chandra Das Inventor of Rossogolla"YouTube। সংগ্রহের তারিখ ৫ অক্টোবর ২০১৪ 
  4. "Calcutta celebrates Madly Mishti - Times of India"The Times of India 
  5. "A sweet rush"The New Indian Express