নগেন্দ্রনাথ দত্ত

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
নগেন্দ্রনাথ দত্ত
জন্ম১৮৯৮
মৃত্যু১৯১৮
আন্দোলনভারতীয় মুক্তিযুদ্ধ

নগেন্দ্রনাথ দত্ত (জন্ম:- ১৮৮৫ - মৃত্যু:- ১৯১৭) ছিলেন ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামের একজন মহান বিপ্লবী। তিনি 'গিরিজা বাবু' নামে প্রসিদ্ধ ছিলেন। নগেন্দ্রনাথ অনুশীলন সমিতির সদস্য ছিলেন।[১]

জন্ম ও শৈশব[সম্পাদনা]

নগেন্দ্রনাথ দত্তের জন্ম ১৮৯৮ সালে ভোজপুর-শ্রীহট্টতে হয়েছিল। পিতা গোবিন্দচন্দ্র দত্ত ছিলেন সুনামগঞ্জের নাম করা উকিল। বাল্যকালে থেকেই নগেন্দ্রনাথ ইংরেজদের কাজকর্মের প্রতি আকৃষ্ট ছিলেন। ১৪ বছর বয়সে নগেন্দ্রনাথ পিতার কাছ থেকে বন্ধুক চাপানো শিক্ষা নেন। বাল্যবয়সে বন্ধুদের সাথে একদিন রিভলবার চালানো শিখতে গিয়ে উরুতে গুলিবিদ্ধ হন। সুনামগঞ্জে আইন পড়ার সময় নগেন্দ্রনাথ বঙ্গ-ভঙ্গ আন্দোলনে যোগ দেন।[২] তার পর তিনি অনুশীলন সমিতিতে যোগ দিয়ে নিজের গ্রামে একটি শাখা তৈরি করেন।

বিপ্লবী কর্মকাণ্ড[সম্পাদনা]

১৯০৮ সালে পুলিন দাস গ্রেপ্তার হয়ে কারাদণ্ডে দিপান্তরিত হলে নগেন্দ্রনাথ অনুশীলন সমিতির প্রধান কার্জকর্তা রূপে চিহ্নিত হন। নগেন্দ্রনাথ দত্তের দায়িত্ব ছিল পূর্ববঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় স্বদেশী ডাকাতি ও বিশ্বাসঘাতকতার হত্যা করা। তিনি বিপ্লবী মহানায়ক রাসবিহারী বসুর অত্যন্ত কাছের ছিল। রসবিহাসি বসুর সংস্পর্শে তিনি উত্তর ভারতে তিনি বিপ্লবী দল সংগঠন করতেন। রাসবিহারী বসু ভারত ত্যাগ করলে নগেন্দ্রনাথ বিপ্লবীদের সংযোজ করতে প্রাণপন চেষ্টা করে। ১৯১৫ সালে নগেন্দ্রনাথ বেনারস ষড়যন্ত্রে সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছেন। বেনারস ষড়যন্ত্রে সে বছরই নগেন্দ্রনাথ কে গ্রেপ্তার করা হয়।

নগেন্দ্রনাথ দত্ত বেনারস ষড়যন্ত্রের কারনে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ৪ বছর কারাগারে বন্দি অবস্থায় তার ওপর যে আচরণ অত্যাচার করা হয়, তার প্রতিবাদে নগেন্দ্রনাথ অন্ন-জল ত্যাগ করেন। এই কারনে আগ্রা জেলে আমাশয় রোগে আক্রান্ত হন।

বিপ্লবী নগেন্দ্রনাথ দত্ত আমাশয় রোগে আক্রান্তের কারনে প্রায় বিনা চিকিৎসায় ১৯১৮ সালে তার মৃত্যু হয়।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. রায়, প্রকাশ। বিস্মৃত বিপ্লবীবিপ্লবীদের জীবনী 
  2. রায়, প্রকাশ (২০২১)। ক্ষমা নেই দেশদ্রোহী। তামিলনাড়ু (চেন্নাই): নোশনপ্রেস।