নওয়াজীশ আলী খান

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
(নওয়াজিশ আলি খান থেকে পুনর্নির্দেশিত)
নওয়াজীশ আলী খান
নওয়াজীশ আলী খান
জাতীয়তাবাংলাদেশী
পেশানাট্য পরিচালক
পুরস্কারএকুশে পদক (২০২৩)

নওয়াজিশ আলি খান বাংলাদেশের প্রখ্যাত নাট্য এবং টেলিভিশন অনুষ্ঠান নির্মাতা।[১] তিনি ১৯৭৫ ও ১৯৭৬ সালে "বর্ণালী" ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান পরিচালনার জন্য জাতীয় টেলিভিশন পুরস্কার লাভ করেন। শিল্পকলায় তার অবদানের জন্য তাকে ২০২৩ সালে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক একুশে পদক প্রদান করা হয়।[২]

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

নওয়াজীশ আলী খান ১৯৬৭ সালে পাকিস্তান টেলিভিশনে কাজ শুরুর মধ্য দিয়ে কর্মজীবন শুরু করেন।[৩] ১৯৭২ সালে তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশনে যোগদান করেন ও বাংলাদেশ টেলিভিশন-এর মহাব্যবস্থাপক পদ থেকে ১৯৯৮ সালে অবসর গ্রহণ করেন।[৪] ১৯৯৯ সালের প্রারম্ভে তিনি একুশে টেলিভিশন-এর অনুষ্ঠান প্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ২০০৩-এর শুরুর দিকে তিনি এটিএন বাংলা টিভিতে অনুষ্ঠান প্রধান এবং পরবর্তীতে অনুষ্ঠান উপদেষ্টা হিসেবে দীর্ঘদিন কর্মরত ছিলেন। ২০১৮ -এর শেষাশেষি উনি গ্লোবাল টেলিভিশনে প্রধান নির্বাহী পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং এখনো উক্ত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন।[৫]

জনাব নওয়াজীশ আলী খান গত ২৯শে নভেম্বর ২০১৭ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশন মিডিয়ায় নিরবচ্ছিন্নভাবে ৫০ বছরের কর্মজীবন পূর্ণ করেন।[৬][৭]

কর্ম[সম্পাদনা]

হুমায়ূন আহমেদের অসংখ্য নাটকের পরিচালক জনাব নওয়াজীশ আলী খান। ১৯৮৩ সালে হুমায়ুন আহমেদ-কে দিয়ে ওনার প্রথম টেলিভিশন নাটক লিখিয়েছিলেন পরিচালক নওয়াজীশ আলী খান। নাটকটির নাম ছিলো "প্রথম প্রহর"[৮][৯] এবং তারপর এই জুটি ক্রমান্বয়ে তৈরি করেছেন অসংখ্য সব দর্শকপ্রিয় নাটক, যেমন: বহুব্রীহি, অয়োময়, নিমফুল, জননী, গাছ মানুষ, কবি, মাটির পিঞ্জিরায় বন্দী হইয়া (যেটি "নান্দাইলের ইউনুস" নামে সর্বাধিক পরিচিত), মরনেরে তুহুঁ মম, বিবাহ, এসো নীপবনে, হিমু, ওইজা বোর্ড এবং আরও অনেক নাটক।

নওয়াজীশ আলী খান প্রয়াত মেয়র জনাব আনিসুল হক-এর উপস্থাপনায় বেশ কিছু অনুষ্ঠান পরিচালনা করেছিলেন। যার মধ্যে ঈদের " আনন্দমেলা" এবং "জলসা" অনুষ্ঠানটি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।[১]

পুরস্কার[সম্পাদনা]

  • সেরা টেলিভিশন প্রোগ্রামের জন্য জাতীয় পুরস্কার- বর্ণালী (১৯৭৫ ও ১৯৭৬)
  • শের-ই-বাংলা সাহিত্য পদক (১৯৯২)
  • ঢাকা যুব ফাউন্ডেশন পুরস্কার (১৯৯৫)
  • কলধ্বনী স্বাধীনতা স্বর্ণপদক (১৯৯৫)
  • জাতীয় টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব পদক (১৯৯৫)
  • টিডিএফ আজীবন অবদানের পদক (২০০৪)
  • এ-১ টেলিমেডিয়া এবং সিল্ক লাইন স্বাধীনতা পুরস্কার (২০০৫)
  • বিজয়বার্তা সন্মাননা পুরস্কার (২০১৭)[১]
  • একুশে পদক (২০২৩)[২]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. সানজিদা চৌধুরী (২০১৮-০৫-১৯)। "Nawazish Ali Khan - 50 Years in Television"দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৫-২২ 
  2. প্রতিবেদক, নিজস্ব। "বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনসহ ২১ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান পাচ্ছে একুশে পদক"দৈনিক প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০২-১৩ 
  3. এরশাদ কমল (২০০৮-১০-১১)। "TV icon on current state of the industry"দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৫-২২ 
  4. নওয়াজীশ আলী খান (২০১৪-১২-২৪)। "বিটিভির সুবর্ণজয়ন্তী এবং আমার কিছু স্মৃতিঃ নওয়াজীশ আলী খান"Risingbd.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৮-১২ 
  5. "এটিএন বাংলা ছেড়ে গ্লোবাল টিভিতে নওয়াজীশ আলী খান"সারাবাংলা। ২০১৯-০৭-২০। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৮-১২ 
  6. গ্লিটজ প্রতিবেদক (২০১৭-১১-২৯)। "সংবর্ধিত হলেন নওয়াজীশ আলী খান"bdNews24.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৮-১২ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  7. "টেলিভিশনে কর্মজীবনে নওয়াজীশ আলী খানের ৫০ বছর পালন"jagonews24.com। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ 
  8. নওয়াজীশ আলী খান (২০১৮-০৭-১৯)। "হুমায়ূন-এর প্রথম প্রহর"Risingbd.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৮-১২ 
  9. রাসেল রায়হান (২০২০-০৩-১৫)। "প্রথম নাটক তিনবার লিখেছিলেন হুমায়ূন আহমেদ"অন্য আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৮-১২