ধালু প্রবাল দ্বীপপুঞ্জ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
(ধালু প্রবালদ্বীপ থেকে পুনর্নির্দেশিত)
ধালু প্রবাল দ্বীপপুঞ্জ
মালদ্বীপের দ্বীপপুঞ্জ
ধালু প্রবাল দ্বীপপুঞ্জের স্কাইলাইন
দেশমালদ্বীপ
সম্বনিত ভৌগোলিক দ্বীপপুঞ্জনিলান্ধে অথোলু ঢেকুনুবুরি
অবস্থান২° ৫০' উ এবং ৭২° ৫০' উ
রাজধানীকুদাহুভাধু
সরকার
 • প্রধানমোহাম্মদ সাফেয়ু [১]
জনসংখ্যা
 • মোট৫,৩০৫
ডাক কোডএম
দিবেহি ডাক কোডধ ( ދ )
 • দ্বীপের সংখ্যা৫৬
 • মানব বসতিপূর্ণ দ্বীপ
 • মানব বসতিহীন দ্বীপ
রিসোর্ট দ্বীপ(*), বিমানবন্দরসহ(¤) ও বাণিজ্যিক দ্বীপগুলোও মানব বসতিহীন হিসেবে বিবেচিত

ধালু প্রবাল দ্বীপপুঞ্জ যা দক্ষিণাঞ্চলীয় নিলন্ধে প্রবালদ্বীপ বা নীলান্ধে প্রবালদ্বীপ ধেকুনুবুরি নামে স্থানীয়ঞ্চলে পরিচিত। এটি মালদ্বীপের একটি প্রবালদ্বীপ। ধালু প্রবালদ্বীপ প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট দ্বীপের সম্বনয়ে সৃষ্টি।

ভৌগোলিক অবস্থান[সম্পাদনা]

ধালু প্রবাল দ্বীপপুঞ্জ পূর্ব থেকে পশ্চিম দিকে ২৩ কিলোমিটার বা ১৪ মাইল এবং উত্তর থেকে দক্ষিণে ৩৮ কিলোমিটার বা ২৩ মাইল বিস্তৃত।

ধালু প্রবালদ্বীপে মোট ৫৬ টি দ্বীপ রয়েছে। এগুলোর মধ্যে ৭টি দ্বীপে মানুষ বসবাস করে৷ দ্বীপগুলোর সম্মিলিত মোট জনসংখ্যা প্রায় ৬৬৯৪ জন। ধালু প্রবালদ্বীপের রাজধানী কুডাহুধু দ্বীপ। এই দ্বীপটি দ্বীপপুঞ্জের দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত।

ধালু প্রবাল দ্বীপপুঞ্জে পর্যটন শিল্প

ধালু দ্বীপপুঞ্জের পশ্চিম দিকে হুলহুধেলি এবং রিনবুধু (রিমবুডু) দ্বীপ অবস্থিত। এই দুটি দ্বীপ রত্ন ও স্বর্ণকারদের জন্য প্রসিদ্ধ ও ঐতিহ্যগত দিক দিয়ে পুরো মালদ্বীপে বিখ্যাত। দ্বীপপুঞ্জটি পূর্ব প্রান্তে জনহীন দ্বীপ গেমেনডুসহ ১১টি জনহীন দ্বীপের দীর্ঘ লাইন দ্বারা বেষ্টিত। বুলাহাফুশি ও নায়েবুকালোয়াবদুফুশি এই দ্বীপপুঞ্জের মধ্যে সংযোগ তৈরি করেছে। নিম্ন জোয়ারের সময় এই দ্বীপপুঞ্জে হেটে যাওয়া যায়।

ধালু প্রবালদ্বীপের একমাত্র হাসপাতালটি কুদাবাহুধু দ্বীপে অবস্থিত। [২]

ধালু দ্বীপপুঞ্জ থেকে নিয়মিত অন্তঃদেশীয় বিমান চলাচল ব্যবস্থা রয়েছে। ভেলানা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ধালু বিমানবন্দরে নিয়মিত বিমান চলাচল করে৷ এই বিমানবন্দরটি কুদাহুভাধু দ্বীপে অবস্থিত।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

এই দ্বীপপুঞ্জের কিছু দ্বীপ বৌদ্ধ আমল থেকে বিদ্যমান রয়েছে। তবে এর মধ্যে এখনও কোনওটিই সঠিকভাবে খনন করা হয়নি। হাউতি নামে পরিচিত রহস্যময় ঢিবি কুদাবাহুধুতে পাওয়া যায়। কুদাবাহুধুর পুরাতন মসজিদে দেশের সেরা কিছু নান্দনিক স্থাপত্যশিল্পের নিদর্শন পাওয়া যায়।

১৯৯৮ সালে চালু হওয়ার পরপরই ধুলা দ্বীপপুঞ্জ স্কুবা ডাইভিংয়ের জন্য একটি জনপ্রিয় স্থানে পরিণত হয়েছে।

গেমেঞ্জ দ্বীপে ২০০৪ সালে ভারত মহাসাগরে ভূমিকম্প ও সুনামি আঘাত হানার পর দ্বীপটির বহু ভবন ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়। পরে দ্বীপটিকে পরিত্যক্ত করা হয়েছিল।

রিনবধু সুনামির কারণে খুব ভয়ানকভাবে আক্রান্ত হয়েছিল এবং অর্ধেক জনসংখ্যার লোক থুলুশদুতে চলে গেছিল। কথিত আছে যে প্রথমদিকে রিনবুধু দ্বীপ অন্য দ্বীপগুলোর মধ্যে জনসংখ্যার সর্বাধিক ঘনত্ব ছিল। কিন্তু এখন এই দ্বীপে কেউ বসবাস করে না। দ্বীপটিতে প্রায় ৩০০ বছরের পুরানো একটি মসজিদটি বাঁকা পাথর দ্বারা নির্মিত।

পর্যটন শিল্প[সম্পাদনা]

দক্ষিণ নিল্যান্ডে অ্যাটল এর জনশূন্য দ্বীপ মাফুশি

ধালু দ্বীপপুঞ্জে অনেক বিলাসবহুল রিসোর্ট রয়েছে। এর মধ্যে কিছু রিসোর্ট নির্মাণাধীন রয়েছে।[৩] যেসব রিসোর্ট উল্লেখযোগ্য সেসব হলো-

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. [১]
  2. Dhaalu Atoll Hospital
  3. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২৩ জানুয়ারি ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ নভেম্বর ২০১৯ 

গ্রন্থপঞ্জি[সম্পাদনা]

  • Divehi Tārīkhah Au Alikameh. Divehi Bahāi Tārikhah Khidmaiykurā Qaumī Markazu (পুনঃমুদ্রণ-১৯৫৮; সংস্করণ-মালে ১৯৯০)
  • Divehiraajjege Jōgrafīge Vanavaru. Muhammadu Ibrahim Lutfee. G.Sōsanī.
  • Xavier Romero-Frias, The Maldive Islanders, A Study of the Popular Culture of an Ancient Ocean কিংদম (সংস্করণ-বার্সেলোনা ১৯৯৯)