দ্য মোসলেম ক্রনিকল

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

দ্য মোসলেম ক্রনিকল ছিল ১৯ শতকের শেষের দিকে কলকাতা থেকে প্রকাশিত একটি স্বল্পকালীন সাপ্তাহিক ইংরেজি ভাষার সংবাদপত্র। [১] [২] সংবাদপত্রটি ইউরোপীয় মুসলিম বাঙালি সম্প্রদায়ের মতামতের প্রতিনিধিত্ব করেছিল। [৩]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

১৮৯৫ সালে মোসলেম ক্রনিকল প্রকাশনা শুরু করে। আবদুল হামিদ কর্তৃক প্রকাশিত এবং ইংরেজি ভাষায় শিক্ষিত বাঙালি মুসলমানদের মুখপত্র ছিল। সংবাদপত্রটি মুসলিম সম্প্রদায়ের আধুনিকীকরণ এবং মুক্ত চিন্তাবিদদের স্থান প্রদানের জন্য পরিচিত ছিল। এটি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম মুসলিম স্নাতক মির্জা দেলাওয়ার হোসেন আহমেদের লেখা প্রকাশ করেছে। সংবাদপত্রটি মুসলিম সম্প্রদায়ের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি যেমন শিক্ষা, মুসলিম- ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস ইত্যাদি সম্পর্কে লিখেছিল। পত্রিকাটি স্থানীয় বাঙালি জনগোষ্ঠীর প্রতি ব্রিটিশদের বৈষম্য সম্পর্কেও লিখেছিল। মুসলিম ক্রনিকল তার শেষ কয়েক বছরে বঙ্গভঙ্গের কথাও লিখেছিল। ১৯০৫ সালে পত্রিকাটির প্রকাশনা জব্দ করা হয়। এটি ১৯ শতকের শেষের দিকে বাঙালি মুসলিম জীবনের একটি মূল্যবান উৎস উপাদান। [৪][৫] এটি আনুষ্ঠানিকভাবে ১৯১০ সালে প্রকাশনা বন্ধ করে দেয়; এর আগে কার্যত প্রকাশনা বন্ধ করে দিয়েছিল। [৬]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Āhamada, Oẏākila (১৯৮৮)। The Index of the Muhammadan Observer and the Moslem Chronicle (a Weekly Newspaper, Estab. 1868): Politics, Literature, and Society, 1895-1905 (ইংরেজি ভাষায়)। Dhaka University Library। 
  2. Rees, John David (১৯০৮)। The Real India (ইংরেজি ভাষায়)। Methuen & Co.। পৃষ্ঠা 190। 
  3. The Contemporary Review (ইংরেজি ভাষায়)। A. Strahan। ১৮৯৭। পৃষ্ঠা 286। 
  4. আবু ইমাম (২০১২)। "মোসলেম ক্রনিকল"ইসলাম, সিরাজুল; মিয়া, সাজাহান; খানম, মাহফুজা; আহমেদ, সাব্বীর। বাংলাপিডিয়া: বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্বকোষ (২য় সংস্করণ)। ঢাকা, বাংলাদেশ: বাংলাপিডিয়া ট্রাস্ট, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটিআইএসবিএন 9843205901ওএল 30677644Mওসিএলসি 883871743 
  5. সিরাজুল ইসলাম (২০১২)। "হোসায়েন, দেলোয়ার"ইসলাম, সিরাজুল; মিয়া, সাজাহান; খানম, মাহফুজা; আহমেদ, সাব্বীর। বাংলাপিডিয়া: বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্বকোষ (২য় সংস্করণ)। ঢাকা, বাংলাদেশ: বাংলাপিডিয়া ট্রাস্ট, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটিআইএসবিএন 9843205901ওএল 30677644Mওসিএলসি 883871743 
  6. The Hindustan Review ... (ইংরেজি ভাষায়)। ১৯১০। পৃষ্ঠা 411।