দ্য মহাভারত সিক্রেট

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
দ্য মহাভারত সিক্রেট
দ্য মহাভারত সিক্রেট বইটির প্রচ্ছদ
দ্য মহাভারত সিক্রেট বইটির প্রচ্ছদ
লেখকক্রিস্টেফার সি. ডয়েল
প্রচ্ছদ শিল্পী
  • রিতু রাঠোর
  • আনন্দ প্রকাশ
দেশভারত
ভাষাইংরেজি
ধরনফিকশন, থ্রিলার
প্রকাশকওম বুকস
প্রকাশনার তারিখ
২১ অক্টোবর ২০১৩
মিডিয়া ধরন
পৃষ্ঠাসংখ্যা৩৮৬
আইএসবিএন৯-৭৮৯৩৮৩-২০২৩১৭
পরবর্তী বইদ্য মহাভারত কোয়েস্ট: দ্য আলেকজান্ডার সিক্রেট 

দ্য মহাভারত সিক্রেট হল ভারতীয় লেখক ক্রিস্টেফার সি. ডয়েলের লেখা প্রথম উপন্যাস। বইটি ২১ অক্টোবর ২০১৩ তারিখে ওম বুকস থেকে প্রকাশিত হয়। বাংলাদেশী অনুবাদক জেসি মেরি কুইয়াহ বইটির বাংলা অনুবাদ করেন। বইটির কাহিনী বিজয় ও তার বন্ধুদের কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়। ঘটনাচক্রে, তারা কিছু ধারাবাহিক ধাঁধার সম্মুখীন হয়। ধাঁধা গুলো সমাধান করতে করতে তারা নয় জন নামক এক গোপন ভাতৃসংঘের সন্ধান পায়। লেখক মহাভারতে বর্ণিত গল্পগুলোকে বৈজ্ঞানিক সত্য হিসেবে বিশ্বাস করে এর দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে বইটি লিখেন। পরবর্তীতে তিনি ২০১৪ সালে বইটির জন্য তিনি ক্রসওয়ার্ড বুক অ্যাওয়ার্ডের জন্য মনোনীত হয়েছিলেন।

বইটিক লেখক ক্রিস্টেফার সি. ডয়েল প্রথমে তাঁর মেয়ের জন্য গল্পটি লিখেন। পরবর্তীতে ঘটনা পরিধির বিস্তৃতির হতে হতে এটি একটি পূর্ণাঙ্গ বইয়ের রূপ নেয়। বইটি ভারতে বাণিজ্যিক সাফল্য পায়। ফলে লেখক এই বিষয়ের উপর ভিত্তি করে আরো বই লিখতে উৎসাহী হন। এর ধারাবাহিকতায় তিনি দ্য মহাভারত কোয়েস্ট: দ্য আলেকজান্ডার সিক্রেটদ্য সিক্রেটস অফ দ্য ড্রুইডস লিখে ট্রিলজি সমাপ্ত করেন। যদিও দ্য আলেকজান্ডার সিক্রেট বইটির পরে তিনি দ্য সিক্রেট রিভিলড নামে একটি ফ্রি ইবুক লিখেছিলেন।

কাহিনী সংক্ষেপ[সম্পাদনা]

২৪৪ খ্রিস্টপূর্বাব্দে, মৌর্য্য সম্রাট অশোকের মন্ত্রী একটি আশ্চর্যজনক গোপনতার সাথে একটি পাহাড়ি গুহা খুঁজে পান। তারপর তিনি গোপনে তার সম্রাট অশোককে দেখান। সম্রাট উপলব্ধি করতে পারেন যে এই সারা পৃথিবীকে ধ্বংস করে দিতে পারে। তিনি সেই গুহাটিকে বিভিন্ন নিরাপত্তা আড়ালে বেষ্টন করে রাখেন। তিনি তার সভাসদদের মধ্যে ৯ জন পুরুষের একটি গোপন পাত্রী সংঘ তৈরি করেন, যাদের দায়িত্ব হচ্ছে শতাব্দীর পর শতাব্দী গুহার গোপনিয়তা রক্ষা করা। মহাভারতের বিমান পর্বে এই গুহার রহস্য সম্পর্কে উল্লেখ ছিল। তাই তিনি সমগ্র ভারত থেকে মহাভারতের বিমান পর্ব সংগ্রহ করে তা ধ্বংস করে দেন।

বর্তমান সময়ে বিক্রম সিং নামের একজন ভারতীয় পারমাণবিক বিজ্ঞানী তার নিজ দুর্গে খুন হন। তার মৃত্যুর আগে তিনি তার ভাগ্নে বিজয়কে চারটি রহস্যময় ইমেইল পাঠিয়েছিলেন। বিজয় তার ব্যবসায়িক অংশীদার কলিন, শৈশবের বন্ধু রাধা এবং তার বাবা ভাষাবিদ ডাঃ শুক্লাকে সাথে নিয়ে ইমেইলগুলো বিশ্লেষণ শুরু করে। রাজবীরগড় দুর্গের বর্তমান মালিক ভীম সিং এবং বিক্রমের ইমেলগুলিতে উল্লিখিত প্রত্নতত্ত্ববিদ গ্রেগ হোয়াইট তাদের সহায়তা করেছেন।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]