দ্য ব্লাড টেলিগ্রাম: নিক্সন, কিসিঞ্জার অ্যান্ড এ ফরগোটেন জেনোসাইড

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
দ্য ব্লাড টেলিগ্রাম: নিক্সন, কিসিঞ্জার অ্যান্ড এ ফরগোটেন জেনোসাইড
লেখকগ্যারি জে ব্যাস
দেশআমেরিকা
ভাষাইংরেজি
ধরনঐতিহাসিক নন ফিকশন
প্রকাশকআলফ্রেড এ নফ
প্রকাশনার তারিখ
২০১৩[১]
মিডিয়া ধরনপেপারব্যাক
পৃষ্ঠাসংখ্যা৫৪৪[২]
আইএসবিএন৯৭৮-৮১৮৪০০৫৭৬৯

দ্য ব্লাড টেলিগ্রাম: নিক্সন, কিসিঞ্জার অ্যান্ড এ ফরগোটেন আমেরিকান সাংবাদিক গ্যারি জে ব্যাস এর লেখা একটি বই। এটি ২০১৩ সালে প্রকাশিত হয়। এ বই এ মূলত গ্যারি ব্লাড টেলিগ্রাম সম্বন্ধে লিখেছেন।[৩] বাংলাদেশে গণহত্যা চলাকালীন আমেরিকায় রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব ও বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন নেতারা। আর্চার ব্লাড ঢাকায় একটি টেলিগ্রাফ পাঠান যাকে ব্লাড টেলিগ্রাফ বলে।[৪][৫]

লেখক[সম্পাদনা]

গ্যারি জে ব্যাস একজন আমেরিকান সংবাদকর্মী। বর্তমানে তিনি প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয় এর পলিটিক্স অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল এফেয়ার ডিপার্টমেন্টের প্রফেসর হিসাবে নিয়োজিত আছেন।[৬]

বিষয়বস্তু[সম্পাদনা]

প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান এর ঘোষণা মোতাবেক ১৯৭০ সালে সাধারন নির্বাচনে আওয়ামীলীগ বিপুল ভোটের ব্যাবধানে সংখ্যা গরিষ্ঠতা অর্জন করে। কিন্তু সরকার বাঙালিদের হাতে রাষ্ট্র ছেড়ে দিতে চায় নি। তাই তারা ক্ষমতা হস্তান্তরে টালবাহানা করতে থাকে। এসব কারণে শেখ মুজিবুর রহমান ৭ মার্চ স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। শেষ রক্ষা করতে প্রেসিডেন্ট ও ভুট্টো সাহেব ঢাকায় এলোও গোপনে পাঞ্জাব রিক্রুট সেনাদের নিয়ে চলতে থাকে হামলার পরিকল্পনা। এর পর ২৫ মার্চ ঘুমন্ত বাঙালিদের ওপরে চলে গনহত্যা। একে কালরাতও বলা হয়।

মূল বিষয়[সম্পাদনা]

আর্চার ব্লাড তখন ঢাকায় কর্মরত আমেরিকান কাউন্সিলর। তিনি এমন হামলার ভয়াবহতা দেখে হোয়াইট হাউসে চিঠি পাঠান যাতে তারা নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন না করে মীমাংসা করে। কিন্তু নিক্সন ও কিসিঞ্জার বিশেষ কিছুই করেন নি। কারণ তারা চীনে ব্যবসা করার জন্য পাকিস্তানকে কাজে লাগাতে চেয়েছিল। [৬][৭][৮]

An excerpt from the telegram, Our government has failed to denounce the suppression of democracy. Our government has failed to denounce atrocities...... Our government has evidenced what many will consider moral bankruptcy . . .[৯]

আলোচনা ও সমালোচনা[সম্পাদনা]

ডেক্সটার ফিল্কলিন নিউইয়র্ক টাইমসে লেখেন ঘটনাটির পরে নিক্সন ও কিসিঞ্জার নিজেদের ভাবমূর্তি ফিরিয়ে নিতে প্রায় ১০ বছর কাজ করতে বাধ্য হয়েছিলেন। এই বই জনচক্ষুর সামনে প্রকাশ করে দেয় যে নিক্সনের খ্যাতি কতটা অযাচিত ছিল।[১] বইটি ২০১৪ লিওনেল গেলবার পুরস্কার পায়।[১০]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Bass, Gary J. (২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৩)। "The Blood Telegram: Nixon, Kissinger, and a Forgotten Genocide" (ইংরেজি ভাষায়)। Knopf Doubleday Publishing Group। সংগ্রহের তারিখ ২৮ এপ্রিল ২০১৭ 
  2. Bass, Gary J. (১৫ জুলাই ২০১৪)। "The Blood Telegram: Nixon, Kissinger, and a Forgotten Genocide"amazon.com (English ভাষায়)। Vintage। সংগ্রহের তারিখ ২৮ এপ্রিল ২০১৭ 
  3. Bhattacherjee, Kallol। "History divided"The Hindu (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৮ এপ্রিল ২০১৭ 
  4. Filkins, Dexter (২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৩)। "'The Blood Telegram,' by Gary J. Bass"The New York Times। সংগ্রহের তারিখ ২৮ এপ্রিল ২০১৭ 
  5. "Nixon and Kissinger's Forgotten Genocide"counterpunch.org। ৪ অক্টোবর ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ২৮ এপ্রিল ২০১৭ 
  6. Sheehan, Neil (৪ অক্টোবর ২০১৩)। "'The Blood Telegram: Nixon, Kissinger, and a Forgotten Genocide' by Gary J. Bass"The Washington Post। সংগ্রহের তারিখ ২৮ এপ্রিল ২০১৭ 
  7. "Blood meridian"The Economist। সংগ্রহের তারিখ ২৮ এপ্রিল ২০১৭ 
  8. "Unholy Alliances"The New Yorker। সংগ্রহের তারিখ ২৮ এপ্রিল ২০১৭ 
  9. "One genocide, one telegram, and two opportunists"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২৫ মার্চ ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ২৮ এপ্রিল ২০১৭ 
  10. "Bass Wins 2014 Lionel Gelber Prize"। Woodrow Wilson School। ৩১ মার্চ ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮