দ্য নাইটিংগেল

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
"দ্য নাইটিংগেল"
ভিলহেলম পেডারসেনের চিত্রণ
লেখকহান্স ক্রিশ্চিয়ান আন্দেরসেন
মূল শিরোনাম"Nattergalen"
দেশডেনমার্ক
ভাষাডেনীয়
বর্গসাহিত্যের রূপকথার গল্প
প্রকাশকসি.এ. রিটজেল
প্রকাশনার তারিখ১৮৪৩

"দ্য নাইটিংগেল" (ডেনীয়: "Nattergalen") হান্স ক্রিশ্চিয়ান আন্দেরসেনের লেখা ১৮৪৩ সালের একটি রূপকথাধর্মী গল্প।[১][২][৩]

কাহিনি[সম্পাদনা]

"দ্য নাইটিংগেল" একটি রূপকথাধর্মী গল্প। চীনদেশে ছিল এক ছোট্ট ও সুকণ্ঠী নাইটিংগেল পাখি। একদিন রাজদরবারে ডাক পড়ল তার। রাজা নাইটিংগেলের গানে মুগ্ধ হয়ে তাকে রেখে দিলেন রাজসভাতেই, সোনার খাঁচায় পুরে। এবার তার প্রতিদ্বন্দ্বী হলো এক কলের নাইটিংগেল। গৎবাঁধা তার কণ্ঠ ও সুর। তবু সবাই তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ। কলের নাইটিংগেলের প্রশংসায় অবহেলিত আসল নাইটিংগেল একদিন রাজপ্রাসাদ ত্যাগ করল। এরই মধ্যে কলের নাইটিংগেলের তার ছিঁড়ে গেল। তাকে মেরামত করা হলো বটে, তবে আগের মতো আর টানা বাজে না। রাজ্যে পড়ে গেল হাহাকার। রাজাও হলেন বেজায় অসুস্থ, পড়ে রইলেন বিছানায় নিথর। কিন্তু রাজা মারা যাননি, তবে মৃত্যুভীতি তাঁর বুকে চেপে বসেছে। আর মুমূর্ষু রাজা কলের নাইটিংগেল উদ্দেশ্যে বলছেন, গান গাও, গান! কিন্তু কলের নাইটিংগেল চুপ, কণ্ঠে তার গান নেই। ঠিক সে সময় জানালার বাইরে গান গেয়ে উঠল ছোট্ট সেই নাইটিংগেল, অপুর্ব সে সুর। গান তার আর থামে না। রাজ্যের এই দুর্দিনে রাজার প্রাণ রক্ষা করতে সে এসেছে ফিরে। সারারাত মধুর গান গেয়ে রাজাকে ঘুম পাড়াল নাইটিংগেল। সকালে রাজা জেগে উঠলেন–পেলেন নতুন জীবন, নতুন উৎসাহ। বিনিময়ে নাইটিংগেল কিছুই নিল না কৃতজ্ঞ রাজার কাছ থেকে। শুধু স্বাধীনভাবে রাজা, প্রজা, জেলে, চাষি সকলের জন্য দুঃখ-সুখের গান গাওয়ার ইচ্ছা ব্যক্ত করল আর সবার অগোচরে রাজাকে জানাতে চাইল রাজ্যের সত্যিকার সকল খবর।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Hans Christian Andersen: The Nightingale"hca.gilead.org.il। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৮-২৮ 
  2. "The Nightingale Story"Bedtimeshortstories (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৬-১০-২৯। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৮-২৮ 
  3. "দ্য নাইটিংগেল (রূপকথার গল্প) - bn.wikifoodfeed.com"Wikifoodfeed। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৮-২৮ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]