দ্য গ্রেটেস্ট অফ অল টাইম

দ্য গ্রেটেস্ট অফ অল টাইম
পরিচালক	ভেঙ্কট প্রভু
প্রযোজক	কালপতি এস. অঘোরাম কালপতি এস. গণেশ কালপতি এস. সুরেশ
রচয়িতা	ভেঙ্কট প্রভু ভিজি
চিত্রনাট্যকার	কে. চন্দ্রু ইঝিলরাসু গুণসেকারন
শ্রেষ্ঠাংশে	বিজয় (অভিনেতা)
সুরকার	যুবন শঙ্কর রাজা
চিত্রগ্রাহক	সিদ্ধার্থ নুনী
সম্পাদক	ভেঙ্কট রাজেন
প্রযোজনা কোম্পানি	এজিএস এন্টারটেইনমেন্ট
দেশ	ভারত
ভাষা	তামিল

দ্য গ্রেটেস্ট অফ অল টাইম হল ভেঙ্কট প্রভু পরিচালিত এবং এজিএস এন্টারটেইনমেন্ট দ্বারা প্রযোজিত ভারতীয় তামিল-ভাষার একটি আসন্ন কল্পবিজ্ঞান চলচ্চিত্র। ছবিটিতে অভিনেতা বিজয় দ্বৈত চরিত্রে অভিনয় করেছেন এবং অন্যান্য অভিনয়শিল্পীদের মধ্যে রয়েছে প্রশান্ত, প্রভু দেবা, স্নেহা, লায়লা, মীনাক্ষী চৌধুরী, মোহন, জয়রাম, আজমাল আমির, যোগী বাবু, ভিটিভি গণেশ, বৈভব, প্রেমগী অমরেন, অরবিন্দ আকাশ এবং অজয় রাজ।

প্রাথমিকভাবে, অ্যাটলি এই প্রকল্পটি পরিচালনা করার কথা জানানো হয়েছিল, কিন্তু পরবর্তীকালে, প্রভুকে এই প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। চলচ্চিত্রটি ২০২৩ সালের মে মাসে থালাপ্যাথি ৬৮ শিরোনামের অধীনে ঘোষণা করা হয়েছিল, কারণ এটি একটি প্রধান ভূমিকায় বিজয়ের ৬৮ তম চলচ্চিত্র এবং ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে আনুষ্ঠানিক শিরোনাম ঘোষণা করা হয়েছিল। ছবিটির প্রধান ফটোগ্রাফি ২০২৩ সালের অক্টোবরে চেন্নাইতে শুরু হয়েছিল এবং তারপরে থাইল্যান্ডের পাশাপাশি হায়দ্রাবাদে আরেকটি সময়সূচী ছিল। ছবিটির সংগীতায়োজন করবেন যুবন শঙ্কর রাজা। সিনেমাটোগ্রাফি ও সম্পাদনা পরিচালনা করবেন যথাক্রমে সিদ্ধার্থ নুনী এবং ভেঙ্কট রাজেন।

অভিনয়শিল্পী

• বিজয় দ্বৈত চরিত্রে
• প্রশান্ত
• প্রভু দেবা
• স্নেহা
• লায়লা
• মীনাক্ষী চৌধুরী
• মোহন
• জয়রাম
• আজমল আমীর
• যোগী বাবু
• ভিটিভি গণেশ
• বৈভব
• প্রেমগী অমরেন
• অরবিন্দ আকাশ
• অজয় রাজ
• গাঞ্জা কারুপ্পু

উৎপাদন

উন্নয়ন

২০২১ সালের নভেম্বরের শেষের দিকে, বিজয়, যিনি এর আগে পরিচালক অ্যাটলির সাথে সহযোগিতা করেছিলেন, চতুর্থবারের মতো তার ৬৮ তম ছবিতে প্রধান চরিত্রে কাজ করবেন বলে জানা গেছে। এর আগে তারা থেরি, মার্সাল এবং বিগিল চলচ্চিত্রে একসঙ্গে কাজ করেছিলেন। অ্যাটলি তার প্রথম হিন্দি চলচ্চিত্র জাওয়ান (২০২৩) এর কাজ শেষ করার পরে এটি প্রযোজনা শুরু করার কথা ছিল। ২০২৩ সালের মে মাসে, এটি নিশ্চিত করা হয়েছিল যে অ্যাটলি ছবিটি পরিচালনা করবেন না, কারণ তিনি ইতিমধ্যে অভিনেতা বরুণ ধবনের সাথে অন্য একটি প্রকল্পে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিলেন। ওই মাসেই ভেঙ্কট প্রভু বা গোপীচাঁদ মালিনেনি ছবিটি পরিচালনা করবেন বলে একাধিক খবর প্রকাশিত হয়েছিল।

প্রভু মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে বিজয়ের সাথে দেখা করেছিলেন এবং তাকে একটি গল্প শোনান, যা দেখে তিনি মুগ্ধ হয়েছিলেন। তিনি প্রভুকে পুরো স্ক্রিপ্টটি বিকাশ করতে বলেছিলেন। এর আগে এক সাক্ষাৎকারে প্রভু বিজয়ের সঙ্গে একটি টাইম লুপ ছবিতে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। ২১ শে মে, বিজয় তার সোশ্যাল মিডিয়া পৃষ্ঠার মাধ্যমে থালাপতি ৬৮ শিরোনামে আনুষ্ঠানিকভাবে ছবিটির ঘোষণা করেছিলেন, প্রভু পরিচালক হিসাবে নিশ্চিত হয়েছিলেন। এজিএস এন্টারটেইনমেন্টের অধীনে ছবিটি প্রযোজনা করার জন্য কালপতি এস আঘরাম, কালপতি এস গণেশ এবং কালপতি এস সুরেশ কে প্রকাশ করা হয়েছিল।

প্রাক-উৎপাদন

মোট দশটি চলচ্চিত্রে কাজ করার পরে পরিচালকের সাথে তার টানা তৃতীয় চলচ্চিত্রে যুবান সঙ্গীত সুরকার হিসাবে নিশ্চিত হয়েছিলেন। সিনেমাটোগ্রাফির জন্য সিদ্ধার্থ নুনি এবং ছবির সম্পাদক হিসাবে ভেঙ্কট রাজেনকে বেছে নেওয়া হয়েছিল। প্রভু ভিজির সাথে চলচ্চিত্রের সংলাপগুলি সহ-রচনা করেছিলেন, অতিরিক্ত চিত্রনাট্য এবং সংলাপ লিখেছেন কে চন্দ্রু এবং এজিলারাসু গুনাসেকরন। প্রযোজনা ডিজাইনার রাজীবন নানবিয়ার, স্টান্ট কোরিওগ্রাফার ধিলিপ সুব্বারায়ান, শিল্প পরিচালক শেখর ও সূর্য রাজীবন, কস্টিউম ডিজাইনার ভাসুকি ভাস্কর ও পল্লবী সিং এবং কোরিওগ্রাফার রাজু সুন্দরম এবং সতীশ কৃষ্ণনকে ছবিতে কাজ করার জন্য বেছে নেওয়া হয়েছিল।

প্রভু এবং বিজয়ের সহযোগিতা নিয়ে প্রায় দশ মাস ধরে আলোচনা চলছিল। একাধিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে বিজয় ₹২০০ কোটি (২৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) পারিশ্রমিক পাবেন, যা তাকে ভারতের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র অভিনেতাতে পরিণত করবে। আগস্ট মাসে, দলটি বিজয়ের একটি চরিত্রের চেহারা তৈরি করতে ভিজ্যুয়াল এফেক্ট স্ক্যানিং ব্যবহার করতে লস অ্যাঞ্জেলেসের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিল; এই কৌশলটি আগে ফ্যান (২০১৬) এবং ইন্ডিয়ান ২ এর জন্য ব্যবহৃত হয়েছিল। ২০২৩ সালের ২ অক্টোবর চেন্নাইয়ের প্রসাদ ল্যাবসে চলচ্চিত্রের অভিনেতা ও কলাকুশলীদের উপস্থিতিতে একটি মহরৎ পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছিল, যার ভিডিওটি ২৪ অক্টোবর প্রযোজনা সংস্থা দ্বারা প্রকাশিত হয়েছিল। ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর দ্য গ্রেটেস্ট অব অল টাইম শিরোনামের ফার্স্ট লুক প্রকাশিত হয়। ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি একটি দ্বিতীয় প্রচারমূলক পোস্টার প্রকাশিত হয়েছিল যা ছবিটিকে একটি কল্পবিজ্ঞান চলচ্চিত্র হওয়ার ইঙ্গিত দেয়।

অভিনয়শিল্পী নির্বাচন

এটি করার খবর পাওয়ার পরে, বিজয়কে বাবা এবং ছেলের দ্বৈত চরিত্রে দেখা যাবে, যা তিনি এর আগে বিগিলে করেছিলেন। ছেলের চরিত্রটিকে স্কুল ছাত্র হিসাবে দেখা যাবে বলে জানা গেছে। স্নেহাকে অন্যতম প্রধান অভিনেত্রীর চরিত্রে অভিনয়ের জন্য মনোনীত করা হয়েছিল, বিজয়ের পিতার চরিত্রের বিপরীতে জুটি বেঁধেছিলেন; ২০০৩ (২২ বছর আগে) রোমান্টিক কমেডি চলচ্চিত্র ভাসিগারার পরে পরবর্তীতে পুনরায় মিলিত হন। মীনাক্ষী চৌধুরী বিজয়ের সাথে তার প্রথম সহযোগিতার পাশাপাশি তার তৃতীয় তামিল চলচ্চিত্রে পরবর্তী চরিত্রের বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন। প্রভু দেবা, প্রশান্ত, লায়লা, বৈভব, মোহন, জয়রাম এবং আজমল আমীর মহরৎ পূজায় উপস্থিত থাকার কারণে অভিনেতাদের অংশ হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছিল।

২০২৩ সালের ২৪ শে অক্টোবর, যোগী বাবু, ভিটিভি গণেশ এবং প্রভুর নিয়মিত সহযোগী প্রেমগি আমরেন, অরবিন্দ আকাশ এবং অজয় রাজ সহ আরও অভিনয়শিল্পীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছিল। সেই মাসের শেষের দিকে, ইভানা বিজয়ের ছেলের চরিত্রের বোনের চরিত্রে অভিনয় করবেন বলে জানা গেছে। ডিসেম্বরের শেষের দিকে রম্যা কৃষ্ণনকে ছবিতে ক্যামিও চরিত্রে অভিনয়ের জন্য যোগাযোগ করা হয়েছিল বলে জানা গেছে। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি একটি সাক্ষাত্কারে গাঞ্জা কারুপ্পু প্রকাশ করেছিলেন যে তিনি অভিনেতাদের অংশ ছিলেন। কিছুদিন পরে সুদীপ এবং মালবিকা শর্মা যথাক্রমে ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করবেন বলে জানা গেছে।

চিত্রগ্রহণ

প্রধান ফটোগ্রাফি ৩ অক্টোবর ২০২৩ সালে চেন্নাইতে প্রথম শিডিউল দিয়ে শুরু হয়েছিল। মাসের শেষে, উৎপাদন থাইল্যান্ডে স্থানান্তরিত হয়েছিল, বেশিরভাগ অংশ ব্যাংককে চিত্রায়িত হয়েছিল। নভেম্বরের শেষের দিকে, হায়দ্রাবাদে অতিরিক্ত চিত্রগ্রহণ শুরু হয়েছিল; এই সময়সূচী ডিসেম্বরের শেষের দিকে শেষ হয়েছিল। ২০২৪ সালের ৩ জানুয়ারি শ্রীলঙ্কায় একটি সময়সূচী নিয়ে চিত্রগ্রহণ অব্যাহত ছিল।

সঙ্গীত

পুধিয়া গীথাইয়ের পরে বিজয়ের সাথে দ্বিতীয় এবং প্রভুর সাথে দশম সহযোগিতায় যুবন শঙ্কর রাজা সাউন্ডট্র্যাক এবং ফিল্ম স্কোর রচনা করবেন। অডিও রাইটস কিনে নেয় টি-সিরিজ, ভারিসুর পরে বিজয় চলচ্চিত্রের জন্য তাদের দ্বিতীয় সহযোগিতায়। যুবন বলেছিলেন যে প্রথম এককটি একটি দাপ্পানকুথু গান হবে। প্রভুর বাবা গঙ্গাই আমরান, মাধন কার্কি, কাবিলান বৈরামুথু এবং আরিভু চলচ্চিত্রের ট্র্যাকের জন্য গানের কথা লিখেছিলেন।

মুক্তি

স্ট্রিমিং অধিকারগুলো নেটফ্লিক্স দ্বারা অধিগ্রহণ করা হয়েছিল বলে জানা গেছে।

বহিঃসংযোগ

• ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে দ্য গ্রেটেস্ট অফ অল টাইম (ইংরেজি)