বিষয়বস্তুতে চলুন

দোবেরাই উপদ্বীপ

স্থানাঙ্ক: ১°৩০′ দক্ষিণ ১৩০°৩০′ পূর্ব / ১.৫° দক্ষিণ ১৩০.৫° পূর্ব / -1.5; 130.5
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
দোবেরাই উপদ্বীপ
কেপালা বুরুং, পাখির মাথা সদৃশ্য উপদ্বীপ
দোবেরাই উপদ্বীপ মহাকাশে থেকে নেয়া ছবি (ভিন্ন রঙ)
অবস্থানপশ্চিম পাপুয়া, ইন্দোনেশিয়া
স্থানাঙ্ক১°৩০′ দক্ষিণ ১৩০°৩০′ পূর্ব / ১.৫° দক্ষিণ ১৩০.৫° পূর্ব / -1.5; 130.5
সর্বোচ্চ বিন্দু
 – উচ্চতা
পেগুনআনগান আরফাক
২,৯৫৫ মি (৯,৬৯৫ ফু)
এলাকা৫৫,৬০৪ কিমি (২১,৪৬৯ মা)

পাখির মাথা সদৃশ্য উপদ্বীপ বা পাখি প্রধান উপদ্বীপ (ইন্দোনেশীয়: কেপালা বুরুং,ওলন্দাজ: ভোগেলকপ) অথবা দোবেরাই উপদ্বীপ একটা বড় উপদ্বীপ যেটা নিউ গিনি দ্বীপের উত্তরপশ্চিম অংশ দখল করে আছে এবংপশ্চিম পাপুয়া প্রদেশ,ইন্দোনেশিয়ার প্রধান অংশ জুড়ে আছে। অন্য অংশ দোবেরাই উপদ্বীপের লেজসদৃশ্য অংশে।

অবস্থান ও ভৈৗগলিক পরিবেশ

[সম্পাদনা]

দোবেরাই উপদ্বীপ, নিউ গিনি দ্বীপের উত্তরপশ্চিমস্থ শেষ অংশ তৈরী করেছে। পূর্বে সেন্ডারওয়াসিহ্‌ বে এবং দক্ষিণে বিন্টুনি বে। পশ্চিমে ডাম্পিয়ার প্রণালীর আড়াআড়ি আছে রাজা আমপাতের দ্বীপ ওয়াইজিও এবং বাতান্তা দ্বীপ বায়ূকোণের শীর্ষদেশের কাছাকাছি। উপদ্বীপের দক্ষিণে বোম্বেরাই উপদ্বীপ

উপদ্বীপটির বিস্তার ২০০ থেকে ৩০০ কিলোমিটার এবং এটা জৈব-ভৌগোলিক দিক থেকে বিচিত্র মাত্রার, দক্ষিণ দিকে উপকূলীয় সমভূমি। পূর্ব দিকে পাওয়া যায় আরফাক পর্বতমালা যার ব্যাপ্তি ২৯০০ মিটার উচুঁ পর্বতশ্রেনী। আরফাক পর্বতমালা থেকে সামান্য কম উচ্চতা সম্পন্ন তমরাউ পর্বতমালার অবস্থান উত্তর দিকে।

তমরাউ পর্বতমালার সর্ব্বোচ পর্বত হলো ২,৫০১ মিটার (৮,২০৫ ফুট) এ বন ইরাউ। দোবেরাই উপদ্বীপের সবচাইতে উচুঁ পর্বত হলো আরফাক পর্বতমালা। এটা ২,৯৫৫ মিটার (৯,৬৯৫ ফুট) উচুঁ এবং মানোকোয়ারীর ২১ মাইল দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত।

উভয় পর্বতশ্রেণীতে বিস্তৃত আছে বালি পাথর, চুনাপাথর এবং আগ্নেয়গিরি থেকে উৎপন্ন শীলার বিচিত্র মিশ্রণ। কেবার উপত্যকা নামে একটি বড় অববাহিকা দুই পর্বতশ্রেণীকে আলাদা করেছে। []

উদ্ভিদ ও প্রাণীজগত

[সম্পাদনা]

উপদ্বীপটি ভোগেলকপ মন্তানা রেইন ফরেষ্ট দিয়ে আবৃত ইকোরিজিওন। উপদ্বীপটির প্রায় ১,০০০ মিটার এবং তার চাইতে বেশি উচ্চতায়, ২২,০০০ কিঃমিঃ বেশি জায়গা জুড়ে আছে মন্তানা বনাঞ্চল। এই বনাঞ্চলের ৫০% বেশি সংরক্ষিত এলাকায় অবস্থিত। প্রায় ৩০০ এর বেশি প্রজাতির পাখি আছে এই উপদ্বীপে যার মধ্যে অন্তত পক্ষে ২০ প্রজাতি আছে যারা ইকো অঞ্চলের অনন্য এক প্রজাতি। এদের কিছু প্রজাতির পাখি শুধু মাত্র খুবই সংরক্ষিত এলাকায় বসবাস করে। এদের মধ্যে আছে ধূসর রেখা যুক্ত মুনিয়া, ভোগেলকপ বোওয়ার পাখি, এবং স্বর্গের রাজা পাখি []

রাস্তা তৈরী, অবৈধ গাছ কাটা, বাণিজ্যিক ভিত্তিতে কৃষিকাজ সম্প্রসারণ এবং পশু খামার তৈরী ইকো অঞ্চলকে সম্ভাব্য হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে। [] দোবেরাই উপদ্বীপের তীরবর্তি দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল অংশ তেলুক সেন্ডারওয়াসী জাতীয় উদ্যানের অংশ তৈরী করেছে []

স্বর্গের রাজা পাখি উপদ্বীপে ৩০০ প্রজাতির পাখির ভেতর একটা প্রজাতি।

সংস্কৃতি

[সম্পাদনা]

প্রত্নতাত্ত্বিক অনুসন্ধান থেকে জানা যায় যে, স্থানীয় বসতি প্রায় ২৬,০০০ প্রত্নতাত্ত্বিক হিসেবের বছর (বি,পি) আগে। [] বর্তমানে বেশির ভাগ অধিবাসী বাস করে উপকূলবর্তী গ্রামগুলোতে, খুব কম সংখ্যক বাস করে দেশের অভ্যন্তরে। গ্রামবাসীরা আপন প্রয়োজন মিটাইবার জন্য বিভিন্ন সময়ে পর্যায়ক্রমে নারকেলের শুকনো শাঁস, ধান, শস্যদানা এবং চিনাবাদাম চাষাবাদ ও শিকার করে থাকে। [] উপদ্বীপের চারপাশে ৮০টিরও বেশি গ্রাম ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। প্রায় ১৮টি প্রধান জনবসতি আছে যারা উপদ্বীপের পাচঁটি তত্তাবধায়ক প্রশাসক শাসিত ৫টি প্রধান শহরে বসবাস করে। এই শহরগুলোর মধ্যে আছে বিন্টুনি, টেমিনাবুয়ান, সোরং, আইমাস, এবং মানোকোয়ারি

যদিও সবচাইতে বড় জনবসতিগুলো পশ্চিম উপকূলীয় সোরং এবং পূর্ব উপকূলীয় মানোকোয়ারি শহরে, মানোকোয়ারি সবচাইতে বড় শহর যার লোকসংখ্যা ২০১০ সালের হিসেব অনুযায়ী ১৩৫,০০০ জন এবং মহানগরের আয়তন ১৫৫,০০। সোরং শহরের জনসংখ্যা ১২৫,০০০ এবং মহানগরের আয়তন ১৭০,০০০। আয়তনের দিক থেকে এই মহানগর সবচাইতে বড়।

পাপুয়ান মালয় দোবেরাই উপদ্বীপে সার্বজনীন স্থানীয় ভাষার মাধ্যম (লিঙ্গুয়া ফ্র্যাঙ্কা)। দোবেরাই উপদ্বীপে সরকারী ভাষা ইন্দোনেশিয়ান []

দোবেরাই উপদ্বীপে প্রচলিত অস্ট্রোনীয় ভাষা বেশিরভাগই দক্ষিণ হালমাহেরা–পশ্চিম নিউ গিনি (SHWNG) গোষ্ঠীর অর্ন্তভুক্ত []

উপদ্বীপে বিভিন্ন রকম অ-অস্ট্রোনীয় স্থানীয় পাপুয়ান ভাষা আছে যেগুলো দক্ষিণাঞ্চলের দোবেরাইয়ের ভাষা, পূর্বাঞ্চলের দোবেরাইয়ের ভাষা, পশ্চিমাঞ্চলের দোবেরাইয়ের ভাষা, কিংবা অন্যান্য বিচ্ছিন্ন ভাষায় বিভক্ত। []

পাপুয়ান ভাষা পরিবারঃ

বিচ্ছিন্ন ভাষাগুলো:

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. ফ্লিপ ভ্যান হেলডেন: এ বার্ডস আই ভিউ অব বার্ডস হেড পেনিনসূলা, উল্লেখ; আইরিয়ান জয়া ষ্টাডিস প্রোগ্রাম ফর ইন্টারডিসিপ্লিনারি রির্সাচ (আই আই এ এস) Newsletter nr.37, জুন ২০০৫ ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২ নভেম্বর ২০১৩ তারিখে,পুনরুদ্ধারকৃত ১১ মে, ২০১০
  2. WWF: Bird wonders of New Guinea’s western-most province, পুনরূদ্ধার ১১, মে ২০১০
  3. Ministry of Forestry: Teluk Cenderawasih NP ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে, পুনরূদ্ধার ১১ মে, ২০১০
  4. হোল্টন, গ্যারি; ক্ল্যামার, মারিয়ান (২০১৮)। "দি পাপুয়ান ল্যাঙ্গুয়েজেস্‌ অব ইষ্ট নুসান্তারা এন্ড দি বার্ডস হেড"। পামার, বিল। দি ল্যাঙ্গুয়েজেস এন্ড লিঙ্গুইসটিকস অব দি ‍নিউ গিনি এরিয়াঃ এ কম্প্রিহেনসিভ গাইড। দি ওর্য়াড অব লিঙ্গুইসটিকস। ভলিউম ৪। বার্লিন: ডি গ্রুইটার মাউটন। পৃষ্ঠা ৫৬৯–৬৪০। আইএসবিএন 978-3-11-028642-7