দু তরফা দাখিল পদ্ধতি
দু তরফা দাখিল পদ্ধতি হিসাববিজ্ঞানের একটি হিসাব সংরক্ষন পদ্ধতি যাতে এক পক্ষ সুবিধা গ্রহণ করবে এবং অপর পক্ষ সুবিধা প্রদান করবে। লেনদেন এর এ দুটি পক্ষকে হিসাব খাত বলা হয়। যেমন ৫০০০/- টাকা আয় করা হল। এটি লিপিবদ্ধ করার সময় একপক্ষ নগদান হিসাব এবং অপর দিকে সংশ্লিষ্ট আয় হিসাব ক্রেডিট হবে। নামকরণ ইংরেজি Journal শব্দটি ফার্সি Jour(জার) শব্দ থেকে উদ্ভূত হয়েছে। jour শব্দের অর্থ দিবস বা দিন। ইংরেজি Journal শব্দের অর্থ Day book বা দৈনিক হিসাবের বই। প্রতিদিন লেনদেনসমূহ journal এ লিপিবদ্ধ করা হয় বলে সম্ভবত এরূপ নামকরণ করা হয়েছে।
ইতিহাস[সম্পাদনা]
ইতালীয় ধর্ম যাজক ও গণিত শাস্ত্রবিদ লুকা প্যাসিওলি প্রথম এ ধারনার জন্ম দেন।[১] কোন হিসাবটি ডেবিট হবে এবং কোনটি ক্রেডিট হবে তার জন্য "হিসাববিজ্ঞানের স্বর্ণ পদ্ধতি" ব্যবহৃত হয়।[২] এটি আবার হিসাব সমীকরণ: সম্পদ = মূলধন + দায় এর মাধ্যমেও নির্ণয় করা যায়।
পদ্ধতি[সম্পাদনা]
দু তরফা দাখিল পদ্ধতিতে হিসাব সংরক্ষনে দুটি পক্ষ থাকে এক পক্ষ ডেবিট এবং অন্য পক্ষ ক্রেডিট। প্রতিটি লেনদেন লিপিবদ্ধ করার ক্ষেত্রে সমপরিমান অর্থ ডেবিট এবং ক্রেডিট করতে হবে।
ডেবিট এবং ক্রেডিট নির্নয়ের স্বর্ণ সূত্রটি এভাবে বর্ণনা করা যায়-[৩]
- ব্যাক্তিবাচক হিসাব: গ্রহীতা ডেবিট এবং দাতা ক্রেডিট
- সম্পত্তিবাচক হিসাব: আগত সম্পত্তি ডেবিট এবং নির্গত সম্পত্তি ক্রেডিট
- নামিক হিসাব: ব্যয়, খরচ ও ক্ষতি ডেবিট এবং আয় ও লাভ ক্রেডিট।
আধুনিক বা হিসাব সমীকরণভিত্তিক নিয়মে সংক্ষেপে ডেবিট ক্রেডিট নির্নয়ের আধুনিক নিয়ম-[৩]
- সম্পত্তি: বৃদ্ধি-ডেবিট, হ্রাস-ক্রেডিট
- হ্রাস ক্রেডিট
- খরচ/ব্যয়/ক্ষতি: বৃদ্ধি-ডেবিট, হ্রাস-ক্রেডিট
- দায়: বৃদ্ধি-ক্রেডিট, হ্রাস-ডেবিট
- আয়/লাভঃ বৃদ্ধি-ক্রেডিট, হ্রাস-ডেবিট
- মূলধন: বৃদ্ধি-ক্রেডিট, হ্রাস-ডেবিট