দরাবড় দুর্গ

স্থানাঙ্ক: ২৮°৪৬′৫″ উত্তর ৭১°২০′৩″ পূর্ব / ২৮.৭৬৮০৬° উত্তর ৭১.৩৩৪১৭° পূর্ব / 28.76806; 71.33417
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
দরাবড় দুর্গ
স্থানীয় নাম
قِلعہ دراوڑ
ধরনদুর্গপ্রাকার
অবস্থানআহমদপুর পূর্ব তহশিল, পাঞ্জাব, পাকিস্তান
স্থানাঙ্ক২৮°৪৬′৫″ উত্তর ৭১°২০′৩″ পূর্ব / ২৮.৭৬৮০৬° উত্তর ৭১.৩৩৪১৭° পূর্ব / 28.76806; 71.33417
নির্মিতনবম শতাব্দী
দরাবড় দুর্গ পাকিস্তান-এ অবস্থিত
দরাবড় দুর্গ
পাকিস্তানে দরাবড় দুর্গের অবস্থান

দরাবড় দুর্গ (উর্দু: قِلعہ دراوڑ ‎‎) পাকিস্তানের পাঞ্জাবের আহমদপুর পূর্ব তহশিলে অবস্থিত একটি বৃহৎ বর্গাকার দুর্গপ্রাকারবাহাওয়ালপুর শহর থেকে প্রায় ১৩০ কিলোমিটার দক্ষিণে, চোলিস্তান মরুভূমিতে দরাবড়ের চল্লিশটি ঘাঁটি বহু মাইল পর্যন্ত দৃশ্যমান। এর দেওয়ালগুলোর পরিধি ১৫০০ মিটার এবং ৩০ মিটার উঁচু।[১]

দরাবড় দুর্গটি প্রথম নবম শতাব্দীতে ভাটি বংশের হিন্দু শাসক রাই জাজ্জা ভাটি[২] কর্তৃক জয়সলমের এবং বাহাওয়ালপুর এর রাজা রাওয়াল দিওরাজ ভাটির সম্মানে নির্মিত হয়।[৩][৪] দুর্গটি প্রাথমিকভাবে দেরা রাওয়াল নামে পরিচিত ছিল এবং পরে দেরা রাওয়ার, যা সময়ের সাথে সাথে বর্তমান নাম দেরাওয়ার হিসেবে পরিচিতি লাভ করে।[৪]

আঠারো শতকে দুর্গটি শাহোত্রা উপজাতির কাছ থেকে বাহাওয়ালপুরের মুসলিম নবাবরা দখল করে। পরবর্তীতে এটি বর্তমান রূপে ১৭৩২ সালে আব্বাসী শাসক নবাব সাদেক মুহাম্মদ কর্তৃক পুনর্নির্মিত হয়, তবে ১৭৪৭ সালে শিকারপুরে বাহাওয়াল খানের ব্যস্ততার কারণে দুর্গটি তাদের হাত থেকে ছিটকে যায়।[৩] ১৮০৪ সালে নবাব মুবারক খান দুর্গটি ফিরিয়ে নেন। দুর্গের ক্ষয়িষ্ণু প্রাচীরের নিকটে ধ্বংসাবশেষে প্রায় এক হাজার বছরের পুরানো গুলির খোলা পাওয়া যায়।[৫]

বাহাওয়ালপুর রাজ্যের দ্বাদশ ও শেষ শাসক নবাব সাদেক মুহাম্মদ খান আব্বাসী পঞ্চম, ১৯০৪ সালে এই দুর্গে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।

ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ এই দুর্গটি চোলিস্তান প্রান্তরের প্রাণকেন্দ্রে একটি বিশাল এবং চিত্তাকর্ষক কাঠামো উপস্থাপন করছে, তবে এর দ্রুত অবনতি ঘটছে এবং সংরক্ষণের জন্য অবিলম্বে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থার প্রয়োজন রয়েছে।

ভ্রমণব্যবস্থা[সম্পাদনা]

দরাবড় দুর্গটি পর্যটকদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান। অফ-রোড চোলিস্তান মরুভূমি জিপ র‍্যালি বা টিডিসিপি চোলিস্তান জীপ র‍্যালিটি সম্প্রতি আহমদপুর পূর্ব তহসিলের দেরাওয়ার দুর্গের কাছে প্রতিষ্ঠিত হয়।

চিত্রশালা[সম্পাদনা]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Derawar Fort"pakembjakarta.org। ২০২১-০১-১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০১-১০ 
  2. Khaliq, Fazal (১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭)। "Derawar Fort: a 9th century human marvel on the verge of collapse"Dawn (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১০ জানুয়ারি ২০২০ 
  3. Dawn.com (২০১১-০৬-২০)। "Derawar Fort – Living to tell the tale"DAWN.COM (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০১-১০ 
  4. Miraj, Muhammad Hassan (২০১৩-১২-২৭)। "Channan Pir"DAWN.COM (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০১-১০ 
  5. Gill, Majeed (২০১৭-০২-২১)। "Centuries-old catapult shells found near Bahawalpur"DAWN.COM (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০১-১০ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]