তুইতাল পবিত্র আত্মার গীর্জা
তুইতাল পবিত্র আত্মার গির্জা | |
---|---|
ধরন | গির্জা |
অবস্থান | তুইতাল, নবাবগঞ্জ |
অঞ্চল | ঢাকা জেলা |
নির্মিত | ১৯২৪ ইং |
মালিক | তুইতাল ধর্মপল্লী |
পবিত্র আত্মার গির্জা (ইংরেজি: হলি স্পিরিট চার্চ, Holy Spirit Church) একটি নান্দনিক খ্রিষ্টীয় ধর্মীয় উপাসনালয়। এটি ঢাকা বিভাগের অন্তর্গত নবাবগঞ্জ উপজেলার নয়নশ্রী ইউনিয়নের তুইতাল নামক গ্রামের ইছামতির তীরের ধর্মপল্লীতে অবস্থিত। উক্ত গ্রামের খ্রিষ্ট সম্প্রদায়ের জন্য এটিই একমাত্র ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান। তবে নান্দনিক সৌন্দর্য্য এবং প্রাকৃতিক স্বচ্চলতার জন্য সর্বস্তরের লোকেরই বিচরণ লক্ষ্য করা যায় উক্ত গির্জায়।[১]
নির্মাণ
[সম্পাদনা]বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠারও আগে তৎকালীন ব্রিটিশ বেঙ্গলের নানান জায়গায় ধর্ম প্রচারের লক্ষ্যে ইংরেজ মিশনারীগুলো থেকে গির্জাসহ নানারকম মিশনারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন এবং অনুদান প্রদান করা হয়। আর তারই উত্তরসূরী হিসেবে নবাবগঞ্জের হাসনাবাদে প্রতিষ্ঠিত হয় বৃহৎ গির্জা। আর এরই শাখা প্রশাখা স্বরূপ উক্ত প্রতিষ্ঠানের পার্শ্ববর্তী গ্রামসমূহে একাধিক গির্জা এবং মিশনারী স্কুল কলেক প্রতিষ্ঠা করা হয়। উক্ত 'তুইতাল পবিত্র আত্মার গির্জা' ও তৎকালীন মিশনারী স্কুল "তুইতাল গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ' এর সাথে অনুমোদন পায়।
প্রায় ১২০ বছর হাসনাবাদের অধীন থাকার পর ১৮৯৪ সালের ১৫ মে তুইতাল ধর্মপল্লী প্রতিষ্ঠিত হয়। আর ১৯২৪ সালে বর্তমান গির্জার পাশে একটি নতুন গির্জা নির্মিত হয়, যার নাম দেওয়া হয় ‘পবিত্র আত্মার গির্জা’।[২][৩]
পুনঃর্নির্মাণ
[সম্পাদনা]১৯২৪ সালে উক্ত গির্জা নির্মাণের পর বহুবার সংস্কার করা হয়। তবে সেটি অতিরিক্ত পুরোনো হয়ে গেলে ১৯৯৩ সালে উক্ত স্থানেই এর নতুন সংস্করণ নির্মাণ করা হয়।[২]
জনপ্রিয়তা
[সম্পাদনা]ইছামতির তীরে অবস্থিত হওয়ায় এটি উক্ত প্রতিষ্ঠানের সৌন্দর্য্য এবং শান্তিপ্রিয়তা বহুগুণে বৃদ্ধি করে দিয়েছে। অনন্য নকশায় সজ্জিত হবার দরুন এবং এর ভেতরের শান্তিপ্রিয় সবুজ এবং ফুলেল আবহাওয়া বিস্তারের কারণে খ্রিষ্ট ধর্মীয়দের সাথে অন্য ধর্মের লোকেদের নিকটও এটি একটি জনপ্রিয় পিকনিক স্পট। প্রতি রবিবার স্থানীয় খ্রিষ্ট সম্প্রদায় এখানে প্রার্থনা করতে আসে এবং প্রতি বড়দিনের পরে এখানে খ্রিষ্ট সম্প্রদায়ের বিবাহ অনুষ্ঠিত হয়। আর অন্যান্য দিনগুলি এটি অন্যান্য লোকেদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়, যদিও এর সুরক্ষার জন্য এখানে কঠোর নিষেধাজ্ঞা পালন করতে হয়।
এছাড়াও ১৯৩৩ সালে শাহরিয়ার কবিরের "একাত্তরের যীশূ" উপন্যাসের ভিত্তিতে তৈরিকৃত চলচ্চিত্র "একাত্তরের যীশূ"-এর শুটিং ও উক্ত গির্জা এবং এর পাশ্ববতী নদী ইছামতির তীরেই চিত্রায়িত করা হয়।
চিত্রশালা
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ প্রতিবেদক, নিজস্ব। "উৎসবের আমেজ নবাবগঞ্জ দোহারের খ্রিষ্টানপল্লিতে"। Prothomalo। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৭-৩০।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ ক খ "TuitalNewChurch"। News39.net। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৭-৩০।
- ↑ "ইতিহাসের সাক্ষী পঞ্চম গির্জা! | শেষের পাতা"। Protidiner Sangbad। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৭-৩০।