বিষয়বস্তুতে চলুন

তাইওয়ান জাতীয় গ্রন্থাগার

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
তাইওয়ান জাতীয় গ্রন্থাগার
গ্রন্থাগার ভবন
দেশ তাইওয়ান
ধরনগণ গ্রন্থাগার
প্রতিষ্ঠিত১৯১৪; ১১০ বছর আগে (1914)
অবস্থানঝোংহে, নিউ তাইপে, তাইওয়ান
স্থানাঙ্ক২৫°০০′০৪″ উত্তর ১২১°৩০′৪৩″ পূর্ব / ২৫.০০১° উত্তর ১২১.৫১২° পূর্ব / 25.001; 121.512
অন্যান্য তথ্য
পরিচালকলি শিউফেং (李秀凤)
ওয়েবসাইটwww.ntl.edu.tw
মানচিত্র
মানচিত্র

তাইওয়ান জাতীয় গ্রন্থাগার (প্রথাগত চীনা: 國立臺灣圖書館; সরলীকৃত চীনা: 国立台湾图书馆; ফিনিন: Guólì Táiwān Túshūguǎn) হল ঝোংহে, নিউ তাইপে, তাইওয়ানে অবস্থিত একটি গ্রন্থাগার। এটি তাইওয়ানের প্রাচীনতম গণগ্রন্থাগার।[] ১৯১৪ সালে প্রতিষ্ঠিত এ গ্রন্থাগারটি তাইওয়ানের ইতিহাস, সংস্কৃতি, রাজনীতি এবং ভূগোল সম্পর্কিত নথির এক বিশাল সংগ্রহশালা।

ইতিহাস

[সম্পাদনা]

জাপানি ঔপনিবেশিক শাসনামলে সামুনা সামাতা গভর্নরের আদেশে ১৯১৪ খ্রিস্টাব্দে গ্রন্থাগারটি সাম্রাজ্যিক তাইওয়ান লাইব্রেরি(ক্যুজিতাই: 臺灣總督府圖書館; শিনজিতাই: 台湾総督府図書館, Taiwan Sōtokufu Toshokan) নামে প্রতিষ্ঠিত হয়।দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় তাইপে শহরের বো'আই রোডে অবস্থিত গ্রন্থাগারের স্থায়ী ভবনটি যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক বোমা হামলায় ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়।[]

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের পরাজয়ের পর গ্রন্থাগারের নাম রাখা হয় তাইওয়ান প্রাদেশিক গ্রন্থাগার(臺灣省圖書館; Táiwān-Shěng Túshūguǎn)। তাইওয়ান চীনের অন্তর্গত থাকায় এমন নামকরণ করা হয়েছিলো।

১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে এর নাম রাখা হয় তাইওয়ান প্রাদেশিক তাইপে গ্রন্থাগার(臺灣省立臺北圖書館; Táiwān: Shěnglì Táiběi Túshūguǎn) এবং এটিকে ১৯৬৩ খ্রিস্টাব্দে দক্ষিণ শিনশাং রোডে (新生南路) স্থানান্তরিত করা হয়।[]

গ্রন্থাগারের নাম জাতীয় কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার, তাইওয়ান শাখা(國立中央圖書館臺灣分館; Guólì Zhōngyāng Túshūguǎn Táiwān Fēnguǎn) নির্ধারণ করা হয়েছে ১৯৭৪ খ্রিস্টাব্দে।

১৯৯৬ খ্রিস্টাব্দে এটি জাতীয় গ্রন্থাগার(國家圖書館; Guójiā Túshūguǎn) নাম ধারণ করে।[] ২০০৪ খ্রিস্টাব্দে এটি এর বর্তমান অবস্থান নিউ তাইপে সিটির ঝোংহে জেলার ৮-২৩ মেমোরিয়াল পার্কে স্থানান্তরিত করা হয়।[]

২০০৭ খ্রিস্টাব্দে হুয়াং ওয়েন-লিং গ্রন্থাগারের দ্বাদশ পরিচালক হিসেবে নিযুক্ত হন। তিনি গ্রন্থাগারটির প্রথম মহিলা পরিচালক হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করেন। গ্রন্থাগারের বর্তমান পরিচালক লি শিউফেং

সংগ্রহ

[সম্পাদনা]
তাইওয়ান জাতীয় গ্রন্থাগারের নামফলক

তাইওয়ান জাতীয় গ্রন্থাগারে তাইওয়ান সম্পর্কিত বিষয়ে বিশাল সংখ্যক নথি সংরক্ষিত রয়েছে। কিছু কিছু নথি চিং সাম্রাজ্যের সময়ের (১৮৯৫ খ্রিস্টাব্দের পূর্বে)। এছাড়া জাপানি ঔপনিবেশিক শাসনামলের (১৮৯৫–১৯৪৫) সময়কার ২,১০,০০০ সংখ্যক নথিও এখানে রক্ষিত আছে। প্রতিনিয়ত এর সংগ্রহসংখ্যা বেড়ে চলেছে। গ্রন্থাগারের প্রধান লক্ষ্য তাইওয়ানের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিষয়ে জানা ও গবেষণায় আগ্রহী পাঠকদের জন্য তথ্যের ভান্ডার হিসেবে কাজ করা।[]

১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে (৩৬ম চীনা প্রজাতন্ত্রী বর্ষ) 'শিশুদের পড়ার কক্ষ' নামে একটি অংশ উন্মুক্ত করা হয়। ১৯৪৯ সালে গ্রন্থাগারের স্থান পরিবর্তনের সময় তা বন্ধ হয়ে যায়। ১৯৯৩ খ্রিস্টাব্দে এটি 'পিতা-মাতা-সন্তান তথ্য কেন্দ্র' নামে পুনরায় উন্মুক্ত করা হয়। এতে বর্তমানে ১,২০,০০০ সংখ্যক সংগ্রহ রয়েছে।[]

দৃষ্টিশক্তিহীন ব্যক্তিদের জন্য গ্রন্থাগারটি পৃথক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। গ্রন্থাগারের সংগ্রহশালায় রয়েছে ১২,০০০ ব্রেইল বই, যাতে তথ্য ও উপাত্ত উন্নত প্রযুক্তির সহায়তায় সংরক্ষিত করা হয়েছে।[]

সংরক্ষণ ব্যবস্থা

[সম্পাদনা]

তাইওয়ানের বই সংরক্ষণ ব্যবস্থার পথিকৃৎ হিসেবে গ্রন্থাগারটি বিভিন্ন পুরাতন বই আধুনিক পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করার ব্যবস্থা করে থাকে। ফলে এটি বইয়ের জন্য এক আধুনিক বই হাসপাতাল হিসেবে কাজ করে। বিভিন্ন পুরোনো নথি ও বই পুনরুদ্ধার করা ছাড়াও এটি অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের কাছে বই সংরক্ষণ শিল্পের এক আদর্শ হিসেবে ভূমিকা পালন করে।[]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "লিবার্টি নিউজলেটার - ইয়াংজি গ্রন্থাগারের নাম পরিবর্তন...তাইওয়ান গ্রন্থাগারের উদ্বোধন(চীনা: 自由電子報 - 央圖分館更名…台灣圖書館揭牌)"web.archive.org। ২০১৩-০১-২৭। Archived from the original on ২০১৩-০১-২৭। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১২-১৮ 
  2. "জাতীয় গ্রন্থাগার - গ্রন্থাগারের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস (চীনা: 國家圖書館-本館簡史)"web.archive.org। ২০২০-১২-০৯। Archived from the original on ২০২০-১২-০৯। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১২-১৮ 
  3. "জিইয়াও দিয়ানজি পাও - ইয়াংথু গ্রন্থাগারের নাম পরিবর্তন, নতুন নাম তাইওয়ান গ্রন্থাগার(চীনা ভাষায়)"web.archive.org। ২০১৩-০১-২৭। Archived from the original on ২০১৩-০১-২৭। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১২-১৬ 
  4. "মধ্য-পরিসরের উন্নয়ন পরিকল্পনা - জাতীয় তাইওয়ানীয় গ্রন্থাগার(চীনা:中程發展計畫)"Web.archive.org। ২০১৯-০১-১০। Archived from the original on ২০২০-০১-৩১। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১২-১৭ 
  5. "ইয়াং শিরোং, এক স্বঘোষিত পুস্তক-চিকিৎসক, প্রাচীন পুস্তকাদির পুনর্জন্ম"自由時報電子報 (চীনা ভাষায়)। ২০০৮-১২-২২। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১২-১৬ 

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]