ডিএক্সএন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ডিএক্সএন লোগে

ডিএক্সএন মালয়েশিয়া ভিত্তিক একটি মাল্টিলেভেল মার্কেটিং কোম্পানি। এটি দাতুক ড. লিম সিও জিন কর্তৃক ১৯৯৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। ডিএক্সএন গনোদেরমা বা লিংজি মাশরুম ধারণকারী ডায়েটারি সাপ্লিমেন্ট, উত্পাদন এবং বাজারজাত করে। ডিএক্সএনের পণ্যগুলি ইউরোপ ও এশিয়ার কিছু দেশে তার অনুমোদিত সংস্থা দাইহসান, লিমিটেড এবং ড্যাক্সেন দ্বারা বিপণন করা হয়। বাংলাদেশে কোম্পানিটির বিরুদ্ধে প্রতারণার ঘটনার সাথে জড়িত থাকার ও টাকা নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ রয়েছে।[১]

সমালোচনা

২০১৭-১৮ সালে বাংলাদেশে যে সকল এমএলএম কোম্পানি ফুড সাপ্লিমেন্ট বিক্রির নামে মানুষের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে পালিয়েছে তার মধ্যে ডিএক্সএন অন্যতম।[১]

২০১৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি অবৈধ, নিম্নমানের ও অনুমোদনহীন ওষুধ আমদানি ও বিক্রয়ের দায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত ঢাকার বারিধারায় ডিএক্সএন ফার্মাসিউটিক্যালসকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করে।[২] এছাড়া সেসময় ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের অনুমতি ছাড়া নিম্নমানের, ভেজাল ও অনুমোদনবিহীন ওষুধ আমদানী ও বাজারজাত করায় ডিএক্সএন ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানীর ১০ লাখ টাকার ঔষধ জব্দ করা হয় এবং এসব ঔষধের কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে না পারায় কোম্পানীটির ব্যবস্থাপক সজল চক্রবর্তীকে ২ লাখ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরো ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়।[৩] গণমাধ্যমের ইসলামী আলেমগণ এই কোম্পানিকে এমএলএম তথা ডিরেক্ট মার্কেটিং পদ্ধতি অনুসরণ করার জন্য ধর্মীয়ভাবে অবৈধ হিসেবে ঘোষণা করেছেন।[৪][৫]

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. শেখ, রহিম (২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯)। "হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে দুুুই বছরে লাপাত্তা ২ ডজন কোম্পানি"দৈনিক জনকন্ঠ। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জুন ২০২২ 
  2. "ডিএক্সএন ফার্মাসিউটিক্যালসকে দুই লাখ টাকা জরিমানা"বাংলা ট্রিবিউন। ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬। ১৮ জুলাই ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জুন ২০২২ 
  3. "ডিএক্সএন ফার্মেসীর ১০ লাখ টাকার ওষুধ জব্দ"www.bd24live.com। ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জুন ২০২২ 
  4. আত তাহরিক, মাসিক। "প্রশ্ন (৩/৪০৩) : মালয়েশিয়া ভিত্তিক ডিএক্সএন কোম্পানী যে ব্যবসা করছে তার বৈধতা সম্পর্কে জানতে চাই"মাসিক আত-তাহরীক । ধর্ম, সমাজ ও সাহিত্য বিষয়ক গবেষণা পত্রিকা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জুন ২০২২ 
  5. "তথ্য বহুল মতামত আসলো, DXN ব্যবসা পদ্ধতির"www.mevtimes.com। ৮ আগস্ট ২০২১। ২৯ জুন ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জুন ২০২২ 

বহিঃসংযোগ