টেমপ্লেট:ভারতীয় ইতিহাসের যুগকরণ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

জেমস মিল (১৭৭৩-১৮৩৬),তাঁর দ্য হিস্ট্রি অব ব্রিটিশ ইন্ডিয়া (১৮১৭) গ্রন্থে,[১] ভারতের ইতিহাসের তিনটি পর্যায়ক্রম করেছেন, যেমন হিন্দু, মুসলিম ও ব্রিটিশ সভ্যতা।[১][২] এই যুগকরণ, ভ্রান্ত ধারনা বৃদ্ধির জন্য সমালোচিত হয়েছে।[৩] আরেকটি যুগকরণ হল "প্রাচীন, ধ্রুপদী, মধ্যযুগীয় এবং আধুনিক সময়ের" মধ্যে বিভাগ।[৪] স্মার্ট[৫] এবং মাইকেলস[৬] মনে হয় মিল-এর যুগকরণ অনুসরণ করেছেন,[note ১] যেখানে ফ্লাড[৭] এবং মুয়েস[৯][১০] "প্রাচীন, ধ্রুপদী, মধ্যযুগীয় এবং আধুনিক সময়সীমার" অনুসরণ করেছেন।[১১]

বিভিন্ন যুগকে "ধ্রুপদী হিন্দুধর্ম" হিসেবে মনোনীত করা হয়:

  • স্মার্ট ১০০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ এবং ১০০ খ্রীষ্টাব্দের মধ্যের সময়কে "প্রাকধ্রুপদ" বলেন। এটা উপনিষদ্ এবং ব্রহ্মতত্ত্ব[note ২], জৈনধর্ম ও বৌদ্ধধর্ম-এর জন্য গঠনমূলক সময়। স্মার্ট-এর মতে, "ধ্রুপদী যুগ" ১০০ থেকে ১০০০ খ্রীষ্টাব্দ স্থায়ী হয়, এবং ভারতের "ধ্রুপদী হিন্দুধর্ম" প্রস্ফুটিত হওয়া এবং মহাযান-বৌদ্ধধর্ম-এর বিকাশ ও ক্ষয় সমানুপাতিক।[১৩]
  • মাইকেলস-এর মতে, ৫০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ এবং ২০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের মধ্যের কাল একটি "তপস্বী সংস্কারবাদ"[১৪] যুগ, যেখানে ২০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ এবং ১১০০ খ্রীষ্টাব্দের মধ্যের যুগ "ধ্রুপদী হিন্দুধর্ম"-এর সময়, যেহেতু "বৈদিকধর্ম এবং হিন্দুধর্মের মধ্যে একটি সন্ধিক্ষণ" আছে।[১৫]
  • মুয়েস এক দীর্ঘ যুগ পরিবর্তনের পার্থক্য করেন, যেমন ৮০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ এবং ২০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ, যা তিনি "ধ্রুপদী যুগ" বলেন। মুয়েস-এর মত অনুযায়ী, হিন্দুধর্মের কিছু মৌলিক ধারণা, যেমন কর্মবাদ, পুনর্জন্মবাদ ও "আত্মউদ্বোধন এবং রূপান্তর", বৈদিকধর্মে যা বিদ্যমান ছিল না, এই সময় বিকশিত হয়।[১৬]


স্মার্ট[৫] মাইকেলস
(আনুপূর্বিক)
[১৭]
মাইকেলস
(বিস্তারিত)
[১৭]
মুয়েস[১০] ফ্লাড[১৮]
সিন্ধু সভ্যতা এবং বৈদিক যুগ
(৩০০০ – ১০০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ)
প্রাকবৈদিক ধর্ম
(১৭৫০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ পর্যন্ত)[৬]
প্রাকবৈদিক ধর্ম
(১৭৫০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ পর্যন্ত)[৬]
সিন্ধু সভ্যতা
(৩৩০০ – ১৪০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ)
সিন্ধু সভ্যতা
(২৫০০ থেকে ১৫০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ)
বৈদিকধর্ম
(১৭৫০ – ৫০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ)
প্রারম্ভিক বৈদিক যুগ
(১৭৫০ – ১২০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ)
বৈদিক যুগ
(১৬০০ – ৮০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ)
বৈদিক যুগ
(১৫০০ – ৫০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ)
মধ্য বৈদিক যুগ
(১২০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ থেকে)
প্রাকধ্রুপদী যুগ
(১০০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ – ১০০ খ্রিষ্টাব্দ)
অন্তিম বৈদিক যুগ
(৮৫০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ থেকে)
ধ্রুপদী যুগ
(৮০০ – ২০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ)
তপস্বী সংস্কারবাদ
(৫০০ – ২০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ)
তপস্বী সংস্কারবাদ
(৫০০ – ২০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ)
মহাকাব্য এবং পৌরাণিক যুগ
(৫০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ থেকে ৫০০ খ্রিষ্টাব্দ)
ধ্রুপদী হিন্দুধর্ম
(২০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ – ১১০০ খ্রিষ্টাব্দ)[১৫]
প্রাকধ্রুপদী হিন্দুধর্ম
(২০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ – ৩০০ খ্রিষ্টাব্দ)[১৯]
মহাকাব্য এবং পৌরাণিক যুগ
(২০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ – ৫০০ খ্রিষ্টাব্দ)
ধ্রুপদী যুগ
(১০০ – ১০০০ খ্রিষ্টাব্দ)
"স্বর্ণযুগ" (গুপ্ত সাম্রাজ্য)
(৩২০ – ৬৫০ খ্রিষ্টাব্দ)[২০]
ধ্রুপদোত্তর হিন্দুধর্ম
(৬৫০–১১০০ খ্রিষ্টাব্দ)[২১]
মধ্যযুগীয় এবং পুরাণোত্তর যুগ
(৫০০ – ১৫০০ খ্রিষ্টাব্দ)
মধ্যযুগীয় এবং পুরাণোত্তর যুগ
(৫০০ – ১৫০০ খ্রিষ্টাব্দ)
হিন্দু মুসলমান সভ্যতা
(১০০০ – ১৭৫০ খ্রিষ্টাব্দ)
মুসলমান শাসন এবং "হিন্দুধর্মের সম্প্রদায়সমূহ"
(১১০০ – ১৮৫০ খ্রিষ্টাব্দ)[২২]
মুসলমান শাসন এবং "হিন্দুধর্মের সম্প্রদায়সমূহ"
(১১০০ – ১৮৫০ খ্রিষ্টাব্দ)[২২]
আধুনিক যুগ
(১৫০০ খ্রিষ্টাব্দ থেকে বর্তমানকাল)
আধুনিক যুগ
(১৫০০ খ্রিষ্টাব্দ থেকে বর্তমানকাল)
আধুনিক যুগ
(১৭৫০ খ্রিষ্টাব্দ – বর্তমানকাল)
আধুনিক হিন্দুধর্ম
(১৮৫০ খ্রিষ্টাব্দ থেকে)[২৩]
আধুনিক হিন্দুধর্ম
(১৮৫০ খ্রিষ্টাব্দ থেকে)[২৩]

পাদটীকা[সম্পাদনা]

  1. Michaels mentions Flood 1996[৭] as a source for "Prevedic Religions".[৮]
  2. Smart distinguishes "Brahmanism" from the Vedic religion, connecting "Brahmanism" with the Upanishads.[১২]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Khanna 2007, পৃ. xvii।
  2. Misra 2004, পৃ. 194।
  3. Kulke 2004, পৃ. 7।
  4. Flood 1996, পৃ. 21।
  5. Smart 2003, পৃ. 52-53।
  6. Michaels 2004, পৃ. 32।
  7. Flood 1996
  8. Michaels 2004, পৃ. 31, 348।
  9. Muesse 2003
  10. Muesse 2011
  11. Muesse 2011, পৃ. 16।
  12. Smart 2003, পৃ. 52, 83-86।
  13. Smart 2003, পৃ. 52।
  14. Michaels 2004, পৃ. 36।
  15. Michaels 2004, পৃ. 38।
  16. Muesse 2003, পৃ. 14।
  17. Michaels 2004
  18. Flood ও 1996 21-22
  19. Michaels 2004, পৃ. 39।
  20. Michaels 2004, পৃ. 40।
  21. Michaels 2004, পৃ. 41।
  22. Michaels 2004, পৃ. 43।
  23. Michaels 2004, পৃ. 45।

উত্‍স[সম্পাদনা]

  • Flood, Gavin D. (১৯৯৬), An Introduction to Hinduism, Cambridge University Press 
  • Khanna, Meenakshi (২০০৭), Cultural History Of Medieval India, Berghahn Books 
  • Kulke, Hermann; Rothermund, Dietmar (২০০৪), A History of India, Routledge 
  • Michaels, Axel (২০০৪), Hinduism. Past and present, Princeton, New Jersey: Princeton University Press 
  • Misra, Amalendu (২০০৪), Identity and Religion: Foundations of Anti-Islamism in India, SAGE 
  • Muesse, Mark William (২০০৩), Great World Religions: Hinduism 
  • Muesse, Mark W. (২০১১), The Hindu Traditions: A Concise Introduction, Fortress Press 
  • Smart, Ninian (২০০৩), Godsdiensten van de wereld (The World's religions), Kampen: Uitgeverij Kok