টেমপ্লেট:পাল শাসকদের তালিকা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

অধিকাংশ পাল উৎকীর্ণ লিপির প্রতিষ্ঠাকাল হিসেবে রাজবর্ষের উল্লেখ রয়েছে, কোনও সর্বজন-পরিচিত পঞ্জিকা যুগের উল্লেখ নেই। এই কারণে পাল রাজাদের রাজাবলির কালরেখা নির্ণয় করা কঠিন।[১] বিভিন্ন লিপি ও ঐতিহাসিক নথির ব্যাখ্যার ভিত্তিতে ইতিহাসবিদগণ নিম্নোক্ত পাল রাজাবলিটি নির্ণয় করেছেন:[২]

রমেশচন্দ্র মজুমদার (১৯৭১)[৩] আব্দুল মোমিন চৌধুরী (১৯৬৭)[৪] বিন্ধ্যেশ্বরীপ্রসাদ সিনহা (১৯৭৭)[৫] দীনেশচন্দ্র সরকার (১৯৭৫-৭৬)[৬] দিলীপকুমার গঙ্গোপাধ্যায় (১৯৯৪)[১]
প্রথম গোপাল ৭৫০–৭৭০ ৭৫৬–৭৮১ ৭৫৫–৭৮৩ ৭৫০–৭৭৫ ৭৫০-৭৭৪
ধর্মপাল ৭৭০–৮১০ ৭৮১–৮২১ ৭৮৩–৮২০ ৭৭৫–৮১২ ৭৭৪-৮০৬
দেবপাল ৮১০–আনুমানিক ৮৫০ ৮২১–৮৬১ ৮২০–৮৬০ ৮১২–৮৫০ ৮০৬-৮৪৫
মহেন্দ্রপাল অনুল্লিখিত (মহেন্দ্রপালের অস্তিত্ব পরবর্তীকালে আবিষ্কৃত একটি তাম্রলিপির মাধ্যমে প্রমাণিত হয়।) ৮৪৫-৮৬০
প্রথম শূরপাল প্রথম বিগ্রহপালের বিকল্প নাম বলে বিবেচিত ৮৫০–৮৫৮ ৮৬০-৮৭২
দ্বিতীয় গোপাল (তামার প্লেট ১৯৯৫ সালে আবিষ্কৃত হয়। শিলালিপির পাঠ্য ২০০৯ সালে প্রকাশিত হয়।)
প্রথম বিগ্রহপাল ৮৫০–৮৫৩ ৮৬১–৮৬৬ ৮৬০–৮৬৫ ৮৫৮–৬০ ৮৭২–৮৭৩
নারায়ণপাল ৮৫৪–৯০৮ ৮৬৬–৯২০ ৮৬৫–৯২০ ৮৬০–৯১৭ ৮৭৩-৯২৭
রাজ্যপাল ৯০৮–৯৪০ ৯২০–৯৫২ ৯২০–৯৫২ ৯১৭–৯৫২ ৯২৭-৯৫৯
তৃতীয় গোপাল ৯৪০–৯৫৭ ৯৫২–৯৬৯ ৯৫২–৯৬৭ ৯৫২–৯৭২ ৯৫৯-৯৭৬
দ্বিতীয় বিগ্রহপাল ৯৬০–আনুমানিক ৯৮৬ ৯৬৯–৯৯৫ ৯৬৭–৯৮০ ৯৭২–৯৭৭ ৯৭৬-৯৭৭
প্রথম মহীপাল ৯৮৮–আনুমানিক ১০৩৬ ৯৯৫–১০৪৩ ৯৮০–১০৩৫ ৯৭৭–১০২৭ ৯৭৭–১০২৭
নয়পাল ১০৩৮–১০৫৩ ১০৪৩–১০৫৮ ১০৩৫–১০৫০ ১০২৭–১০৪৩ ১০২৭–১০৪৩
তৃতীয় বিগ্রহপাল ১০৫৪–১০৭২ ১০৫৮–১০৭৫ ১০৫০–১০৭৬ ১০৪৩–১০৭০ ১০৪৩–১০৭০
দ্বিতীয় মহীপাল ১০৭২–১০৭৫ ১০৭৫–১০৮০ ১০৭৬–১০৭৮/৯ ১০৭০-১০৭১ ১০৭০-১০৭১
দ্বিতীয় শূরপাল ১০৭৫–১০৭৭ ১০৮০–১০৮২ ১০৭১–১০৭২ ১০৭১–১০৭২
রামপাল ১০৭৭–১১৩০ ১০৮২–১১২৪ ১০৭৮/৯–১১৩২ ১০৭২–১১২৬ ১০৭২–১১২৬
কুমারপাল ১১৩০–১১৩৫ ১১২৪–১১২৮ ১১৩২–১১৩৬ ১১২৬–১১২৮ ১১২৬–১১২৮
চতুর্থ গোপাল ১১৪০–১১৪৪ ১১২৯–১১৪৩ ১১৩৬–১১৪৪ ১১২৮–১১৪৩ ১১২৮–১১৪৩
মদনপাল ১১৪৪–১১৬২ ১১৪৩–১১৬২ ১১৪৪–১১৬১/৬২ ১১৪৩–১১৬১ ১১৪৩–১১৬১
গোবিন্দপাল ১১৫৫–১১৫৯ অনুল্লিখিত ১১৬২-১১৭৬ বা ১১৫৮-১১৬২ ১১৬১–১১৬৫ ১১৬১–১১৬৫
পালপাল অনুল্লিখিত অনুল্লিখিত অনুল্লিখিত ১১৬৫–১১৯৯ ১১৬৫–১২০০

টীকা:[২]

  • প্রথম যুগের ইতিহাসবিদগণ মনে করতেন যে, প্রথম বিগ্রহপাল ও প্রথম শূরপাল একই ব্যক্তির দুই নাম। বর্তমানে জানা গিয়েছে যে, তাঁরা দুইজন জ্ঞাতিভ্রাতা ছিলেন। তাঁরা একই সময়ে (হয়ত ভিন্ন ভিন্ন অঞ্চলে) বা একজনের পর অপর জন শাসনকার্য চালান।
  • আব্দুল মোমিন চৌধুরী গোবিন্দপাল ও তাঁর উত্তরসূরি পালপালকে পাল সম্রাটবংশের সদস্য হিসেবে স্বীকার করেননি।
  • বিন্ধ্যেশ্বরীপ্রসাদ সিনহার মতে, গয়া উৎকীর্ণ লিপিটিকে “গোবিন্দপালের রাজত্বকালের ১৪শ বৎসর” বা “গোবিন্দপালের রাজত্বকালের ১৪ বছর পর” – এই দুই ভাবে পড়া যায়। তাই এক্ষেত্রে দুটি তারিখ প্রযোজ্য হওয়ার সম্ভাবনা আছে।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. দিলীপ কুমার গাঙ্গুলি (১৯৯৪)। Ancient India, History and Archaeology (ইংরেজি ভাষায়)। অভিনব। পৃষ্ঠা ৩৩–৪১। আইএসবিএন 978-81-7017-304-5 
  2. সুসান এল. হান্টিংটন (১৯৮৪)। The "Påala-Sena" Schools of Sculpture (ইংরেজি ভাষায়)। ব্রিল আর্কাইভ। পৃষ্ঠা ৩২–৩৯। আইএসবিএন 90-04-06856-2 
  3. আর. সি. মজুমদার (১৯৭১)। History of Ancient Bengal [প্রাচীন বাংলার ইতিহাস] (ইংরেজি ভাষায়)। জি. ভরদ্বাজ। পৃষ্ঠা ১৬১–১৬২। 
  4. আব্দুল মমিন চৌধুরী (১৯৬৭)। Dynastic history of Bengal, c. 750-1200 CE [বাংলার রাজবংশীয় ইতিহাস, আনু. ৭৫০-১২০০ সিই] (ইংরেজি ভাষায়)। পাকিস্তান এশিয়াটিক সোসাইটি। পৃষ্ঠা ২৭২–২৭৩। 
  5. বিন্দেশ্বরী প্রসাদ সিনহা (১৯৭৭)। Dynastic History of Magadha, Cir. 450–1200 A.D. (ইংরেজি ভাষায়)। অভিনব পাবলিকেশন্স। পৃষ্ঠা ২৫৩–। আইএসবিএন 978-81-7017-059-4 
  6. দীনেশচন্দ্র সরকার (১৯৭৫–৭৬)। "Indological Notes - R.C. Majumdar's Chronology of the Pala Kings"। জার্নাল অফ ইন্ডিয়ান হিস্ট্রি (ইংরেজি ভাষায়)। নবম: ২০৯-১০।