জেমস টড
এই নিবন্ধটি ইংরেজি থেকে বাংলায় অনুবাদ করা প্রয়োজন। এই নিবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় লেখা হয়েছে। নিবন্ধটি যদি ইংরেজি ভাষার ব্যবহারকারীদের উদ্দেশ্যে লেখা হয়ে থাকে তবে, অনুগ্রহ করে নিবন্ধটি ঐ নির্দিষ্ট ভাষার উইকিপিডিয়াতে তৈরি করুন। অন্যান্য ভাষার উইকিপিডিয়ার তালিকা দেখুন এখানে। এই নিবন্ধটি পড়ার জন্য আপনি গুগল অনুবাদ ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু এ ধরনের স্বয়ংক্রিয় সরঞ্জাম দ্বারা অনুবাদকৃত লেখা উইকিপিডিয়াতে সংযোজন করবেন না, কারণ সাধারণত এই সরঞ্জামগুলোর অনুবাদ মানসম্পন্ন হয় না। |
লেফটেন্যান্ট-কর্নেল জেমস টড | |
---|---|
জন্ম | |
মৃত্যু | ১৮ নভেম্বর ১৮৩৫ লন্ডন | (বয়স ৫৩)
পেশা | পলিটিক্যাল এজেন্ট, ইতিহাসবিদ, মানচিত্রকর, মুদ্রা-সংগ্রাহক |
নিয়োগকারী | ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি |
উল্লেখযোগ্য কর্ম |
|
দাম্পত্য সঙ্গী | জুলিয়া ক্লাটারবাক (বি. ১৮২৬–১৮৩৫) |
সন্তান |
|
পিতা-মাতা |
|
লেফট্যানেন্ট-কর্নেল জেমস টড (ইংরেজি: James Tod; ২০ মার্চ, ১৭৮২ – ১৮ নভেম্বর, ১৮৩৫) ছিলেন ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির এক আধিকারিক তথা বিশিষ্ট প্রাচ্যতত্ত্ববিদ। দাপ্তরিক কাজ ও শৌখিন আগ্রহের বিষয় নিয়ে গবেষণা করে তিনি ভারতের ইতিহাস ও ভূগোল বিষয়ে একাধিক গ্রন্থ রচনা করেন। তাঁর বিশেষ আগ্রহের ক্ষেত্র ছিল রাজপুতানা (অধুনা ভারতের রাজস্থান রাজ্য) নামে পরিচিত অঞ্চলটি।
টডের জন্ম লন্ডনে এবং পড়াশোনা স্কটল্যান্ডে। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিতে একজন সামরিক আধিকারিক হিসেবে যোগ দেওয়ার পর ১৭৯৯ সালে বেঙ্গল আর্মির এক ক্যাডেট হিসেবে ভারতে আসেন। দ্রুত তাঁর পদোন্নতি ঘটে। কালক্রমে তিনি এক সিন্ধিয়া রাজসভায় এক এনভয়ের রক্ষীবাহিনীর ক্যাপ্টেন হন। তৃতীয় ইঙ্গ-মারাঠা যুদ্ধের সময় তিনি গোয়েন্দা বিভাগে কর্মরত ছিলেন। এই যুদ্ধের পর তিনি রাজপুতানার কয়েকটি এলাকায় পলিটিক্যাল এজেন্ট হিসেবে নিযুক্ত হন। তাঁর কাজ ছিল ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির নিয়ন্ত্রণাধীনে ওই এলাকাটিকে ঐক্যবদ্ধ করতে সাহায্য করা। এই সময়ই তিনি এই অঞ্চলের উপর তাঁর অধিকাংশ গবেষণার কাজ শেষ করেন। এই গবেষণার ফসল তিনি পরে গ্রন্থাকারে প্রকাশ করেছিলেন। টড প্রথমে তাঁর দাপ্তরিক কাজে সফল হয়েছিলেন। কিন্তু ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির অন্যান্য সদস্যেরা তাঁর পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। পরে তাঁর কাজ সীমাবদ্ধ দেওয়া হয় এবং তাঁর এক্তিয়ারভুক্ত এলাকার সীমাও উল্লেখযোগ্য হারে কমিয়ে দেওয়া হয়। ১৮২৩ সালে ভগ্নস্বাস্থ্য ও দুর্নামের কারণে টড পলিটিক্যাল এজেন্টের পদ থেকে পদত্যাগ করেন এবং ইংল্যান্ডে ফিরে যান।
ইংল্যান্ডে ফিরে গিয়ে টড ভারতের ইতিহাস ও ভূগোলের উপর একাধিক গবেষণাধর্মী গ্রন্থ প্রকাশ করেন। এগুলির মধ্যে সর্বাপেক্ষা উল্লেখযোগ্য তাঁর ভ্রমণকালে সংগৃহীত উপাদানের ভিত্তিতে রচিত অ্যানালস অ্যান্ড অ্যান্টিকুইটিজ অফ রাজস্থান। ১৮২৬ সালে তিনি সামরিক বাহিনী থেকে অবসর গ্রহণ করেন এবং সেই বছরই জুলিয়া ক্লাটারবাককে বিবাহ করেন। ১৮৩৫ সালে ৫৩ বছর বয়সে তাঁর মৃত্যু হয়।
জীবনী
[সম্পাদনা]ভারতীয় উপমহাদেশে
[সম্পাদনা]গবেষণা কর্ম
[সম্পাদনা]জেমস টডের প্রকাশিত গবেষণা কর্মগুলোর তালিকা:
- Tod, James (১৮২৪)। "Translation of a Sanscrit Inscription, Relative to the Last Hindu King of Delhi, with Comments Thereon"। Transactions of the Royal Asiatic Society of Great Britain and Ireland। London: Royal Asiatic Society of Great Britain and Ireland। 1 (1): 133–154।
- Tod, James (১৮২৬)। "Comments on an Inscription upon Marble, at Madhucarghar; And Three Grants Inscribed on Copper, Found at Ujjayani"। Transactions of the Royal Asiatic Society of Great Britain and Ireland। London: Royal Asiatic Society of Great Britain and Ireland। 1 (2): 207–229।
- Tod, James (১৮২৬)। "An Account of Greek, Parthian, and Hindu Medals, Found in India"। Transactions of the Royal Asiatic Society of Great Britain and Ireland। London: Royal Asiatic Society of Great Britain and Ireland। 1 (2): 313–342।
- Tod, James (১৮২৯)। "On the Religious Establishments of Mewar"। Transactions of the Royal Asiatic Society of Great Britain and Ireland। London: Royal Asiatic Society of Great Britain and Ireland। 2 (1): 270–325।
- Tod, James (১৮২৯)। "Remarks on Certain Sculptures in the Cave Temples of Ellora"। Transactions of the Royal Asiatic Society of Great Britain and Ireland। London: Royal Asiatic Society of Great Britain and Ireland। 2 (1): 328–339।
- Tod, James (১৮২৯)। Annals and Antiquities of Rajast'han or the Central and Western Rajpoot States of India, Volume 1। London: Smith, Elder।
- Tod, James (১৮৩০)। "Observations on a Gold Ring of Hindu Fabrication found at Montrose in Scotland"। Transactions of the Royal Asiatic Society of Great Britain and Ireland। London: Royal Asiatic Society of Great Britain and Ireland। 2 (2): 559–571।
- Tod, James (১৮৩১)। "Comparison of the Hindu and Theban Hercules, illustrated by an ancient Hindu Intaglio"। Transactions of the Royal Asiatic Society of Great Britain and Ireland। London: Royal Asiatic Society of Great Britain and Ireland। 3 (1): 139–159।
- Tod, James (১৮৩২)। Annals and Antiquities of Rajast'han or the Central and Western Rajpoot States of India, Volume 2। London: Smith, Elder।
- Tod, James (১৮৩৯)। Travels in Western India। London: W. H. Allen।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]আরও পড়ুন
[সম্পাদনা]- ডি’সুজা, ফ্লোরেন্স (২০১৫)। নলেজ, মেডিয়েশন অ্যান্ড এম্পায়ার: জেমস টড’স জার্নিজ অ্যামং দ্য রাজপুতস। ম্যাঞ্চেস্টার: ম্যাঞ্চেস্টার ইউনিভার্সিটি প্রেস। আইএসবিএন 978-0-7190-9080-6।
- ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি (আগস্ট ১৮২৯)। "রিভিউ অফ বুকস: অ্যানালস অ্যান্ড অ্যান্টিকুইটিজ অফ রাজস্থান"। এশিয়াটিক জার্নাল অ্যান্ড মান্থলি মিসলেনি। ২৮ (১৬৪): ১৮৭–১৯৮।
- ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি (মে–আগস্ট ১৮৩২)। "কর্নেল টড'স হিস্ট্রি অফ রাজপুতানা (বুক রিভিউ, ভলিউম ২)"। এশিয়াটিক জার্নাল অ্যান্ড মান্থলি মিসলেনি। নিউ সিরিজ। ৮ (২৯): ৫৭–৬৬।
- ওঝা, গৌরীশংকর হীরাচন্দ (২০০২)। সুপ্রসিদ্ধ ইতিহাসকার কর্নেল জেমস টড কা জীবন চরিত্র (হিন্দিতে)। যোধপুর: রাজস্থানী গ্রন্থাগার।
- বাকিংহাম, জেমস সিল্ক; স্টারলিং, জন; মরিস, ফ্রেডেরিক ডেনিসন; স্টেবিং, হেনরি; ডিলকে, চার্লস ওয়েন্টওয়ার্থ; হার্ভে, টমাস কিবল; ডিক্সন, উইলিয়াম হেপওয়ার্থ; ম্যাককোল, নরম্যান; মারি, জন মিডলটন; রেন্ডাল, ভার্নন হোরাস (২৭ জুলাই ১৮৩৯)। "রিভিউজ"। দি এথেনিয়াম (৬১৩): ৫৫৫–৫৫৮। – ট্রাভেলস-এর আংশিক আলোচনা, পরবর্তী সংখ্যায় সমাপ্ত হয়েছে।
- টিলোটসন, গিলেস, সম্পাদক (২০০৭)। জেমস টড’স রাজস্থান: দ্য হিস্টোরিয়ান অ্যান্ড হিজ কালেকশনস। মুম্বাই: মার্গ পাবলিকেশনস অন বিহাফ অফ দ্য ন্যাশনাল সেন্টার ফর দ্য পারফরমিং আর্টস। আইএসবিএন 978-81-85026-80-0।
- "ট্রিটি উইথ দ্য রাজা অফ বুন্দি"। ট্রিটিজ অ্যান্ড এনগেজমেন্টস উইথ নেটিভ প্রিন্সেস অ্যান্ড স্টেটস ইন ইন্ডিয়া ১৮১৭ অ্যান্ড ১৮১৮। লন্ডন: ইন্ডিয়া অফিস। ১৮২৪। পৃষ্ঠা xci। – টড যুক্ত ছিলেন এমন একটি চুক্তির নমুনা।
- বৈশিষ্ট্য, বিজয় কুমার (১৯৯২)। "জেমস টড অ্যাজ আ হিস্টোরিয়ান"। শর্মা, গোপীনাথ; ভাটনগর, ভি. এস.। দ্য হিস্টোরিয়ানস অ্যান্ড সোর্সেস অফ হিস্ট্রি অফ রাজস্থান। জয়পুর: সেন্টার ফর রাজস্থান স্টাডিজ, রাজস্থান বিশ্ববিদ্যালয়।