জেইসেল পরীক্ষা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

জেইসেল পরীক্ষা বা জেইসেল নির্ণয় হল এস্টার বা ইথারের উপস্থিতি শনাক্তকরণের একটি রাসায়নিক পরীক্ষা।[১][২][৩][৪]

বিক্রিয়াটি চেক রসায়নবিদ সাইমন জেইসেল (১৮৫৪-১৯৩৩) এর নামাঙ্কিত। এই গুণগত বিশ্লেষণে প্রথমে একটি টেস্টটিউবে নমুনার সাথে এসিটিক এসিড এবং হাইড্রোজেন আয়োডাইড মিশ্রণের বিক্রিয়া ঘটানো হয়। ফলাফল হিসেবে ইথার এবং এস্টার অ্যালকাইল আয়োডাইডের অধঃক্ষেপ তৈরি করে যথাক্রমে অ্যালকোহল বা কার্বোক্সিলিক এসিডে পরিণত হয়।

জেইসেল পরীক্ষা
জেইসেল পরীক্ষা

এই মিশ্রণকে উত্তপ্ত করা হলে মিশ্রণের উপাদান গ্যাসের সাথে বিক্রিয়া করে। তখন মারকারি(২) নাইট্রেট দ্বারা সম্পৃক্ত একটি কাগজ টেস্টটিউবের মুখে ধরা হয়। কোনো অ্যালকাইল আয়োডাইড উপস্থিত থাকলে মারকারির সাথে বিক্রিয়া করে মারকারি(II) আয়োডাইড গঠন করে, যার বর্ণ লাল কিংবা হলুদ হয়।

মিথোক্সি (-OCH3) মূলক শনাক্তকরণেও এই বিক্রিয়া ব্যবহৃত হয়;[৫] তবে এক্ষেত্রে সিলভার নাইট্রেট দ্রবণের সাথে আয়োডোমিথেনের পাতন করা হয়, যার ফলশ্রুতিতে সিলভার আয়োডাইডের অধঃক্ষেপ তৈরি হয়। এই অধঃক্ষেপের ফিল্টার এবং ওজন নির্ণয়ের মাধ্যমে আয়োডিন পরমাণুর সংখ্যা নির্ণয় করা যায় এবং এর উপর ভিত্তি করে শনাক্ত করা যায় মিথক্সি গ্রুপের উপস্থিতি।

সাংশ্লেষিক প্রয়োগ:

জেইসেল পরীক্ষা
জেইসেল পরীক্ষা

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. এস. জেইসেল (১৮৮৫)। Monatshefte für Chemie 6 (জার্মান ভাষায়)। পৃষ্ঠা ৯৮৯। [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  2. এস. জেইসেল (১৮৮৬)। Monatshefte für Chemie 7 (জার্মান ভাষায়)। পৃষ্ঠা ৪০৭। [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  3. ভি. প্রে (১৯৪১)। Chemische Berichte 74 (ইংরেজি ভাষায়)। পৃষ্ঠা ৩৫০। ২ জুলাই ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ অক্টোবর ২০১৬ 
  4. লাঞ্জ (১৯৬২)। J Org Chem 27 (জার্মান ভাষায়)। পৃষ্ঠা ২০৩৭। 
  5. "Ziesel Reaction" (ইংরেজি ভাষায়)। ৩০ জুন ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ অক্টোবর ২০১৬ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]