জীবন বীমা কর্পোরেশন
জীবন বীমা কর্পোরেশন একটি সরকারী প্রতিষ্ঠান। রাষ্ট্রায়ত্ত এই জীবন বীমা কর্পোরেশন ১৯৭৩ সালের ১৪ মে ইন্সুরেন্স অ্যাক্ট ১৯৩৮ ও ইন্সুরেন্স রুলস ১৯৫৮ এবং বাংলাদেশ কর্পোরেশন অ্যাক্ট ১৯৭৩ এর অধীন ১৫ লক্ষ ৭০ কোটি টাকার ঘাটতি দায় নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়। জীবন বীমা কর্পোরেশনের বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ আসাদুল ইসলাম সাবেক সিনিয়র সচিব, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়।[১]
ইতিহাস
[সম্পাদনা]১৯৭১ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে ৭৫টি বীমা কোম্পানি ছিল, তারমধ্যে ১০টি স্থানীয়ভাবে নিবন্ধিত। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালে রাষ্ট্রপতির ৯৫নং আদেশ বলে বাংলাদেশের সকল জীবন ও সাধারণ বীমা কোম্পানি জাতীয়করণ করে। এই জাতীয়করণের দ্বারা অধিকৃত কোম্পানিগুলি বিলুপ্ত করে ৫টি কোম্পানি গঠন করে; বাংলাদেশ জাতীয় বীমা কর্পোরেশন, তিস্তা বীমা কর্পোরেশন, কর্ণফুলি বীমা কর্পোরেশন, সুরমা জীবন বীমা কর্পোরেশন এবং রূপসা জীবন বীমা কর্পোরেশন। ১৯৭৩ সালে রাষ্ট্রপতির আদেশে সুরমা ও রূপসা জীবন বীমা কর্পোরেশনকে একত্রিত করে জীবন বীমা কর্পোরেশন প্রতিষ্ঠা করে।
বীমা পলিসি
[সম্পাদনা]জেবিসি পনেরো ধরনের জীবন বীমা স্কিমের মাধ্যমে বীমাসেবা বিক্রয় করে আসছে। এগুলো হল
- আমৃত্যু জীবন বীমা,
- পলিসির মূল্য পরিশোধ ভিত্তিতে বীমা,
- শিশু প্রতিরক্ষা বীমা,
- শিশুদের পলিসির মূল্য পরিশোধভিত্তিক বীমা,
- পলিসির অনুমিত মূল্য পরিশোধভিত্তিক বীমা,
- পেনশন স্কিম বীমা,
- এক দফায় প্রিমিয়াম বীমা,
- বন্ধক প্রতিরক্ষা বীমা,
- মেয়াদি গোষ্ঠী বীমা,
- পলিসির মূল পরিশোধভিত্তিক গোষ্ঠী বীমা,
- পরিবর্তনশীল হিসাবে পলিসির মূল্য পরিশোধভিত্তিক গোষ্ঠী বীমা,
- দলগত পেনশন বীমা,
- গ্রামীণ বীমা,
- যুগ্ম জীবন বীমা এবং
- বর্ধিষ্ণু হারে প্রিমিয়াম পরিশোধভিত্তিক বীমা।