জাহিদ সোহ্‌রাওয়ার্দী

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
জাহিদ সোহ্‌রাওয়ার্দী
কলকাতায় সোহ্‌রাওয়ার্দী, ১৯৩৭
বিচারক, কলকাতা উচ্চ আদালত
কাজের মেয়াদ
২৫ ফেব্রুয়ারি ১৯২১ – ২৭ নভেম্বর ১৯৩১
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্মজুহাদ রহিম জাহিদ সোহ্‌রাওয়ার্দী
২৭ নভেম্বর ১৮৭০[১]
মেদিনীপুর, বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারত
মৃত্যু২ জানুয়ারি ১৯৪৯(1949-01-02) (বয়স ৭৮)
কলকাতা, ভারত
দাম্পত্য সঙ্গীখুজিস্তা আখতার বানু
সন্তান

স্যার জাহিদ সোহ্‌রাওয়ার্দী (২৭ নভেম্বর ১৮৭০ – ২ জানুয়ারী ১৯৪৯) যিনি জাহিদুর রহমান নামেও পরিচিত,[২] ছিলেন একজন ভারতীয় বাঙালি আইনজ্ঞ যিনি ১৯২১ থেকে ১৯৩১ সালের মধ্যে কলকাতা উচ্চ আদালতে একজন বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী হোসেন শহীদ সোহ্‌রাওয়ার্দী ও ভাষাবিদ হাসান শহীদ সোহ্‌রাওয়ার্দীর পিতা ছিলেন।

জীবনী[সম্পাদনা]

সোহরাওয়ার্দীর জন্ম অবিভক্ত বঙ্গের মেদিনীপুরে, তিনি আইনজীবী সরদার মাওলানা মোবারক আলী সোহরাওয়ার্দীর পুত্র।[৩] তিনি ঢাকা ও কলকাতায় শিক্ষা লাভ করেন। তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে ডিগ্রী লাভের পর আইনজীবি হিসেবে অনুশীলন শুরু করেন। বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির চব্বিশ পরগনার জেলা আদালতে একজন আইনজীবী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করার পরে তিনি কলকাতা উচ্চ আদালতে একজন আইনজীবী হিসেবে অনুশীলন শুরু করেন।[৪] তারপর ভারতে ফিরে আসার আগে তিনি ব্যারিস্টার-অ্যাট-ল হিসেবে লিংকনস্‌ ইন থেকে বারের জন্য যোগ্যতা অর্জন করেন।[২] পরবর্তীকালে তিনি আবার কলকাতা হাইকোর্টে অনুশীলন শুরু করেন ও একই আদালতে বিচারক হিসেবে উন্নীত হওয়ার আগে সফল প্রমাণিত হন। দশ বছর পর ১৯৩১ সালের নভেম্বর মাসে তিনি চাকরি থেকে পদত্যাগ করেন।[৫] তিনি ১৯২৮ সালে নাইট উপাধি লাভ করেন।

১৮৮৮ সালে সোহরাওয়ার্দী খুজিস্তা আখতার বানুকে (আনু. ১৮৭৪–১৯১৯)[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] বিয়ে করেন যিনি ছিলেন শিক্ষাবিদ ওবায়দুল্লাহ আল ওবায়দী সোহরাওয়ার্দীর কন্যা। তাদের সন্তানদের পরিচয় হলো ভাষাবিদ হাসান শহীদ সোহ্‌রাওয়ার্দী (১৮৯০–১৯৬৫) ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হোসেন শহীদ সোহ্‌রাওয়ার্দী (১৮৯২–১৯৬৩)।

সোহরাওয়ার্দী ১৯৪৯ সালের ২ জানুয়ারি তারিখে ৭৮ বছর বয়সে কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন।[৬]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Burke, Sir Bernard, সম্পাদক (১৯৩৯)। Burke's Peerage, Baronetage & Knighthood (97th সংস্করণ)। Burke's Peerage & Gentry। পৃষ্ঠা 2921–2922। 
  2. Gangopadhyay, Sunil (৩ এপ্রিল ২০১০)। "Forgotten pride of our subcontinent"The Daily Star। ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ 
  3. Memoirs of Huseyn Shaheed Suhrawardy with a Brief Account of His Life and Work (ইংরেজি ভাষায়) (2nd সংস্করণ)। Oxford University Press। ২০০৯। পৃষ্ঠা 4। আইএসবিএন 978-0-19-547722-1। সংগ্রহের তারিখ ১৪ জুন ২০১৮ 
  4. Ikram, S. M. (১৯৯৫)। Indian Muslims and Partition of India। Atlantic Publishers & Distributors Pvt Ltd। পৃষ্ঠা 321। আইএসবিএন 9788171563746। সংগ্রহের তারিখ ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ 
  5. "Puisne justices, Calcutta High Court" (পিডিএফ)। calcuttahighcourt.nic.in। পৃষ্ঠা 244। ১৬ জুলাই ২০১৪ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ 
  6. "Zahid Suhrawardy Dead"The Indian Express। Associated Press of India। ৩ জানুয়ারি ১৯৪৯। সংগ্রহের তারিখ ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮