জালাপুত বাঁধ
জালাপুত বাঁধ | |
---|---|
অবস্থান | জালাপুত |
স্থানাঙ্ক | ১৮°২৭′১৪″ উত্তর ৮২°৩২′৪৯″ পূর্ব / ১৮.৪৫৩৮৯° উত্তর ৮২.৫৪৬৯৪° পূর্ব |
উদ্দেশ্য | Irrigation, Power |
অবস্থা | সক্রিয় |
উদ্বোধনের তারিখ | ২০০০ |
অপারেটর | অন্ধ্র প্রদেশ এবং ওড়িশা |
বাঁধ এবং অতিরিক্ত জলনির্গমপথ | |
বাঁধের ধরন | Earthen |
আবদ্ধতা | মাছকুন্ড নদী |
উচ্চতা | ৬০.৬৫ মি (১৯৯ ফু) maximum. |
দৈর্ঘ্য | ৪১৯ মি (১,৩৭৫ ফু) |
অতিরিক্ত জলনির্গমপথের ধরন | Ogee section |
অতিরিক্ত জলনির্গমপথের ধারণক্ষমতা | ৫৬৬০ cumecs |
জলাধার | |
তৈরি | জালাপুত জলাধারা |
মোট ধারণক্ষমতা | ৯৭১×১০ ৬ মি৩ (০.২৩৩ মা৩) |
সক্রিয় ধারণক্ষমতা | ৮৯৩×১০ ৬ মি৩ (০.২১৪ মা৩) |
নিষ্ক্রিয় ধারণক্ষমতা | ৭৮×১০ ৬ মি৩ (০.০১৯ মা৩) |
অববাহিকার আয়তন | ১,৯৬৩ কিমি২ (৭৫৮ মা২) |
পৃষ্ঠতলের আয়তন | ৯৭.১২ কিমি২ (৩৭.৫০ মা২) |
পাওয়ার স্টেশন | |
কার্যকারক | অন্ধ্রপ্রদেশ |
ঘূর্ণযন্ত্র | 3 × 17, 3 × 23 MW |
স্থাপিত ক্ষমতা | 120 MW |
জালাপুত বাঁধ বা জলপুত বাঁধ একটি জলবিদ্যুৎ বাঁধ, যা ভারতের গোদাবরী নদীর উপনদী মাচকুণ্ড নদীতে নির্মিত হয়েছে।[১] এটি বিশাখাপত্তনম অঞ্চলের মুদগল পাহাড়ে এবং অন্ধ্রপ্রদেশ ও ওড়িশার মধ্যবর্তী সীমানা হয়ে দাঁড়িয়েছে। নদীটি ৪৮ কিলোমিটারেরও বেশি পথ পাদোয়া উপত্যকার মধ্য দিয়ে উত্তর দিক বরাবর প্রবাহিত হয়েছে। জয়পুরের ৪৮ কিলোমিটার দক্ষিণে মালভূমির প্রান্ত বরাবর পশ্চিমাঞ্চলে নদী বইছে এবং একটি ছোটো কোণে দক্ষিণ-পশ্চিমে দমুমা জলপ্রপাত নামে সুপরিচিত একটি ঘনবসতিপূর্ণ ভূখণ্ডে হঠাৎ করে নিচে পতিত হয় নদীটি।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]জালাপুত বাঁধ (এবং রিজার্ভোয়ার) ১৯৫৫ সাল থেকে চালু হয় ১২০ মেগাওয়াট মাচকুন্ড হাইড্রো-ইলেকট্রিক প্রকল্প (এমএইচইএস) -এর সঙ্গে ৩৪.২৭৩ টিটিএমসিএফটি আয়োতনের জলধারা সহ। বাঁধ এবং জলবিদ্যুৎ প্রকল্পটি হল অন্ধ্র প্রদেশ ও উড়িষ্যা রাজ্যের যৌথ প্রকল্প। [২] বর্তমান প্রযুক্তিপণ্যের তুলনায় বিদ্যমান ছয়টি নম্বরের বিদ্যুৎ উৎপাদন ইউনিট পুরানো এবং অপ্রচলিত হয়ে উঠেছে। জলপুত জলাধার এবং বিদ্যমান পত্যাবর্তন জলের বালিমেলা জলাধার মধ্য প্রায় ৪০০ মিটার উচ্চাতা পার্থক্য ব্যবহার করে ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ সুড়ঙ্গ দিয়ে জল প্রবাহিত করে নতুন জলবিদ্যুৎ প্রকল্প চালু করার বেশ লাভজনক। উচ্চ জল স্তরের পতন ব্যবহার করে পিকিং-শক্তি দ্বারা বিপুল ক্ষমতা বা শক্তি পাম্প-স্টোরেজ জলবিদ্যুত স্টেশন স্থাপনের করার সম্ভাবনা রয়েছে। পাম্প-স্টোরেজ হাইড্রোইলেক্ট্রিটি ইউনিট স্থাপন করার জন্য এই জলাধারার উপরের জল এবং বিদ্যমান বালিমেলা জলাশয় নিচের জলাধার হিসাবে হিসেবে কাজ করবে। সুতরাং এই জলাধার জল আরো উৎপাদনশীলভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে। প্রায় ৪ কিলোমিটার দীর্ঘ সুড়ঙ্গ দিয়ে মক্কুন্ড নদী অববাহিকায় আশপাশের নিকটবর্তী কোলাব জলাধার [৩] থেকে অতিরিক্ত জলকে ব্যবহার করে বর্তমান এমএইচএস [৪] কে পরিচালনা করা যায়। এটির জন্য পরিশেষে নির্মানের আগে সিলিরু নদী অববাহিকার মধ্যে মাথাপিছু প্রায় ২০০% আরো বিদ্যুৎ উপলব্ধ বা ব্যবহার করা যাবে জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের বিদ্যুৎ উপরের কোলাব জলাধার থেকে অতিরিক্ত জল ব্যবহার করে।
যোগাযোগ
[সম্পাদনা]জালাপুত ওড়িশা ও অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপাতনম অঞ্চলের সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলির সাথে সড়ক দ্বারা সংযুক্ত করেছে। শীতের সময় এটি সর্বাধিক ভ্রমণের স্থানগুলির মধ্যে একটি। আরাকু উপত্যকা এখানে থেকে ৬০ কিমি দূরে। বিশখাপত্তনম এই অঞ্চলের বৃহত্তম শহর।
পেশা
[সম্পাদনা]নিকটবর্তী গ্রামগুলি কৃষি প্রধান। জালাপুত (জালাপুটের অধিবাসীরা) এলাকার মানুষ প্রধানত সরকারি কর্মচারী। এখানে খুচরা ব্যবসা তেলুগু ভাষাভাষী মানুষ এবং কয়েকজন বিশিষ্ট ওড়িয়া ভাষাভাষী ব্যবসায়ীরা দ্বারা প্রভাবিত হয়। এক দশক ধরে কাঠ কাটা একটি বিশিষ্ট ব্যবসা হয়ে উঠেছে। গত কয়েক বছর অনেক দলগত মারামারি বৃদ্ধি পেয়েছে। গত পাঁচ বছরে বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে বেড়ে ওঠা মারামারি নিয়ে জেলা প্রশাসন উদ্বিগ্ন। এখানে চাল, জাভা এবং অনেক ঔষধি গাছপালা ছাড়াও এখানে কৃষি ব্যবসায়ের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ রয়েছে। বর্তমানে এখানকার বাসিন্দারা অনেক ঔষধ উদ্ভিদ, জাত্রোপা বাগান এবং "টিস্যু কালচাল" জন্য চুক্তিগত চাষে প্রবেশ করেছে।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Godavari river basin map" (পিডিএফ)। ১২ অক্টোবর ২০১৩ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ মে ২০১৮।
- ↑ "Jalaput Dam D03658"। সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ এপ্রিল ২, ২০১৬।
- ↑ "Odisha Hydro Power Corporation Ltd"। ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ মে ২০১৮।
- ↑ "Andhra Pradesh Power Generation Corporation Ltd"। ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ মে ২০১৮।