জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন
জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন | |
প্রতিষ্ঠাকাল | ১৯৮৪ |
---|---|
সদরদপ্তর | ৩১/এফ টোপখানা রোড ঢাকা-১০০০ |
অবস্থান | |
সদস্য | ৪১,৩০৩ (দাবিকৃত)[১] |
মূল ব্যক্তিত্ব | আমিরুল হক আমিন, সভাপতি[২] রফিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক |
ওয়েবসাইট | www.ngwfbd.com |
জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন (এনজিডব্লিইউপি) হল বাংলাদেশের একটি নিবন্ধিত জাতীয় ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশন যা গার্মেন্টস শ্রমিকদের নিয়ে কাজ করে। এটি ৮৭টি নিবন্ধিত কারখানা ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত এবং গার্মেন্ট শ্রমিকদের চারটি প্রধান ফেডারেশনের একটি হিসেবে গণ্য করা হয়।[৩] এনজিডব্লিউএফ হল বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য পরিষদ এবং বাংলাদেশ সেন্টার ফর ওয়ার্কার্স সলিডারিটি এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। এটি ইন্ডাস্ট্রিআল গ্লোবাল ইউনিয়ন এর সাথে সংযুক্ত এবং বাংলাদেশে অগ্নি ও ভবন নিরাপত্তায় একর্ড এর স্বাক্ষরকারী সংগঠনগুলোর মধ্যে একটি।[৪]
সংগঠন
[সম্পাদনা]এনজিডব্লিউএফ এর কেন্দ্রীয় অফিস ঢাকা শহরে অবস্থিত। দেশের বিভিন্ন গার্মেন্ট শিল্প অঞ্চলে এর ১১টি শাখা অফিস রয়েছে, যেখানে ৮৭টি নিবন্ধিত কারখানা ইউনিয়ন এবং ১২৬১টি কারখানা কমিটি রয়েছে।[৫] এনজিডব্লিউএফ দাবি করে যে বর্তমানে তাদের মোট ৪১,৩০৩ জন সদস্য রয়েছে, যার মধ্যে ২৩,৫২০ জন নারী এবং ১৭,৭৮৩ জন পুরুষ। এই সদস্যরা প্রতি দুই বছরে কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি নির্বাচিত করে। সেই কমিটির ৩০ সদস্যের মধ্যে ১৫ জন নারী, যার মধ্যে সাধারণ সম্পাদক, সহ-সভাপতি এবং কোষাধ্যক্ষ রয়েছেন।[১]
ইতিহাস
[সম্পাদনা]২০০২ সালে, এনজিডব্লিউএফ ১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের গার্মেন্ট শিল্পে দেশব্যাপী ধর্মঘটের ডাক দেয়। তাদের দাবিগুলোর মধ্যে শ্রমিক ও ইউনিয়নের অধিকার এবং স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত ছিল।[৬]
২০০৫ সালে ঢাকায় একটি গার্মেন্ট কারখানার ধসের পর, এনজিডব্লিউএফ নিরাপদ কর্মস্থলের দাবিতে জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন, বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক ফেডারেশন এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন এর সাথে মিলিত হয়ে ঢাকায় প্রতিবাদ সংগঠিত করে।[৭] ২০১২ সালে ঢাকার গার্মেন্ট কারখানার আগুনে ১২৫ জন শ্রমিকের মৃত্যুর পর এনজিডব্লিউএফ আবারো একটি র্যালি সংগঠিত করে এবং নিরাপদ কর্মস্থল, মৃতদের পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণ এবং চিকিৎসা বিল প্রদানের দাবি জানায়।[৮]
সম্পর্কিত সংগঠন
[সম্পাদনা]- ইন্ডাস্ট্রিআল গ্লোবাল ইউনিয়ন
- বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য পরিষদ
- বাংলাদেশ সেন্টার ফর ওয়ার্কার্স সলিডারিটি
- বাংলাদেশ জাতীয় শ্রমিক জোট
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ "Overview"। National Garment Workers Federation।
- ↑ "President"। NGWF।
- ↑ খান্না, প্রজ্ঞা (২০১১)। "শিল্প সংকটের সময় শ্রমিকদের কণ্ঠস্বর শোনা: বাংলাদেশের গার্মেন্ট শিল্পে শ্রমিকদের সংগ্রাম"। Labour, Capital & Society / Travail, capital et société। ৪৪ (২): ১০৬–১২৯। জেস্টোর 43158407। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১১-২৮।
- ↑ "Accord Signatories"। Stichting Bangladesh Accord Foundation। ১৮ নভেম্বর ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪।
- ↑ "About Us"। NGWF।
- ↑ "গার্মেন্ট শ্রমিকদের দেশব্যাপী ধর্মঘট ১ সেপ্টেম্বর, ২০০২"। LabourNet Germany। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১১-২৭।
- ↑ "আদালতের আদেশ অমান্য করায় গার্মেন্ট মালিকদের শাস্তি দিন: ড. কামাল"। দ্য ডেইলি স্টার। ২০০৫-০১-১৫। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১১-২৭।
- ↑ "কারখানা মালিক, সরকার, ক্রেতা এবং বিগমিএ যেন ভবিষ্যতে এমন কোন কারখানা আগুনে আর কোন শ্রমিক না মারা যায় তা নিশ্চিত করার পদক্ষেপ নেয়" (পিডিএফ)। TIE Internationales Bildungswerk। ২০১২-১১-২৭। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১১-২৭।