জলবায়ু পরিবর্তনের রাজনীতি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
২০১৫ সালের নভেম্বর-ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের প্যারিস জলবায়ু সম্মেলনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদলের প্রধানগণ অংশগ্রহণ করেছিলেন।

জলবায়ু পরিবর্তনের রাজনীতি কীভাবে জলবায়ু পরিবর্তন এর সাথে প্রতিক্রিয়া করা উচিত সে সম্পর্কে বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গির পরিণাম। বিশ্ব উষ্ণায়ন মূলত মানুষের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের ফলে সৃষ্ট গ্রিনহাউস গ্যাসের নির্গমনের কারণে ঘটে। বিশেষ করে জীবাশ্ম জ্বালানী পোড়ানো, সিমেন্ট ও ইস্পাত উৎপাদনের মতো কিছু শিল্প এবং কৃষি ও বনায়নের জন্য ভূমি ব্যবহার ইত্যাদির মাধ্যমে গ্রিনহাউস গ্যাস সৃষ্টি হয়। শিল্প বিপ্লবের পর থেকে, জীবাশ্ম জ্বালানী অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত উন্নয়নের জন্য শক্তির প্রধান উৎস হয়ে উঠেছে। জীবাশ্ম জ্বালানী ও অন্যান্য কার্বন-নিবিড় শিল্পের কেন্দ্রীয়তার ফলে জলবায়ু-বান্ধব নীতির প্রতি ব্যাপক প্রতিরোধ গড়ে উঠেছে, যদিও এই ধরনের নীতি প্রয়োজনীয় সে বিষয়ে ব্যাপক বৈজ্ঞানিক ঐক্যমত রয়েছে।

জলবায়ু পরিবর্তন প্রথম রাজনৈতিক ইস্যু হিসেবে ১৯৭০-এর দশকে আবির্ভূত হয়। জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমনের প্রচেষ্টা ১৯৯০-এর দশক থেকে আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক এজেন্ডায় গুরুত্ব পেয়ে আসছে এবং জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়েও এটির সমাধানে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তন একটি জটিল বৈশ্বিক সমস্যা। নির্গমনের উৎপত্তিস্থল নির্বিশেষে গ্রিনহাউস গ্যাস (জিএইচজি) নির্গমন বিশ্বজুড়ে বিশ্ব উষ্ণায়নে অবদান রাখে। তবে বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রভাব কতটা মারাত্মক তা নির্ভর করে কোনো এলাকা বা অর্থনীতি কতটা এর প্রভাবের কাছে সংবেদনশীল তার উপর। সামগ্রিকভাবে, বিশ্ব উষ্ণায়নের নেতিবাচক প্রভাব রয়েছে, যা বৃদ্ধি পেতে থাকলে আরও ভয়াবহ হবে বলে মনে করা হচ্ছে। জীবাশ্ম জ্বালানী এবং নবায়নযোগ্য শক্তি উভয় উৎস থেকে উপকৃত হওয়ার ক্ষমতা জাতি থেকে জাতিতে যথেষ্ট পরিবর্তিত হয়।

জলবায়ু পরিবর্তনের সমস্যা সমাধানে বিভিন্ন দেশের ভিন্ন ভিন্ন দায়িত্ব, সুবিধা এবং জলবায়ু-সম্পর্কিত হুমকির কারণে প্রাথমিক জলবায়ু সম্মেলনগুলোতে খুব অল্প অগ্রগতি হয়েছিল। সেখানে সাধারণ উদ্দেশ্য বিবৃতি এবং উন্নত দেশগুলোর অবাধ্যতামূলক নির্গমন হ্রাসের প্রতিশ্রুতি ছাড়া খুব একটা কিছুই অর্জন করা সম্ভব হয়নি। তবে, একবিংশ শতাব্দীতে দুর্বল দেশগুলোর যেন জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে সক্ষম হয় সেজন্য 'জলবায়ু অর্থায়ন' (climate finance) এর মতো ব্যবস্থার উপর জোর দেয়া হয়েছে। কিছু দেশ ও স্থানীয় এলাকায় জলবায়ু-বান্ধব নীতি গ্রহণ করা হয়েছে যা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রতিশ্রুতির চেয়েও অনেক দূর এগিয়ে। তবে, স্থানীয়ভাবে গ্রিনহাউস গ্যাস (GHG) নির্গমন হ্রাসে যতই সাফল্য আসুক না কেন, সারা বিশ্বে GHG নির্গমনের মোট পরিমাণ না কমা পর্যন্ত বৈশ্বিক উষ্ণায়নকে ধীর করা সম্ভব নয়।

২০২০-এর দশকে প্রবেশের পর থেকে, জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে প্রাপ্ত শক্তিকে নবায়নযোগ্য শক্তি দ্বারা প্রতিস্থাপনের সম্ভাবনা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। কিছু দেশ বর্তমানে তাদের প্রায় সমস্ত বিদ্যুৎ নবায়নযোগ্য উৎস থেকে উৎপাদন করছে। জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকি সম্পর্কে জনসচেতনতা বেড়েছে, যার বড় অংশের কারণ যুব-নেতৃত্বাধীন সামাজিক আন্দোলন এবং চরম আবহাওয়া এবং সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতার কারণে ঘটা বন্যা সহ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব স্পষ্ট হয়ে ওঠা। অনেক জরিপ দেখায় যে ভোটারদের একটি ক্রমবর্ধমান অংশ জলবায়ু পরিবর্তনের মোকাবেলাকে একটি উচ্চ অগ্রাধিকার হিসাবে সমর্থন করে, যা রাজনীতিবিদদের জলবায়ুমুখীনীতি গ্রহণের জন্য আরও সহজ করে তোলে। কোভিড-১৯ মহামারী এবং অর্থনৈতিক মন্দার কারণে "সবুজ পুনরুদ্ধার" (green recovery) এর ব্যাপক আহ্বান জানানো হয়েছে, এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতো কিছু রাজনৈতিক শক্তি নীতি পরিবর্তনে জলবায়ু কর্মকাণ্ডকে সফলভাবে অন্তর্ভুক্ত করেছে। খোলাখুলি জলবায়ু পরিবর্তন অস্বীকার করা ২০১৯ সালের মধ্যে অনেক কম প্রভাবশালী একটি শক্তিতে পরিণত হয়েছিল, এবং বিরোধিতা এখন বিলম্বকে উৎসাহিতকরণ বা নিষ্ক্রিয়তার দিকে মনোযোগী হয়েছে।

নীতি বিতর্ক[সম্পাদনা]

অন্যান্য নীতি-নির্ধারণী বিতর্কের মতোই, জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে রাজনৈতিক আলোচনা মূলত কর্মপন্থাকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে।[১] জলবায়ু পরিবর্তনজনিত হুমকি কত জরুরি, বিভিন্ন সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়াগুলির বাস্তবায়নযোগ্যতা, সুবিধা এবং অসুবিধা — এই নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন মতামত রাজনৈতিক অঙ্গনকে উত্তাল রাখে। মূলত, এসব মতামতই জলবায়ু পরিবর্তনের সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়ার দিকগুলিকে নির্দেশ করে।[২]

রাজনৈতিক বক্তব্যকে দুইভাগে ভাগ করা যায়: ইতিবাচক এবং আদর্শগত বক্তব্য। সতর্কভাবে শব্দগুলির সংজ্ঞা এবং বৈজ্ঞানিক প্রমাণের মাধ্যমে সাধারণত ইতিবাচক বক্তব্যগুলি স্পষ্ট করা বা খণ্ডন করা যেতে পারে। কিন্তু "কী করা উচিত" সে সম্পর্কে আদর্শগত বক্তব্যগুলি প্রায়শই নৈতিকতার সাথে সম্পর্কিত এবং মূলত এসব বিচার-বিবেচনার বিষয়। অভিজ্ঞতা বলে, বিতর্কে অংশগ্রহণকারীরা যদি তাদের যুক্তির ইতিবাচক ও আদর্শগত অংশগুলিকে আলাদা করার চেষ্টা করেন এবং প্রথমে ইতিবাচক বিষয়গুলির ওপর ঐক্যমত্যে পৌঁছাতে পারেন, তবে তা বিতর্ককে এগিয়ে নিতে সাহায্য করে। বিতর্কের প্রাথমিক পর্যায়ে, অংশগ্রহণকারীরা যাদের প্রতিনিধিত্ব করেন তাদের স্বার্থের দিকে নজর রেখেই তাদের আদর্শগত অবস্থান নির্ধারণ করতে পারেন। ২০১৫ সালের প্যারিস সম্মেলনে ব্যতিক্রমী সাফল্য অর্জনে ক্রিশ্চিয়ানা ফিগারেস এবং অন্যান্য নেতৃবৃন্দ লক্ষ্য করেছিলেন যে অংশগ্রহণকারীরা যখন প্রতিযোগিতামূলক মানসিকতা থেকে বেরিয়ে, প্রাচুর্যভিত্তিক সহযোগিতামূলক মানসিকতার আদর্শগত অবস্থানে পৌঁছাতে পেরেছিলেন তখনই বিতর্ক অর্থবহভাবে এগিয়ে যায়।[৩][note ১]

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রতিক্রিয়াগুলি তিনটি শ্রেণিতে বিভক্ত করা যেতে পারে:[৪]

  • প্রশমন (Mitigation): গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন হ্রাস এবং কার্বন সিঙ্ক বাড়ানোর পদক্ষেপ।
  • অভিযোজন (Adaptation): বৈশ্বিক উষ্ণায়নের নেতিবাচক ফলাফল থেকে মানুষকে রক্ষা করার জন্য পদক্ষেপ।
  • সৌর ভূ-প্রকৌশল (Solar Geoengineering): যে প্রযুক্তি ব্যবহার করে সূর্যালোককে মহাকাশে ফেরৎ পাঠানো হবে।

বিংশ শতাব্দীতে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে বেশিরভাগ আন্তর্জাতিক বিতর্ক প্রায় পুরোপুরি প্রশমনের ওপর নিবদ্ধ ছিল। অভিযোজনে মনোযোগ দেওয়া একধরনের পরাজয়বাদী আচরণ হিসেবে বিবেচিত হতো। প্রশমনের তুলনায়, অভিযোজন বেশি স্থানীয় পর্যায়ের বিষয়, কারণ জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকি এবং সুযোগ পৃথিবীর বিভিন্ন অংশে ব্যাপকভাবে ভিন্ন। একবিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে, রাজনৈতিক বিতর্কে মনোযোগ এখনো প্রশমনের ওপর বেশি থাকলেও, এটিই আর একমাত্র লক্ষ্য নয়। অভিযোজনকে এখন ব্যাপকভাবে অপরিহার্য বলে মনে করা হয়। যদিও প্রধানত উচ্চ পর্যায়ে, বিষয়টি আন্তর্জাতিক আলোচনার অংশ। ২০০৯ সালের কোপেনহেগেন সম্মেলনে উন্নয়নশীল দেশগুলিকে প্রতি বছর ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের তহবিল সরবরাহ করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। প্যারিস সম্মেলনে এটা স্পষ্ট করা হয়েছিল যে এই অর্থ বরাদ্দে অভিযোজন ও প্রশমনের মধ্যে ভারসাম্য রাখা উচিত। তবে ২০২০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সম্পূর্ণ তহবিল সরবরাহ করা হয়নি, এবং যেটুকু দেওয়া হয়েছে তা প্রধানত প্রশমন প্রকল্পে ব্যয় করা হয়েছে।[৫][৬] ২০১৯ সালের মধ্যে, সৌর ভূ-প্রকৌশলের সম্ভাবনাগুলিও ক্রমবর্ধমানভাবে আলোচিত হচ্ছিল এবং ভবিষ্যতে বিতর্কে এর গুরুত্ব বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।[৭][৮]

জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমনের উপায় নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক শাসন কাঠামোর ওপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয়। আন্তর্জাতিক পর্যায়ের আলোচনার ক্ষেত্রে জাতীয় বা পৌর স্তরের আলোচনার বিষয়বস্তু ভিন্ন হবে। ১৯৯০-এর দশকে যখন জলবায়ু পরিবর্তন প্রথম রাজনৈতিক মঞ্চে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে, তখন একধরনের আশাবাদ ছিল যে সমস্যাটি সফলভাবে মোকাবিলা করা যাবে। ওজোন স্তর রক্ষার জন্য ১৯৮৭ সালের মন্ট্রিল প্রোটোকল স্বাক্ষর বিশ্বকে একত্রিত হয়ে কোনো বৈজ্ঞানিক হুমকি মোকাবেলায় সক্ষম বলে প্রমাণ করেছিল, যদিও তখনো পর্যন্ত তা মানুষের জন্য উল্লেখযোগ্য ক্ষতির কারণ হয়ে ওঠেনি। কিন্তু ২০০০-এর দশকের গোড়ার দিকে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন বাড়তে থাকে এবং নির্গমনকারীদের শাস্তি দেওয়ার বা জলবায়ু-বান্ধব আচরণকে পুরস্কৃত করার কোনো চুক্তিতে পৌঁছানোর লক্ষণ তেমন দেখা যায়নি। বৈশ্বিক উষ্ণায়ন সীমিত করার জন্য কার্যকর পদক্ষেপের লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক চুক্তি অর্জন অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং হবে বলে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল।[note ২][৯][১০] আর্নল্ড শোয়ার্জনেগারের "পলিউশন টারমিনেট" স্লোগানের মতো কিছু রাজনীতিবিদ বলেন, জলবায়ু সংক্রান্ত পদক্ষেপের স্বাস্থ্যগত সহ-সুবিধাগুলিতে মনোনিবেশ করে আশাবাদ তৈরি করা উচিত।[১১]

বহুপাক্ষিকতা[সম্পাদনা]

বিশ্বব্যাপী কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমন (২০১৫ সালের হিসাব অনুযায়ী)
COP15-এর পর পরিবেশ মন্ত্রীরা জলবায়ু নীতি নিয়ে আলোচনা করতে BASIC দেশগুলোতে মিলিত হন।

১৯৯০ দশকের শুরুর দিকে জলবায়ু পরিবর্তন বৈশ্বিক রাজনৈতিক এজেন্ডার শীর্ষস্থান লাভ করে। এই লক্ষ্যে প্রতিবছর জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সম্মেলন আয়োজন করা হয়। এই বার্ষিক সম্মেলনগুলিকে কনফারেন্স অব দ্য পার্টিস (সিওপি) নামেও অভিহিত করা হয়। ১৯৯৭ এর কিয়োটো প্রোটোকল, ২০০৯ এর কোপেনহেগেন সামিট এবং ২০১৫ এর প্যারিস সম্মেলন উল্লেখযোগ্য গুরুত্ব বহন করে। প্রাথমিকভাবে কিয়োটো প্রোটোকলকে আশাপ্রদ বিবেচনা করা হলেও, ২০০০ সালের দিকে এর ফলাফলে হতাশা দেখা দেয়। কোপেনহেগেন সম্মেলনে কিয়োটো প্রোটোকল অতিক্রম করে আরও কঠোর প্রতিশ্রুতির মাধ্যমে এগোনোর চেষ্টা করা হলেও তা ব্যর্থ হয়। প্যারিস সম্মেলন সফল বলে বিবেচিত হয়, তবে এটি কতটা কার্যকরীভাবে দীর্ঘমেয়াদী বৈশ্বিক উষ্ণতা কমাতে সক্ষম হবে তা এখনো দেখার বিষয়।[১২]

আন্তর্জাতিক পর্যায়ে, দেশসমূহ যে তিনটি পন্থায় কার্বন নিঃসরণ হ্রাসের চেষ্টা করে তা হলো – কার্বন নিঃসরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ, কার্বন মূল্য নির্ধারণ এবং কার্বন নিঃসরণ কমানোর জন্য স্বেচ্ছাসেবী পদ্ধতি তৈরি করা যেখানে তথ্য বিনিময় ও অগ্রগতির পর্যালোচনা অন্তর্ভুক্ত থাকবে। এই পন্থাগুলো মূলত একে অপরের পরিপূরক হলেও বিভিন্ন সম্মেলনের বেশিরভাগ ফোকাস থেকে যায় একটি মাত্র পদ্ধতির উপর। ২০১০ সাল পর্যন্ত আন্তর্জাতিক আলোচনাগুলো বেশিরভাগই নিঃসরণ লক্ষ্যমাত্রার উপর নিবদ্ধ ছিল। ওজোন স্তরে ক্ষতিকারক নিঃসরণ হ্রাসে মন্ট্রিল চুক্তির সাফল্য এ ধারণা দেয় যে, নিঃসরণ লক্ষ্যমাত্রা কার্যকর হতে পারে। তবে গ্রিনহাউস গ্যাস হ্রাসের ক্ষেত্রে, লক্ষ্যমাত্রা সাধারণত নিঃসরণে উল্লেখযোগ্য হ্রাস আনতে পারেনি। উচ্চাভিলাষী লক্ষ্যমাত্রাগুলো সাধারণত পূরণ করা হয়নি। কঠোর শাস্তি আরোপ করে চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্যমাত্রা পূরণে উৎসাহিত করার প্রচেষ্টা সবসময় এক বা দুটি দেশ কর্তৃক অবরুদ্ধ হয়েছে।[১৩]

একবিংশ শতাব্দীতে, এই বিষয়ে ব্যাপক ঐকমত্য রয়েছে যে কার্বন মূল্য নির্ধারণ হলো নিঃসরণ হ্রাসের সবচেয়ে কার্যকর উপায়, অন্তত তত্ত্বগতভাবে।[১৪] তবে সাধারণত, দেশগুলি একটি উচ্চ কার্বন মূল্য বা অধিকাংশ ক্ষেত্রে কোনো মূল্যই গ্রহণ করতে অনিচ্ছুক। এই অনীহার অন্যতম প্রধান কারণ হ'ল কার্বন লিকেজের সমস্যা – যেখানে জিএইচজি (GHG) নিঃসরণকারী কার্যক্রমগুলিকে সেই এখতিয়ারের বাইরে সরিয়ে নেওয়া হয় যে একটি কার্বন মূল্য আরোপ করে, ফলে চাকরি ও রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হওয়ার পাশাপাশি কোনো সুফল পাওয়া যায় না এবং অন্য জায়গায় সেই নিঃসরণ ঘটতে থাকে। তা সত্ত্বেও, ২০০৫ সালে বিশ্বের যে ৫% নিঃসরণের উপর কার্বন মূল্য ছিল, তা ২০১৯ সালের মধ্যে ১৫% এ উন্নীত হয়। চীনের কার্বন মূল্য পুরোপুরি কার্যকর হলে এই হার ৪০% ছাড়িয়ে যাওয়ার কথা। বিদ্যমান কার্বন মূল্য ব্যবস্থা বেশিরভাগই ইউরোপীয় ইউনিয়ন, বিভিন্ন জাতি এবং উপ-জাতীয় আধিকারিকদের দ্বারা স্বায়ত্তশাসিতভাবে বাস্তবায়িত হয়েছে।[১৫]

স্বেচ্ছাসেবী শপথ ও পর্যালোচনা ব্যবস্থা, যেখানে রাষ্ট্রগুলি কার্বন নিঃসরণ হ্রাসের জন্য তাদের নিজস্ব পরিকল্পনা তৈরি করে, ১৯৯১ সালে চালু হয়েছিল। কিন্তু 'টপ ডাউন' নির্ধারিত নিঃসরণ লক্ষ্যমাত্রা পূরণের জন্য ১৯৯৭ এর কিয়োটো চুক্তির আগে তা পরিত্যক্ত হয়। এই পদ্ধতি কোপেনহেগেনে পুনরুজ্জীবিত হয় এবং ২০১৫ সালের প্যারিস চুক্তির সাথে আরও গুরুত্ব পায়। যদিও এই শপথগুলিকে জাতীয়ভাবে নির্ধারিত অবদান (NDCs) বলা হয়। আগামী ৫ বছর পরপর এগুলোর উন্নত রূপ জমা দেওয়ার কথা। এই পদ্ধতি কতটা কার্যকর তা সময়ের সাথে প্রতীক্ষা।[১৬] কিছু দেশ ২০২১ সালে গ্লাসগো সম্মেলনের সময় উন্নত NDCs জমা দেয়। এছাড়া কার্বন ট্রেডিং এর হিসাববিজ্ঞান বিষয়ক বিধিমালা ২০২১ এর গ্লাসগো সিওপি (COP) সম্মেলনে অনুমোদিত হয়।[১৭]

আঞ্চলিক, জাতীয় এবং উপ-জাতীয় পর্যায়ে নীতিমালা[সম্পাদনা]

জলবায়ু পরিবর্তন কর্মক্ষমতা সূচক দেশগুলিকে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন (স্কোরের ৪০%), নবায়নযোগ্য শক্তি (২০%), শক্তি ব্যবহার (২০%), এবং জলবায়ু নীতি (২০%) এর ভিত্তিতে র‍্যাঙ্ক করে।
  উচ্চ
  মধ্যম
  নিম্ন
  অতি নিম্ন

গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন হ্রাসের নীতিমালা নির্ধারিত হতে পারে জাতীয় বা উপ-জাতীয় সরকার কর্তৃক, অথবা ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতো আঞ্চলিক সংস্থা কর্তৃক। নির্গমন হ্রাসের লক্ষ্যে যে নীতিমালাগুলো প্রণীত হয়েছে, তাদের অনেক কিছুই আন্তর্জাতিক চুক্তির বাধ্যবাধকতা কাটিয়ে আরও ব্যাপক পরিসরে প্রয়োগ করা হয়েছে। এর উদাহরণগুলোর মধ্যে রয়েছে কয়েকটি মার্কিন রাজ্যে কার্বন মূল্য নির্ধারণ, কিংবা কোস্টারিকাতে ২০১০-এর দশকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ৯৯% নবায়নযোগ্য উৎসে পৌঁছানো।

নির্গমন হ্রাস বা পরিচ্ছন্ন প্রযুক্তি বাস্তবায়নের সিদ্ধান্তগুলো অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সরকার নিজে থেকে নেয় না। এই ধরনের কাজের সাথে সাধারণত ব্যক্তি, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, এবং অন্যান্য সংস্থাগুলোই অধিকতর জড়িত। তবে, জাতীয় ও স্থানীয় সরকারগুলোই জলবায়ুবান্ধব কর্মকাণ্ডকে উৎসাহিত করার জন্য বিভিন্ন নীতিমালা প্রণয়ন করে। ব্যাপকভাবে এই নীতিমালাগুলোকে চারটি ভাগে ভাগ করা যায়: প্রথমত, কার্বন মূল্য ব্যবস্থা এবং অন্যান্য আর্থিক উৎসাহ প্রদান করা; দ্বিতীয়ত, বাধ্যতামূলক বিধিবিধান, যেমন বিদ্যুৎ উৎপাদনের একটি নির্দিষ্ট শতাংশ নবায়নযোগ্য উৎস থেকে আসার আদেশ; তৃতীয়ত, সরাসরি সরকারি বিনিয়োগ জলবায়ুবান্ধব কর্মকাণ্ড বা গবেষণায়; এবং চতুর্থত, তথ্য বিনিময়, শিক্ষা এবং স্বেচ্ছায় জলবায়ুবান্ধব আচরণকে উৎসাহিত করার পন্থাগুলো।[১৮] স্থানীয় রাজনীতিতে কখনও-কখনও বায়ুদূষণের মত বিষয়গুলোকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়, উদাহরণস্বরূপ বলা যায় শহরগুলিতে নিম্ন-নির্গমন অঞ্চল তৈরির রাজনীতির লক্ষ্য সড়ক পরিবহন থেকে কার্বন নির্গমন হ্রাস করাও হতে পারে।[১৯]

বেসরকারি সংগঠনের ভূমিকা[সম্পাদনা]

ব্যক্তি, ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান এবং বেসরকারি সংস্থা বা এনজিও সরাসরি এবং পরোক্ষভাবে জলবায়ু পরিবর্তনের রাজনীতিতে প্রভাব রাখতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে জনগণের মতামত প্রকাশ, গণ-আন্দোলন এবং বিক্ষোভ প্রদর্শন। ঐতিহাসিকভাবে লক্ষ্য করা যায় যে, জলবায়ুবান্ধব নীতির বিরুদ্ধে এ জাতীয় বিক্ষোভ প্রায়শই সংঘটিত হয়েছে। যেমন, ২০০০ সালে যুক্তরাজ্যে জ্বালানি নিয়ে বিক্ষোভের পর থেকে বিশ্বব্যাপী জ্বালানি করের বিরুদ্ধে বা জ্বালানি ভর্তুকি বন্ধ করার বিরুদ্ধে বেশ কয়েক ডজন বিক্ষোভ হয়েছে। তবে, ২০১৯ সাল থেকে স্কুল ছাত্র-ছাত্রীদের জলবায়ু ধর্মঘট এবং 'এক্সটিংশন রিবেলিয়ন' এর মত আন্দোলনের ফলে, জলবায়ু-সমর্থক বিক্ষোভগুলি আরও বেশি গুরুত্ব পেয়েছে। এছাড়া, রাজনীতির বাইরে থেকেও জলবায়ু পরিবর্তনের রাজনীতিকে প্রভাবিত করতে পারে কেউ - যেমন, 'সবুজ' প্রযুক্তির উদ্ভাবন, অর্থায়ন ও বিকাশে জোর দেওয়ার মাধ্যমে, বা জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার বন্ধের আন্দোলনে জড়িয়ে পড়ার মাধ্যমে।[২০]

বিশেষ স্বার্থ ও রাষ্ট্র-বহির্ভূত সংস্থা কর্তৃক তদবির[সম্পাদনা]

বৈশ্বিক উষ্ণায়নের বিষয়টি বামপন্থী গোষ্ঠীগুলোর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে, যেমন এখানে আমরা ডেমোক্র্যাটিক সোশ্যালিস্টস অফ আমেরিকার ক্ষেত্রে দেখতে পাই।

জলবায়ু পরিবর্তনের বহুমুখী বিষয়টি নিয়ে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে অসংখ্য বিশেষ স্বার্থ গোষ্ঠী, সংস্থা এবং কর্পোরেশনের নিজস্ব অবস্থান রয়েছে। নিম্নে বিশ্ব উষ্ণায়নের রাজনীতিতে আগ্রহ প্রদর্শনকারী কয়েকটি বিশেষ স্বার্থ গোষ্ঠীর আংশিক তালিকা দেওয়া হলো:

  • জীবাশ্ম জ্বালানি কোম্পানিগুলি: কঠোর জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত নীতিমালা থেকে ঐতিহ্যবাহী জীবাশ্ম জ্বালানি কর্পোরেশনগুলির ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যদিও কিছু ব্যতিক্রমও আছে। জীবাশ্ম জ্বালানি কোম্পানিগুলি যেহেতু জ্বালানি বাণিজ্যে জড়িত, ট্রেডিং পরিকল্পনা এবং অন্যান্য প্রক্রিয়ায় তাদের অংশগ্রহণ তাদেরকে একটি অনন্য সুবিধা দিতে পারে। ফলে, প্রতিটি ঐতিহ্যবাহী জীবাশ্ম জ্বালানি সংস্থা কঠোর জলবায়ু নীতির বিরুদ্ধে থাকবে কিনা তা পরিষ্কার নয়।[২১] উদাহরণস্বরূপ, একটি বৃহৎ ট্রেডিং ডেস্কসহ ঐতিহ্যবাহী গ্যাস পাইপলাইন সংস্থা এনরন, CO2 নিয়ন্ত্রণের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে ব্যাপকভাবে তদবির করেছিল। তারা মনে করেছিল যে, যদি তারা জ্বালানি বাণিজ্যের কেন্দ্রে থাকতে পারে তবে তারা বিশ্বের জ্বালানি শিল্পকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে।[২২][২৩][২৪]
  • কৃষক এবং কৃষিজীবী ব্যবসায়ীরা জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি লবি; তবে কৃষির উপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব,[২৫] কৃষিকাজ থেকে নির্গত গ্রিনহাউস গ্যাস[২৬] এবং ইইউ'র সাধারণ কৃষি নীতির ভূমিকা সম্পর্কে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি ভিন্ন ভিন্ন।[২৭]
  • আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলি: সাধারণত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলি বিশ্ব উষ্ণায়নের বিরুদ্ধে নীতিমালা, বিশেষ করে কার্বন ট্রেডিং স্কিম বাস্তবায়ন এবং কার্বনের সাথে একটি মূল্য যুক্ত করে এমন বাজার ব্যবস্থা তৈরিকে সমর্থন করে। এই নতুন বাজারগুলিকে ট্রেডিং পরিকাঠামোর প্রয়োজন হয়, যা ব্যাঙ্কিং প্রতিষ্ঠানগুলি সরবরাহ করতে পারে। কার্বন মূল্যের উপর অনুমানমূলক অবস্থানের মাধ্যমে, ব্রোকারেজ এবং অন্যান্য আর্থিক কার্যাদি যেমন বীমা ও ডেরিভেটিভ স্ট্রুমেন্টস ব্যবহারের মাধ্যমে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলি বিনিয়োগ, বাণিজ্য এবং বিভিন্ন আর্থিক স্ট্রুমেন্টস তৈরি করতে সক্ষম যা থেকে তারা লাভ করতে পারে।[২৮]
  • পরিবেশবাদী গোষ্ঠীগুলি: পরিবেশবাদী আইনজীবী গোষ্ঠীগুলি সাধারণত CO2 নির্গমনের উপর কঠোর বিধিনিষেধের পক্ষে থাকে। কর্মী হিসাবে, পরিবেশবাদী গোষ্ঠীগুলি সচেতনতা বাড়ানোর কাজ করে।[২৯]
  • নবায়নযোগ্য জ্বালানি এবং জ্বালানি সাশ্রয়ী কোম্পানিগুলি: বায়ু, সৌর এবং জ্বালানি সাশ্রয়ী ক্ষেত্রের সংস্থাগুলি সাধারণত কঠোরতর বিশ্ব উষ্ণায়ন নীতিগুলিকে সমর্থন করে। ট্রেডিং স্কিম বা করের মাধ্যমে জীবাশ্ম জ্বালানিকে আরও ব্যয়বহুল করে তোলার সাথে সাথে তারা আশা করে জ্বালানি বাজারে তাদের অংশীদারিত্ব বাড়বে।[৩০]
  • পারমাণবিক শক্তি কোম্পানিগুলি: কার্বন মূল্য নির্ধারণ বা কম কার্বন শক্তি উৎপাদনের ভর্তুকিকে সমর্থন করে এবং এ থেকে উপকৃত হয় কারণ পারমাণবিক শক্তি ন্যূনতম গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন করে।[৩১]
  • বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থাগুলি: সৌর প্যানেল থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে তবে বৈদ্যুতিক যানবাহন থেকে উপকৃত হয়।[৩২]
  • ঐতিহ্যবাহী খুচরা বিক্রেতা এবং বিপণনকারীরা: ঐতিহ্যবাহী খুচরা বিক্রেতা, বিপণনকারীরা এবং সাধারণ কর্পোরেশনগুলি তাদের গ্রাহকদের মধ্যে সাড়া জাগানো এমন নীতিগুলি গ্রহণ করে সাড়া দেয়। "সবুজ হওয়া" যদি গ্রাহকদের আবেদন জানাতে পারে, তবে তারা তাদের গ্রাহকদের সন্তুষ্ট এবং আরও ভালভাবে সামঞ্জস্য করার জন্য কিছু বিনয়ী কর্মসূচি গ্রহণ করতে পারে। তবে, যেহেতু সাধারণ কর্পোরেশন তাদের নির্দিষ্ট অবস্থান থেকে মুনাফা অর্জন করে না, তাই এটি অসম্ভাব্য যে তারা কঠোরতর বিশ্ব উষ্ণায়ন নীতির অবস্থানের পক্ষে বা বিপক্ষে দৃঢ়ভাবে তদবির করবে।[৩৩]
  • চিকিৎসকরা: প্রায়শই বলেন যে জলবায়ু পরিবর্তন এবং বায়ুদূষণ একসাথে মোকাবেলা করা যেতে পারে এবং এভাবে লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবন বাঁচানো যেতে পারে।[৩৪]
  • তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি কোম্পানি: তাদের পণ্যগুলি অন্যদের জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে বলে, ভ্রমণ হ্রাসের উপকার পায় এবং অনেকেই 'সবুজ বিদ্যুৎ' ক্রয় করে।[৩৫]

বিভিন্ন আগ্রহী পক্ষ কখনও কখনও তাদের বার্তা জোরদার করার জন্য একে অপরের সাথে সহযোগিতা করে। উদাহরণস্বরূপ, বিদ্যুৎ সংস্থাগুলি ইলেকট্রিক স্কুল বাস কেনার জন্য অর্থায়ন করে, যা একই সাথে দুটি লক্ষ্য পূরণ করে:[৩৬][৩৭]

  • স্বাস্থ্য কর্মীদের উপকার: বায়ু দূষণ কমিয়ে, ইলেকট্রিক বাস শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকি কমিয়ে দেয়।
  • বিদ্যুৎ বিক্রি বৃদ্ধি: ইলেকট্রিক বাসগুলি চার্জ করার জন্য আরও বিদ্যুতের প্রয়োজন হয়, যা বিদ্যুৎ সংস্থাগুলির জন্য বাজার সম্প্রসারণ করে।

অন্য সময়, শিল্পগুলি বিশেষ অলাভজনক প্রতিষ্ঠানগুলিকে তহবিল সরবরাহ করে যাতে তারা সচেতনতা বৃদ্ধি করতে এবং তাদের পক্ষে তদবির করতে পারে।

সামূহিক পদক্ষেপ[সম্পাদনা]

বর্তমান জলবায়ু রাজনীতি বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক আন্দোলনের দ্বারা প্রভাবিত, যারা জলবায়ু নীতির জন্য রাজনৈতিক ইচ্ছাশক্তি তৈরির বিভিন্ন দিকগুলিতে মনোনিবেশ করে। এর মধ্যে রয়েছে জলবায়ু ন্যায়বিচার আন্দোলন: এই আন্দোলন জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় সামাজিক ন্যায়বিচার এবং সমতা নিশ্চিত করার উপর জোর দেয়; যুব জলবায়ু আন্দোলন: এই আন্দোলনে তরুণরা জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে তীব্র পদক্ষেপের দাবি জানাতে রাস্তায় নেমেছে; জীবাশ্ম জ্বালানি শিল্প থেকে বিনিয়োগ প্রত্যাহারের আন্দোলন: এই আন্দোলন জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধ করার এবং পরিবেশগতভাবে টেকসই বিকল্পগুলিতে বিনিয়োগ করার জন্য চাপ সৃষ্টি করে।

জীবাশ্ম জ্বালানী বিনিয়োগ প্রত্যাহার আন্দোলন[সম্পাদনা]

২০২১ সালের হিসাবে, ১,৩০০টি প্রতিষ্ঠান ১৪.৬ ট্রিলিয়ন ডলার সম্পদের সাথে জীবাশ্ম জ্বালানি শিল্প থেকে তাদের বিনিয়োগ প্রত্যাহার করেছে।[৩৮]

জীবাশ্ম জ্বালানী বিনিয়োগ প্রত্যাহার আন্দোলনের লক্ষ্য হল জলবায়ু পরিবর্তনের মোকাবেলায় সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক চাপ প্রয়োগ করা। এই আন্দোলনের মাধ্যমে জীবাশ্ম জ্বালানী (যেমন - কয়লা, তেল, গ্যাস) উত্তোলনে সম্পৃক্ত কোম্পানিগুলোর শেয়ার, বন্ড এবং অন্যান্য আর্থিক উপকরণ থেকে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ প্রত্যাহার করা হয়।

এই আন্দোলনের সূচনা হয় ২০১১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে। শিক্ষার্থীরা তখন তাদের প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ নীতিতে পরিবর্তনের দাবি করে; তারা চেয়েছিল জীবাশ্ম জ্বালানীতে বিনিয়োগ কমিয়ে তা যেন পরিচ্ছন্ন জ্বালানীর উন্নয়ন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর কল্যাণে ব্যবহার করা হয়।[৩৯] ২০১২ সালে, মেইনের ইউনিটি কলেজ জীবাশ্ম জ্বালানী থেকে তাদের বিনিয়োগ সরিয়ে নেওয়া প্রথম উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান[৪০] হিসেবে নিজেদের নাম লেখায়।

২০১৫ সালের মধ্যে জীবাশ্ম জ্বালানী বিনিয়োগ প্রত্যাহার আন্দোলন ইতিহাসের দ্রুততম বর্ধনশীল বিনিয়োগ প্রত্যাহার আন্দোলন হিসেবে চিহ্নিত হয়। ২০২৩ সালের জুলাই পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী ১৫৯৩ টিরও বেশি প্রতিষ্ঠান, যাদের মোট সম্পদের পরিমাণ $৪০.৫ ট্রিলিয়নের বেশি, জীবাশ্ম জ্বালানী থেকে বিভিন্ন মাত্রায় বিনিয়োগ প্রত্যাহার শুরু করেছে বা এরকম পদক্ষেপ নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছে ।[৪১]

যুব আন্দোলন[সম্পাদনা]

বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে 'স্কুল স্ট্রাইক ফর ক্লাইমেট' (সুইডিশ: Skolstrejk för klimatet) একটি আন্তর্জাতিক আন্দোলন। এ আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী স্কুল পড়ুয়ারা প্রতি শুক্রবার ক্লাস বর্জন করে জলবায়ু পরিবর্তন রোধে রাজনৈতিক নেতাদের কাছ থেকে জরুরি পদক্ষেপের দাবি জানাতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। এছাড়া, জীবাশ্ম জ্বালানি শিল্পকে নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎসে রূপান্তরিত করার দাবিও জানানো হয়।

২০১৮ সালের আগস্ট মাসে সুইডিশ ছাত্রী গ্রেটা থুনবার্গ সুইডেনের সংসদ ভবন রিক্সডাগের সামনে 'স্কুল স্ট্রাইক ফর ক্লাইমেট' লেখা একটি প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ করার মাধ্যমে এ আন্দোলনের সূচনা হয়। এরপরই বিশ্বব্যাপী ব্যাপক প্রচারণা ও আয়োজন শুরু হয়ে যায়।[৪২][৪৩]

২০১৯ সালের ১৫ই মার্চ অনুষ্ঠিত একটি বৈশ্বিক ধর্মঘটে ১২৫টি দেশের ২,২০০টি বিক্ষোভে দশ লক্ষেরও বেশি মানুষ অংশগ্রহণ করে।[৪৪][৪৫][৪৬][৪৭] ২০১৯ সালের ২৪শে মে দ্বিতীয় বৈশ্বিক ধর্মঘটে ১৫০টি দেশের ১,৬০০টি বিক্ষোভে লক্ষ লক্ষ মানুষ সমবেত হয়। মে মাসের এই বিক্ষোভগুলো ২০১৯ সালের ইউরোপীয় পার্লামেন্ট নির্বাচনের সময়ের সাথে মিল রেখে করা হয়।[৪৮][৪৯][৫০][৫১]

২০১৯ সালের 'গ্লোবাল উইক ফর ফিউচার' আয়োজনটিতে ১৫০টিরও বেশি দেশে ৪,৫০০টি ধর্মঘট অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে মূল ফোকাস ছিল ২০শে সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) ও ২৭শে সেপ্টেম্বর (শুক্রবার)। বিশ্ব ইতিহাসের সম্ভবত বৃহত্তম জলবায়ু ধর্মঘটে, ২০শে সেপ্টেম্বর, সারা বিশ্বে প্রায় ৪০ লক্ষ বিক্ষোভকারী অংশ নেয়, যাদের অধিকাংশই ছিল স্কুলের শিক্ষার্থী। এর মধ্যে শুধু জার্মানিতে ১৪ লক্ষ মানুষ অংশ নিয়েছিল।[৫২] ২৭শে সেপ্টেম্বরে বিশ্বব্যাপী অনুষ্ঠিত বিক্ষোভে প্রায় ২০ লক্ষ মানুষ অংশ নেন, যাদের মধ্যে ইতালিতে ১০ লক্ষেরও বেশি এবং কানাডায় কয়েক লক্ষ মানুষ ছিল।[৫৩][৫৪][৫৫]

বর্তমান দৃষ্টিভঙ্গি[সম্পাদনা]

Greta Thunberg's Fridays for Future movement, begun in August 2018, has been influential in raising public awareness of the threat from global warming.

জলবায়ু পরিবর্তন সীমাবদ্ধ করার লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক প্রচেষ্টা এ পর্যন্ত ব্যাপকভাবে ব্যর্থ হয়েছে।[৫৬][৫৭] তবে, সমালোচকরা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন যে সাম্প্রতিক বিভিন্ন ঘটনাবলী এবং সুযোগের কারণে ২০২০-এর দশক আরও বেশি সফল হতে পারে। অন্যদিকে, সমালোচকরা সতর্কবার্তা দিয়েছেন যে ১.৫ ডিগ্রী সেলসিয়াসের নিচে উষ্ণায়ন ধরে রাখার জন্য এখন খুব অল্প সময়ের ব্যবধান রয়েছে। এমনকি ২ ডিগ্রী সেলসিয়াসের নিচে তাপমাত্রা বৃদ্ধি বজায় রাখার যুক্তিসঙ্গত সম্ভাবনা অর্জনের সময়ও প্রায় ফুরিয়ে এসেছে।[৫৮][৫৯][৬০][৬১]

সুযোগসমূহ[সম্পাদনা]

২০১০ সালের শেষের দিকে, জলবায়ু-বান্ধব রাজনীতির জন্য বিভিন্ন কারণ উদ্ভূত হয়েছে। এই কারণগুলির দরুন সমালোচকরা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন যে ২০২০-এর দশকে বিশ্ব উষ্ণায়নের হুমকি মোকাবেলায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হতে পারে।[৬২][৬৩][৬৪]

জনমতের মোড়[সম্পাদনা]

গুগল ট্রেন্ডসের তথ্য অনুযায়ী, 'ক্লাইমেট ক্রাইসিস' (জলবায়ু সংকট) এবং 'ক্লাইমেট ইমার্জেন্সি' (জলবায়ু জরুরি অবস্থা) এই শব্দগুলোর জন্য অনলাইনে অনুসন্ধান ২০১৯ সালে ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছিল। ২০০৬ সালে আল গোরের তথ্যচিত্র 'অ্যান ইনকনভেনিয়েন্ট ট্রুথ' মুক্তির পরও অনুরূপ বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গিয়েছিল।
২০২২ সালের পিউ জরিপে অধিকাংশ মানুষ জানিয়েছেন যে, জলবায়ু পরিবর্তন তাদের দেশের জন্য একটি বড় হুমকি। প্রায় অর্ধেক দেশের অংশগ্রহণকারীরা তালিকাভুক্ত পাঁচটি হুমকির মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তনকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন।[৬৫]

২০১৯ সালকে "জলবায়ু পরিবর্তনের দিকে বিশ্ব যে বছর জেগে ওঠে" বলে বর্ণনা করা হয়েছে। সাম্প্রতিক চরম আবহাওয়া ঘটনার ফলে বৈশ্বিক উষ্ণায়নের হুমকি সম্পর্কে ক্রমবর্ধমান স্বীকৃতি, গ্রেটা থুনবার্গের প্রভাব এবং আইপিসিসি ১.৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস প্রতিবেদন এই পরিবর্তনের মূল কারণ।[৬৬][৬৭]

২০১৯ সালে, ওপেক-এর মহাসচিব 'স্কুল স্ট্রাইক' আন্দোলনকে জীবাশ্ম জ্বালানি শিল্পের সবচেয়ে বড় হুমকি হিসেবে স্বীকার করেছেন।[৬৮] ক্রিশ্চিয়ানা ফিগুয়েরেসের মতে, একবার যদি জনসংখ্যার ৩.৫% অহিংস প্রতিবাদে অংশগ্রহণ শুরু করে, তবে তারা রাজনৈতিক পরিবর্তন আনতে সবসময়ই সফল হয়। গ্রেটা থুনবার্গের 'ফ্রাইডেজ ফর ফিউচার' আন্দোলনের সাফল্য ইঙ্গিত করে যে এই দরজায় পৌঁছনো অর্জনযোগ্য হতে পারে।[৬৯]

২০২৩ সালের 'ওয়ান আর্থ' জার্নালে প্রকাশিত একটি পর্যালোচনা গবেষণায় বলা হয়েছে যে মতামত জরিপগুলি দেখায় যে বেশিরভাগ লোক জলবায়ু পরিবর্তনকে এখন এবং কাছাকাছি ঘটতে দেখছে।[৭০] গবেষণায় উপসংহারে বলা হয়েছে যে, জলবায়ু পরিবর্তনকে দূরবর্তী হিসেবে দেখার ফলে কম জলবায়ু পদক্ষেপ নেওয়া হয় না এবং মানসিক দূরত্ব কমানো অগত্যা জলবায়ু পদক্ষেপ বৃদ্ধি করে না।[৭১]

জলবায়ু পরিবর্তন অস্বীকৃতির প্রভাব হ্রাস[সম্পাদনা]

২০১৯ সালের মধ্যে, সরাসরি জলবায়ু পরিবর্তন অস্বীকার আগের বছরগুলির তুলনায় অনেক কম প্রভাবশালী হয়ে উঠেছে। চরম আবহাওয়া ঘটনার বর্ধিত হার, জলবায়ু বিজ্ঞানীদের যোগাযোগ আরও কার্যকর হয়ে ওঠা এবং গ্রেটা থুনবার্গের প্রভাব এর কারণগুলির মধ্যে অন্যতম। একটি উদাহরণ হিসেবে, ২০১৯ সালে ক্যাটো ইনস্টিটিউট তাদের জলবায়ু বিষয়ক শাখা বন্ধ করে দেয়।[৭২][৭৩][৭৪][৭৫][৭৬]

নবায়নযোগ্য জ্বালানীর বৃদ্ধি[সম্পাদনা]

নবায়নযোগ্য জ্বালানী শক্তির একটি অফুরন্ত উৎস যা স্বাভাবিকভাবে পুনরায় পূরণযোগ্য। মূল নবায়নযোগ্য জ্বালানী উৎসগুলো হল বায়ু, জলবিদ্যুৎ, সৌর, ভূ-তাপীয় এবং বায়োমাস। ২০২০ সালে, নবায়নযোগ্য জ্বালানী বিশ্বের ২৯% বিদ্যুৎ উৎপাদন করেছিল।[৭৭]

প্যারিস চুক্তির পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৬ টি দেশ এই চুক্তি গ্রহণ করেছে এবং নভেম্বর ২০২১ পর্যন্ত, এই দলের ১৯৪ টি দেশ জাতীয়ভাবে নির্ধারিত অবদান (এনডিসি), অর্থাৎ জলবায়ু সংক্রান্ত অঙ্গীকারগুলি জমা দিয়েছে।[৭৮][৭৯] নবায়নযোগ্য জ্বালানী বিনিয়োগ প্রসারে এই দেশগুলি বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করছে - এর মধ্যে ১০২টি দেশ ট্যাক্স ক্রেডিট প্রয়োগ করেছে, ১০১টি দেশ কোনও না কোনওভাবে সরকারি বিনিয়োগের ব্যবস্থা প্রয়োগ করেছে এবং ১০০টি দেশ বর্তমানে কর হ্রাস ব্যবহার করছে। বৃহত্তম CO2 নির্গমনকারী দেশগুলি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চীন, যুক্তরাজ্য এবং ভারতের মতো শিল্পোন্নত দেশ। এই দেশগুলিতে স্থাপনামূলক নীতির (মাত্র ১৮৮টি) তুলনায় শিল্প নীতিগুলি (১,০০০ এরও বেশি) যথেষ্ট পরিমাণে বাস্তবায়িত হচ্ছে না।[৮০]

গ্লাসগোতে অনুষ্ঠিত COP26-এ মহিলা বিশ্ব নেতারা।

২০২১ সালের নভেম্বরে, ২৬তম জাতিসংঘ জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলন (COP26) স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। প্রায় ২০০টি দেশ জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই ত্বরান্বিত করতে এবং আরও কার্যকর জলবায়ু প্রতিশ্রুতির জন্য একমত হয়েছে। কিছু নতুন অঙ্গীকারের মধ্যে মিথেন গ্যাস দূষণ, বন উজাড় এবং কয়লা অর্থায়নে সংস্কার অন্তর্ভুক্ত ছিল। আশ্চর্যজনকভাবে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চীন (দুটি বৃহত্তম কার্বন নির্গমনকারী দেশ) উভয়ই বিশ্ব উষ্ণায়নকে ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যাওয়া রোধ করার প্রচেষ্টায় একসাথে কাজ করতে সম্মত হয়েছে।[৮১] কিছু বিজ্ঞানী, রাজনীতিবিদ এবং কর্মী বলছেন যে এই সম্মেলনে আমাদের প্রয়োজন অনুযায়ী যথেষ্ট পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি এবং আমরা এখনও ১.৫ ডিগ্রি টিপিং পয়েন্টে পৌঁছে যাব। ক্লাইমেট অ্যাকশন ট্র্যাকারের একটি স্বাধীন রিপোর্টে বলা হয়েছে যে এই অঙ্গীকারগুলি শুধু "বুলি" এবং "২০৩০ সালে কার্বন নির্গমনের পরিমাণ ১.৫ ডিগ্রি সীমা অতিক্রম করার প্রয়োজনের প্রায় দ্বিগুণ হবে। "[৮২]

২০২০ সাল পর্যন্ত, পারমাণবিক এবং বিশেষ করে নবায়নযোগ্য জ্বালানী দিয়ে জীবাশ্ম জ্বালানী থেকে উৎপাদিত শক্তি প্রতিস্থাপনের সম্ভাবনা অনেক বেড়েছে। শত শত দেশ এখন তাদের বিদ্যুৎয়ের অর্ধেকেরও বেশি অংশ নবায়নযোগ্য উৎস থেকে উৎপন্ন করছে।[৮৩][৮৪]

সবুজ পুনরুদ্ধার[সম্পাদনা]

সবুজ পুনরুদ্ধার পরিকল্পনা বলতে এমন কিছু পরিবেশগত, নিয়ন্ত্রক ও আর্থিক সংস্কারের কথা বোঝায় যা কোনো অর্থনৈতিক সংকটের পরবর্তীতে (যেমন কোভিড-১৯ মহামারী বা বৈশ্বিক আর্থিক সংকট- GFC) দেশের সমৃদ্ধি পুনরুদ্ধারের কাজে ব্যবহৃত হয়। একইসাথে এই সংস্কারগুলো যেন পরিবেশের উপরও ইতিবাচক প্রভাব ফেলে সেটা নিশ্চিত করা হয়। এর অন্তর্ভুক্ত বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে নবায়নযোগ্য জ্বালানি, জ্বালানির কার্যকর ব্যবহার, প্রকৃতি-ভিত্তিক সমাধান, টেকসই পরিবহন, সবুজ উদ্ভাবন এবং সবুজ কর্মসংস্থান ইত্যাদি।[৮৫][৮৬][৮৭][৮৮]

কোভিড-১৯ মহামারীর প্রতিক্রিয়ায় সবুজ পুনরুদ্ধারকে সমর্থন এসেছে বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সরকার, কর্মী এবং শিক্ষা জগত থেকে।[৮৯][৯০] বৈশ্বিক আর্থিক সংকটের সময় যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল,[৯১] এই প্যাকেজগুলোর লক্ষ্যও অনুরূপ- যেন মন্দার বিরুদ্ধে নেওয়া ব্যবস্থাগুলো জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলাতেও সাহায্য করে। এইসব কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে কয়লা, তেল এবং গ্যাসের ব্যবহার হ্রাস করা, পরিচ্ছন্ন পরিবহন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, পরিবেশবান্ধব ভবন নির্মাণ এবং টেকসই কর্পোরেট বা আর্থিক অনুশীলন প্রচলন। সবুজ পুনরুদ্ধার উদ্যোগগুলো জাতিসংঘ (UN) এবং অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (OECD) দ্বারা সমর্থিত।[৯২] জাতীয় আর্থিক প্রতিক্রিয়াগুলো লাইভ ট্র্যাক করার জন্য অনেকগুলো বৈশ্বিক উদ্যোগ রয়েছে। এরমধ্যে আছে গ্লোবাল রিকভারি অবজারভেটরি (অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়, জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল- IMF এর একটি উদ্যোগ),[৯৩] এনার্জি পলিসি ট্র্যাকার[৯৪] এবং OECD-এর গ্রিন রিকভারি ট্র্যাকার।[৯৫]

২০২১ সালের মার্চের দিকে গ্লোবাল রিকভারি অবজারভেটরি তাদের বিশ্লেষণে দেখায় যে উদ্ধার তহবিলে মাত্র ১৮% বিনিয়োগ এবং মোট খরচের ২.৫% টেকসই উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছিল।[৯৬] ২০২১ সালের জুলাই মাসে, ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সি এই বিশ্লেষণকে সমর্থন করে উল্লেখ করে যে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক উদ্ধার তহবিলের মাত্র ২% পরিচ্ছন্ন জ্বালানিতে খরচ করা হয়েছে।[৯৭] G20 দেশগুলো যে ১৪ ট্রিলিয়ন ডলার অর্থনৈতিক উদ্দীপনা হিসেবে ব্যয় করেছে, তার মাত্র ৬% এমন খাতে বরাদ্দ করা হয়েছে যা গ্রীনহাউস গ্যাস নির্গমন কমাতে সাহায্য করবে। এর মধ্যে রয়েছে বৈদ্যুতিক যান চালু করা, ভবনগুলোর জ্বালানি-দক্ষতা বাড়ানো এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবস্থা স্থাপন করা ইত্যাদি।[৯৮]

প্রতিকূলতা[সম্পাদনা]

রাজনৈতিক মতামত ও সামাজিক প্রতিবন্ধকতার কারণে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা করার ক্ষেত্রে বেশ কিছু কঠিন চ্যালেঞ্জ রয়েছে।[৯৯][১০০][১০১] উদাহরণস্বরূপ, মাংসের ওপর কর বাড়ানো রাজনৈতিকভাবে অজনপ্রিয় হতে পারে।[১০২]

জরুরি অবস্থা[সম্পাদনা]

২০২১ সালের হিসাবে, শিল্প-পূর্ব যুগের তুলনায় CO2 মাত্রা প্রায় ৫০% বেড়ে গেছে। প্রতি বছর আরও বিলিয়ন টন কার্বন নির্গত হওয়ার ফলে পরিবেশের উপর ব্যাপক বিপর্যয়কর প্রভাব পড়ছে। এই কারণে জলবায়ু পরিবর্তনের দ্রুত প্রভাব এড়াতে হলে অতি শীঘ্রই বড় ধরনের নীতি পরিবর্তন বাস্তবায়ন করতে হবে।[১০৩][১০৪][১০৫]

জীবাশ্ম জ্বালানির কেন্দ্রীয়তা[সম্পাদনা]

বিশ্বের অর্থনীতি এখনও জীবাশ্ম জ্বালানি-নির্ভর, যেহেতু ২০১৯ সালের হিসাবে প্রায় ৮০% শক্তি এসব উৎস থেকে উৎপন্ন হচ্ছিল। ভোক্তাদের কাছ থেকে জীবাশ্ম জ্বালানির ভর্তুকি হঠাৎ করে প্রত্যাহার করলে সমাজে অস্থিরতা ও দাঙ্গার সৃষ্টি হতে পারে।[১০৬] যদিও নবায়নযোগ্য শক্তি মাঝে মাঝে সস্তা,[১০৭][note ৩] স্বল্প সময়ের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস তৈরি করা বেশ চ্যালেঞ্জিং।[১০৮][১০৯][১১০] আন্তর্জাতিক জ্বালানি সংস্থার (International Energy Agency) একটি ২০২৩ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী, কয়লা নির্গমন ২৪৩ মিলিয়ন টন বেড়ে ১৫.৫ গিগাটনের বেশি হয়েছে, যা সর্বকালের সর্বোচ্চ পরিমাণ।[১১১] ২০২২ সালে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক যুক্তি দেখিয়েছিল যে উচ্চ জ্বালানি মূল্য জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে সরে গিয়ে জ্বালানি রূপান্তরকে ত্বরান্বিত করছে। কিন্তু একইসাথে তারা সরকারগুলিকে নিম্ন কার্বন জ্বালানিতে উত্তরণে বাধা না দিয়ে জ্বালানি দারিদ্র্য প্রতিরোধের জন্য পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানায়।[১১২]

নিষ্ক্রিয়তা[সম্পাদনা]

২০২০-এর দশকে যদিও জলবায়ু পরিবর্তন সরাসরি অস্বীকার করার ঘটনা কম, তবে গ্রীনহাউজ গ্যাস নির্গমন সীমিত করার ব্যাপারে পদক্ষেপ না নেওয়ার পক্ষে বেশ কিছু যুক্তি এখনো দেখা যায়। এর মধ্যে রয়েছে: এই খাতের অর্থ জলবায়ু-অভিযোজনের (adaptation) মত কাজে খরচ করা উচিত, নতুন প্রযুক্তি বের না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা ভাল কারণ তা এই প্রক্রিয়া সস্তা করবে অথবা ভবিষ্যতের জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাবকে এখনকার চাহিদার তুলনায় নগণ্য মনে করা।[১১৩][১১৪]

জীবাশ্ম জ্বালানি লবি ও রাজনৈতিক অর্থায়ন[সম্পাদনা]

'বিগ অয়েল' নামে পরিচিত বৃহত্তর তেল ও গ্যাস কর্পোরেশনগুলো এবং তাদের শিল্প লবিস্ট গ্রুপ, আমেরিকান পেট্রোলিয়াম ইনস্টিটিউট (API), জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় সরকারী পদক্ষেপগুলোকে বাধাগ্রস্ত করতে এবং বিলম্বিত করতে ব্যাপক পরিমাণে অর্থ লবিং ও রাজনৈতিক প্রচারাভিযানে খরচ করে। ওয়াশিংটন ডিসি সহ ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং যুক্তরাজ্যের মতো রাজনৈতিক কেন্দ্রগুলোতে জীবাশ্ম জ্বালানি লবির যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে।[১১৫][১১৬][১১৭][১১৮][১১৯][১২০] শক্তির ক্ষমতার অন্দরমহলে নিজেদের অ্যাজেন্ডা এগিয়ে নিতে, সাধারণ নাগরিক এবং পরিবেশবাদী কর্মীদের চেয়ে জীবাশ্ম জ্বালানি শিল্প কয়েকগুণ বেশি অর্থ ব্যয় করে। ২০০০ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত লবিং করতে তারা ২ বিলিয়ন ডলার খরচ করেছে।[১২১][১২২] ব্রাসেলসে নিজস্ব লক্ষ্য অর্জনে শুধু পাঁচটি বৃহত্তম বিগ অয়েল কর্পোরেশনই লবিস্টদের পেছনে শত শত মিলিয়ন ইউরো ব্যয় করেছে।[১২৩] বিগ অয়েল কোম্পানিগুলি প্রায়শই "টেকসই নীতি" গ্রহণ করে, যে নীতিগুলো প্রায়ই তাদের লবিস্টদের অ্যাডভোকেট করা নীতি-অ্যাজেন্ডার সাথে সাংঘর্ষিক। এই নীতির পেছনে উদ্দেশ্য হলো জনগণের মনে সন্দেহের বীজ রোপণ করা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বাস্তবতা ও প্রভাব নিয়ে সংশয় তৈরি করা। একইসাথে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় সরকারী প্রচেষ্টাগুলোকে ভোঁতা করা। "জলবায়ু পরিবর্তনকে অ-সমস্যায় পরিণত করা"র লক্ষ্যে API একটি পাবলিক রিলেশন ভিত্তিক কুপ্রচার অভিযানও চালু করেছিল।[১২৪][১২৫] এই শিল্পটি আমেরিকান রাজনৈতিক প্রচারণাতেও মুক্তহস্তে অর্থ ব্যয় করে। বিগত কয়েক দশক ধরে তাদের রাজনৈতিক অনুদানের প্রায় ২/৩ অংশ রিপাবলিকান পার্টির রাজনীতিবিদদের পক্ষে ব্যবহৃত হয়।[১২৬] একইসাথে নবায়নযোগ্য জ্বালানি সমর্থকদের রাজনৈতিক অবদানকেও বহুগুণে ছাড়িয়ে যায় তাদের অনুদানের পরিমাণ।[১২৭] জীবাশ্ম জ্বালানি শিল্পের রাজনৈতিক অবদানগুলো প্রধানত পরিবেশ সুরক্ষার বিরুদ্ধে ভোট দেওয়া রাজনীতিবিদদের পুরস্কৃত করে। প্রসিডিংস অফ দ্য ন্যাশনাল একাডেমি অফ সায়েন্সেস অফ দ্য ইউনাইটেড স্টেটস অফ আমেরিকা কর্তৃক প্রকাশিত একটি গবেষণা অনুসারে, লিগ অফ কনজারভেশন ভোটার্স (LCV) দ্বারা পরিমাপকৃত রেকর্ড অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের একজন সদস্যের ভোট যত পরিবেশ-বিরোধী হয়ে ওঠে, সেই কংগ্রেস সদস্যের প্রাপ্ত জীবাশ্ম জ্বালানি শিল্পের অনুদানের পরিমাণ তত বৃদ্ধি পায়। গড়ে, LCV স্কোরে ১০% হ্রাসের সাথে কংগ্রেসের মেয়াদ অনুসরণকারী প্রচারাণার জন্য জীবাশ্ম জ্বালানি শিল্প থেকে প্রাপ্ত প্রচারণা অনুদান $১,৭০০ বৃদ্ধি পেয়েছে।[১২৮][১২৯]

জলবায়ু বিজ্ঞানের অবদমন[সম্পাদনা]

১৯৭০-এর দশক থেকেই বড় বড় তেল কোম্পানি জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানোর কারণে জলবায়ুতে যে বড় ধরনের প্রভাব পড়ছে, সেই বিষয়ক তাদের নিজস্ব বিজ্ঞানীদের রিপোর্টগুলো গোপন করে রেখেছে। বিশেষ করে এক্সনমোবিল (ExxonMobil) জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টিকে নিয়ে জনমনে ভুল তথ্য ছড়ানোর একটি কর্পোরেট প্রচারণা চালায়। এই কৌশলটির তুলনা করা হয়েছে বিগ টোব্যাকোর (ধূমপানের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে মানুষকে বিভ্রান্ত করার লক্ষ্যে তামাক সংস্থাগুলোর) জনসংযোগ প্রচারণার সাথে।[১৩০] জীবাশ্ম জ্বালানি শিল্পের অর্থায়নে পরিচালিত থিংক ট্যাংকগুলো জলবায়ু পরিবর্তনের ভয়াবহ হুমকি সম্পর্কে খোলাখুলি আলোচনাকারী জলবায়ু বিজ্ঞানীদের হয়রানি করেছে।[১৩১] ১৯৮০-এর দশকের শুরুতে, যখন আমেরিকার জনগণের বৃহত্তর অংশ জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টি সম্পর্কে সচেতন হতে শুরু করে, তখন থেকেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কিছু রাষ্ট্রপতি প্রশাসন জীবাশ্ম জ্বালানির কারণে জলবায়ুতে যে হুমকি তৈরি হচ্ছে সে সম্পর্কে প্রকাশ্যে কথা বলা বিজ্ঞানীদের তাচ্ছিল্য করেছে।[১৩২] এমনকি অন্যান্য মার্কিন প্রশাসনগুলো জলবায়ু বিজ্ঞানীদের কখনো কখনো চুপ করিয়ে দিয়েছে, আবার সরকারি তথ্য গোপন করার অভিযোগও উঠেছে। বেশ কয়েকটি ফেডারেল সংস্থায় রাজনৈতিকভাবে নিযুক্ত কর্মকর্তারা বিজ্ঞানীদের জলবায়ু সংকটের বিভিন্ন দিক সম্পর্কিত তাদের গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করতে বাধা দেয়। এমনকি ডেটা মডেলিং পরিবর্তন করে এমন সব সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর ঘটনাও ঘটেছে যেগুলো পূর্ব থেকেই স্থির করা ছিল। উপরন্তু, সংস্থাগুলোর নিবেদিতপ্রাণ বিজ্ঞানীদের পরামর্শও তারা গ্রহণ করেনি।[১৩৩][১৩৪][১৩৫]

জলবায়ু কর্মীদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা[সম্পাদনা]

জলবায়ু ও পরিবেশ কর্মীদের হত্যার ঘটনা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ঘটছে। এইসব কর্মীদের মধ্যে রয়েছেন যারা বনভূমি রক্ষায় লগিং শিল্পের বিরুদ্ধে লড়াই করছেন। কলম্বিয়া, ব্রাজিল এবং ফিলিপাইনের মতো দেশগুলিতে এই ধরনের বেশিরভাগ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে, কিন্তু হত্যাকারীদের অধিকাংশই শাস্তির আওতায় আসেনি। ২০১৯ সালে এই ধরনের হত্যাকাণ্ডের রেকর্ড সংখ্যক ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে। আদিবাসী পরিবেশ কর্মীদের ওপর বিশেষভাবে নজর রাখা হচ্ছে, বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর সংখ্যার প্রায় ৪০% তারাই।[১৩৬][১৩৭][১৩৮] যুক্তরাষ্ট্র সরকারের মতো বেশ কিছু দেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলি পরিবেশ কর্মী এবং জলবায়ু পরিবর্তন সংস্থাগুলিকে "অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাসী" হিসাবে চিহ্নিত করেছে। কর্মীদের নজরদারি করা, তাদের তদন্ত করা, জেরা করা এবং তাদেরকে জাতীয় "ওয়াচলিস্টে" রাখা - যা বিমানে চলাচলকে কঠিন করে তোলে এবং স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে তাদের নজরদারিতে রাখতে উস্কে দেয়।[১৩৯][১৪০][১৪১] জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে আমেরিকান নাগরিকদের সমাবেশ এবং বিক্ষোভের মিডিয়া কভারেজ বন্ধ করা এবং কর্মীদের নজর রাখতে বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থাগুলির সাথে অংশীদারিত্ব করা - এগুলোও যুক্তরাষ্ট্র সরকারের অন্যান্য কৌশলের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত।[১৪২]

ডুমইজম (Doomism)[সম্পাদনা]

জলবায়ু পরিবর্তনের রাজনীতিতে, 'ডুমইজম' হতাশাবাদী দৃষ্টিভঙ্গিকে বোঝায় যেখানে দাবি করা হয় জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য সময় ফুরিয়ে এসেছে। ডুমইজমের অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে ধারাবাহিক জলবায়ু ভাঙন বিন্দুর সম্ভাবনার অতিরঞ্জন। মনে করা হতে পারে যে, জীবাশ্ম জ্বালানী পোড়ানো অবিলম্বে বন্ধ করতে পারলেও তা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়া উল্লেখযোগ্য বিশ্বব্যাপী উষ্ণতাকে রুখতে পারবে না। যুক্তরাষ্ট্রে পরিচালিত মতামত জরিপ থেকে জানা যায়, বিশ্ব উষ্ণায়ন সীমাবদ্ধ করার জন্য আরও পদক্ষেপ নিতে অনিচ্ছুকদের মধ্যে, জলবায়ু পরিবর্তন সন্দেহের চেয়ে 'এখন অনেক দেরি হয়ে গেছে' বিশ্বাসই ছিল মূল কারণ।[১৪৩][১৪৪]

অনমনীয়তার অভাব[সম্পাদনা]

জলবায়ু-বান্ধব নীতি প্রণয়নের ক্ষেত্রে প্রায়ই পরিবেশবাদী এবং বাম-ঝোঁক সমর্থক গোষ্ঠী বা দলগুলোর কারণে বাধা সৃষ্টি হয়। গঠনমূলক সমঝোতা না হওয়ার ফলে উন্নয়ন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এরকম কয়েকটি উদাহরণ:[১৪৫]

  • অস্ট্রেলিয়া (২০০৯): অস্ট্রেলিয়ার গ্রীন পার্টি কার্বন দূষণ হ্রাস করণ পরিকল্পনার বিরোধিতা করে কারণ তারা মনে করেছিল কার্বন করের পরিমাণ যথেষ্ট নয়।
  • যুক্তরাষ্ট্র (২০১৬): সিয়েরা ক্লাব একটি জলবায়ু কর বিল প্রণয়নকে পরাজিত করতে সহায়তা করেছিল কারণ তারা বিলটিকে সামাজিক ন্যায়বিচারের দিক থেকে ত্রুটিপূর্ণ মনে করেছিল।
  • যুক্তরাষ্ট্র (রাজ্য পর্যায়): কিছু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কার্বন মূল্য নির্ধারণের প্রচেষ্টা বামপন্থী রাজনীতিবিদদের দ্বারা অवरुদ্ধ হয়েছে কারণ এটি করের পরিবর্তে "ক্যাপ অ্যান্ড ট্রেড" (সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ করে বাণিজ্য) পদ্ধতিতে প্রয়োগ করার প্রস্তাব করা হয়েছিল।

কার্বন কর বা ক্যাপ-অ্যান্ড-ট্রেডের মতো জলবায়ু সংক্রান্ত নীতিগুলি জটিল। প্রায়ই বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের মধ্যে প্রস্তাবিত সমাধানের বিশদ বিবরণ নিয়ে উল্লেখযোগ্য মতবিরোধ থাকে। নীতি নির্ধারকদের কাছে চ্যালেঞ্জটা হলো কার্বন হ্রাসের মতো বিস্তৃত লক্ষ্যের দিকে কাজ করার সময় বিভিন্ন দৃষ্টিকোণগুলিকে ভারসাম্যপূর্ণভাবে অন্তর্ভুক্ত করা। সমঝোতা প্রতিষ্ঠা ও যথার্থ সামাজিক প্রভাব বিবেচনায় রেখে জলবায়ু নীতি তৈরি করা অত্যাবশ্যক।

বহু-ক্ষেত্রীয় শাসন[সম্পাদনা]

জলবায়ু পরিবর্তন একটি জটিল সমস্যা যা বিভিন্ন ক্ষেত্রকে প্রভাবিত করে। তাই, জলবায়ু নীতিগুলোকে অন্যান্য নীতি ক্ষেত্রের সাথে একীভূত করার প্রয়োজনীয়তা বারবার উঠে আসে।[১৪৬] এই সমস্যার সমাধান করা কঠিন কারণ এটি বিভিন্ন স্তরে সমাধান করতে হয় এবং জটিল শাসন প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন অভিনেতার সম্পৃক্ততা থাকে।[১৪৭]

ভারসাম্য বজায় রাখার গুরুত্ব[সম্পাদনা]

জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে সফলভাবে খাপ খাওয়ানোর জন্য অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং রাজনৈতিক স্বার্থের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যদি এই ভারসাম্য বজায় না করা হয়, তাহলে ক্ষতিকর অপ্রত্যাশিত পরিণতি অভিযোজন উদ্যোগের সুবিধাগুলোকে নষ্ট করে দিতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, তানজানিয়ায় প্রবাল প্রাচীর রক্ষার প্রচেষ্টার ফলে স্থানীয় গ্রামবাসীদের ঐতিহ্যবাহী মাছ ধরার কাজ থেকে কৃষিকাজে স্থানান্তরিত হতে বাধ্য করা হয়েছিল। এই কৃষিকাজ অধিক গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গত করে।[১৪৮]

প্রযুক্তি[সম্পাদনা]

প্রযুক্তির সম্ভাবনা হুমকি এবং চূড়ান্ত সুফল - উভয় হিসেবেই বিবেচিত হয়। নতুন প্রযুক্তি জলবায়ু সংশ্লিষ্ট নীতিগুলোর ক্ষেত্রে নতুন এবং আরও কার্যকর বিকল্প তৈরি করতে পারে। যেসব মডেল ২ ডিগ্রী সেলসিয়াসের মধ্যে উষ্ণতা সীমিত রাখার উপায় নির্দেশ করে, সেগুলোতে কার্বন ডাই অক্সাইড অপসারণের বড় ভূমিকা রয়েছে, যা জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলার অন্যতম একটি উপায়। রাজনৈতিক বর্ণালীর সব দিক থেকেই কার্বন ডাই অক্সাইড অপসারণ পদ্ধতিটিকে সাধারণত স্বাগত জানানো হয়। কিন্তু অনেকেই সন্দেহ প্রকাশ করেন যে, দ্রুত নির্গমন হ্রাসের পদক্ষেপ না নিয়ে, বিশ্ব উষ্ণায়ন কমানোর মতো পর্যাপ্ত কার্বন ডাই অক্সাইড অপসারণ করা আদৌ সম্ভব কিনা। তারা এটাও সতর্ক করে দেন যে, এই ধরণের প্রযুক্তি নিয়ে অতিরিক্ত আশাবাদ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা সংক্রান্ত নীতিমালা প্রণয়নকে কঠিনতর করে তুলতে পারে।[১৪৯][১৫০]

সৌর বিকিরণ ব্যবস্থাপনা (Solar radiation management) আরও একটি প্রযুক্তি যার লক্ষ্য বিশ্ব উষ্ণায়ন কমানো। অন্তত স্ট্র্যাটোস্ফেরিক অ্যারোসল ইনজেকশনের ব্যাপারে ব্যাপক মতামত রয়েছে যে, এটি গড় বৈশ্বিক তাপমাত্রা কমিয়ে আনতে কার্যকর হবে। তবুও, অনেক জলবায়ু বিজ্ঞানী এই প্রযুক্তিকে স্বাগত জানাতে নারাজ। তারা সতর্ক করে দেন যে, কমে যাওয়া সূর্যালোক ও বৃষ্টিপাতের কারণে কৃষি উৎপাদন হ্রাস, স্থানীয় তাপমাত্রা বৃদ্ধি এবং অন্যান্য আবহাওয়াজনিত বিঘ্ন এর সম্ভাব্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলোর মধ্যে অন্যতম। মাইকেল মানের মতে, তাপমাত্রা কমানোর জন্য সৌর বিকিরণের ব্যবস্থাপনা ব্যবহারের সম্ভাবনা নির্গমন হ্রাস সংক্রান্ত নীতিমালা প্রণয়নে অনীহা বাড়িয়ে দেওয়ার আরেকটি যুক্তি হিসেবে কাজ করবে।[১৫১][১৫২][১৫৩]

ন্যায়সঙ্গত রূপান্তর[সম্পাদনা]

কয়লা খনির মতো কার্বন-নির্ভর কার্যক্রম ধীরে ধীরে বন্ধ করে দেওয়ার ফলে সৃষ্ট অর্থনৈতিক বিপর্যয় রাজনৈতিকভাবে সংবেদনশীল বিষয় হয়ে উঠতে পারে। এর কারণ, কিছু দেশে কয়লা খনি শ্রমিক, কৃষক এবং জেলেদের রাজনৈতিক প্রভাব বেশ উল্লেখযোগ্য। এই পরিস্থিতিতে, অনেক শ্রমিক ও পরিবেশবাদী সংগঠন একটি "ন্যায়সঙ্গত রূপান্তরের" পক্ষে কথা বলে। এই ন্যায়সঙ্গত রূপান্তরের মূল লক্ষ্য হলো জলবায়ু-সম্পর্কিত সামাজিক পরিবর্তনের সাথে যুক্ত ক্ষয়ক্ষতিগুলিকে যথাসম্ভব কমিয়ে আনা এবং এর সুফলগুলোকে সর্বোচ্চ করা। উদাহরণস্বরূপ, কর্মীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে তাদের নতুন দক্ষতা অর্জনে সহায়তা করা যেতে পারে।[১৫৪][১৫৫][১৫৬][১৫৭][১৫৮]

বিভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের প্রতিক্রিয়া[সম্পাদনা]

ডেমোক্র্যাট (নীল) এবং রিপাবলিকান (লাল) জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলার গুরুত্ব সম্পর্কে ভিন্ন মত পোষণ করে, ২০১০ এর দশকের শেষের দিক থেকে প্রধানত ডেমোক্র্যাটদের অংশীদারিত্বের মাধ্যমে ব্যবধান প্রসারিত হয়।[১৫৯][১৬০]
জলবায়ু পরিবর্তন ও বৈশ্বিক উষ্ণায়নের অস্তিত্ব এবং এর দায়ভার নিয়ে তীব্র মতপার্থক্য মূলত রাজনৈতিক দলগুলির অবস্থানের ভিত্তিতে পরিলক্ষিত হয়। জরিপে অংশ নেওয়া মোট ৬০% আমেরিকান জানিয়েছেন যে তেল ও গ্যাস কোম্পানিগুলি জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য "সম্পূর্ণভাবে বা অধিকাংশই দায়ী"।[১৬১][১৬১]
শিক্ষিত এবং অশিক্ষিত রিপাবলিকানরা প্রায় সমানভাবে মনে করে যে জলবায়ু পরিবর্তন মানব সৃষ্ট নয়। যেখানে কার্বন নিরপেক্ষ হওয়ার পক্ষে মতামত রিপাবলিকানদের মধ্যে বয়সের সাথে উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে, তবে ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে নয়।[১৬২][১৬২]
গ্রীনহাউস গ্যাস নির্গমন কমানোর জন্য ব্যাপক পরিসরে নীতি প্রস্তাব করা হয়েছে, কিন্তু জনসমর্থন দলীয় ভিত্তিতে সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে আলাদা হয়।[১৬৩]
জাতীয় রাজনৈতিক বিভাজন জলবায়ু পরিবর্তনের গুরুতরতার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে রাজনৈতিক মতাদর্শের সাথে সম্পর্কযুক্ত, ডানপন্থী মতামত আরও নেতিবাচক।[১৬৪]

রাজনৈতিক মতাদর্শ নির্বিশেষে জলবায়ু-বান্ধব নীতিগুলো সাধারণত সমর্থন পেলেও, ডান-ঝোঁক সম্পন্ন ভোটার ও রাজনীতিবিদদের মধ্যে এ বিষয়ে অনেক ব্যতিক্রম দেখা যায়। এমনকি বাম-পন্থী রাজনীতিবিদরাও খুব কমই জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে থাকেন।[১৬৫] বিংশ শতাব্দীতে, ডানপন্থী রাজনীতিবিদেরা, যেমন রিচার্ড নিক্সন এবং মার্গারেট থ্যাচার, আন্তর্জাতিক এবং ঘরোয়া উভয় পর্যায়ে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছিলেন।[১৬৬][১৬৭] কিন্তু ১৯৯০-এর দশকে, বিশেষ করে কিছু ইংরেজিভাষী দেশে এবং সবচেয়ে বেশি যুক্তরাষ্ট্রে, এই বিষয়টি মেরুকরণের শিকার হতে শুরু করে।[১৬৮][১৬৯] ডানপন্থী গণমাধ্যম এই যুক্তি দিতে শুরু করে যে জলবায়ু পরিবর্তন বামপন্থীরা সরকারের আকার বাড়ানোর অজুহাত হিসেবে তৈরি করেছে, অন্তত এর মাত্রা বাড়িয়ে দেখানো হচ্ছে।[note ৪] ২০২০ সালের হিসাবে, কিছু ডানপন্থী সরকার জলবায়ু-বান্ধব নীতি অনুসরণ করেছে। বিভিন্ন জরিপে দেখা গেছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডানপন্থী ভোটারদের মধ্যেও এখন বিশ্ব উষ্ণায়নের ব্যাপারে সংশয়বাদীতা কিছুটা হ্রাস পেয়েছে। আমেরিকান কনজারভেশন কোয়ালিশনের মতো গোষ্ঠীগুলো ইঙ্গিত দেয় যে তরুণ রিপাবলিকান ভোটাররা এখন জলবায়ুকে একটি কেন্দ্রীয় নীতিগত ক্ষেত্র হিসেবে গ্রহণ করছে। তবে, আনাটোল লিভেনের মতে, কিছু মার্কিন ডানপন্থী ভোটারদের জন্য জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে সংশয়বাদ তাদের পরিচয়ের অংশ হয়ে উঠেছে, তাই যুক্তি দিয়ে তাদের অবস্থানকে সহজে পরিবর্তন করা যাবে না।[১৭০][১৭১][১৭২] [১৭৩]

ডর্টমুন্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৪ সালের একটি সমীক্ষায় উপসংহারে আসা হয়েছে যে, ১৯৯২-২০০৮ সালের মধ্যে ওইসিডি দেশগুলিতে কেন্দ্রীয় ও বাম-পন্থী সরকারগুলি ডানপন্থী সরকারগুলির তুলনায় কার্বন নির্গমন কমাতে বেশি ভূমিকা রেখেছে।[১৭৪] ঐতিহাসিকভাবে, জাতীয়তাবাদী সরকারগুলি জলবায়ু নীতি বাস্তবায়নের ব্যাপারে সবচেয়ে বাজে ফল দেখিয়েছে। যদিও লিভেনের মতে, জলবায়ু পরিবর্তনকে জাতীয় অস্তিত্বের জন্য ক্রমবর্ধমান হুমকি হিসেবে দেখা হচ্ছে, জাতীয়তাবাদ তাই নির্ধারিত প্রশমন প্রচেষ্টা চালানোর অন্যতম কার্যকরী শক্তি হয়ে উঠবে। জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকিকে নিরাপত্তার বিষয় হিসেবে দেখার প্রবণতা জাতীয়তাবাদী ও রক্ষণশীলদের মধ্যে সমর্থন বাড়াতে বিশেষভাবে কার্যকর হতে পারে।[১৭৫][১৭৬]

জলবায়ু পরিবর্তন নীতি ও রাজনীতির ইতিহাস[সম্পাদনা]

জলবায়ু পরিবর্তন নীতি ও রাজনীতির ইতিহাস বলতে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড, নীতিমালা, প্রবণতা, বিতর্ক এবং জলবায়ু পরিবর্তনের সমস্যা সম্পর্কিত কর্মীদের প্রচেষ্টার চলমান ইতিহাসকে বোঝায়। ১৯৭০-এর দশকে জলবায়ু পরিবর্তন একটি রাজনৈতিক ইস্যু হিসেবে আবির্ভূত হয়, যেখানে পরিবেশগত সংকটগুলোকে বিশ্বব্যাপী মোকাবেলা করার জন্য কর্মী ও আনুষ্ঠানিক প্রচেষ্টা নেওয়া হয়েছিল।[১৭৭] জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক নীতি বিশ্বব্যাপী উষ্ণায়ন মোকাবেলায় সহযোগিতা ও আন্তর্জাতিক নির্দেশিকা প্রতিষ্ঠার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে। জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন কাঠামো চুক্তি (UNFCCC) একটি বহুল স্বীকৃত আন্তর্জাতিক চুক্তি যা নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ক্রমাগত বিকশিত হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে গার্হস্থ্য নীতিতে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন হ্রাসের জন্য অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা এবং আন্তর্জাতিক নির্দেশিকাগুলিকে গার্হস্থ্য আইনে অন্তর্ভুক্ত করার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করা হয়েছে।

একবিংশ শতাব্দীতে পরিবেশগত বৈষম্য দ্বারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য দুর্বলতা-ভিত্তিক নীতির দিকে স্থানান্তর ঘটেছে।[১৭৮] জলবায়ু নীতির ইতিহাস জুড়ে উন্নয়নশীল দেশগুলোর চিকিৎসা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন রাজনীতির ইতিহাসের সমালোচনামূলক প্রতিফলন "পৃথিবীতে আমাদের স্বল্প জীবনে আমরা মানুষ যে সবচেয়ে কঠিন সমস্যার সম্মুখীন হয়েছি তার একটি সম্পর্কে চিন্তা করার উপায় সরবরাহ করে"।[১৭৯]

জলবায়ু বিজ্ঞানের সাথে সম্পর্ক[সম্পাদনা]

বৈজ্ঞানিক সাহিত্যে এই বিষয়ে অপ্রতিরোধ্য ঐকমত্য রয়েছে যে বিশ্বব্যাপী ভূপৃষ্ঠের তাপমাত্রা সাম্প্রতিক দশকগুলিতে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং এই প্রবণতা মূলত মানব-প্ররোচিত গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনের কারণে ঘটে।[১৮০][১৮১][১৮২]

মানুষ জলবায়ু পরিবর্তন ঘটাচ্ছে বলে বিজ্ঞানীরা কতটা ঐকমত্যে পৌঁছেছেন, সেই বিষয়ে জনসাধারণের ধারণা অনেক কম। ২০১৯ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত গবেষণায় দেখা গেছে, বিজ্ঞানীদের ঐকমত্যের পরিমাণ ৯৮.৭% থেকে ১০০% পর্যন্ত।[১৮৩][১৮৪][১৮৫]

রাজনৈতিক লাভের জন্য বিজ্ঞানের কারসাজি করা হলো রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার একটি অংশ। এটি বুদ্ধিমান নকশা (ওয়েজ কৌশলের সাথে তুলনা করুন) নিয়ে বিতর্কের একটি অংশ।[১৮৬][১৮৭] 'মার্চেন্টস অফ ডাউট' এমন বিজ্ঞানী যারা তামাকের ধোঁয়া, ওজোন হ্রাস, গ্লোবাল ওয়ার্মিং বা অ্যাসিড বৃষ্টির মতো বিষয়ে স্বেচ্ছায় গবেষণা ফলাফল অস্পষ্ট করার অভিযোগ আছে।[১৮৮][১৮৯] তবে, উদাহরণস্বরূপ, ওজোন হ্রাসের ক্ষেত্রে, মন্ট্রিল প্রোটোকলের উপর ভিত্তি করে বৈশ্বিক নিয়ন্ত্রণ উচ্চ অনিশ্চয়তার পরিবেশে[১৯০] এবং শক্ত প্রতিরোধের বিরুদ্ধে সফল হয়েছিল, যেখানে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে কিয়োটো প্রোটোকল ব্যর্থ হয়েছিল।[১৯১]

আইপিসিসি প্রক্রিয়া বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তন গবেষণার ফলাফল খুঁজে বের করার[১৯২] এবং একটি বিশ্বব্যাপী ঐকমত্য গঠনের চেষ্টা করে যখন এটি নিজেই শক্তিশালী রাজনীতিকরণের বস্তুতে পরিণত হয়েছে।[১৯৩] জলবায়ু পরিবর্তন একটি বিশুদ্ধ বিজ্ঞান-ভিত্তিক বিষয় থেকে শীর্ষস্থানীয় বৈশ্বিক নীতিগত বিষয়ে পরিণত হয়েছে।[১৯৪]

আইপিসিসি প্রক্রিয়া বিস্তৃত বৈজ্ঞানিক ঐকমত্য স্থাপন করেছে, কিন্তু এই ঐকমত্য সরকারগুলোকে বিভিন্ন এমনকি বিরোধী লক্ষ্য অনুসরণ করা থেকে বিরত রাখে না।[১৯৫][১৯৬] ওজোন হ্রাসের ক্ষেত্রে, বৈজ্ঞানিক ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার আগেই বৈশ্বিক নিয়ন্ত্রণ চালু করা হয়েছিল।[১৯৭] সুতরাং 'আমাদের যত বেশি জ্ঞান থাকবে তত ভালো রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া তৈরি হবে' এমন একটি রৈখিক মডেল অগত্যা সঠিক নয়। পরিবর্তে, রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ভিত্তি হিসাবে জ্ঞান[১৯৮] এবং অনিশ্চয়তাকে সফলভাবে পরিচালনা করতে বিজ্ঞান, জনসাধারণের বোঝাপড়ার অভাব এবং নীতির মধ্যে সম্পর্কের আরও ভাল বোঝার প্রয়োজন।[১৯৯][২০০][২০১][২০২]

জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমন নিয়ে বেশিরভাগ নীতি-আলোচনা একবিংশ শতাব্দীর পূর্বাভাসের উপর ভিত্তি করে করা হয়েছে। একাডেমিকরা এটিকে স্বল্পমেয়াদী চিন্তা হিসাবে সমালোচনা করেছেন, কারণ আগামী কয়েক দশকে নেওয়া সিদ্ধান্তগুলির পরিবেশগত পরিণতি হাজার বছর স্থায়ী হবে।[২০৩]

অনুমান করা হয়েছে যে জলবায়ু-সম্পর্কিত গবেষণার জন্য মোট তহবিলের মাত্র ০.১২% জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমনের সামাজিক বিজ্ঞানে ব্যয় করা হয়।[২০৪] জলবায়ু পরিবর্তনের প্রাকৃতিক বিজ্ঞান গবেষণায় অপেক্ষাকৃত বেশি তহবিল ব্যয় করা হয় এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ও অভিযোজন নিয়ে গবেষণায়ও যথেষ্ট পরিমাণ অর্থ ব্যয় করা হয়।[২০৫] যুক্তি দেওয়া হয়েছে যে, এটি সম্পদের অপব্যবহার। জরুরি চ্যালেঞ্জ হল জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমনের জন্য মানুষের আচরণ কীভাবে পরিবর্তন করা যায় তা নির্ধারণ করা। কারণ, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রাকৃতিক বিজ্ঞান ইতিমধ্যেই ভালভাবে প্রতিষ্ঠিত এবং অভিযোজন পরিচালনার জন্য আমাদের কাছে দশক এবং শতাব্দী থাকবে।[২০৬]

রাজনৈতিক অর্থনীতি ও জলবায়ু পরিবর্তন[সম্পাদনা]

রাজনৈতিক অর্থনীতি এমন একটি দৃষ্টিভঙ্গি যা জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের সাথে জড়িত সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রক্রিয়াগুলি অধ্যয়নের জন্য রাজনৈতিক অর্থনৈতিক চিন্তাকে প্রয়োগ করে।

জলবায়ু পরিবর্তনের ক্রমবর্ধমান সচেতনতা ও জরুরি অবস্থা গবেষকদের জলবায়ু পরিবর্তন আলোচনাকে প্রভাবিত করে এমন বিভিন্ন সংস্থা ও প্রভাবশালী বিষয়গুলির আরও ভালো বোঝাপড়া অন্বেষণ করতে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের মোকাবেলায় আরও কার্যকর সমাধান খুঁজতে পরিচালিত করেছে। রাজনৈতিক অর্থনীতির দৃষ্টিকোণ থেকে এই জটিল বিষয়গুলি বিশ্লেষণ করা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবগুলির প্রতিক্রিয়ায় বিভিন্ন সংশ্লিষ্ট পক্ষের মধ্যে মিথস্ক্রিয়া ব্যাখ্যা করতে সাহায্য করে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের নীতিগুলির আরও ভাল বাস্তবায়ন অর্জনের সুযোগ দেয়।

ভূমিকা[সম্পাদনা]

পটভূমি[সম্পাদনা]

জলবায়ু পরিবর্তন সামাজিকভাবে অন্যতম জরুরী পরিবেশগত উদ্বেগ ও বিশ্বব্যাপী চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই বিষয়টি আন্তর্জাতিক কর্মসূচিতে গুরুত্ব বাড়ার সাথে সাথে, বিভিন্ন একাডেমিক ক্ষেত্রের গবেষকরা দীর্ঘদিন ধরে জলবায়ু পরিবর্তনের কার্যকর সমাধান অন্বেষণের জন্য ব্যাপক প্রচেষ্টা উৎসর্গ করে আসছেন। প্রযুক্তিবিদ ও পরিকল্পনাবিদরা জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমন ও অভিযোজনের পদ্ধতি তৈরি করেছেন; অর্থনীতিবিদরা জলবায়ু পরিবর্তনের ব্যয় এবং মোকাবেলার ব্যয় অনুমান করেছেন; উন্নয়ন বিশেষজ্ঞরা সামাজিক সেবা ও জনস্বার্থের ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব অন্বেষণ করছেন। তবে, ক্যামাক (২০০৭) উপরের বেশিরভাগ আলোচনাতে দুটি সমস্যা চিহ্নিত করেছেন: বিভিন্ন শাখা থেকে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রস্তাবিত সমাধানের মধ্যে সংযোগ বিচ্ছিন্নতা; এবং স্থানীয় পর্যায়ে জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টিকে রাজনীতি থেকে মুক্ত রাখা।

একইসাথে, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের অসম বণ্টন এবং এর ফলস্বরূপ সমস্যাটির প্রতি সবচেয়ে কম অবদান রাখা দরিদ্রদের ওপর নেমে আসা বৈষম্য ও অন্যায় এই সমস্যাটিকে উন্নয়ন গবেষণার সাথে যুক্ত করেছে। যদিও জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টি নিয়ে আন্তর্জাতিক আলোচনা-সমঝোতার জন্য অনেক প্রচেষ্টা করা হয়েছে, তবে যুক্তি দেওয়া হয় যে জলবায়ু পরিবর্তন ও উন্নয়নের যে মতবাদ, বিতর্ক, প্রমাণ সংগ্রহ এবং বাস্তবায়ন, তার বেশিরভাগই একটি ব্যাপকভাবে অরাজনৈতিক এবং রৈখিক নীতি প্রক্রিয়া ধরে নেয়। এই প্রেক্ষাপটে, ট্যানার এবং অ্যালোচ (২০১১) পরামর্শ দেন যে জলবায়ু পরিবর্তনের উদ্যোগগুলিকে অবশ্যই তাদের তথ্য, প্রক্রিয়া এবং ফলাফলের রাজনৈতিক অর্থনীতিকে স্পষ্টভাবে স্বীকৃতি দিতে হবে যাতে কার্যকারিতা, দক্ষতা এবং সাম্যের মধ্যে ভারসাম্য পাওয়া যায়।

সংজ্ঞা[সম্পাদনা]

প্রাথমিকভাবে, "রাজনৈতিক অর্থনীতি" শব্দটি মূলত অর্থনীতির প্রতিশব্দ হিসেবে ব্যবহৃত হত। এখন এটি বরং একটি কঠিন-সহজ শব্দ যা সাধারণত সামষ্টিক বা রাজনৈতিক প্রক্রিয়াগুলির অধ্যয়নের দিকে ইঙ্গিত করে যার মাধ্যমে সরকারি অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে, ট্যানার এবং অ্যালোচ (২০১১) রাজনৈতিক অর্থনীতিকে সংজ্ঞায়িত করেন "সেই প্রক্রিয়াগুলি যার মাধ্যমে বিভিন্ন সংস্থা বিভিন্ন মাত্রায় ধারণা, শক্তি এবং সম্পদকে ধারণাগতভাবে তৈরি করে, আলোচনা করে এবং বাস্তবায়ন করে"। যদিও পরিবেশ নীতির রাজনৈতিক অর্থনীতির ওপর যথেষ্ট সাহিত্য রয়েছে, যেটি পরিবেশ সংরক্ষণের জন্য কার্যকরভাবে ও দক্ষতার সাথে পরিবেশগত কর্মসূচির "রাজনৈতিক ব্যর্থতা" ব্যাখ্যা করে, তবে রাজনৈতিক অর্থনৈতিক কাঠামোর সাহায্যে বিশেষভাবে জলবায়ু পরিবর্তনের ওপর নিয়মানুগ বিশ্লেষণ তুলনামূলকভাবে সীমিত।

প্রাসঙ্গিকতা: জলবায়ু পরিবর্তনের রাজনৈতিক অর্থনীতির জরুরি প্রয়োজন

জলবায়ু পরিবর্তনের রাজনৈতিক অর্থনীতি বিবেচনা এবং বোঝার তাৎপর্য সমস্যাটির নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে।

প্রধান বিষয়গুলির মধ্যে রয়েছে:

  • জলবায়ু পরিবর্তনের আন্তঃক্ষেত্রীয় প্রকৃতি: জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টি সাধারণত বিভিন্ন খাতে আলোচিত হয়, যার অর্থ হল জলবায়ু পরিবর্তন নীতিগুলিকে অন্যান্য নীতিগত ক্ষেত্রের সাথে একীভূতকরণের জন্য ঘন ঘন আহ্বান জানানো হয়। এইভাবে সমস্যাটি জটিল হয়ে ওঠে কারণ এটি একাধিক স্তরে মোকাবেলা করতে হয়, বিভিন্ন অভিনেতারা জটিল পরিচালনা প্রক্রিয়ায় জড়িত থাকে। এই দিকগুলির মিথস্ক্রিয়া একাধিক এবং ওভারল্যাপিং ধারণা, আলোচনা এবং প্রশাসন সমস্যার সাথে রাজনৈতিক প্রক্রিয়াগুলির দিকে পরিচালিত করে, যার জন্য রাজনৈতিক অর্থনৈতিক প্রক্রিয়াগুলি বোঝা প্রয়োজন।
  • জলবায়ু পরিবর্তনের 'বিশ্বব্যাপী' সমস্যা হিসেবে ভুল ধারণা: জলবায়ু পরিবর্তনের উদ্যোগ এবং প্রশাসনের পদ্ধতিগুলি বিশ্বব্যাপী পরিসর থেকে পরিচালিত হতে থাকে। আন্তর্জাতিক চুক্তির উন্নয়ন যদিও বিশ্বব্যাপী রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের একটি প্রগতিশীল পদক্ষেপের সাক্ষ্য দেয়, তবে জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টির বিশ্বব্যাপীভাবে নেতৃত্বাধীন প্রশাসনটি নির্দিষ্ট জাতীয় বা উপ-জাতীয় অবস্থার জন্য পর্যাপ্ত নমনীয়তা প্রদান করতে অক্ষম হতে পারে। তাছাড়া, উন্নয়নের দৃষ্টিকোণ থেকে, ন্যায়বিচার এবং বৈশ্বিক পরিবেশ বিচারের বিষয়টিতে একটি ন্যায্য আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা প্রয়োজন হবে যার মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তন এবং দারিদ্র্যের প্রভাব একযোগে প্রতিরোধ করা যেতে পারে। এই প্রসঙ্গে, জলবায়ু পরিবর্তন শুধুমাত্র একটি বিশ্বব্যাপী সংকট নয় যার জন্য আন্তর্জাতিক রাজনীতির উপস্থিতি প্রয়োজন, বরং জাতীয় বা উপ-জাতীয় সরকারগুলির জন্যও একটি চ্যালেঞ্জ। জলবায়ু পরিবর্তনের রাজনৈতিক অর্থনীতি বিষয়টি বোঝা আন্তর্জাতিক উদ্যোগগুলিকে নির্দিষ্ট জাতীয় এবং উপ-জাতীয় নীতির প্রেক্ষাপটে গঠন এবং অনুবাদ করাকে ব্যাখ্যা করতে পারে, যা জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা এবং পরিবেশগত ন্যায়বিচার অর্জনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি প্রদান করে।
  • জলবায়ু পরিবর্তন অর্থায়নের প্রবৃদ্ধি:সাম্প্রতিক বছরগুলিতে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে আর্থিক প্রবাহের সংখ্যা এবং অর্থায়ন ব্যবস্থার উন্নয়ন বৃদ্ধি পেয়েছে। মেক্সিকোর কানকুনে ২০১০ সালের জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলনে উন্নত দেশগুলি অভিযোজন ও প্রশমন প্রযুক্তি বিকাশে সহায়তার জন্য উন্নয়নশীল দেশগুলিকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সংক্ষেপে, দ্রুত সূচনা তহবিল দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক সরকারি উন্নয়ন সহায়তা, গ্লোবাল এনভায়রনমেন্ট ফ্যাসিলিটি এবং UNFCCC সহ বিভিন্ন চ্যানেলের মাধ্যমে স্থানান্তরিত হবে। এছাড়াও, ক্রমবর্ধমান সংখ্যক সরকারি তহবিল উন্নয়নশীল দেশগুলিতে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় বৃহত্তর উৎসাহ প্রদান করেছে। উদাহরণস্বরূপ, পাইলট প্রোগ্রাম ফর ক্লাইমেট রেসিলিয়েন্সের লক্ষ্য হল কিছু নিম্ন-আয়ের দেশে জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজনের একটি সমন্বিত ও স্কেল-আপ পদ্ধতি তৈরি করা এবং ভবিষ্যতের অর্থ প্রবাহের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া। উপরন্তু, উন্নয়নশীল দেশগুলিতে জলবায়ু পরিবর্তনের অর্থায়ন উন্নয়নশীল ও উন্নত দেশগুলির 'সাধারণ কিন্তু পার্থক্যযুক্ত দায়িত্বের' ভিন্ন ভিন্ন ব্যাখ্যার মাধ্যমে ঐতিহ্যগত সাহায্য প্রক্রিয়াগুলিকে সম্ভাব্যভাবে পরিবর্তন করতে পারে। ফলস্বরূপ, উন্নয়নশীল দেশগুলির জন্য ঐতিহ্যবাহী দাতা-প্রাপক সম্পর্ক ভাঙার জন্য প্রশাসনিক কাঠামো পরিবর্তন অনিবার্য। এই প্রেক্ষাপটে, জলবায়ু পরিবর্তনের অঙ্গনে আর্থিক প্রবাহের রাজনৈতিক অর্থনৈতিক প্রক্রিয়াগুলি বোঝা কার্যকরভাবে সম্পদ স্থানান্তর পরিচালনা এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় গুরুত্বপূর্ণ হবে।
  • জলবায়ু পরিবর্তনে সাড়া দেওয়ার বিভিন্ন মতাদর্শিক বিশ্বদর্শন:আজকাল, বিজ্ঞানকে একটি প্রভাবশালী নীতি চালিকা হিসেবে উপলব্ধির কারণে, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে নীতিগত নির্দেশনা ও পদক্ষেপগুলির বেশিরভাগই মানসম্পন্ন প্রশাসন ও পরিকল্পনা ব্যবস্থা, রৈখিক নীতি প্রক্রিয়া, সহজে স্থানান্তরযোগ্য প্রযুক্তি, অর্থনৈতিক যৌক্তিকতা এবং সম্পদ ফাঁক কাটিয়ে ওঠার জন্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষমতার অনুমানের উপর কেন্দ্রীভূত হয়েছে। ফলস্বরূপ, জলবায়ু পরিবর্তনকে অরাজনৈতিক শর্তে মোকাবেলা করার জন্য প্রযুক্তি-নেতৃত্বাধীন এবং পরিচালনামূলক পদ্ধতির দিকে একটি পক্ষপাত থাকে। এছাড়াও, বিভিন্ন ধরণের মতাদর্শিক বিশ্বদর্শনের একটি বিস্তৃত পরিসর জলবায়ু পরিবর্তন সমাধানের উপলব্ধির একটি উচ্চ বিচ্যুতি ঘটাতে পারে, যা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রতিক্রিয়ায় নেওয়া সিদ্ধান্তগুলিকেও ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করে। রাজনৈতিক অর্থনীতির দৃষ্টিকোণ থেকে এই বিষয়গুলি অন্বেষণ করা জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় রাজনীতি এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ার জটিলতা', সম্পদের উপর প্রতিদ্বন্দ্বিতা দাবির মধ্যস্থতা করার ক্ষমতা সম্পর্ক এবং প্রযুক্তি গ্রহণের জন্য অনুকূল পরিস্থিতি বোঝার জন্য একটি সুযোগ প্রদান করে।
  • পরিবেশগত-অর্থনৈতিক ভারসাম্যহীনতার প্রতি লক্ষ্য না রাখা অভিযোজন নীতির অনাকাঙ্ক্ষিত নেতিবাচক পরিণতি:জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে সফল অভিযোজনের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং রাজনৈতিক স্বার্থের ভারসাম্য প্রয়োজন। এই ধরনের ভারসাম্যের অভাবে, ক্ষতিকারক অনিচ্ছাকৃত পরিণতি অভিযোজন উদ্যোগের সুবিধাগুলি বাতিল করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, তানজানিয়ায় প্রবাল প্রাচীর রক্ষার প্রচেষ্টা স্থানীয় গ্রামবাসীদের ঐতিহ্যবাহী মাছ ধরার কার্যক্রম থেকে কৃষিতে স্থানান্তরিত করতে বাধ্য করেছিল যা উচ্চতর গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন করেছিল।

সামাজিক-রাজনৈতিক প্রতিবন্ধকতা[সম্পাদনা]

জলবায়ু পরিবর্তন বোঝা এবং মোকাবেলায় রাজনৈতিক অর্থনীতির ভূমিকাকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। এটি নিম্নোক্ত গুরুত্বপূর্ণ দেশীয় সামাজিক-রাজনৈতিক প্রতিবন্ধকতাগুলির সাথে সম্পর্কিত:

  • ভঙ্গুর রাষ্ট্রের সমস্যা: ভঙ্গুর রাষ্ট্রগুলোকে সাধারণত দুর্বল পারফরম্যান্স, সংঘাতময়, বা সংঘাত-পরবর্তী রাষ্ট্র হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়। এইসব রাষ্ট্র জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য প্রাপ্ত আর্থিক সহায়তা কার্যকরভাবে ব্যবহার করতে প্রায়ই অক্ষম হয়ে পড়ে। ক্ষমতা এবং সামাজিক সমতার বিষয়গুলো জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবকে আরও বাড়িয়ে তোলে, সেইসাথে এই ভঙ্গুর রাষ্ট্রগুলোর অভ্যন্তরীণ সমস্যাগুলোর দিকে পর্যাপ্ত মনোযোগ দেওয়া হয় না। ভঙ্গুর রাষ্ট্রগুলির সমস্যাগুলো বিবেচনা করে, রাজনৈতিক অর্থনীতি-ভিত্তিক পদ্ধতি ক্ষমতা ও স্থিতিস্থাপকতার দীর্ঘস্থায়ী সীমাবদ্ধতার ধারণাকে উন্নত করতে পারে। এর মাধ্যমে দুর্বল ক্ষমতা, রাষ্ট্র-গঠন এবং সংঘাতের সাথে সম্পর্কিত সমস্যাগুলি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে আরও ভালভাবে মোকাবেলা করা যেতে পারে।
  • অনানুষ্ঠানিক প্রশাসন: অনেক দুর্বল পারফরম্যান্সকারী রাষ্ট্রে, রাষ্ট্রীয় সম্পদের বণ্টন এবং ব্যবহারের সিদ্ধান্তগুলো আনুষ্ঠানিক রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের পরিবর্তে অনানুষ্ঠানিক সম্পর্ক এবং ব্যক্তিগত স্বার্থ দ্বারা চালিত হয়ে থাকে। এই অনানুষ্ঠানিক প্রশাসনের প্রকৃতি, যা দেশীয় সামাজিক কাঠামোর অন্তর্নিহিত, তা রাজনৈতিক ব্যবস্থা এবং কাঠামোকে যুক্তিশীলভাবে কাজ করতে বাধা দেয় এবং এইভাবে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রতি কার্যকর প্রতিক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হয়। অতএব, দেশীয় প্রতিষ্ঠান এবং উদ্দীপনা সংস্কার গ্রহণের জন্য সমালোচনামূলক গুরুত্ব বহন করে।
  • সামাজিক পরিবর্তনের প্রতিবন্ধকতা: অনুন্নত দেশগুলিতে উন্নয়নমূলক পরিবর্তন হতাশাজনকভাবে ধীর। এর পেছনে সামাজিক মঙ্গল উন্নয়নের জন্য যৌথভাবে কাজ করার অক্ষমতা, প্রযুক্তিগত ও সামাজিক উদ্ভাবনের অভাব, এবং পরিবর্তনের প্রতি প্রতিরোধ ও অনীহা-সহ অনেকগুলো দীর্ঘমেয়াদী সম্মিলিত সমস্যা রয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে, এই সমস্যাগুলি জলবায়ু পরিবর্তন এজেন্ডা বাস্তবায়নে উল্লেখযোগ্যভাবে বাধা দেয়। অনুন্নত দেশগুলিতে একটি রাজনৈতিক অর্থনীতি দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ রূপান্তর এবং উন্নয়নকে উৎসাহিত করতে এবং এর জন্য প্রয়োজনীয় উদ্দীপনা তৈরী করতে কাজ করতে পারে। এভাবে জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজনের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য ভিত্তি স্থাপিত হয়।

গবেষণার কেন্দ্রবিন্দু এবং পদ্ধতি[সম্পাদনা]

Brandt and Svendsen (2003) একটি রাজনৈতিক অর্থনীতি ভিত্তিক কাঠামোর সূচনা করেন যেটি একটি রাজনৈতিক সমর্থন ফাংশন মডেলের উপর ভিত্তি করে তৈরি। ১৯৮২ সালে হিলম্যান এই মডেল তৈরি করেন। লেখকগণ, ইউরোপীয় ইউনিয়নের কিয়োটো প্রোটোকল লক্ষ্য পূরণের জন্য নীতি বাস্তবায়নে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ন্ত্রণের বিভিন্ন কৌশলের পছন্দের বিশ্লেষণ করতে সমর্থ হয়েছেন। এই রাজনৈতিক অর্থনীতির কাঠামোর মধ্যে, জলবায়ু পরিবর্তন নীতি বিভিন্ন স্টেকহোল্ডার গ্রুপের আপেক্ষিক শক্তি দ্বারা নির্ধারিত হয়। বিভিন্ন গ্রুপের উদ্দেশ্যগুলি ( শিল্প গোষ্ঠী, ভোক্তা দল এবং পরিবেশবাদী গোষ্ঠী) পরীক্ষা করে লেখকরা জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নীতি নির্বাচনে জটিল মিথস্ক্রিয়া ব্যাখ্যা করতে সমর্থ হন, বিশেষ করে সবুজ কর থেকে ভাতাভুক্তি প্রদান ব্যবস্থায় পরিবর্তন।

ইউরোপীয় ব্যাঙ্ক ফর রিকনস্ট্রাকশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট - EBRD (2011) একটি রাজনৈতিক অর্থনীতি বিষয়ক পদ্ধতি গ্রহণ করে ব্যাখ্যা করতে যে কেন কিছু দেশ জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য নীতি গ্রহণ করে অন্যদিকে কিছু দেশ করে না, বিশেষভাবে ট্রানজিশন অঞ্চলের দেশগুলির মধ্যে। রাজনৈতিক অর্থনীতির বিভিন্ন দিক বিশ্লেষণ এই গবেষণাটির লক্ষ্য, যাতে ট্রানজিশনের পথে থাকা দেশগুলিতে জলবায়ু পরিবর্তন মিটিগেশনের সম্ভাব্য কারণগুলি বোঝা যায়। প্রধান সিদ্ধান্তগুলি নীচে বর্ণনা করা হল:

প্রধান সিদ্ধান্ত

  • গণতন্ত্রের স্তর কোন দেশের জলবায়ু পরিবর্তন নীতি গ্রহনের প্রধান চালক নয়। এর অর্থ হলো বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন মিটিগেশনে ভূমিকা রাখার প্রত্যাশাগুলি অগত্যা কোনও নির্দিষ্ট দেশের রাজনৈতিক ব্যবস্থা দ্বারা সীমাবদ্ধ নয়।
  • জনসাধারণের সচেতনতা একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। একটি নির্দিষ্ট দেশে জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকি, জাতীয় পর্যায়ের শিক্ষা এবং মুক্ত গণমাধ্যমের অস্তিত্ব দ্বারা জনসচেতনতা রূপ নিতে পারে। যে দেশের জনগণ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণগুলি সম্পর্কে অধিক সচেতন তারা অনেক বেশি মাত্রায় জলবায়ু পরিবর্তনের নীতি গ্রহণ করতে পারে। তাই, জলবায়ু পরিবর্তনের জরুরি হুমকি সম্পর্কে জনসচেতনতা প্রচারে ফোকাস দেয়া উচিত এবং অনেক ট্রানজিশন অবস্থায় থাকা দেশে তথ্যের অসামঞ্জস্য রোধ করতে কাজ করা প্রয়োজন।
  • কার্বন-নিবিড় শিল্পের আপেক্ষিক শক্তি জলবায়ু পরিবর্তন নীতি গ্রহণে একটি বড় বাধা, কারণ এটি আংশিকভাবে তথ্যের অসামঞ্জস্যের জন্য দায়ী। কার্বন-নিবিড় শিল্পগুলি প্রায়শই সরকারের জলবায়ু পরিবর্তন নীতি তৈরীর সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করে, এজন্য এই শিল্পগুলির অনুপ্রেরণার পরিবর্তন এবং নিম্ন-কার্বন উৎপাদন প্যাটার্নে পরিবর্তনের প্রয়োজন এখানে নিহিত। শক্তির দাম সংস্কার এবং আন্তর্জাতিক কার্বন ট্রেডিং পদ্ধতির প্রবর্তন এর কার্যকরী মাধ্যম হতে পারে।
  • ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক চাপের মুখে যেখানে কার্বন নিঃসরণ কমানো জরুরি সেখানে, ট্রানজিশন অবস্থায় থাকা কোন দেশের নিজস্ব জাতীয় অর্থনীতিতে যদি প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা লাভ করা যায়, তবে সে দেশের রাজনৈতিক পদ্ধতির আভ্যন্তরীণ বৈধতা আরো বৃদ্ধি পায়। এটি অর্থনৈতিক দুর্বলতাগুলি মোকাবেলায় সহায়তা করতে পারে যা বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকট এবং অর্থনৈতিক বৈচিত্র্যের অভাবের অন্তর্নিহিত কারণ।

Tanner এবং Allouche (2011) তাদের সাম্প্রতিক গবেষণাপত্রে জলবায়ু পরিবর্তনের রাজনৈতিক অর্থনীতি বিশ্লেষণের জন্য একটি নতুন ধারণাগত ও পদ্ধতিগত কাঠামোর প্রস্তাব করেন। এই কাঠামোতে ধারণা, ক্ষমতা এবং সম্পদের দৃষ্টিকোণ থেকে জলবায়ু পরিবর্তন নীতি প্রক্রিয়া ও ফলাফলগুলিকে বিবেচনা করা হয়। লেখকরা একটি নতুন রাজনৈতিক অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি নির্ধারণ করেছেন যা আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থাগুলির প্রচলিত রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক বিশ্লেষণ পদ্ধতির সীমাবদ্ধতাকে তুলে ধরে। এই প্রচলিত পদ্ধতিগুলি প্রায়শই ধারণা এবং মতাদর্শ যেভাবে নীতিগত ফলাফলগুলিকে প্রভাবিত করে (টেবিল দেখুন) সেই দিকটি উপেক্ষা করে থাকে। লেখকদের মতে ধারণা, ক্ষমতা এবং সম্পদ - এই তিনটি দৃষ্টিকোণের মধ্যে একটি জলবায়ু পরিবর্তনের রাজনৈতিক অর্থনীতির নীতি প্রক্রিয়ার একটি নির্দিষ্ট পর্যায়ে প্রভাবশালী ভূমিকা পালন করে। 'ধারণা এবং মতাদর্শ ধারণাগত পর্যায়ে, ক্ষমতা আলোচনার পর্যায়ে এবং সম্পদ, প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা এবং শাসন বাস্তবায়ন পর্যায়ে' গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে বলে ধরে নেওয়া হয়। এই উপাদানগুলি আন্তর্জাতিক জলবায়ু পরিবর্তন উদ্যোগের গঠনে এবং সেগুলিকে জাতীয় ও আঞ্চলিক নীতির প্রেক্ষাপটে রূপান্তরিত করার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে লেখকরা যুক্তি দেন।

জলবায়ু পরিবর্তন উদ্যোগের নতুন এবং ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক অর্থনৈতিক বিশ্লেষণের তুলনা

বিষয় প্রভাবশালী পদ্ধতি নতুন রাজনৈতিক অর্থনীতি
নীতি প্রক্রিয়া রৈখিক, প্রমাণ দ্বারা অবহিত জটিল, আদর্শ, অভিনেতা এবং ক্ষমতার সম্পর্ক দ্বারা অবহিত
প্রভাবশালী স্কেল বৈশ্বিক এবং আন্তঃ-রাষ্ট্র আন্তর্জাতিক থেকে জাতীয় এবং সাব-জাতীয় স্তরে অনুবাদ
জলবায়ু পরিবর্তন বিজ্ঞান এবং গবেষণা নীতি নির্ধারণে অবহিত করার ক্ষেত্রে উদ্দেশ্যমূলক বিজ্ঞানের ভূমিকা বিজ্ঞানের সামাজিক নির্মাণ এবং আখ্যান চালানো
দারিদ্র্য এবং দারিদ্র্য বিতরণগত ফলাফল রাজনৈতিক প্রক্রিয়া প্রতিযোগিতামূলক সম্পদের দাবি মধ্যস্থতা
সিদ্ধান্ত গ্রহণ সম্মিলিত পদক্ষেপ, যুক্তিসঙ্গত পছন্দ এবং ভাড়া-খোঁজ আদর্শগত চালক এবং প্রণোদনা, ক্ষমতার সম্পর্ক

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Dessler 2020, Chpt. 2, p.35
  2. Dessler 2020, Chpt. 2, p.35
  3. Figueres 2020, Chpt 6, p73.74
  4. Dessler 2020, Chpt. 1, 4,5
  5. "António Guterres on the climate crisis: 'We are coming to a point of no return'"The Guardian। ১১ জুন ২০২১। 
  6. "DELIVERING ON THE $100 BILLIONCLIMATE FINANCE COMMITMENTAND TRANSFORMING CLIMATE FINANCE" (পিডিএফ)www.UN.org (ইংরেজি ভাষায়)। ডিসেম্বর ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জুন ২০২১ 
  7. Dessler 2020, Chpt. 1, 4,5
  8. "Why tackling global warming is a challenge without precedent"The Economist। এপ্রিল ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ৫ এপ্রিল ২০২১ 
  9. Dessler 2020, Chpt. 1, 4,5
  10. Elaine Kamarck (সেপ্টেম্বর ২০১৯)। "The challenging politics of climate change"Brookings Institution। সংগ্রহের তারিখ ৭ এপ্রিল ২০২১ 
  11. "Schwarzenegger: climate activists should focus on pollution"The Independent (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২১-০৭-০১। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৫-০৪ 
  12. Dessler 2020, Chpt. 1, 4,5
  13. Dessler 2020, Chp1, Chpt4, section 4.2.5
  14. Mann 2021, Chpt 5, p111
  15. Dessler 2020, Chpt4, p141
  16. Dessler 2020, Chpt4, p148-149
  17. "COP26: Article 6 rulebook updated, but remains work in progress"IHS Markit। ২০২১-১১-১৫। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০১-১৯ 
  18. Dessler 2020, Chpt. 1, 4,5
  19. Roberts, Gareth। "ULEZ expansion and higher charges considered to cut congestion"www.fleetnews.co.uk 
  20. Dessler 2020, Chpt. 1, 4,5
  21. Coren, Michael J. (৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯)। "Oil companies and utilities are buying up all the electric car charging startups"Quartz (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৪ নভেম্বর ২০১৯ 
  22. "Enron Sought Global Warming Regulation, Not Free Markets"। Competitive Enterprise Institute। ২১ সেপ্টেম্বর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ ডিসেম্বর ২০১২ 
  23. David Michaels (2008) Doubt is Their Product: How Industry's Assault on Science Threatens Your Health.
  24. Hoggan, James; Littlemore, Richard (২০০৯)। Climate Cover-Up: The Crusade to Deny Global Warming। Vancouver: Greystone Books। আইএসবিএন 978-1-55365-485-8। সংগ্রহের তারিখ ১৯ মার্চ ২০১০  See, e.g., p31 ff, describing industry-based advocacy strategies in the context of climate change denial, and p73 ff, describing involvement of free-market think tanks in climate-change denial.
  25. "How Climate Change in Iowa is Changing U.S. Politics"Time। সংগ্রহের তারিখ ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ 
  26. "Political will is the most important driver of climate-neutral agriculture"D+C (ইংরেজি ভাষায়)। ৮ নভেম্বর ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ 
  27. "The CAP and climate change"European Commission - European Commission (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ 
  28. "Banking on carbon trading: Can banks stop climate change?"। CNN। ২০ জুলাই ২০০৮। সংগ্রহের তারিখ ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ 
  29. "The climate lobby from soup to nuts"। Center for Public Integrity। ২৭ ডিসেম্বর ২০০৯। সংগ্রহের তারিখ ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ 
  30. "Under Obama, Spain's Solar, Wind Energy Companies Invest Big In US"। Huffington Post। ১৮ জানুয়ারি ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ 
  31. "The inclusive route to low-carbon electricity: Energy & Environment - World Nuclear News"www.world-nuclear-news.org। সংগ্রহের তারিখ ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ 
  32. Nhede, Nicholas (১০ এপ্রিল ২০১৯)। "DSOs as key actors in e-mobility"Smart Energy International (ইংরেজি ভাষায়)। ৬ আগস্ট ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ নভেম্বর ২০১৯ 
  33. "25 Big Companies That Are Going Green"। Business Pundit। ২৯ জুলাই ২০০৮। সংগ্রহের তারিখ ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ 
  34. Shindell D, Faluvegi G, Seltzer K, Shindell C (২০১৮)। "Quantified, Localized Health Benefits of Accelerated Carbon Dioxide Emissions Reductions."Nat Clim Change8 (4): 291–295। ডিওআই:10.1038/s41558-018-0108-yপিএমআইডি 29623109পিএমসি 5880221অবাধে প্রবেশযোগ্যবিবকোড:2018NatCC...8..291S 
  35. "How ICTs can tackle the climate crisis"www.telecomreview.com। ১২ মার্চ ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ 
  36. "Climate change lobbying dominated by 10 firms"। Politico। ২০ মে ২০০৯। সংগ্রহের তারিখ ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ 
  37. "Greenpeace informal alliance with Wind and Solar"। ৩ জানুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ 
  38. "Divestment Commitments"Gofossilfree.org। সংগ্রহের তারিখ ১১ এপ্রিল ২০২০ 
  39. Gibson, Dylan; Duram, Leslie (২০২০)। "Shifting Discourse on Climate and Sustainability: Key Characteristics of the Higher Education Fossil Fuel Divestment Movement"। Sustainability12 (23): 10069। ডিওআই:10.3390/su122310069অবাধে প্রবেশযোগ্য 
  40. "Divestment from Fossil Fuels"Unity College (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১২-২৯ 
  41. "The database of fossil fuel divestment commitments made by institutions worldwide"Global Fossil Fuel Divestment Database managed by Stand.earth (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৩-০৭-২৬। 
  42. Crouch, David (১ সেপ্টেম্বর ২০১৮)। "The Swedish 15-year-old who's cutting class to fight the climate crisis"The Guardian। London, United Kingdom। ২০১৯-০১-০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ সেপ্টেম্বর ২০১৮ 
  43. Weyler, Rex (৪ জানুয়ারি ২০১৯)। "The youth have seen enough"Greenpeace International। ২০২০-০১-২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ জানুয়ারি ২০১৯ 
  44. Carrington, Damian (১৯ মার্চ ২০১৯)। "School climate strikes: 1.4 million people took part, say campaigners"। ২০২০-০৩-০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ মার্চ ২০১৯ 
  45. Glenza, Jessica; Evans, Alan; Ellis-Petersen, Hannah; Zhou, Naaman (১৫ মার্চ ২০১৯)। "Climate strikes held around the world – as it happened"The Guardianআইএসএসএন 0261-3077। ১৬ মার্চ ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ মার্চ ২০১৯ 
  46. "Students walk out in global climate strike"BBC। ২৪ মে ২০১৯। ২৪ মে ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ মে ২০১৯ 
  47. Barclay, Eliza (১৫ মার্চ ২০১৯)। "Photos: kids in 123 countries went on strike to protect the climate"। ২০২০-০৩-২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ মার্চ ২০১৯ 
  48. "Students walk out in global climate strike"BBC। ২৪ মে ২০১৯। ২৪ মে ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ মে ২০১৯ 
  49. "'We're one, we're back': Pupils renew world climate action strike"Al Jazeera। ২৪ মে ২০১৯। ২৪ মে ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ মে ২০১৯ 
  50. Gerretsen, Isabelle (২৪ মে ২০১৯)। "Global Climate Strike: Record number of students walk out"CNN। ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ 
  51. Haynes, Suyin (২৪ মে ২০১৯)। "Students From 1,600 Cities Just Walked Out of School to Protest Climate Change. It Could Be Greta Thunberg's Biggest Strike Yet"Time। ২৬ মে ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ মে ২০১৯ 
  52. Largest climate strike:
    • Laville, Sandra; Watts, Jonathan (২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯)। "Across the globe, millions join biggest climate protest ever"The Guardian। ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ 4 million protesters overall:
    • Barclay, Eliza; Resnick, Brian (২০ সেপ্টেম্বর ২০১৯)। "How big was the global climate strike? 4 million people, activists estimate."Vox। ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ 1.4 million protesters in Germany:
  53. Taylor, Matthew; Watts, Jonathan; Bartlett, John (২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯)। "Climate crisis: 6 million people join latest wave of global protests"The Guardian। ২০১৯-১২-০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ 
  54. "Fridays for future, al via i cortei in 180 città italiane: 'Siamo più di un milione'" [Fridays for future, kids in the streets in 180 Italian cities: 'We're more than a million']। la Repubblica। ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯। ২০২০-০২-২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯ 
  55. Murphy, Jessica (২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯)। "Hundreds of thousands join Canada climate strikes"BBC। ২০১৯-১০-১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ 
  56. "Failures of Kyoto will Repeat with the Paris Climate Agreement"U.S. Senate Committee on Environment and Public Works (ইংরেজি ভাষায়)। এপ্রিল ২১, ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০১-০৮ 
  57. Pierre, Jeffrey; Neuman, Scott (অক্টোবর ২৭, ২০২১)। "How decades of disinformation about fossil fuels halted U.S. climate policy"NPR। সংগ্রহের তারিখ জানুয়ারি ৮, ২০২৪ 
  58. Dessler 2020, Chpt. 1, 4,5
  59. Mann 2021, Chpt 9.
  60. Figueres 2020, Chpt 1, Chpt 5
  61. Simon Lewis (৩ মার্চ ২০২১)। "The climate crisis can't be solved by carbon accounting tricks"The Guardian। সংগ্রহের তারিখ ৬ এপ্রিল ২০২১ 
  62. Dessler 2020, Chpt. 1, 4,5
  63. Mann 2021, Chpt 9.
  64. Figueres 2020, Chpt 1, Chpt 5
  65. Poushter, Jacob; Fagan, Moira; Gubbala, Sneha (৩১ আগস্ট ২০২২)। "Climate Change Remains Top Global Threat Across 19-Country Survey"pewresearch.org। Pew Research Center। ৩১ আগস্ট ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।  — Other threats in the survey were: spread of false information online, cyberattacks from other countries, condition of the global economy, and spread of infectious diseases.
  66. Vaughan, Adam (১৮ ডিসেম্বর ২০১৯)। "The Year the World Woke up to Climate Change"New Scientist244 (3261/62)। পৃষ্ঠা 20–21। ২২ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ জানুয়ারি ২০২০ 
  67. Mann 2021, Chpt 9, p230-238
  68. McGinn, Miyo (২০১৯-০৭-০৫)। "OPEC head: Climate activists are the 'greatest threat' to oil industry"Grist (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০১-০৮ 
  69. Figueres 2020, Chpt 8, p158, p253
  70. van Valkengoed, Anne M.; Steg, Linda; Perlaviciute, Goda (২১ এপ্রিল ২০২৩)। "The psychological distance of climate change is overestimated"One Earth6 (4): 362–391। এসটুসিআইডি 258281951 Check |s2cid= value (সাহায্য)ডিওআই:10.1016/j.oneear.2023.03.006বিবকোড:2023OEart...6..362V 
  71. van Valkengoed, Anne M.; Steg, Linda; Perlaviciute, Goda (২১ এপ্রিল ২০২৩)। "The psychological distance of climate change is overestimated"One Earth6 (4): 362–391। এসটুসিআইডি 258281951 Check |s2cid= value (সাহায্য)ডিওআই:10.1016/j.oneear.2023.03.006বিবকোড:2023OEart...6..362V 
  72. Mann 2021, Chpt 9, p226-230
  73. Waldman, Scott (২৯ মে ২০২০)। "Cato closes its climate shop; Pat Michaels is out"E&E News (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জুলাই ২০২০ 
  74. Pilta Clark (২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১)। "The new politics of climate change"Financial Times। Archived from the original on ২৩ এপ্রিল ২০২১। সংগ্রহের তারিখ ৬ এপ্রিল ২০২১ 
  75. Peter Franklin (ফেব্রুয়ারি ২০২০)। "Bigger than Brexit: the new politics of climate change"unHerd। সংগ্রহের তারিখ ১০ এপ্রিল ২০২১ 
  76. Michael J. I. Brown (জুন ২০১৯)। "Why old-school climate denial has had its day"The Conversation। সংগ্রহের তারিখ ১০ এপ্রিল ২০২১ 
  77. "Renewables – Global Energy Review 2021 – Analysis"IEA (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১২-১৭ 
  78. "NDCs and Renewable Energy Targets in 2021"www.irena.org (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২২-০১-১১। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০১-০৮ 
  79. "The Paris Agreement"unfccc.int। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০১-০৮ 
  80. Lewis, Joanna I. (নভেম্বর ২০২১)। "Green Industrial Policy After Paris: Renewable Energy Policy Measures and Climate Goals"। Global Environmental Politics21 (4): 42–63। আইএসএসএন 1526-3800এসটুসিআইডি 240142129 Check |s2cid= value (সাহায্য)ডিওআই:10.1162/glep_a_00636 
  81. Newburger, Emma (২০২১-১১-১৬)। "What the COP26 climate conference really accomplished"CNBC (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১২-১৭ 
  82. "What Just Happened in Glasgow at the U.N. Climate Summit?"Audubon (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২১-১১-১৯। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১২-১৭ 
  83. Mann 2021, Chpt. 9. p238
  84. Dessler 2020, Chpt. 4, p131
  85. O'Callaghan, Brian; Murdock, Em (১০ মার্চ ২০২০)। "Are We Building Back Better? Evidence from 2020 and pathways to green inclusive spending" (পিডিএফ)United Nations Environment Programme 
  86. Hepburn, Cameron; O'Callaghan, Brian; Stern, Nicholas; Stiglitz, Joseph; Zenghelis, Dimitri (২০২০)। "Will COVID-19 fiscal recovery packages accelerate or retard progress on climate change?"। Oxford Review of Economic Policy36 (Supplement_1): S359–S381। ডিওআই:10.1093/oxrep/graa015অবাধে প্রবেশযোগ্য 
  87. O'Callaghan, Brian; Yau, Nigel; Hepburn, Cameron (২০২২)। "How Stimulating Is a Green Stimulus? The Economic Attributes of Green Fiscal Spending"Annual Review of Environment and Resources47: 697–723। এসটুসিআইডি 249833907 Check |s2cid= value (সাহায্য)ডিওআই:10.1146/annurev-environ-112420-020640 
  88. Mutikani, Lucia (২৯ জুলাই ২০২১)। "U.S. economy contracted 19.2% during COVID-19 pandemic recession"Reuters (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৮ নভেম্বর ২০২১ 
  89. "Boosting the EU's green recovery: Commission invests €1 billion in innovative clean technology projects"European Commission - European Commission (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-১০-৩০ 
  90. e.g. Tom Steyer, 'A fair, green recovery for all Californians ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৯ অক্টোবর ২০২১ তারিখে'; New York City, COVID-19 Green Recovery.
  91. Barbier, Ed (২০১০)। "Green Stimulus, Green Recovery and Global Imbalances"World Economics11 (2): 149–177। 
  92. Holder, Michael (২০২০-০৬-০৫)। "OECD and UN institutions demand green economic recovery from Covid-19"Business Green (ইংরেজি ভাষায়)। ১৯ জুন ২০২০ তারিখে মূলঅর্থের বিনিময়ে সদস্যতা প্রয়োজন থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৭-১৯ 
  93. "Global Recovery Observatory"Oxford University Economic Recovery Project। University of Oxford, UNEP, and UNDP। 
  94. "Track public money for energy in recovery packages"Energy Policy Tracker 
  95. "Focus on green recovery"Organisation for Economic Co-operation and Development। ২২ ডিসেম্বর ২০২০। 
  96. O'Callaghan, Brian; Murdock, Em (১০ মার্চ ২০২০)। "Are We Building Back Better? Evidence from 2020 and pathways to green inclusive spending" (পিডিএফ)United Nations Environment Programme 
  97. "Key findings – Sustainable Recovery Tracker – Analysis"IEA। জুলাই ২০২১। ২৪ জুলাই ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জুলাই ২০২১ 
  98. Nahm, Jonas M.; Miller, Scot M.; Urpelainen, Johannes (২ মার্চ ২০২২)। "G20's US$14-trillion economic stimulus reneges on emissions pledges"। Nature (ইংরেজি ভাষায়)। 603 (7899): 28–31। এসটুসিআইডি 247221463 Check |s2cid= value (সাহায্য)ডিওআই:10.1038/d41586-022-00540-6অবাধে প্রবেশযোগ্যপিএমআইডি 35236968 |pmid= এর মান পরীক্ষা করুন (সাহায্য)বিবকোড:2022Natur.603...28N 
  99. Dessler 2020, Chpt. 1, 4,5
  100. Mann 2021, Chpt 9.
  101. Figueres 2020, Chpt 1, Chpt 5
  102. "England must reduce meat intake to avoid climate breakdown, says food tsar"The Guardian (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২২-০৮-১৬। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৮-১৬ 
  103. Dessler 2020, Chpt. 1, 4,5
  104. Mann 2021, Chpt 9.
  105. Figueres 2020, Chpt 1, Chpt 5
  106. "How Reforming Fossil Fuel Subsidies Can Go Wrong: A lesson from Ecuador"International Institute for Sustainable Development (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০১-১৯ 
  107. "China 'can save $1.6 trillion by scrapping coal', report says"BBC News (ইংরেজি ভাষায়)। ১৫ এপ্রিল ২০২১। সংগ্রহের তারিখ ১৫ এপ্রিল ২০২১ 
  108. Dessler 2020, Chpt. 1, 4,5
  109. "Why tackling global warming is a challenge without precedent"The Economist। এপ্রিল ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ৫ এপ্রিল ২০২১ 
  110. Elaine Kamarck (সেপ্টেম্বর ২০১৯)। "The challenging politics of climate change"Brookings Institution। সংগ্রহের তারিখ ৭ এপ্রিল ২০২১ 
  111. IEA (2023), CO2 Emissions in 2022, IEA, Paris https://www.iea.org/reports/co2-emissions-in-2022 , License: CC BY 4.0
  112. Schnabel, Isabel (২০২২-০১-০৮)। "Looking through higher energy prices? Monetary policy and the green transition"European Central Bank (ইংরেজি ভাষায়)। 
  113. Mann 2021, Chpt 1-4
  114. Dessler 2020, Chpt 5, Section 5.2.2, p196-198
  115. The Guardian, 19 July 2021 "How a Powerful U.S. Lobby Group Helps Big Oil to Block Climate Action"
  116. Financial Times, 2 August 2021 "Fossil Fuel Groups Step Up Lobbying of SEC to Dilute Climate Reporting Rules--Oil And Gas Industry Stiffens Resistance to Tougher New Environmental Regime"
  117. Open Democarcy, 8 July 2020 "How The Fossil Fuel Lobby Is Hijacking The European Green Deal"
  118. The Guardian, 24 October 2019 "Fossil Fuel Big Five 'Spent €251m Lobbying EU' Since 2010; Report Comes Amid Calls for Set Up of Firewall to Protect Politics from Industry Influence"
  119. The Guardian, 1 October 2020 "UK Held Private Talks with Fossil Fuel Firms about Glasgow Cop26--Documents Show BP, Shell and Equinor Had Several Meetings with Government Officials"
  120. Open Democracy, 19 April 2019 "Three Ways The Fossil Fuel Industry Influences The UK Political System"
  121. Yale Environment 360, 19 July 2019 "Fossil Fuel Interests Have Outspent Environmental Advocates 10:1 on Climate Lobbying"; Known spending (excluding "dark money" spending) by the oil and gas industry on Washington lobbyists for the year 2021 is available at: Open Secrets "Industry Profile: Oil & Gas"
  122. Reuters Events, 23 November 2015 "Lobbying: Climate Change--Beware Hot Air"
  123. The Guardian 24 October 2019 "Fossil Fuel Big Five 'Spent €251m Lobbying EU' Since 2010"
  124. The Guardian, 19 July 2021 "How a Powerful U.S. Lobby Group Helps Big Oil to Block Climate Action"
  125. Reuters Events, 23 November 2015 "Lobbying: Climate Change--Beware Hot Air"
  126. Open Secrets "Oil & Gas"
  127. Yale Climate Connections, 6 January 2020 ["Fossil Fuel Political Giving Outdistances Renewables 13 to One; During the Latest Midterm Election Cycle, the Fossil Fuel Industry Paid at Least $359 Million for Federal Campaign Donations and Lobbying"] The figures listed in this article include only known industry spending at the federal level; they do not include political contributions at the state and local levels and "dark money" spending.
  128. Holden, Emily (২০২০-০২-২৪)। "Oil and gas industry rewards US lawmakers who oppose environmental protections – study"The Guardian (ইংরেজি ভাষায়)। আইএসএসএন 0261-3077। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-১০-৩০ 
  129. Proceedings of the National Academy of Sciences of the United States of America, 10 March 2020 "Oil and Gas Companies Invest in Legislators that Vote Against The Environment"
  130. Scientific American, 26 October 2015 "Exxon Knew about Climate Change Almost 40 Years Ago: A New Investigation Shows The Oil Company Understood The Science Before It Became a Public Issue And Spent Millions to Promote Misinformation"
  131. Union of Concerned Scientists, 12 October 2017 "How the Fossil Fuel Industry Harassed Climate Scientist Michael Mann"
  132. Weart 2015a: Global Warming Becomes a Political Issue (1980–1983) ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৯ জুন ২০১৬ তারিখে; "In 1981, Ronald Reagan took the presidency with an administration that openly scorned their concerns. He brought with him a backlash that had been building against the environmental movement. Many conservatives denied nearly every environmental worry, global warming included. They lumped all such concerns together as the rants of business-hating liberals, a Trojan Horse for government regulation." For details, see Money for Keeling: Monitoring CO2 ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৯ জুন ২০১৬ তারিখে
  133. Union of Concerned Scientists, "Abuses of Science: Case Studies, Examples of Political Interference with Government Science Documented by The UCS Scientific Integrity Program, 2004-2009"
  134. National Center for Science Education, "Review: The Republican War on Science, Reports of the National Center for Science Education"
  135. Climate Science and Policy Watch, "Climate Science Censorship"
  136. Time 29 July 2020 "Record Number of Environmental Activists Killed In 2019"
  137. New Security Beat, 30 October 2018 "Environmental Activists Under Assault in Brazil"
  138. Dialogo Chino, 19 April 2021 "Brazil Set to ignore Escazú Agreement that Protects Environmental Activists: With the Escazú Agreement about to enter into force across Latin America, there's no sign the Bolsonaro government will ratify it"
  139. The Guardian, 24 September 2019, "Revealed: How the FBI Targeted Environmental Activists in Domestic Terror Investigations: Protesters Were Characterized as a Threat to National Security in What One Calls an Attempt to Criminalize their Actions"
  140. The Guardian, 13 January 2020, "Revealed: U.S. Listed Climate Activist Group as 'Extremists' Alongside Mass Killers; DHS Listed Activists Engaged in Non-Violent Civil Disobedience Targeting Oil Industry Alongside White Supremacists in Documents "
  141. Human Rights Watch, 29 November 2019 "Targeting Environmental Activists With Counterterrorism Measures is an Abuse of the Law"
  142. American Civil Liberties Union, 6 February 2018 "6 Ways Government Is Going After Environmental Activists"
  143. Mann 2021, Chpt 8, p185
  144. Jonathan Watts (২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১)। "Climatologist Michael E Mann: 'Good people fall victim to doomism. I do too sometimes'"The Guardian। সংগ্রহের তারিখ ২২ এপ্রিল ২০২১ 
  145. Mann 2021, Chpt 5, p100, p107 -113
  146. OECD (2009) Policy Guidance on Integrating Climate Change Adaptation into Development Co-operation ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখে, Organisation for Economic Co-operation and Development, Paris.
  147. Rabe, B.G. (২০০৭)। "Beyond Kyoto: Climate Change Policy in Multilevel Governance Systems"। Governance20 (3): 423–44। ডিওআই:10.1111/j.1468-0491.2007.00365.x 
  148. Editorial (নভেম্বর ২০১৫)। "Adaptation trade-offs"। Nature Climate Change5 (11): 957। ডিওআই:10.1038/nclimate2853অবাধে প্রবেশযোগ্যবিবকোড:2015NatCC...5Q.957.  See also Sovacool, B. and Linnér, B.-O. (2016), The Political Economy of Climate Change Adaptation, Palgrave Macmillan UK.
  149. Dessler 2020, Chpt. 1, 4,5
  150. Mann 2021, Chpt 9.
  151. Dessler 2020, Chpt 5, section 5.3.2, p214-218
  152. Mann 2021, Chpt 9.
  153. Ray Pierrehumbert and Michael E. Mann (২২ এপ্রিল ২০২১)। "Some say we can 'solar-engineer' ourselves out of the climate crisis. Don't buy it"The Guardian। সংগ্রহের তারিখ ২২ এপ্রিল ২০২১ 
  154. Mock, Sarah (২০২১-০৮-২৫)। "Meat wars: why Biden wants to break up the powerful US beef industry"The Guardian (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০১-১৯ 
  155. "Fish 'not as carbon friendly' as previously thought"BBC News (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২১-০৫-২৪। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০১-১৯ 
  156. Wilczek, Maria (২০২২-০১-১৭)। "Opposition and trade unions call for round table talks on Polish energy policy"Notes From Poland (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০১-১৯ 
  157. "How farmers still rule Europe"The Economist। ২০২১-০৫-২৭। আইএসএসএন 0013-0613। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০১-১৯ 
  158. "The power of fish"The Economist। ২০১৮-১১-২৪। আইএসএসএন 0013-0613। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০১-১৯ 
  159. Saad, Lydia (২০ এপ্রিল ২০২৩)। "A Steady Six in 10 Say Global Warming's Effects Have Begun"। Gallup, Inc.। ২০ এপ্রিল ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  160. "As Economic Concerns Recede, Environmental Protection Rises on the Public's Policy Agenda / Partisan gap on dealing with climate change gets even wider"PewResearch.org। Pew Research Center। ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০। ১৬ জানুয়ারি ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।  (Discontinuity resulted from survey changing in 2015 from reciting "global warming" to "climate change".)
  161. McGreal, Chris (২৬ অক্টোবর ২০২১)। "Revealed: 60% of Americans say oil firms are to blame for the climate crisis"The Guardian। ২৬ অক্টোবর ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। Source: Guardian/Vice/CCN/YouGov poll. Note: ±4% margin of error. 
  162. Tyson, Alec; Funk, Cary; Kennedy, Brian (১ মার্চ ২০২২)। "Americans Largely Favor U.S. Taking Steps To Become Carbon Neutral by 2050 / Appendix (Detailed charts and tables)"Pew Research। ১৮ এপ্রিল ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  163. Jones, Jeffrey M. (১১ এপ্রিল ২০২২)। "Climate Change Proposals Favored by Solid Majorities in U.S. / Support for Policies Designed to Limit Greenhouse Gases, by Political Party"Gallup। ১ অক্টোবর ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  164. Poushter, Jacob; Fagan, Moira; Gubbala, Sneha (৩১ আগস্ট ২০২২)। "Climate Change Remains Top Global Threat Across 19-Country Survey"pewresearch.org। Pew Research Center। ৩১ আগস্ট ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। Only statistically significant differences shown. 
  165. "The Comparative Politics of Climate Change"ResearchGate (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৩-৩০ 
  166. How Margaret Thatcher Made the Conservative Case for Climate Action, James West, Mother Jones, Mon 8 April 2013
  167. An Inconvenient Truth About Margaret Thatcher: She Was a Climate Hawk, Will Oremus, Slate (magazine) 8 April 2013
  168. Elaine Kamarck (সেপ্টেম্বর ২০১৯)। "The challenging politics of climate change"Brookings Institution। সংগ্রহের তারিখ ৭ এপ্রিল ২০২১ 
  169. Dessler 2020, Chpt. 1, 4,5
  170. Lieven 2020, Passim, esp. Chpt. 1
  171. Dessler 2018, Chpt. 2, p.54
  172. Peter Franklin (ফেব্রুয়ারি ২০২০)। "Bigger than Brexit: the new politics of climate change"unHerd। সংগ্রহের তারিখ ১০ এপ্রিল ২০২১ 
  173. Dryzek 2011, Chpt. 10
  174. Garmann, Sebastian (২০১৪)। "Do government ideology and fragmentation matter for reducing CO
    -emissions? Empirical evidence from OECD countries"। Ecological Economics105: 1–10। আইএসএসএন 0921-8009ডিওআই:10.1016/j.ecolecon.2014.05.011
     
  175. Lieven 2020, Passim, esp. Chpt. 1
  176. Dessler 2020, Chpt. 1, 4,5
  177. Haibach, H. and Schneider, K., 2013. The Politics of Climate Change: Review and Future Challenges. In: O. Ruppel, C. Roschmann and K. Ruppel-Schlichting, ed., Climate Change: International Law and Global Governance: Volume II: Policy, Diplomacy and Governance in a Changing Environment, 1st ed. Baden-Baden: Nomos Verlagsgesellschaft mbH, p.372.
  178. Ford, James (২০০৭)। "Emerging trends in climate change policy: the role of adaptation"Journal of Climate3: 5–14। 
  179. Dryzek, John S.; Norgaard, Richard B.; Schlosberg, David (২০১১-০৮-১৮)। Climate Change and Society: Approaches and Responses। Oxford University Press। ডিওআই:10.1093/oxfordhb/9780199566600.003.0001 
  180. Oreskes, Naomi (ডিসেম্বর ২০০৪)। "BEYOND THE IVORY TOWER: The Scientific Consensus on Climate Change"। Science306 (5702): 1686। ডিওআই:10.1126/science.1103618অবাধে প্রবেশযোগ্যপিএমআইডি 15576594Such statements suggest that there might be substantive disagreement in the scientific community about the reality of anthropogenic climate change. This is not the case. [...] Politicians, economists, journalists, and others may have the impression of confusion, disagreement, or discord among climate scientists, but that impression is incorrect. 
  181. America's Climate Choices: Panel on Advancing the Science of Climate Change; National Research Council (২০১০)। Advancing the Science of Climate Change। Washington, D.C.: The National Academies Press। আইএসবিএন 978-0-309-14588-6ডিওআই:10.17226/12782। ২৯ মে ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। (p1) ... there is a strong, credible body of evidence, based on multiple lines of research, documenting that climate is changing and that these changes are in large part caused by human activities. While much remains to be learned, the core phenomenon, scientific questions, and hypotheses have been examined thoroughly and have stood firm in the face of serious scientific debate and careful evaluation of alternative explanations. * * * (p21-22) Some scientific conclusions or theories have been so thoroughly examined and tested, and supported by so many independent observations and results, that their likelihood of subsequently being found to be wrong is vanishingly small. Such conclusions and theories are then regarded as settled facts. This is the case for the conclusions that the Earth system is warming and that much of this warming is very likely due to human activities. 
  182. "Understanding and Responding to Climate Change" (পিডিএফ)United States National Academy of Sciences। ২০০৮। সংগ্রহের তারিখ ৩০ মে ২০১০Most scientists agree that the warming in recent decades has been caused primarily by human activities that have increased the amount of greenhouse gases in the atmosphere. 
  183. Powell, James (২০ নভেম্বর ২০১৯)। "Scientists Reach 100% Consensus on Anthropogenic Global Warming"Bulletin of Science, Technology & Society37 (4): 183–184। এসটুসিআইডি 213454806ডিওআই:10.1177/0270467619886266 
  184. Lynas, Mark; Houlton, Benjamin Z.; Perry, Simon (১৯ অক্টোবর ২০২১)। "Greater than 99% consensus on human caused climate change in the peer-reviewed scientific literature"। Environmental Research Letters16 (11): 114005। এসটুসিআইডি 239032360 Check |s2cid= value (সাহায্য)ডিওআই:10.1088/1748-9326/ac2966অবাধে প্রবেশযোগ্যবিবকোড:2021ERL....16k4005L 
  185. Myers, Krista F.; Doran, Peter T.; Cook, John; Kotcher, John E.; Myers, Teresa A. (২০ অক্টোবর ২০২১)। "Consensus revisited: quantifying scientific agreement on climate change and climate expertise among Earth scientists 10 years later"। Environmental Research Letters16 (10): 104030। এসটুসিআইডি 239047650 Check |s2cid= value (সাহায্য)ডিওআই:10.1088/1748-9326/ac2774অবাধে প্রবেশযোগ্যবিবকোড:2021ERL....16j4030M 
  186. "American Association for the Advancement of Science Statement on the Teaching of Evolution" (পিডিএফ)। ২১ ফেব্রুয়ারি ২০০৬ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। 
  187. Intelligent Judging—Evolution in the Classroom and the Courtroom ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০ সেপ্টেম্বর ২০০৯ তারিখে George J. Annas, New England Journal of Medicine, Volume 354:2277-2281 25 May 2006
  188. Oreskes, Naomi; Conway, Erik (২৫ মে ২০১০)। Merchants of Doubt: How a Handful of Scientists Obsecured the Truth on Issues from Tobacco Smoke to Global Warmingবিনামূল্যে নিবন্ধন প্রয়োজন (first সংস্করণ)। Bloomsbury Press। আইএসবিএন 978-1-59691-610-4 
  189. Boykoff, M.T.; Boykoff, J.M. (২০০৪)। "Balance as bias: Global warming and the US prestige press"। Global Environmental Change14 (2): 125–136। ডিওআই:10.1016/j.gloenvcha.2003.10.001 
  190. Technische Problemlösung, Verhandeln und umfassende Problemlösung, (eng. technical trouble shooting, negotiating and generic problem solving capability) in Gesellschaftliche Komplexität und kollektive Handlungsfähigkeit (Societys complexity and collective ability to act), ed. Schimank, U. (2000). Frankfurt/Main: Campus, p.154-182 book summary at the Max Planck Gesellschaft ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১২ অক্টোবর ২০১৪ তারিখে
  191. Of Montreal and Kyoto: A Tale of Two Protocols ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৬ আগস্ট ২০১৪ তারিখে by Cass R. Sunstein 38 ELR 10566 8/2008
  192. Aant Elzinga, "Shaping Worldwide Consensus: the Orchestration of Global Change Research", in Elzinga & Landström eds. (1996): 223-255. আইএসবিএন ০-৯৪৭৫৬৮-৬৭-০.
  193. Climate Change: What Role for Sociology? A Response to Constance Lever-Tracy, Reiner Grundmann and Nico Stehr, ডিওআই:10.1177/0011392110376031 Current Sociology November 2010 vol. 58 no. 6 897-910, see Lever Tracys paper in the same journal ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৯ এপ্রিল ২০১৫ তারিখে
  194. Climate Change: What Role for Sociology? A Response to Constance Lever-Tracy, Reiner Grundmann and Nico Stehr, ডিওআই:10.1177/0011392110376031 Current Sociology November 2010 vol. 58 no. 6 897-910, see Lever Tracys paper in the same journal ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৯ এপ্রিল ২০১৫ তারিখে
  195. Climate Change: What Role for Sociology? A Response to Constance Lever-Tracy, Reiner Grundmann and Nico Stehr, ডিওআই:10.1177/0011392110376031 Current Sociology November 2010 vol. 58 no. 6 897-910, see Lever Tracys paper in the same journal ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৯ এপ্রিল ২০১৫ তারিখে
  196. "Environmental Politics Climate Change and Knowledge Politics REINER GRUNDMANN Vol. 16, No. 3, 414–432, June 2007" (পিডিএফ)। ২৬ আগস্ট ২০১৪ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। 
  197. Technische Problemlösung, Verhandeln und umfassende Problemlösung, (eng. technical trouble shooting, negotiating and generic problem solving capability) in Gesellschaftliche Komplexität und kollektive Handlungsfähigkeit (Societys complexity and collective ability to act), ed. Schimank, U. (2000). Frankfurt/Main: Campus, p.154-182 book summary at the Max Planck Gesellschaft ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১২ অক্টোবর ২০১৪ তারিখে
  198. Climate Change: What Role for Sociology? A Response to Constance Lever-Tracy, Reiner Grundmann and Nico Stehr, ডিওআই:10.1177/0011392110376031 Current Sociology November 2010 vol. 58 no. 6 897-910, see Lever Tracys paper in the same journal ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৯ এপ্রিল ২০১৫ তারিখে
  199. Of Montreal and Kyoto: A Tale of Two Protocols ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৬ আগস্ট ২০১৪ তারিখে by Cass R. Sunstein 38 ELR 10566 8/2008
  200. "Environmental Politics Climate Change and Knowledge Politics REINER GRUNDMANN Vol. 16, No. 3, 414–432, June 2007" (পিডিএফ)। ২৬ আগস্ট ২০১৪ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। 
  201. Ungar, Sheldon (জুলাই ২০০০)। "Knowledge, ignorance and the popular culture: climate change versus the ozone hole, by Sheldon Ungar"। Public Understanding of Science9 (3): 297–312। এসটুসিআইডি 7089937ডিওআই:10.1088/0963-6625/9/3/306 
  202. Michael Oppenheimer et al., The limits of consensus, in Science Magazine's State of the Planet 2008-2009: with a Special Section on Energy and Sustainability, Donald Kennedy, Island Press, 1 December 2008, separate as CLIMATE CHANGE, The Limits of Consensus Michael Oppenheimer, Brian C. O'Neill, Mort Webster, Shardul Agrawal, in Science 14 September 2007: Vol. 317 no. 5844 pp. 1505-1506 ডিওআই:10.1126/science.1144831
  203. Clark, Peter U.; Shakun, Jeremy D.; Marcott, Shaun A.; Mix, Alan C.; Eby, Michael; Kulp, Scott; Levermann, Anders; Milne, Glenn A.; Pfister, Patrik L.; Santer, Benjamin D.; Schrag, Daniel P. (৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬)। "Consequences of twenty-first-century policy for multi-millennial climate and sea-level change"Nature Climate Change (ইংরেজি ভাষায়)। 6 (4): 360–369। আইএসএসএন 1758-6798ডিওআই:10.1038/nclimate2923বিবকোড:2016NatCC...6..360C 
  204. Overland, Indra; Sovacool, Benjamin K. (১ এপ্রিল ২০২০)। "The misallocation of climate research funding"। Energy Research & Social Science (ইংরেজি ভাষায়)। 62: 101349। hdl:11250/2647605অবাধে প্রবেশযোগ্যআইএসএসএন 2214-6296ডিওআই:10.1016/j.erss.2019.101349অবাধে প্রবেশযোগ্য 
  205. Overland, Indra; Sovacool, Benjamin K. (১ এপ্রিল ২০২০)। "The misallocation of climate research funding"। Energy Research & Social Science (ইংরেজি ভাষায়)। 62: 101349। hdl:11250/2647605অবাধে প্রবেশযোগ্যআইএসএসএন 2214-6296ডিওআই:10.1016/j.erss.2019.101349অবাধে প্রবেশযোগ্য 
  206. Overland, Indra; Sovacool, Benjamin K. (১ এপ্রিল ২০২০)। "The misallocation of climate research funding"। Energy Research & Social Science (ইংরেজি ভাষায়)। 62: 101349। hdl:11250/2647605অবাধে প্রবেশযোগ্যআইএসএসএন 2214-6296ডিওআই:10.1016/j.erss.2019.101349অবাধে প্রবেশযোগ্য 
  1. Dessler (2020), broadly agrees that this more collaborative approach was key to success at Paris, though warned that one of the main parties which drove the change (China) had by 2018 returned to a less friendly approach, seeking to magnify differences between developed and less developed nations.
  2. In addition to the normal collective action problems, other difficulties have included: 1.) The fact that fossil fuel use has been common across the economy, unlike the relatively few firms that controlled manufacture of products containing the CFCs, which had been damaging the Ozone layer. 2.) Incompatible views from different nations on the level of responsibility that highly developed countries had in assisting less developed controls to control their emissions without inhibiting their economic growth. 3.) Difficulty in getting humans to take significant action to limit a threat that is far away in the future. 4.) The dilemma between the conflicting needs to reach agreements that could be accepted by all, versus the desirability for the agreement to have significant practical effect on human activity. See e.g. Dryzek (2011) Chpt. 3, and Dessler (2020) Chpt. 1, 4 & 5.
  3. Whether it actually is cheaper depends on various factors like the fluctuating price of fossil fuels on the global market, the endowments that the Jurisdiction enjoys (sunlight, amount of flowing water etc. ) and if the new renewable energy infrastructure is replacing an existing fossil fuel plant, on the timescale under consideration, which determines whether construction costs can be offset.
  4. Much media coverage on these lines was paid for by the fossil fuel industry, with Koch Industries one of the more prominent companies involved. Yet in the early 2010s the Koch brothers pushed for taxes on households with solar panels selling excess energy back to the Grid, leading Michael Mann to suggest that preference for small government may not have been their primary motivation. See Mann (2021) Chpt 6, p. 124-127