জয়নেন্দ্র চন্দ ঠাকুর

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
জয়নেন্দ্র চন্দ ঠাকুর
জন্ম১৯৪২
মৃত্যু৩১ মে ২০২০(2020-05-31) (বয়স ৭৭–৭৮)
জাতীয়তানেপালি
অন্যান্য নামজয়নেন্দ্র চন্দ
পেশাঅভিনেতা
কর্মজীবন১৯৮২-২০১১

জয়নেন্দ্র চন্দ ঠাকুর (নেপালি: जयनेंद्र चन्द ठकुरी, ১৯৪২[১] - ৩১ শে মে ২০২০) একজন নেপালি চলচ্চিত্র অভিনেতা। ঠাকুর কাঙচি, বিশ, মায়া প্রীতি, ফেরী বতুল্লা, অঙ্গরাক্ষক ও পরখি বেস সহ প্রায় শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। নয় বছর পক্ষাঘাতগ্রস্থ হয়ে শেষ ছয় মাস শয্যাশায়ী থাকার পর তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

ব্যক্তিগত জীবন[সম্পাদনা]

জয়নেন্দ্র চন্দ ঠাকুর সুদূর-পশ্চিম নেপালের বৈতাদিতে জন্মগ্রহণ করেন, পিতা শীল চন্দা এবং মাতা রুক্মিণী দেবী চন্দা।[১] তিনি ভারতীয় সেনাবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন।[২] তিনি জওলাখেল যুব ক্লাবের হয়ে ক্রিকেট খেলতেন। জয়ন্ত চাঁদ শান্তিচাঁদ ঠাকুরীর সাথে বিবাহ বন্ধনে বন্ধনে আবদ্ধ ছিলেন, এই দম্পতির চাইয়া উপ্রীতি নামে এক মেয়ে ছিল।[৩][৪]

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

জয়নেন্দ্র চন্দ ঠাকুর ১৯৮২ সালে নেপালি ছবি জীবন রেখা তে অভিনয় করে অভিনেতা হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেন।[৫] তিনি শতাধিক চলচ্চিত্র এবং একাধিক টেলিভিশন ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন।[৬] ওনার অভিনীত উল্লেখযোগ্য নেপালি চলচ্চিত্র হলো কাঙচি, বিশ্বাস, মায়া প্রীতি, ফেরি ভীতাউলা, অঙ্গরাক্ষীক এবং পারখি বেস[৩][৭] ১৯৮৬ সালে মুক্তি পঞ্চাবতী চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেন। তিনি ফানি নামে একটি পাকিস্তানি চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন।[৮]

ভাগী ভাগী নাজাউ (২০১২) চলচ্চিত্রের একটি সেটে চিত্রগ্ৰহণ করার সময় ঠাকুর দুর্ঘটনার শিকার হন এবং এর পর থেকেই শুটিং তার স্বাস্থ্য খারাপ হতে শুরু করে।[৩] দুর্ঘটনার পর তার বাঁ পা পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে যায় এবং এরপর তার চিকিৎসা চলছিল। প্রায় চার দশকের অভিনয় জীবনের সর্বশেষ প্রদর্শিত চলচ্চিত্র ছিল ভাগী ভাগী নাজাউ[৯]

১৯৯৫ সালে তিনি দশকের সেরা অভিযান অভিনেতার খেতাবে ভূষিত হন।[২] আর্থা সাংসার লিখেছেন যে নেপালি চলচ্চিত্রে তিনি বড় অবদান রেখেছেন।[১০]

অসুস্থতা ও মৃত্যু[সম্পাদনা]

জয়নেন্দ্র চন্দ ঠাকুর গত নয় বছর ধরে পক্ষাঘাতগ্রস্থ জনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিস সহ তাঁর অতিরিক্ত স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যা ছিল।[৫] জীবনের শেষ ছয় মাসের বেশিরভাগ সময় তিনি শয্যাশায়ী ছিলেন।[৩]

২০২০ সালের ৩১ মে, ঠাকুর এনপিটি সময় ১১:২০ এ ললিতপুরে তার বাসায় মৃত্যুবরণ করেন।[৯][১১][১২] পশুপতি বৈদ্যুতিক শ্মশানঘাটে একই দিন তাঁর দেহাবশেষ দাফন করা হয়। শেষকৃত্যে ফিল্ম আর্টিস্টস অ্যাসোসিয়েশন নেপাল এবং ফিল্ম ডেভলপমেন্ট বোর্ডের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।[৩]

উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র[সম্পাদনা]

সূত্র:[১৩]
বছর চলচ্চিত্র মন্তব্য
১৯৮২ জীবন রেখা
১৯৮৪ কাঁচি
১৯৮৫ বিশ্বাস
১৯৮৯ মায়া প্রীতি
১৯৮৯ ফেড়ী ভেটৌলা
১৯৯২ অধিকারী
১৯৯৩ তপস্যা
২০০৩ অঙ্গরক্ষক
২০০৮ পার্কি বেস
২০১২ ভাগী ভাগী নাজাউ

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Who's Who-Nepal, 1992 (ইংরেজি ভাষায়)। National Research Associates। ১৯৯২। 
  2. "१०० फिल्म खेलेर पनि 'गुमनाम' अभिनेता"Kendrabindu News – YouTube-এর মাধ্যমে। 
  3. "Veteran actor Jayanendra Chand Thakuri dies aged 80"The Himalayan Times। ৩১ মে ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ১ জুন ২০২০ 
  4. "वरिष्ठ कलाकार जयनेन्द्र चन्द ठकुरीको ९२ वर्षको उमेरमा निधन"Dainik Online। ১ জুন ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ জুন ২০২০ 
  5. "Senior artist Jayananda Chand Thakuri passes away"Khabarhub। ৩১ মে ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ১ জুন ২০২০ 
  6. Republica। "Veteran actor Jayanendra Chand Thakuri passes away"My City (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১ জুন ২০২০ 
  7. "कलाकार जयनेन्द्र चन्द ठकुरीको निधन"Online Khabar। সংগ্রহের তারিখ ১ জুন ২০২০ 
  8. "कलाकार ठकुरीको निधन"Naya Patrika (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১ জুন ২০২০ 
  9. "जेठ १९ गते । आजको ई–पेपर"ePaper Nepal Samacharpatra, Kamana & Sadhana। সংগ্রহের তারিখ ১ জুন ২০২০ 
  10. "अब सम्झनामा मात्र वरिष्ठ कलाकार जयनन्द चन्द ठकुरी"Bidhee News। সংগ্রহের তারিখ ১ জুন ২০২০ 
  11. "Veteran actor Jayanendra Chand Thakuri passes away"My City। সংগ্রহের তারিখ ১ জুন ২০২০ 
  12. "रहेनन् नेपाली फिल्मका चरित्र अभिनेता जयनेन्द्र चन्द"Annapurna Post। সংগ্রহের তারিখ ১ জুন ২০২০ 
  13. "Jayanendra Chand"Lens Nepal। সংগ্রহের তারিখ ১ জুন ২০২০ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]