জয়নাব আল গাজালী

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
জয়নাব আল গাজালী
জন্ম(১৯১৭-০১-০২)২ জানুয়ারি ১৯১৭
মৃত্যু৩ আগস্ট ২০০৫(২০০৫-০৮-০৩)[১]
পেশাইসলামি মহিলা সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা

জয়নাব আল গাজালী (আরবি: زينب الغزالي) ২ জানুয়ারি ১৯১৭ – ৩ আগস্ট ২০০৫ ছিল একজন মিশরীয় সক্রিয় কর্মী। তিনি ইসলামি মহিলা সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা।[২]

জীবনবৃত্তান্ত[সম্পাদনা]

প্রাথমিক জীবন[সম্পাদনা]

তার পিতা ছিলেন আল-আজাহার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা করা শিক্ষিত তুলা ব্যবসায়ী।[৩] তিনি তাকে নুসাইবা বিনতে কাব আল-মুজানিয়া মতো একজন ইসলামিক নেতা হতে উৎসাহিত করতেন যিনি নারী হয়েও উহুদ যুদ্ধে নবী মুহাম্মদের সাথে যুদ্ধ করেছিলেন। কিশোর বয়সে স্বল্প সময়ের জন্য তিনি মিশরীয় নারীবাদী ইউনিয়নে যোগ দেন।[৪][২][৫] পরে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে "ইসলাম অন্য কোন সমাজ কর্তৃক প্রদত্ত পরিবারে নারীদের অধিকার প্রদান করেছে। আঠারো বছর বয়সে তিনি জামাত আল-সাইয়্যিত আল-মুসলিমত (মুসলিম মহিলা এসোসিয়েশন) প্রতিষ্ঠা করেন।[৫]

তত্ত্ব[সম্পাদনা]

জয়নাব আল গাজালী নারীবাদের কথা ঘোষণা করেন যা স্বাভাবিকভাবেই ইসলামী ছিল। তিনি ইসলাম এবং কু'রানের ব্যবহারিক জ্ঞানের মাধ্যমে "অভ্যাসশিক্ষার ধারণায়" বিশ্বাস করতেন[৬] এবং অনুভব করতেন যে ইসলামের আরো ঘনিষ্ঠ উপলব্ধির মাধ্যমে নারী মুক্তি, অর্থনৈতিক অধিকার, রাজনৈতিক অধিকার ইত্যাদি অর্জন করা যেতে পারে।[৭] আল গাজালী এছাড়াও বিশ্বাস করতেন যে একজন নারীর প্রাথমিক দায়িত্ব বাড়ির মধ্যে ছিল, কিন্তু তিনি যদি তাই পছন্দ করেন তাহলে তার রাজনৈতিক জীবনে অংশগ্রহণের সুযোগ থাকা উচিত। আল গাজালীর পিতৃতান্ত্রিক ইসলামী অবস্থান তাকে বেশ কয়েকটি বিষয়ের সাথে প্রকাশ্যে দ্বিমত পোষণ করার সুযোগ করে দেয় যা "তাকে পুরুষ ইসলামপন্থী নেতাদের সাথে বিরোধে ফেলে"।[৮]

কারাগারের জীবন[সম্পাদনা]

তিনি তার কারাগারের জীবনে উপর কারাগারে রাতদিন নামে গ্রন্থ রচনা করেন।[৯][১০]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Campo, Juan Eduardo। Encyclopedia Of Islam( 2009)। পৃষ্ঠা 76। সংগ্রহের তারিখ ৩১ অক্টোবর ২০১৯ 
  2. McCarthy, Kathleen D. (২০০১)। Women, Philanthropy, and Civil Society (ইংরেজি ভাষায়)। Indiana University Press। আইএসবিএন 978-0-253-33918-8 
  3. Campo, Juan Eduardo। Encyclopedia Of Islam( 2009)। পৃষ্ঠা 262। সংগ্রহের তারিখ ৩১ অক্টোবর ২০১৯ 
  4. The Relationship Between Islamism and Women in Civil Society: A Look at Turkey and Egypt। ২০১৫-০৩-০১। পৃষ্ঠা 33। সংগ্রহের তারিখ ৩১ অক্টোবর ২০১৯ 
  5. Tucker, Elien J. (২০০০-০৬-০১)। Women and the Palestinian national movement: a comparative analysis। পৃষ্ঠা 17। সংগ্রহের তারিখ ৩১ অক্টোবর ২০১৯ 
  6. Mahmood, Saba (২০০১)। "Feminist Theory, Embodiment, and the Docile Agent: Some Reflections on the Egyptian Islamic Revival"Cultural Anthropology (ইংরেজি ভাষায়)। 16 (2): 202–236। আইএসএসএন 1548-1360ডিওআই:10.1525/can.2001.16.2.202। ২৯ অক্টোবর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ ডিসেম্বর ২০২০ 
  7. Ahmed, Leila,। Women and gender in Islam : historical roots of a modern debate। New Haven। পৃষ্ঠা ১৯৭–২০২। আইএসবিএন 0-300-04942-0ওসিএলসি 24218727 
  8. Tétreault, Mary Ann (২০০১)। "A STATE OF TWO MINDS: STATE CULTURES, WOMEN, AND POLITICS IN KUWAIT"International Journal of Middle East Studies (ইংরেজি ভাষায়)। 33 (2): 203–220। আইএসএসএন 1471-6380ডিওআই:10.1017/S0020743801002021 
  9. "জয়নব আল- গাজালী"কিতাবঘর 
  10. Badran, Margot (২০১৩-১০-০১)। Feminism in Islam: Secular and Religious Convergences (ইংরেজি ভাষায়)। Oneworld Publications। আইএসবিএন 978-1-78074-447-6 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]